নগরবাসী তুমি এখনো আমার একটাই প্রেম !

 

 
 

 
 
 
 
রোজ নিয়ম করে
তুমি যে পথে কাদা-কণা উড়িয়ে যেতে! 
সে পথ ধরেই আমি আরেকবার হেঁটে যেতাম!
 
তোমার পায়ের ছাপে সোঁদা মাটির ধুলো-কণা ওড়ার -
সে দৃশ্য দেখতে দেখতে নিজেকে বড় করেছি।
ভালোবেসেছি তোমার প্রতি পদক্ষেপ!
 
এখন তুমি নগরে--
নোংরা ধুলোজমা ঘরের বারান্দায় বসে আকাশ দেখো!
সেই শ্যামল মাঠ, হেমন্তের শুকোতে থাকা মাটির গন্ধ-
এখনো আমার নাকে লেগে আছে!
 
কেবল তুমি নেই।
নগরবাসী তুমি এখনো আমার একটাই প্রেম !

নিয়তি— ভাগ্য অন্বেষণ —

 

নগর দিয়েছে রমণী সঙ্গ
পিৎজার আঠালো চিজ
সসে ডোবানো সিঙ্গাড়া-স্যান্ডউইচ
পোড়া তেলে ভাজা পুরি-জিলাবি
নোংরা গন্ধময় বাতাস আর
সিসার বিচরণ বক্ষ !

যে অসুখ আমি চাইনি, সেটিও এ নগরে
তবুও আমি তারে বলি ‘যাদুর শহর ঢাকা রে!’


অথচ আমার গ্রাম— ভোরের শিশির সিক্ত ঘাস দিয়েছে
জলকেলি করে ছুটে যাওয়া হাঁসের পালের সাথে
বিশুদ্ধ বাতাস !

রমণীয় সঙ্গ — বাজিকর দিন
আহা, আমি —
আমার পলাতক গ্রাম !
যদিও এখন সেখানে রাজনীতির বিষে মরে যাচ্ছে মাছ
ধানের ক্ষেতে পশু পড়া নিয়ে গণ্ডগোল

তবুও তো দিন শেষে, কষ্টের অক্তে—
কেউ কাঁধে রাখে হাত ।
কেউ বলে নে পুলিটা মুখে পুরে
মরিচ বাটার সাথে রসুন মিশিয়ে বানানো ভর্তায়
সেরে নে সকালের নাশতা
বিকাল বেলাটায় হয় চা-সঙ্গ আড্ডা

সে সব দিন গত হতে হতে আমি কেবল নগর দেখি
নগর আপদ যে আমার; এখন নিত্য নিকাশ সঙ্গ