ম্যাডাম জিয়া অবরুদ্ধ কিম্বা তিনি স্বেচ্ছায় গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন- সে যে কোনোটাই হতে পারে। কিন্তু এ কার্যালয় ঘিরে গত ২৫ কিম্বা ৩০ দিন ধইরা দেশে বৈদেশে যে আলাপ আলোচনা চলছে- তাতে মনে হইচ্ছে- বঙ্গদেশের রঙ্গশালার যাবতীয় সব উপাদান এইখানে ফয়দা অয়।
সাধারণত বিম্পিকে নিয়ে যখন আম্লীগ কতা বলে, তখন পিপঁড়ার মর্যাদাও তারা দেয় না। সময় সময় এমুন কতা বলেন, যে বিম্পি করাটা একটা অপরাধ; এ সব অপরাধীদের বিম্পি সরকারেরই নিজ হস্তে প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারা 'বন্দুকযুদ্ধ' মঞ্চায়ন করে মেরে ফেলাটা অতিব উত্তম, জরুরি এবং সওয়াবের কাম।
কবি ওমর আলীর একটা কাব্য গ্রন্থ আছে-'এ দেশে শ্যামল রং রমণীর সুনাম শুনেছি'। সে হিসাবে বঙ্গ দেশে 'শ্যামল' রমণী আলোচনায় স্থান করে থাকবার কথা থাকলেও এখানে 'গোলাপী' বেশ আলোচিত , মুখরোচক, রাজনীতির শীর্ষ বিন্দুতে জমানো তিন্দুর জলের মতই লোভনীয় শব্দ।
একজন স্বামী হারা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক হিসাবে সবাই কবুল করে নেয়া প্রেমিক-বৎস এরশাদ বিরোধি আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো নেত্রী তিনি। তার নেতৃত্ব, মেধা, যোগ্যতা নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নাই।
কিন্তু কিছু লোক তার 'শিক্ষাগত' যোগ্যতা লইয়া প্রশ্ন তুলে হেনস্তা করবার চেষ্টা করে; যদিও বাস্তবে তারা নিজেদেরই হেনস্তা করে এবং সেটি বুঝবার মত সক্ষমতা তাদের নাই।
এ সব লোকদের অনেকে সাবেক বাম-রাম কিম্বা সাবেক আঁতেল-যাদের কাণ্ড জ্ঞানের বিস্তৃতি আজিজ মাক্কেট ঘিরে; সেই সব লোক আরজ আলি মতুব্বরে দর্শন লইয়া অনেক বাৎ চিৎ করে থাকেন। সেই একই লোক সকল ক্যামনে বঙ্গদেশের তিনবারে প্রধানমন্ত্রীর প্রথাগত সনদি যোগ্যতা লইয়া কোশ্চেন করেন, এটা ভাববার বিষয়।
পরোক্ষভাবে এরা নিজেদের হীনমন্যতাকেই সবার সামনে তুলে ধরেন। হরিপদ কপালিরা উদ্ভাবনী মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে ইরি বিরি গবেষকরা তাকে তাচ্ছিল্য করবেন- এটা যেমন ঠিক না। তেমনি এটাও ঠিক না কিছু দণ্ড বিহীন মেরুদ্ধণ্ড বহনকারীরা একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের জীবন আচরণ, প্রথাগত শিক্ষা লইয়া কতা কইবেন। এটা রুচিকর বলে আমার মনে হয় না।
যে কথা বলার জন্য লিখছি- এখানে আমরা সবাই মনে করি একেকজন বিশেষজ্ঞ। আমি যদি আপনাদের বলি একটু পেছনে ফিরে তাকাতে। ২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর আমাদের শিক্ষামুন্ত্রীর বয়ান সমৃদ্ধ লেখাগুলো প্রথম আলো ছেপেছিল। সেগুলো পিআইবির আকাইভে আছে। পাবলিক লাইব্রেরিতেও পাওযা যাবে।
সে সময় তিনি যে জ্ঞান গর্ভ পরামর্শ দিয়েছেন; তার কোনোটা কি তিনি বাস্তবায়ন কইরা দেখাইতে পারছেন? পারেন নাই।
২৪ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল বিম্পির আমলে। পরীক্ষা বাতিল করে ; পিএসসি চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিয়েছিল বিম্পি। আর এখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি - এটাই যেনো একটা আশ্চর্য।
তারপরেও নাহিদ দাদু সফল মুন্ত্রী। জিপিএ ফাইভের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আহা সে কি শান্তি। এ জিপিএ ফাইভ কি আমাদের শিক্ষার মানে পরিচায়ক। কারো কারো কাছে হতে পারে-।
সেনাঠেস লইয়া গেলো তত্বাবধায়ক সরকারের সময়দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিতে রুদ্ধশ্বাসে ছুটতে থাকলে মতিয়া আফা কইছিলেন রাজনৈতিক সরকার থাকলে এমনটা হতো না। সরকার চাইলে তারা সমাধানে পরামর্শ দিবেন। কিন্তু সরকারের আসার পর উনারা কি করেছেন। জানবার মুনচায়।
এ সব কেচ্ছা বর্ননা করবার জন্য এ লেখা নয়। এ লেখার উদ্ধেশ্য একটা দেশের ক্ষমতার দেউলিয়াত্বকে মনে করে; যে একজন নারী এবং যিনি দেশ পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন- তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা থেকে শুরু করে এখন ইউটিলিটি সার্ভিস বন্ধ করে দেবার মত যে উত্তম মানসিকতা ক্ষমতাধররা করেছেন এটা কেবল নিন্দনীয় নয়। জঘন্য রকমরে অমনাববিক -অপরাধ।
যারা জ্যান্ডার ইক্যুইটি; জেন্ডার ভায়োল্যান্স; নারীর প্রতি সহিংসতা লইয়া যারা কাজ করেন; তারা মুখে মিশিন লইয়া চুষতাছেন। সে মেশিনে আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই আসছে না।
বিদ্যুৎ কেটে নেবার পর তা চালু হয়েছে। এখন ইন্টারনেট নাই। মোবাইলফোনে কতা বলা যায় না। বিটিআরসির মোবাইলফোন অপারেটরদের চিঠি দিয়ে বলেছে ওই এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে । করা হযেছে। কিন্তু ওই এলাকায় শুধু খালেদা জিয়ার অবস্থান নয়; বহু সরকার পন্থীও থাকেন। সবাই এখন খাবি খাচ্ছেন।
খেতেই পারেন। তবে সরকার সব সময় সংবিধানের কথা বলেন; তাদের অনুসারীরা আরো জোরছে বলেন। এ ধরণের পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে সংবিধান চর্চারই অংশ হবে হয়ত- সে জণ্য চুপচাপ থাকাটাই উত্তম। নইলে মধ্যম খেতে হবে। তাই চুপসে আছি-কিন্তু কতক্ষণ!
সাধারণত বিম্পিকে নিয়ে যখন আম্লীগ কতা বলে, তখন পিপঁড়ার মর্যাদাও তারা দেয় না। সময় সময় এমুন কতা বলেন, যে বিম্পি করাটা একটা অপরাধ; এ সব অপরাধীদের বিম্পি সরকারেরই নিজ হস্তে প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারা 'বন্দুকযুদ্ধ' মঞ্চায়ন করে মেরে ফেলাটা অতিব উত্তম, জরুরি এবং সওয়াবের কাম।
কবি ওমর আলীর একটা কাব্য গ্রন্থ আছে-'এ দেশে শ্যামল রং রমণীর সুনাম শুনেছি'। সে হিসাবে বঙ্গ দেশে 'শ্যামল' রমণী আলোচনায় স্থান করে থাকবার কথা থাকলেও এখানে 'গোলাপী' বেশ আলোচিত , মুখরোচক, রাজনীতির শীর্ষ বিন্দুতে জমানো তিন্দুর জলের মতই লোভনীয় শব্দ।
একজন স্বামী হারা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক হিসাবে সবাই কবুল করে নেয়া প্রেমিক-বৎস এরশাদ বিরোধি আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো নেত্রী তিনি। তার নেতৃত্ব, মেধা, যোগ্যতা নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নাই।
কিন্তু কিছু লোক তার 'শিক্ষাগত' যোগ্যতা লইয়া প্রশ্ন তুলে হেনস্তা করবার চেষ্টা করে; যদিও বাস্তবে তারা নিজেদেরই হেনস্তা করে এবং সেটি বুঝবার মত সক্ষমতা তাদের নাই।
এ সব লোকদের অনেকে সাবেক বাম-রাম কিম্বা সাবেক আঁতেল-যাদের কাণ্ড জ্ঞানের বিস্তৃতি আজিজ মাক্কেট ঘিরে; সেই সব লোক আরজ আলি মতুব্বরে দর্শন লইয়া অনেক বাৎ চিৎ করে থাকেন। সেই একই লোক সকল ক্যামনে বঙ্গদেশের তিনবারে প্রধানমন্ত্রীর প্রথাগত সনদি যোগ্যতা লইয়া কোশ্চেন করেন, এটা ভাববার বিষয়।
পরোক্ষভাবে এরা নিজেদের হীনমন্যতাকেই সবার সামনে তুলে ধরেন। হরিপদ কপালিরা উদ্ভাবনী মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে ইরি বিরি গবেষকরা তাকে তাচ্ছিল্য করবেন- এটা যেমন ঠিক না। তেমনি এটাও ঠিক না কিছু দণ্ড বিহীন মেরুদ্ধণ্ড বহনকারীরা একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের জীবন আচরণ, প্রথাগত শিক্ষা লইয়া কতা কইবেন। এটা রুচিকর বলে আমার মনে হয় না।
যে কথা বলার জন্য লিখছি- এখানে আমরা সবাই মনে করি একেকজন বিশেষজ্ঞ। আমি যদি আপনাদের বলি একটু পেছনে ফিরে তাকাতে। ২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর আমাদের শিক্ষামুন্ত্রীর বয়ান সমৃদ্ধ লেখাগুলো প্রথম আলো ছেপেছিল। সেগুলো পিআইবির আকাইভে আছে। পাবলিক লাইব্রেরিতেও পাওযা যাবে।
সে সময় তিনি যে জ্ঞান গর্ভ পরামর্শ দিয়েছেন; তার কোনোটা কি তিনি বাস্তবায়ন কইরা দেখাইতে পারছেন? পারেন নাই।
২৪ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল বিম্পির আমলে। পরীক্ষা বাতিল করে ; পিএসসি চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিয়েছিল বিম্পি। আর এখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি - এটাই যেনো একটা আশ্চর্য।
তারপরেও নাহিদ দাদু সফল মুন্ত্রী। জিপিএ ফাইভের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আহা সে কি শান্তি। এ জিপিএ ফাইভ কি আমাদের শিক্ষার মানে পরিচায়ক। কারো কারো কাছে হতে পারে-।
সেনাঠেস লইয়া গেলো তত্বাবধায়ক সরকারের সময়দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিতে রুদ্ধশ্বাসে ছুটতে থাকলে মতিয়া আফা কইছিলেন রাজনৈতিক সরকার থাকলে এমনটা হতো না। সরকার চাইলে তারা সমাধানে পরামর্শ দিবেন। কিন্তু সরকারের আসার পর উনারা কি করেছেন। জানবার মুনচায়।
এ সব কেচ্ছা বর্ননা করবার জন্য এ লেখা নয়। এ লেখার উদ্ধেশ্য একটা দেশের ক্ষমতার দেউলিয়াত্বকে মনে করে; যে একজন নারী এবং যিনি দেশ পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন- তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা থেকে শুরু করে এখন ইউটিলিটি সার্ভিস বন্ধ করে দেবার মত যে উত্তম মানসিকতা ক্ষমতাধররা করেছেন এটা কেবল নিন্দনীয় নয়। জঘন্য রকমরে অমনাববিক -অপরাধ।
যারা জ্যান্ডার ইক্যুইটি; জেন্ডার ভায়োল্যান্স; নারীর প্রতি সহিংসতা লইয়া যারা কাজ করেন; তারা মুখে মিশিন লইয়া চুষতাছেন। সে মেশিনে আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই আসছে না।
বিদ্যুৎ কেটে নেবার পর তা চালু হয়েছে। এখন ইন্টারনেট নাই। মোবাইলফোনে কতা বলা যায় না। বিটিআরসির মোবাইলফোন অপারেটরদের চিঠি দিয়ে বলেছে ওই এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে । করা হযেছে। কিন্তু ওই এলাকায় শুধু খালেদা জিয়ার অবস্থান নয়; বহু সরকার পন্থীও থাকেন। সবাই এখন খাবি খাচ্ছেন।
খেতেই পারেন। তবে সরকার সব সময় সংবিধানের কথা বলেন; তাদের অনুসারীরা আরো জোরছে বলেন। এ ধরণের পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে সংবিধান চর্চারই অংশ হবে হয়ত- সে জণ্য চুপচাপ থাকাটাই উত্তম। নইলে মধ্যম খেতে হবে। তাই চুপসে আছি-কিন্তু কতক্ষণ!