ব্যস্ততা ... বৃত্তে বন্দী জীবন--- হচ্ছে না কিছুই!






 মেঠো পথ


১.
পুরনো দিনের কথা ভাল্লাগে না অার। সময়টা কেবলই বদলে যেতে থাকে। বিত্তের পেছনে বৃত্তাকার ঘোরাঘুরির হিসাব মিলাতে, নিজেকেই হারিয়ে ফেলি।
 
জীবন এত কঠিন কেন?
নিজেকেই প্রশ্ন করি!
কতগুলো বছর কেটে গেছে, নেশার মত, টেরই পাইনি।

২.
কথা ছিল পকেটে টাকা জমলে, নিমিষেই এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াবো! হয়নি তার অনেক কিছুই!
সংসার, স্ত্রী, সন্তান--- সব কিছু নিয়েই ভাবনা ছিল! তবুও সব মিলে যায় না।
কৈশোর-- তারুণ্যের মত যৌবনের দিনগুলো মসৃন হয় না।

৩.
নিজেকে দোষারোপ করি না! যা পেয়েছি? কম কিসে! নিজেকে বলি।
তবুও নগর জীবনের এক অনিবার্য ব্যস্ততা কেড়ে নেয়, জীবনের অনেকগুলো সময়! বিত্তের পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্তি... নিজের ভেতর নিজেকে খুঁজে ফিরি! নিজের সেই সব স্বপ্ন, ইচ্ছাগুলো! 

৪.
চাইলেই এখন আর রোদ্দুরে বিকালের হঠাৎ করেই ট্রেনে চেপে বসা যায় না! গ্রামের মেঠো পথে কাদামাখামাখি করে ফেরা হয় না, নিজের গ্রামের বাড়ি।  টেম্পুর ভেতর সস্তা সুগন্ধি মাখা গ্রামীণ মধ্যবিত্ত নারী; পাউডারের গন্ধে আকুল করে যাওয়া পোশাক শ্রমিকের মুখ--- ভালো লাগতো। ভালো লাগতো--- বাংলা সিনেমা- --মান্নার প্রতিবাদকণ্ঠের সাথে হল ভর্তি দর্শকের উল্লাস।  

৫.
সমাজ-জীবন থেকে ছিন্ন হতে হতে, নিজেকে এখন ভীষণ একা লাগে! মনে হয়, এ নগরে ভিন্ন গ্রহের কেউ। বিদেশের মতই জীবন। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে আলাপ নেই! খোঁজ নেয় হয় না কারো! এত্ত ব্যস্ততা? চাইনি।  তবুও বিত্ত বৃত্তের জীবনে বন্দী জীবন। 

৬.
এখনো আকাশে পাখি উড়ে গেলে, সূর্যটা ডুবে যেতে থাকলে পশ্চিমের  কংক্রিটের জঞ্জালে, তখনো  মন ছুটে যায় লঙ্গদুর গহীন বনে, কাপ্তাই লেকের জলে চোখ রেখে এক লম্বা নিঃশ্বাস--- সেনটমার্টিনের দক্ষিণপাড়ায় প্রবালের উপর শরীর এগিয়ে লোনা হাওয়ায় ভেসে যাওয়া সন্ধ্যার আলো-- এটুকই চেয়েছি ।

৭.
 ব্যস্ততা ...  বৃত্তে বন্দী জীবন--- হচ্ছে না কিছুই!!