'খালেদা পাকিস্তানে যা' এবং যুদ্ধ শিশুর মনোয়ারার আবেদন!

'খালেদা পাকিস্তানে যা' তে উদ্বুদ্ধ প্রজন্ম যুদ্ধ শিশু মনোয়ারাদের বিষয়টাও বিবেচনায় রেখো। মনোয়ারারা এখানে কেবল 'ভোটের অধিকার' চায়। অগুণতি দিন যারা বিদেশে 'দত্তক' নেয়া পরিবারে কাটিয়েছে,কাটাচ্ছে, কাটাবে; যাদের মা নরাধমদের ভোগে-বেয়নেটের খোঁচায় তিলে তিলে রক্ত ঝরিয়ে শহীদ হয়েছেন- কেবল একটি নতুন ভোরের জন্য; একটি স্বাধীন দেশের জন্য--- তাদের হিসাব কী তোমরা রেখেছো?  নাকি তাও হিসাব করা যাবে না। করলে আবেগে ঘাটতি হবে। দয়া করে আওয়াজ তোলো। প্রাপ্য অধিকারের জন্য যেনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা, কোনো যুদ্ধ শিশু, কোনো বীরাঙ্গনা কিম্বা শহীদ পরিবারকে 'রাজনীতির' উপর নির্ভর করতে না হয়।  প্লিজ! তাদের অধিকার-প্রাপ্য বুঝিয়ে দাও বাংলাদেশ।  

মনোয়ারার আবেদনের খবর লিঙ্ক--http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1078156.bdnews



'খালেদা পাকিস্তানে যা'- বাক্য সূত্র---


কিস্তি ::৮০:: মেরুদণ্ড



ট্যুরিস্ট সোসাইটিকে মেরুদণ্ড সম্পন্ন একটা সংগঠনে রূপান্তরে আমার নিরন্তর চেষ্টা ছিল এবং আমার সময়ে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার কারণে  সংগঠনের সাধারণ সদস্য এবং এক্সিকিউটিভ বডির কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি যে সংগঠন চালানো কতটা কঠিন হতে পারে। আমার একটা সিম্পল ব্যাক্তি ইমেজ ছিল, এখনো সম্ভবত আছে। সম্ভবত বলছি এ কারণে যে এখন ক্যাম্পাসে আমার যাওয়া হয় কম, তবে মানুষ মনে রাখছে।  তারপরও নিজের ওপর আস্থাটা কমছে , কারণ বয়স হচ্ছে। তেত্রিশ পার করে ৩৪ এ চলছে তো। তাই এখন আর বলতে পারি না- ‌'কেউ কথা রাখবে'।

আমি দায়িত্ব ছেড়ে আসি সামীমের কাছে। বাবু মৌ এর কাছে। সেই দায়িত্ব নেবার পর তারা কতটা সফল ভাবে চালিয়েছে, সেটি আমার জানার সুযোগ হয়নি, বা আমি জানতে চাইনি।
বাইরে থেকে যে টুকু দেখা তাতে মনে হয়েছে, বেশ  সমস্যা ওদের ফেস করতে হয়েছে। একটা বিষয় বলি ওরা একটা অনুষ্টানে ভিসি স্যারকে আনতে গেছে। স্যারের পিএস আমাকে ফোন করলেন, যাবেন কিনা। আমি   যাবার বিষযে স্যারকে সবিনয় অনুরোধ করতাম।
একই সাথে স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানলাম- এ সংগঠনটির সাথে তার সহযোগিতার জন্য। যেটি অন্য কেউ হলে হয়তো করতো না। তার মানে বিষয়টা এ নয় যে আমি খুব মহান।  আমি আসলে নতুন কমিটির ওপর ক্ষিপ্ত  হতে পারিনি। এটাও আমার বদান্যতা নয়। সহজাত।
তবে আমার দায়িত্ব পালনকালে বছরে কমপক্ষে ১০ টি করে ট্যুর করানোর সুযোগ নিয়েছি। তার পরে এটি সম্ভবত আর হয়নি। হয়নি এটা জোর দিয়ে বলছি এ কারণে যে, ডাটসের ফেসবুক পেজটা আমি খেয়াল করি। সেখানে এ সংক্রান্ত  তথ্য পাওয়ার ছিল  না।

আমি যে কারণে এ প্রসঙ্গটা উত্থাপন করলাম সেটি হলো - আমি যখন দায়িত্বে- তখন অল মোস্ট সব সংগঠনের নেতারা আমার সাথে  দেখ করতে আসতেন। আড্ডায় মাততেন। কিন্তু আমি দায়িত্ব ছাড়ার  পর যে সব সংগঠনকে ডাটস খুব গুরত্ব দিচ্ছিলো। জনি মং একটা ট্যুর করিয়েছে ওর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে, সেটি করেছে আরেকটি সংগঠনের সাথে। যেটা ডাটসের সম্মানের সাথে ঠিক যায় না।

সুন্দরবনে একটা ট্যুর  করে ওরা সমস্যায় পড়েছিল। সক্কালবেলায় ফোন করলো বাস সরবরাহকারী মফিজ। বললেন, মামা একটু আসেন। আমি বলতে পারলাম না-আমাকে ওরা মানবে না। তবুও মফিজ মামার অনুরোধে গেলাম।
অবশ্য আমাকে সবাই চিনে। তবে সেটি নেতিবাচকভাবে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো সমস্যা হলো না। মফিজ মামা হ্যাপি। হ্যাপি ডাটসও। তারপর আর ডাটসের কোনো প্রয়োজনে আমাকে লাগেনি।

যারা ডাটস নিয়ে অনেক ভাবেন, নিজের অনেক দেবার আছে বলে জানিয়ে গেছেন- তারা আর খবর রাখেন না। টাকা পয়সা তো পরের কথা। একটা সংগঠনের অনেক ব্যয়। এ ব্যয় আমি আমার বেতনের টাকা দিয়ে মেটাতাম বলে আমার সময়টাতে সমস্যা হয়নি। একই সময় আমি ডাটসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করেছিলাম। এ জণ্য আমাকে সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছেন  ভিসি  অধ্যাপক ফায়েজ  স্যার এবং ট্রেজারার অধ্যাপক রাশিদুল হাসান স্যার। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।


২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ।।

কিস্তি ৭৯।। শেষ দৃশ্য !

কিস্তি ৭৯:  শেষ দৃশ্য!

আমার ক্যাম্পাস জীবনের বন্ধুদের মধ্যে সাংবাদিক শামীম অন্যতম। ওকে আমার বরাবরই বুদ্ধিদীপ্ত ও যৌক্তিক মনে হয়েছে। বিশ্বাস করতাম যে কোনো ক্রাইসিস উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ওর  পরামর্শ আমার জণ্য সুবিধের হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।  আমিও ভুল করেছি। ভুলে গেছি প্রেম-নারী বন্ধুদের নিয়ে ভাবনা এব সময়কে ধারণ করে যৌক্তিক জায়গায় পৌছানোর সঠিক পথ থেকে মানুষকে দূরে রাখে।
মীর জাফর সাহেবদের আচরণে আমি ভেঙে পড়ার পর কি করণীয় সেটি নির্ধারণে আমি  সর্বোচ্চ নির্ভর করেছি শামীমের ওপর। কিন্তু বিষয়টা গুরুত্ব ঠিক সেভাবে উপলব্ধি করেনি শামীম, যেভাবে করা উচিৎ ছিল। বরং ওর কিছু  কিছু সিদ্ধান্ত ছিল শিশুতোষ। যেটি আমি পরে বুঝতে পেরেছি। তখন আর কিছু করার ছিল না।
শামীম তখন সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারি, তার অনেক ক্ষমতা। কিন্তু ক্ষমতা দিয়ে সব হয় না। আর  পেশি শক্তি প্রয়োগ করলে আমিই করতে পারি, তার জন্য ওর দরকার পড়ে না। আমি সেটি চাইলাম না বলে বিষয়টা তালগোল পাকালো।
এর একটি হলো- আমি কমিটি ভেঙ্গে দিলাম । এ সিদ্ধন্তটি আমার সঠিক ছিল না। কিন্তু  নৈতিক মানদণ্ডে এটি উত্তীর্ণ ।  কারণ আমি যখন সব ডকুমেন্ট দেখলাম, তখন  মনে হলো নির্বাচনটা প্রহসনের পর্যায়ে ছিল। বাবু কোনো  রেজুলেশনই লেখেনি।  তার ওপর  অফিস থেকে অনেক ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়। এটি কে সরিয়েছে আমি নিশ্চিত নই। ডাটসের সব ধরণের  নিউজ ক্লিপিং সরিয়ে ফেরা হয়।  এতে আমি ক্ষুব্ধ হই। এই ক্ষুব্ধ হওয়াটা অসঙ্গত বলে আমি মনে করিনি, এখনো করি না।
আর্থিক দিক থেকে আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ আছে কিনা জানি না। টাকার স্পর্শটা আমি বাবুকে দিতাম নিজে কখনো নিযেছি বলে মনে পড়ে না। আমার সময় গ্লোরিয়াকে অর্থ সম্পাদক করেছিলাম।  ডাটসের কাজে আমি নিজে কিছু টাকা খরচ করেছিলাম, যা পাওনা ছিল আমার। কিন্তু সেটি আমি নিতাম না। আগেও নিইনি।
আমি চেয়োছলাম টাকা পয়সার সব হিসাব রেডি করে আমার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হোক। অফিস খরচ বাদ দিয়ে বাকি  টাকা নতুন কমিটির কাছে তুলে দেবো। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে গ্লোরিয়া  আমার কাছে হিসাব দিতে গড়ি মসি করে। এতে আমি ভীষণ কষ্ট পাই। কারণ হলো গ্লোরিয়াকে আমি আলাদাভাবে দেখি- নিজের বোনের মতই। কিন্তু  সেই সময় ওর এ আচরণ আমার ভালো লাগেনি। একইভাবে আমার আচরণও তার ভালো লাগার কথা নয়।  আমি  নব নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করি। একই সাথে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করি। এটি একেবারেই একটা অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত ছিল।  তবে ডাটসের সে সময়কার গঠনতন্ত্র মতে এর ভিত্তি ছিল।
অফিস ডকুমেন্ট খোয়া যাবার কারণে আমি অফিসের তালা বদল করার নির্দেশ দিই। এবং এটি জানিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু এটাকে ভিন্ন চোখে দেখেছেন অনেকে। দেখতেই পারেন।  সবার দেখার অ্যাঙ্গেল একই রকম হবে না।
 তালা খোলার ব্যবস্থাও আমি করেছি।  কিন্তু তার আগে বাপ্পী বিদ্রোহ করে, এফ রহমান হল থেকে ছেলেপুলে নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আমার কাছে জহু হলের পুলাপাইন বলে যাই মাইরা আসি। কিন্তু আমি সে অনুমোদন দিতে পারিনি।
অথচ  বাপ্পীকে হলে তোলা এবং তার আগে তাকে এসএম হলে রাখার ব্যবস্থাটা আমার সাতৈ সম্পর্কের খাতিরে শামীমই করেছিল।

যেই মৌ ও রিমিতে আমি ডাটসে পেতামনা, নানা অজুহাতে তারা আসতো না।  তাদের সাথে নিত্য দেখা হতে লাগলো।  আমি গিয়েছি বেশ কয়েকদিন। সমস্যার সমাধানে অনেক রকম তদ্বির হয়েছে। শাহেদ নামে একজন লোক আছেন, যিনি নিজেকে  ডাটসের অনেক বড় কাণ্ডারি মনে করেন, তাকে ডেকে আনলেন  হেলাল ভাই। সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের জড়ো করলেন। আলমগীর ভাইয়ের (টিএসসির পরিচালক) রুমে বসে আমরা সমস্যার সমাধানে আমি নিঃশর্তভাবে সব অন্যায়কে মেনে নিতে অনুরোধ  উপেক্ষা করতে পারিনি।  এটা আমার চরিত্রের সাথে যায় না, তবুও করতে হয়েছে, কারণ নতুন কমিটির কোনো দোষ নেই। দোষ আমার বন্ধূ বাবু ও আমার আস্তিনের নিচে লুকিয়ে থাকা মীর জাফরদের। যারা প্রকাশ্য বিরোধী তাদের আমি কোন কারণে কষ্ট দেবো।
নিজেই পরাজয় মেনে নিয়ে ডাটসের শেষ মিটিংটা করেছিলাম  মুনীর চৌধুরী কনফারেন্স হলে। সেখানে দেখি ডাটসের উপদেষ্টা আর  সহকর্র্মীর অভাব নাই। মঞ্চে লম্বা লাইন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেছিলাম।  সাধারণ সদস্যরা তখনো বিষয়টা সম্পর্কে ক্লিয়ার কোনো পিকচার পায়নি। তাই ওরা আমাকে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে এগিয়ে এলো। বক্তব্যের পর আমি আর সেখানে যাইনি।
ডাটস ছেড়ে যাওয়ার পর মনে হতে লাগলো আমি অক্সিজেনের অভাবে ভুগছি। আমার মন খারাপ করা রোগ হলো। সব সয়ে নিলাম, কিন্তু  নাটকের শেষ দৃশ্যটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারলাম না। কিন্তু না মানলে কি ,যা হবার তা হয়েছে। ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে আমি সামনে তাকালাম। ভাবলাম- এটা একটা দুর্ঘটনা। এটা কম কিসে, ডাটসের শত শত ছেলে মেয়ে আমাকে মনে রেখেছে। দেখা হলে ছুটে আসে, সে আমার বিরোধি হলেও।  আমরা খুবই ভালো লাগে। আপ্লুত হই। এখানে আমি ছিলাম। আমি আছি মানসিকভাবে। সামনেও থাকবো।


২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।।




তোমাদের মত 'বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন লইয়া আমি কি করিব?'

প্রকাশ করি না বলে ধরে নিওনা; আমি জানি না কিছু!

কিম্বা বুঝি না; বুঝি!
তবে বোঝাতে চাই না!

বার বার মনে হয়---
কেনো দুটো কিম্বা তারো বেশি রূপ; তোমার-তোমাদের

কী লাভ বলো
দিন শেষে তো জানো ---
আশ্রয় নিয়েছো শঠতার!

নিজেকে প্রশ্ন করলে
নিজের কাছেই হেরে যাও
তারপরও কী লাভ বলো---

তোমার-তোমাদের মত 'বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন লইয়া আমি কি করিব?'

তবুও তো নগরে জমাত ভারি করতে লোক লাগে
লোক গোনার মত; আমিও গুনি।

হিসাব তো মিলে যায়--- সেই শৈশব থেকে যুব জীবনে কারা ছিল;
কারা আছে নির্মোহ আনন্দ-উল্লাসে-সুখে দুখে
নির্ভেজাল!

জানি- নিশ্চিত করেই

তবুও চোখ; চোখের উপরের আস্তরণ, আমাকে সব ভুলিয়ে দেয়!
লজ্জায় নত হয়ে যাই, থাকি--- বলতে পারি না।

তুমি কিম্বা তোমরা যে লুকোচুরি খেলো এটুকু জেনো, আমি তা জানি!

এও জেনো, আমি একজন ছাড়া কারো ওপর নির্ভর করি না!
করিনি কখনো!
সে আমার স্রষ্টা!
আমরই একমাত্র আপনজন!

ধন্যবাদ জেনো প্রিয় মানুষেরা।
জিতে যদি যাও, শঠতা করে
তবে আফসোস থাকবে না

হেরে গেলে কষ্ট পাবো
তোমাদের দ্বি-মুখিতায় তোমরা যদি টিকে যাও; ভালো থাকো
অখুশী হবো না!
ভালো থাক। থালো কাটুক তোমাদের!

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের থাকবে না

খালেদার বক্তব্যের সাথে দ্বি-মত করার মত পরিসংখ্যান কেন আমাদের  থাকবে না। শুধু আবেগ দিয়ে কেন, আমরা জাতির এত বড় একটা অবদানকে তর্কের মধ্যে রেখে বিভাজন তৈরি করবো। প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে।

খালেদার বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ নিয়ে তর্ক হচ্ছে।  বিডিনিউজ জানাচ্ছে--- খালেদা গতকাল বলেছেন, '“আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”

খবরটিতে আরো জানাচ্ছে, খালেদা বলেছেন,  “সরকার নানারকম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করছে। যাদের অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে; আমরা ক্ষমতায় আসলে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে তাদের যথাযথ সন্মান ও সন্মাননা দেব।”

একাত্তরে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা চেয়েছিল দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বলেন, “তিনি (জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।”

বিস্তারিত লিঙ্কে http://bangla.bdnews24.com/politics/article1075602.bdnews

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পরিসংখ্যান কম বেশি হলে আমাদের স্বাধীনতা প্রশ্ন বিদ্ধ হবে না। হতে পারে না। জাতি সম্মিলিতভাবে একটা  স্বাধীন দেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ-মনোবল আর  বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা নিয়ে যুদ্ধ করেছে।

এর পরেও সংখ্যার হিসাবটা কেন তুললেন খালেদা? এর আগে সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও ভারতীয় গবেষক শর্মিলা বসুও একই রকম বলছেন। আমার ধারণা খালেদা বিষয়টি তুলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, শহীদ পরিবারে ভাতার নামে হয়রানি-বঞ্চনার বিষয়টি সামনে  আনতে।  নিশ্চয় তিনি বা তার দল এটার মূল ব্যাখ্যাটা দিতে পারবেন।

একটা পরিসংখ্যান নিয়ে কথা উঠলে, আমরা সেটার যৌক্তিক প্রতিবাদ না করে 'আক্রমণ' করার সংস্কৃতি কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা আবেগের কাছে বিবেচ্য নয়; তবে বিবেক তাড়িত মানুষ এটি বুঝতে পারবেন, নিশ্চয়!
 
তবে এ রকম প্রশ্ন সামনে আরো উঠতে পারে। সে শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।  সংখ্যা ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় আবেগ নয়; সংখ্যা দিয়েই দেওয়া উচিৎ।

দেশে বিদেশে যারা  গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধি অপরাধ নিয়ে গবেষণা করেছেন, করছেন এবং সামনে করবেন তাদের জন্য এটা খুবই জরুরি। যদিও  আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনার জন্য এখনো দেশে কোনো্ বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট গড়ে উঠেনি; সামনে নিশ্চয় উঠবে;  তখন এ সব তথ্যের দরকার পড়বে।

মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিন্তু 'রাজাকার বান্ধব' খালেদার করা। যেটি করার কারণে সরকারি লোকজন বিদেশিদের সম্মাননা জানানোর সোনা চুরিও করতে পেরেছিলেন।  খবরের লিঙ্ক  http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/185914/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%87


খালেদা বক্তব্যটা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে । যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তারা যদি তার বক্তব্য অসঙ্গত মনে করতেন -তাহলে তারা প্রতিবাদ করতেন। যেহেতু সংখ্যা তত্ত্ব এখানে অচল; আবেগ তত্ত্ব হিসাব করলেও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়াদের বীরদের চে আমাদের আবেগ নিশ্চয় বেশি নয়। হলে , সেটাকে গ্রামবাংলার প্রবাদ---' মা'র চে মাসির দরদ বেশি' গণ্য হতে বাধ্য।

খালেদার অনুষ্ঠান থেকে কি কেউ তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করে নীরবে চলে গেছেন? এমন কোনো তথ্য সরকারি জনসংযোগ-গণমাধ্যমেও খুঁজে পেলাম না।

খালেদা যে, একই সমাবেশে  মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না। ৪৪ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধারা অসহায়; তা নিয়ে কেউ ভাবছে না। খবর হলো,  ২০১৩ সালেই বিদেশে পাচার হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। সূত্র http://www.bonikbarta.com/2015-12-10/news/details/58878.html

কোটার দাক্ষিণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানের। এ দেশ তাদের রক্ত, শ্রম- জীবন-বাজিতে স্বাধীন। সে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে অর্পিত, তারা বিভেদ বিসম্বাদ  নিয়ে ব্যস্ত! সে বিকারগ্রস্থতার মাঠে আমরাও সরব-কিম্বা নীরব দর্শক।  

গ্যালারির দর্শখ হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থাকলে কিন্তু সরকারি সুবিধা থেকে সরকার ভেদে বঞ্চনার ঘটনা ঘটতো না ।

খালেদা রাজাকার বান্ধব মেনে নিলাম; কিন্তু তার বিপরীত জন? গেলো ১৬ ডিসেম্বরও ইনডিয়া ইন্দোপাকওয়ার৭১ হ্যাশ ট্যাগে বিজয় উৎসব শেয়ার করেছে, ফেসবুক ও টুইটারে । ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড পেজ থেকে । চেতনার সর্বস্ব উজাড় করা সরকার তার প্রতিবাদ করার সাহস পেলো না । আর ফেসবুকে এখন যারা হাউকাউ করছে তারা তখন কেন চুপ ছিল; কেন রে ভাই। বঙ্গীয় দালাল হও। ভারত-পাপিস্তানের নয়।

সূত্র ---

পঙ্কজ দা'র বঙ্গীয় মিশন সম্পন্ন

নায়ক পঙ্কজ দা'র বঙ্গীয় মিশন সম্পন্ন। এবার রাশিয়ায় গিয়া খাঁটি রেড ওয়াইনে মজো দাদা। অনেক খাঁটুনি গেছে গত ক'টা বছর। বঙ্গীয় রাজনীতিতে তোমার অবদান, উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে  চেষ্টা,  বিরোধী মত দমনে থেরাপি, গুমের মত মহৌষধের সমর্থক, তিস্তার জল লইয়া তেলেসমাতিতে সফল পঙ্কজ দা।

যাওয়ার আগে দাদা আমাদের জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে অনেক কষ্ট করেছো; সুন্দরবন পুড়িয়ে সামনে তোমরা বিরান করে আমাদের ঘর তোলার জমি বাড়ার পরিকল্পনা করেছো--- আমাদের জন্য তোমাদের এ অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

অনেক বড় অবদান রেখেছো সীমান্তে, প্রতিদিন গুলি করে 'গরু বেপারি' মেরেছো; ফালানীকে পাখির মত গুলি করে মেরে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছো, কুয়াশা কেটে গেলে বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে নিয়ে গেছো। বিএসএফ'র পশুত্বকে প্রভুত্বে রূপান্তর করে ফালানী খুন থেকে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছো; তোমার অবদান দাদা বলে লিখে শেষ করা যাবে? এমন সাধ্য কার!

এবার একটু  জিরিয়ে নাও। রাশান লাল পিয়ো, লাল চাখো। শান দাও নিজেকে । গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য  পরবর্তী মিশন ঠিক করে ফেলো দাদা । তোমাদের বসে থাকতে নেই । তোমরা বসে থাকলে নিরীহ মানুষগুলো জঙ্গী হয়ে যাবে!  তোমরা বসে থাকলে বিশ্ব অনেক রাজনৈতিক বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবে!

তোমার বিদায় দিবসে আজ রামপাল কানছে। কানছে বঙ্গীয় উন্নয়ন। কানছে বিএসএফ। কানছে তোমার কাছে হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকা লোভাতুর ক্ষমতা!  তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি। দাদা মাঝে মাঝে আসবেন। আমাদের দেখে যাবেন। যেমন রেখে গেছেন সেখান থেকে আমরা আরো কতটা এগিয়েছি। তা না দেখলে কেমনে হবে দাদা। আপনি ছাড়া আমাদের কে আছে বলেন। ভালো থাকবেন।