আহা প্রেম; আহা স্বপ্ন; আহা


বয়স- সে তো প্রতারক-
বাদশাহি শাসকের ছুরির মতই ধারালো; কাটে দ্রুত
চোখের পলকেই চলে যায়; আসে নতুন সময়

কেবল কিছু সময় থেকে যায় রাজনীতির পকেটে; নেড়ে চেড়ে
চেটেপুটে খায় ওরা-
আস্ত গরু-ছাগল;দুম্বা-উট খাসি-ভেড়া
রসনা বিলাসি ওরা; দিনভর পরের সমালোচনা; রাজনীতি
মধ্যরাতে জুয়ার টেবিলে একসাথে সবাই;সুরার টানে রঙিন হয়ে ওঠা রাত

বোকা আম জনতা কেবল হিসাব কষে; আর ক'টা দিন গেলেই নতুন ভোর- এভাবে কয়েকটা দশক গেলো

উঠোন আলো করে আসলে না তবু-
যৌবনা ভোর-
লাবণ্যময় একটা সকালও  পেলো না সে

তাতেও তার আফসোস নেই। যদি একটু শান্তি মিলতো-
নিরুদ্বিগ্ন রাত তাহলেও চলতো; সে সব কই এখন বলো-

সব কিছু ইতিহাস; ইতিহাস তো ক্ষমতাবানদের কথায় বলে;সব সময়

ঘরের কোনে রক্ষিতার উচ্চ কান্না দেয়াল পেরুনোর আগেই
গম গম করে ওঠে কথার  ছুরি-'খুন কইরা ফালামু'
খুনের ভয়; পেটের ক্ষুধা আর ক্ষমতাবানের হাতের তুড়ির নিচে চাপা পড়ে থাকে একজীবনের শখ-আহ্লাদ

মানবাধিকার তখন চিক্কুর মারে;
আহা দেশ; আহা জন্ম; আহা সময়; এভাবেই তুমি লুটিয়ে থাকো

এভাবেই; ক্ষমতাবানদের চাদরের তলে; আঁচলের ছায়ায়
জমে ওঠা পাপ; কষ্ট; তবুও ওদের কেনো শাস্তি হয়না ; আফসোস করে বলে মেয়েটা ; সমাজে যার পরিচয় সে রঙ্গ কন্যা বলে!

তার এখন হেসে খেলে বেড়ানোর কথা; কিন্তু মুক্ত বাণিজ্য; তাকে 'বেশ্যা'বানিয়েছে
খয়রাত করে ওরা এনেছে যৌনকর্মী; কিম্বা প্রোগ্রাম মডেলের উপমা!


ক্ষমতার নিচে চাপা পড়ে যায় স্বপ্নগুলো-
তরুণের চুষে নেয়া ঘাম-রক্ত; তরুণীর সুখ-লাবণ্য


সামাজিক সুরক্ষা; স্বাস্থ্য সুরক্ষা; খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে সেমিনার হয়
জ্ঞানীরা আলোচনা করেন;
আলোচনার টেবিল থেকে খয়রাতি টাকায় চলে ফূর্তি

ইতিহাস ক্ষমতাবানদের কথায় মনে রাখে-
আহা জীবন তুমি এমন কেনো; আহা সময়; আহা প্রেম; আহা স্বপ্ন; আহা।

বুড়ো শুয়রদের 'ক্ষুধা' মেটানো মানুষগুলোর জন্য সমবেদনা



যে কোনো বিচারে মানুষের ওপর নিপীড়ন, হয়রানি কিম্বা তাদের খাটো করে দেখার বিপক্ষে ছিলাম; এখনো আছি। সামনে থাকতে পারবো বলে বিশ্বাস। যদিও   ভার্সিটি কিছু অধ্যাপক- বিদেশি সংস্থা এবং কিছু গবেষক-এনজি ভোগির  হাতের তলে  'গণিমত' লুটিয় দিতে বাধ্য হন সেখানকার মানুষ। যার প্রচারের কাজে 'ব্যবহৃত ' হন সম্বাদিকতার চাকুরী করা কিছু লোক।  তবুও এ কথা সত্য মানুষ কখনো হারে না।

আজ সেই দিন ৯ সে্পেটম্বর। সতেরো বছর আগে ৩৫ কাঠুরিয়াকে খুন করেছিল পাহাড়ি কিছু লোক। যাদের 'খুনী' বললে কিছু উচ্ছিষ্টভোগির কষ্ট হবে। তবুও আমি তাই বলছি-।

আবার এ কথাও  অস্বীকার করছি না বাঙালিরা  'সুফি' সাব; খালি ধ্যান করে। তবে নিশ্চিত সত্য হলো- পাহাড়ে বাঙালি - পাহাড়ি দু পক্ষই নিপীড়িত এবং অধিকার বঞ্চিত।

আর সমতলে বসে  নর মাংসের স্বাদ পাওয়া গবেষক নামের পশু সম্রাট বাঘরা  হিসাব পাল্টে দিয়ে স্বার্থ হাসিলে মগ্ন।  এ সব লোক বিপজ্জনক। এরা দেশের স্বার্থ; মানুষের  জীবন এবং পাহাড়িদের অধিকারকে বিপন্ন করে তুলেছে।

আমি বরাবরই আম্লীগের রাজনৈতিক প্রপাগাণ্ডার বিরোধী। কিন্তু ব্যাক্তি শেখ হাসিনার কিছু কাজের প্রতি আমার অপিরসীম শ্রদ্ধা আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো- পাহাড়ে শান্তি নিশ্চিত করা। যার যা অধিকার তা বুঝিয়ে দেবার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন; এটা অস্বীকার যারা করে তারা রাজনীতির লোক। সাধারণের কথা তাদের মাথায় থাকে না।

যদিও 'বাঙালি ' জাতীয়তাবাদ 'চাপিয়ে' দেবার অভিযোগ তোলা হয় দলটির বিরুদ্ধে। তবুও এ কথা চরম সত্য একটি অনিশ্চিত সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা শেখ হাসিনা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। সে জন্য তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা।  

নিশ্চিতভাবে এ কথা বলতে পারি- শেখ হাসিনা নিস্বার্থভাবে পাহাড়ের মানুষের জন্য যতটুকু করেছেন; তা আর কারো পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। বা করার মত মনোবল কারো ছিল না।

কিন্তু এই একটা নির্মোহ জায়গাতেই কথিত গবেষক-যাদের বেশির ভাগই উড়ে এসে জুড়ে বসে টাকা কামানোর ধান্ধায় এখন 'আদিবাসী' বিষয়ে গবেষণা বা  ফরেনারদের কাছে অসত্য তথ্য বিক্রির 'মিডলম্যানের' কাজ করছেন; তাদের চেহারার দিকে তাকালে ঘেণ্না হয়।

কামের আগুনে পুড়ে যাওয়া; ঘেন্নার থুতুতে ঢেকে যাওয়া কিম্বা অধিকার  আদায়ের স্বার্থে বুড়ো শুয়রদের 'ক্ষুধা' মেটানো মানুষগুলোর জন্য সমবেদনা।

 স্বপ্ন দেখি -পাহাড়ে বাঙালি-পাহাড়ি মিলে মিশে থাকবেন এবং যারা এদের বিভ্রান্ত করছেন তারা নিপাত যাবে। নিশ্চিত ভাবেই যাবে। রাঙামাটি জেলার লংগদুর পাকুয়াখালীতে নিহতদের রক্তের বিনিময় হোক বাঙালি -পাহাড়ির সম্প্রীতি।