বাতিকগ্রন্থ কিছু লো্ক এবং ছাত্রদলের কমিটি!

ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণত 'ঐতিহ্যবাহি' বলা হয়ে থাকে; এটা কেনো বলা হয়- সে সম্পর্কে
আমার ধারণা অস্পষ্ট। কারণ  ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের নিয়ে যতটা না ভাবে; তারচে বেশি ভাবে মাদার পলিটক্যাল পার্টির কর্মসূচী নিয়ে!

তবে ছাত্র নেতা হবার জণ্য যে কদর্য রূপ বিভিন্ন  গোষ্ঠীভূক্ত হয়ে ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরে চর্চা হয়; যে সব নোংরামি দেড় দশকেরো বেশি সময় ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে  দেখে আসছি- এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি-  নিজেদের জণ্য ছাড়া ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের জণ্য কিছু করতে পারে না বা করে না। তারপরেও তারা নিজেদের ভেতর ঘৃণা চর্চা করে এবং একে অন্যকে আক্রমনও করে থাকে।

দেশের বৃহত দুই ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠনের সময় এলে নোংরামিটা বেশি দৃশ্যমান হয়- ছাত্রদলের একটা কমিটি হবে; তা নিয়ে এ আলাপের সূত্রপাত। এখানে বিবাহিত; লিভটুগেদার; কন্যা সম্প্রদান সহ নানা বিষয় সাথে বয়স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

এটা হবেই; হতেই পারে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল প্যাড সর্বস্ব সংগঠন নয়। একদিনেই এর আমুল পরিবর্তনও সম্ভব নয়। ধীরে সুস্থে তা আনতে হবে; সেটি আনা হচ্ছেও। ছাত্রলীগের   লিয়াকত-বাবু কমিটির পরে যে কমিটি করা হয়েছিল; অনেকেই সেটাকে বাচ্চা পুলাপাইনের কমিটি বলেছিলেন; কিন্তু একথা স্বীকার করতে হবে ছাত্র রাজনীতি ধীরে ধীরে ছাত্রদের কাছে যাবার যে প্রক্রিয়া লিয়াকত-বাবু শুরু করেছিলেন সেটি অভিনন্দনযোগ্য।
ছাত্রদলও একই প্রক্রিয়া জারির চেষ্টা করছে। গেলো কমিটিতে তুলনামূলক কম বয়সীরা স্থান পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু কী হযেছে? হয়নি। কেনো হয় একপক্ষ পদ পেলে আরেক পক্ষ গোস্সা করে;  এমনকি বেগম জিয়ার রোড় ফর ডেমেক্রেসির দিনও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের  কাউকে  পল্টনেরর ধারে কাছে চোখে পড়েনি- আমি সেখানে নিজে হাজির থেকে এ কথা জানাচ্ছি।

এখন আবার কমিটি হবে- এ সুযোগে নানা কিসিমের লোক ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নোংরা কথা বলছে। নানা জনের নামে কুৎসা রাটাচ্ছে। নারী শরীর ছাত্ররাজনীতিতে বহুকাল আগে থেকে জড়িয়ে আছে। এটা অনৈতিক; এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যারা এ সব নোংরা কথা লিখছেন নামে বে নামে আবার যারা এর প্রচার করছেন তারা কী এ থেকে মুক্ত!

আমি বরাবরই এর বিরোধি যে, কোনো ছাত্র নেতা বিয়ে করলে তাকে সংগঠনের শীর্ষ বা গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী দেয়া যাবে না; এটা কোনোভাবেই সঙ্গত হতে পারে না। জৈবিক চাহিদা বৈধভাবে উপভোগের সুযোগ না দিলে যে কেউ তা ভিন্নভাবে উপভোগ করবেন; এবং করছেনও। এখানে দলমত নির্বিশেষে সব ছাত্র সংঘঠনের নেতারা এক!

এগুলো আমরা জানি; আরো জানি ছাত্রনেতারা  চাঁদাবাজি করেন,. টেন্ডার ভাগান। কিন্তু সেটি তারা কেনো করেন? সে প্রশ্নের জবাব কেউ খুঁজেছেন। খোঁজেননি। নেতা হতে গেলে তার গাড়ি লাগে; দামি ফোন লাগে; ট্যাব লাগে; এক দঙ্গল পুলাপাইন পালতে হয়- এ সবের টাকা কোত্থেকে আসবে?

এ যে ভিলেন সুলভ ছাত্ররাজনীতির চর্চা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে; সেটা একতদিনেই মুছে ফেলা যাবে না।

 তাই বলে আমি এটাকে সার্পোট করছি না; বলছি এ সব মুছবে-ধীরে ধীরে। কিছুটা সময় লাগবে। সে সময়টা অন্তত দিতে হবে।

ছাত্রদলে কে নেতা হবেন? কে হবেন না সেটি নির্ধারণ করার জন্য আমরা সব সময় গণতান্ত্রিক  প্রক্রিয়ার কথা বলে আসছি।  লাল্টু - হেলাল কমিটির সময কথাটি বেশি বলেছিলাম। এখন দেখছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করলে রক্ত গঙ্গড়া বয়ে যাবে!  তাই রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও বলতে হচ্ছে- কখনো কখনো অটোক্রেটিক সিস্টেম ভালো!

যারা নিজ দলের পুরনো; বয়োজ্যাষ্ঠ নেতাকর্র্মীদের  নিয়ে সমালোচনা করছেন; তারা  গঠনমুলক কথা নিয়ে আসেন না কেনো। কেনো বলেন না অমুক এত সালে মেট্রিক পাস করেছে; এখন নতুন যুগের ছেলে মেয়েদের সাথে তার সংযোগ অসম্ভব। না; উনি কয়টা নারী সঙ্গ উপওেভাগ করেছেন; কাকে নিয়ে বসবাস করছেন; স্ত্রী নিয়ে রাতে ঘুমাচ্ছেন; সেটি লক্ষ্য! এ রকম বাতিকগ্রস্থ লোকজন কখনো দলের জণ্য ভালো হতে পারে না। 

খসে পড়া জড়তার আব্রু

সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে কালচারাল রিপোর্টারদের কম বেশি অভিজ্ঞতা আছে। খসে পড়া জড়তার আব্রু থেকে কীভাবে একেকটা মেয়ে জীবনকে 'খ্যাতি'র মোহের কাছে তুচ্ছ করে তা তারা জানেন। কিন্তু কর্পোরেট বাণিজ্যের কারণে সেটি কেউ বলতে বা লিখতে পারেন না। ইউনিলিভারের কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের লোভ সবারই আছে।

 মুখোশের আড়ারে লুকিয়ে থাকা পুরুষীয় দানবদের দিকে তাকালে এখন কেবল ঘেন্না হয়। যারা সাংস্কৃতিক কর্মীর পরিচয়ের আড়ালে ঘৃণা চর্চা করে দশকের পর  দশক  নৈতিকতার বুলি আওড়াচ্ছেন- আদর্শের ফেরি করছেন; তারা  সুন্দরী নির্বাচনের নামে সাদাসিধে মেযেদের নিয়ে কী রঙ তামাশা আর কামের আগুনের উপকরণ বানাচ্ছেন সেটি সংস্কৃতি কিম্বা বিনোদন বিটে যারা কাজ করছেন তাদের অজনা নয়।


 কিন্তু এ সব মানুষের ক্ষমতা, দাপট এবং অবস্থান এতটাই উঁচুতে; যেখানে আমাদের মত আমজনতার প্রবেশ নিষেধ। এদের আছে মিডিয়ায় দুর্দান্দ দাপুটে মূর্তি। আছে রাজনৈতিক ক্ষমতা- এরা  চুষে নেয় নৈতিকতার সবটুকু।

লাক্স সাবান সুন্দরী খোঁজার মিশন  চালিয়ে যাচ্ছে অনেক আগে থেকে। নারী অধিকার; জেন্ডার ইকুইটি নিয়ে যারা দিনের পর দিন বলে যাচ্ছেন; যে সব সংবাদ পত্র  জেন্ডার সচেতনতা তৈরির কাজ করছে; সেখানেই এ সব তারকাদের কীর্তি ছাপা হয়'; অন্যদের উৎসাহ জোগানো হয়।  মনে করিয়ে দেয়া হয়, এটা একটা স্বপ্নময় জগত। এ জগতে না আসলে তোমার রূপের কোনো মূল্যই নেই।

 জগতে আসলে অনেক কিছুরই মূল্য থাকতে নেই। নারীর সম্ভ্রম, আর রূপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বাণিজ্য তার ব্যাতিক্রম নয় সুন্দরী নির্বাচন যজ্ঞ্। গ্রুমিংয়ের নামে এ সব মেয়ের  লজ্জার আড়মোড় ভেঙ্গে; তারকাদের সামনে রেখে নতুন উদ্যোমে যে ভোগ উৎসব শুরু হয় তার ক্ষতি যার হয় কেবল সেই সম্ভবত  মোহ কেটে যাবার পর কিছুটা বুঝতে পারেন।


এক সময় সিনেমার নায়িকা  বানানোর কারিগর নির্মাতা 'দাদু' সম্পর্কে বলা হতো তার হাত দিয়ে সিনেমায় এসেছেন অথচ 'আনটাচড' ছিলেন এটা বলা যাবে না। 'শ' আদ্যাক্ষরের সব নায়িকা বাংলা সিনেমায়  তার হাত ধরেই আগত।

তেমনি লাক্সের নামে তারকা বানানোর  কারখানায় যারা কাজ করেন; তাদের সম্পর্কে আনেকই সম্বাদিকেরই ভালো জানা । তবুও বলা যায় না। বলতে গেলে তো সব ই যাবে।

লাস্যময়ী তরুণীর হাস্যময় চেহারা আড়ালের কষ্টটা  ভুলে থাকার চেষ্টাটা অনেকেরই নাই। তবুও এ কথা সত্যি এ জগত সম্পর্কে একটা মোহ তৈরি করে রেখে;ফাঁদ পেতে বৈধ উপায়ে উঠতি বয়সী তরুণীদের এক অন্য রকম জগতে আনা হয়; যেখানে না পারি ছাড়তে; না পারি থাকতে অবস্থা।

 অনেক দিন পর এ কথা কেনো লিখছি; লিখছি ফেসবুকে লাক্স তারকাদের  কিছু ছবি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য হচ্ছে। শাড়ি কী এভাবে পরে? এটা জানতে চাইছেন। একজন নগন্য সম্বাদিক হিসাবে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার ইভেন্ট কভার করার যে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা আমার  হযেছে; সে তুলনায় এটা খুব খারাপ বলা যাবে না।

সম্ভব ২০০৬ কি ০৭ এর দিকের একটা ইভেন্টে যৌনাবেদনময় পারফরমেন্সের বিরোধীতা করে অনেক কৌশলে আমাকে লিখতে হযেছে।  লিখেছিলাম। এটাই তৃপ্তি!

তবে এ কথা সত্য ; এ সব মেয়েদের গ্রুমিংয়ের নামে; নাটকে অভিনয় করানোর  সুযোগ দেবার কথা বলে- দুপক্ষে মিউচুয়াল যে অনৈতিক কাণ্ড হয় সেটার জন্য সত্যি খ্রাপ লাগে। তবুও কিছু বলতে পারি না। কারণ সেখানে আইন অচল, নৈতিকতা মঞ্চ নাটকেই আছে। বাস্তবে এর দেখা মিলে না।

গাজীপুর, মৌলভীবাজার; কক্সবাজার এ সব জায়গার রিসোর্ট আর এখন নিরাপদ মনে করেন না; বুড়ো যৌনখোর  লোকেরা। তারা এখন উড়াল দেয় থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। উপভোগের চরম আনন্দময় জায়গা এ সব।


হুমমম। সমাধান কিছু হবে বলে মনে হয় না। তবুও প্রতিবাদ জারি রাখতে বাধা নেই।      

দ্রষ্টব্য:: সবাই মিউচুয়ালি সব করেন; এটাও কিন্তু ঠিক নয়। অনেকে পা দিয়েছেন ফিরতে পারেন না আবার অনেকের স্ট্যাটাস থাকে না।  আছে নানা ক্যাচাল।