আতঙ্ক, ভয়!



জোছনা বিছিয়ে দিলো শ্বেত-শুভ্র চাদর
ঝিঁ ঝিঁ ডাকছে। ধানের ক্ষেতজুড়ে সবুজের সমারোহ
অদ্ভূত সেই রাত; আমুদে।
দখিনা বাতাসে উড়ছে তোমার চুল।

মনে পড়ে প্রিয়তমা। সেই সব দিন।

বয়স তখন কত আমার?
১৭ কিম্বা ১৮ !
তোমারও  কাছাকাছি।
চিন্তাহীন, আতঙ্কমুক্ত সময়
হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই! কী দারুণ না ছিল সেই সময়টা ?

এখন আমি ৩৪। মায়াবী গ্রাম ছেড়ে নগরে!
তবুও  আতঙ্ক, ভয়!
গুম, অপহরণ, খুন- শব্দগুলো তীরের মত বিঁধছে।
নদীতে, ডোবায়, নর্দমায়, ডাস্টবিনে বনি আদমের লাশ

কী যে এক আতঙ্ক প্রিয়তমা!
এই বুঝি তুলে নিবে সাদা মাইক্রোবাস, কালো গ্লাসটা উঠে যাবে
চমশা সরিয়ে কেউ একজন বলে উঠবে, 'অনেক বেড়েছিস!'

আসলেই তো তাই?

আগে বাবা ডাকতাম, এখন আমাকেও কেউ ডাকে!
এই ডাকটা আবার কারো অসহ্য লাগতে পারে!
তবুও সন্তানের জন্য নিরাপদ একটা রাষ্ট্র কি আমি চাইতে পারি না? পারি।
কারন এই দেশ আমারো।

কার কাছে চাইবো সেটি-
কেউ কি বলতে পারেন?

আমি ভয় পেতে চাইনা, আতঙ্কগ্রস্থ হতে চাইনা।
নিরাতঙ্ক মনে পথ চলতে চাই,
ইচ্ছে হলেই হারিয়ে যেতে চাই
এখানে সেখানে
রূপসী বাংলার এ প্রান্তে ও প্রান্তে-যেখানে আমার ইচ্ছে।

আজ ভাবছি- ভালো আছি! কাল  কি হবে?
আমাকে তো তুলে নেয়নি-
অন্যকে নিয়েছে বলে যারা ঝিম মেরে আছি!
তারা কি নিশ্চিত, কাল আমাকে তুলে নেবে না,
সাদা পোশাকের কোউ লাত্থি মেরে বলবে না 'তুই শেষ!'

এখনই সময় বন্ধু-প্রিয়তম
হাতে  রাখো হাত
গড়ে তোলো প্রতিরোধ!