খসে পড়া জড়তার আব্রু

সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে কালচারাল রিপোর্টারদের কম বেশি অভিজ্ঞতা আছে। খসে পড়া জড়তার আব্রু থেকে কীভাবে একেকটা মেয়ে জীবনকে 'খ্যাতি'র মোহের কাছে তুচ্ছ করে তা তারা জানেন। কিন্তু কর্পোরেট বাণিজ্যের কারণে সেটি কেউ বলতে বা লিখতে পারেন না। ইউনিলিভারের কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের লোভ সবারই আছে।

 মুখোশের আড়ারে লুকিয়ে থাকা পুরুষীয় দানবদের দিকে তাকালে এখন কেবল ঘেন্না হয়। যারা সাংস্কৃতিক কর্মীর পরিচয়ের আড়ালে ঘৃণা চর্চা করে দশকের পর  দশক  নৈতিকতার বুলি আওড়াচ্ছেন- আদর্শের ফেরি করছেন; তারা  সুন্দরী নির্বাচনের নামে সাদাসিধে মেযেদের নিয়ে কী রঙ তামাশা আর কামের আগুনের উপকরণ বানাচ্ছেন সেটি সংস্কৃতি কিম্বা বিনোদন বিটে যারা কাজ করছেন তাদের অজনা নয়।


 কিন্তু এ সব মানুষের ক্ষমতা, দাপট এবং অবস্থান এতটাই উঁচুতে; যেখানে আমাদের মত আমজনতার প্রবেশ নিষেধ। এদের আছে মিডিয়ায় দুর্দান্দ দাপুটে মূর্তি। আছে রাজনৈতিক ক্ষমতা- এরা  চুষে নেয় নৈতিকতার সবটুকু।

লাক্স সাবান সুন্দরী খোঁজার মিশন  চালিয়ে যাচ্ছে অনেক আগে থেকে। নারী অধিকার; জেন্ডার ইকুইটি নিয়ে যারা দিনের পর দিন বলে যাচ্ছেন; যে সব সংবাদ পত্র  জেন্ডার সচেতনতা তৈরির কাজ করছে; সেখানেই এ সব তারকাদের কীর্তি ছাপা হয়'; অন্যদের উৎসাহ জোগানো হয়।  মনে করিয়ে দেয়া হয়, এটা একটা স্বপ্নময় জগত। এ জগতে না আসলে তোমার রূপের কোনো মূল্যই নেই।

 জগতে আসলে অনেক কিছুরই মূল্য থাকতে নেই। নারীর সম্ভ্রম, আর রূপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বাণিজ্য তার ব্যাতিক্রম নয় সুন্দরী নির্বাচন যজ্ঞ্। গ্রুমিংয়ের নামে এ সব মেয়ের  লজ্জার আড়মোড় ভেঙ্গে; তারকাদের সামনে রেখে নতুন উদ্যোমে যে ভোগ উৎসব শুরু হয় তার ক্ষতি যার হয় কেবল সেই সম্ভবত  মোহ কেটে যাবার পর কিছুটা বুঝতে পারেন।


এক সময় সিনেমার নায়িকা  বানানোর কারিগর নির্মাতা 'দাদু' সম্পর্কে বলা হতো তার হাত দিয়ে সিনেমায় এসেছেন অথচ 'আনটাচড' ছিলেন এটা বলা যাবে না। 'শ' আদ্যাক্ষরের সব নায়িকা বাংলা সিনেমায়  তার হাত ধরেই আগত।

তেমনি লাক্সের নামে তারকা বানানোর  কারখানায় যারা কাজ করেন; তাদের সম্পর্কে আনেকই সম্বাদিকেরই ভালো জানা । তবুও বলা যায় না। বলতে গেলে তো সব ই যাবে।

লাস্যময়ী তরুণীর হাস্যময় চেহারা আড়ালের কষ্টটা  ভুলে থাকার চেষ্টাটা অনেকেরই নাই। তবুও এ কথা সত্যি এ জগত সম্পর্কে একটা মোহ তৈরি করে রেখে;ফাঁদ পেতে বৈধ উপায়ে উঠতি বয়সী তরুণীদের এক অন্য রকম জগতে আনা হয়; যেখানে না পারি ছাড়তে; না পারি থাকতে অবস্থা।

 অনেক দিন পর এ কথা কেনো লিখছি; লিখছি ফেসবুকে লাক্স তারকাদের  কিছু ছবি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য হচ্ছে। শাড়ি কী এভাবে পরে? এটা জানতে চাইছেন। একজন নগন্য সম্বাদিক হিসাবে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার ইভেন্ট কভার করার যে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা আমার  হযেছে; সে তুলনায় এটা খুব খারাপ বলা যাবে না।

সম্ভব ২০০৬ কি ০৭ এর দিকের একটা ইভেন্টে যৌনাবেদনময় পারফরমেন্সের বিরোধীতা করে অনেক কৌশলে আমাকে লিখতে হযেছে।  লিখেছিলাম। এটাই তৃপ্তি!

তবে এ কথা সত্য ; এ সব মেয়েদের গ্রুমিংয়ের নামে; নাটকে অভিনয় করানোর  সুযোগ দেবার কথা বলে- দুপক্ষে মিউচুয়াল যে অনৈতিক কাণ্ড হয় সেটার জন্য সত্যি খ্রাপ লাগে। তবুও কিছু বলতে পারি না। কারণ সেখানে আইন অচল, নৈতিকতা মঞ্চ নাটকেই আছে। বাস্তবে এর দেখা মিলে না।

গাজীপুর, মৌলভীবাজার; কক্সবাজার এ সব জায়গার রিসোর্ট আর এখন নিরাপদ মনে করেন না; বুড়ো যৌনখোর  লোকেরা। তারা এখন উড়াল দেয় থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। উপভোগের চরম আনন্দময় জায়গা এ সব।


হুমমম। সমাধান কিছু হবে বলে মনে হয় না। তবুও প্রতিবাদ জারি রাখতে বাধা নেই।      

দ্রষ্টব্য:: সবাই মিউচুয়ালি সব করেন; এটাও কিন্তু ঠিক নয়। অনেকে পা দিয়েছেন ফিরতে পারেন না আবার অনেকের স্ট্যাটাস থাকে না।  আছে নানা ক্যাচাল। 

২টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...
এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।
মোরতাজা বলেছেন...
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।