তবে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিচি নাই!

শীলার জওয়ানি, মল্লিকার নাভি, ক্যাটরিনার পিঠ,দীপিকার বুক কিম্বা সানি লিওনের উদোম শরীর লইয়া আমাদের যে অতি উচ্চ আগ্রহ এবং ওপেনে গোপনে উপভোগ- সেখানে বিসিবিরে ফেরশেতা মনে করণের কোনো কারণ নাই। তারা আমগো পালস বোঝে- তাই তো লইয়া আইছে এক দঙ্গল।

কনসার্টের ৭ দিন আগেই টিকিটি শেষ। এক বন্ধু গ্রে থেকে টিকিট কিনতে চাইছে, সেখানে ২ হাজার টাকা টিকিট ৫ হাজার ট্যাকা চায়। আবার কয় ম্যানেজ করণ খুব কষ্ট!

তবে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিচি নাই। এটা নিশ্চিত। নইলে মূল অনুষ্ঠানের আগে ক্যামেনে দেশশিয় শিল্পীদের গান গাওয়ার পর্ব শেষ করা অয়, বুঝলাম না। দু' পক্ষের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাটাও মেনে নিতে পারলাম না।

কলকাতার সিনেমা টান দেখছিলাম, সেখানে জলবেশ্যার এক ‌'মাসি' সুন্দরীর খুব প্রশংসা করছিলেন। বলছিলেন, সুন্দরী আছে বইলা 'খইদ্দের পাও'। আমাগো মনে লয় একই হাল। ইনডিয়ানরা দয়া করে বইলা আমরা বাঁইচা আছি!
নইলে আমরা ক্যান সব কিছু খুইলা দিমু, ইনডিয়া কি আমাগো বাপ।

হ বাপই তো!


ক'দিন আগে ইনডিয়া সিনামা বানাইলো গুন্ডে। সেইখানে বাংলাদেশের ইতিহাসের ইজ্জত মারছে। তারপরেও আমরা তাদের খুব ইজ্জত দিলাম। নিজের কাপর খুলইয়া তাগোরে সোন্দর কইরলাম। পুরা মঞ্চ প্রস্তুত করলাম তাগোর জন্য। স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষ। টিভি সেটের ওপর থেকে কারো চোখ সরে না।

তাইলে আমগো ... মারবো না তো, থুইয়া দিবো।

আমাগো য়ৌবন জ্বালা আর হিন্দি প্রেম দেইখা তো মনে লয়, পাকিস্তানিরাও যদি একই রকম হইতো আমরা তাগোও এ রকমই চাটতাম! যে রকম অগো কিরকেট দেইখা এইখানকার কিছু লোক পাগল অইয়া যায়!

আমারা ভানার অতীত বাংলাদেশের খেরার মাঠে ক্যামনে পাকিস্তানি ও হিন্দুস্তানি পতাকা ওড়ে। ক্যামনে সম্ভব। এইটা ক্যামনে আমরা মানি।

অবশ্য আমগোরে চেতনার আফিম খাওয়াইছে সরকার। বিভক্ত অইয়া আমরা একে অন্যের গুষ্টি উদ্ধার করি। কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে এক অইতে পারি না।

তিস্তার বুক খাঁ খাঁ করতাছে, আমরা এ আর রহমানের সুর সুধায় মগ্ন। ভারতীয় চিকনাই ঝরানোর কচি মাইয়া গো রান দেখনের লাইগা হা কইরা স্টেডিয়ামে বইসা গেছি। ৭৫ হা্জার টাকায় টিকি কিনছি। কিন্তু বাংলাদেশি শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠানে টাকা খরচা করতে গেলে কইলজা ফাইট্টা যায়।

আহারে মানুষ। আহা ভোগ।

সম্বাদিক, উকিল ও বিচারালয় লইয়া আম পাব্লিকের বিনুদন



সম্বাদিক গো লইয়া আইনজীবী ও বিচারপতিরা যে মজা লুটলো, আম জনতা তা দেইখা ব্যাপক বিনুদন পাইলো। গত কয়দিন ধইরা টান টান উত্তেজনা, তয় সিনেমার না, কুকামের!

সুশীল গো কোনো বিবৃতি দেইখলাম না। সরকার ও বিরোধি পক্ষেরও না। সবাই মনে লয় সম্বাদিক  আদালত পাড়ায় নিয়া খুব মজা লইলো। আর মনে মনে কইলো- পাইছ মাম্মা!  কিন্তু কি পাইবো, সব তো ধান্ধাবাজ।

কিন্তুক ধরেন কাইলকা কোনো মুন্ত্রি, সাবেক মুন্ত্রি  কিম্বা প্রতাপশালী কারো বিচি আটকা পরলো- সঙ্গে সঙ্গে ফোনাইবো- হ্যালো... অনেক দিন দ্যাখা নাই। আসো না, একটু গল্প করি, চা খাই! তারপর  বুক থাপড়ায়া মনের কতা কইবো, শেষ কালে হাতটা চাইপা কইবো, তুমারে খুব বালা জানি, আমার লাইগা এ রিপুর্টটা এট্টু কইরা দাও!

সম্বাদিকরা এই রিকুয়েস্টটা ফালাইতে পারবনা, যত্ত খারাপই হোক না ক্যান,পারবো না। কইরা দিবো একটা রিপুট।

এই মানবিক দিকটা এখনো রহিত হয় নাই, সম্বাদিক গো। তয়  তাদেরও  মানুষ না অইয়া উকিল অওন দরকার।

রোক মামার কতা কই। মাত্র আইনজীবি সমুতির সভাপতি অইছে। ২০০২ বা ০৩ সালের দিকে। বাংলামোটরে চেম্বারে। নিউজটা ধরাইবার লাইগা কয়বার ফুন করছে, শেষ নাই। আইজ এ সভা, কাইল ওই সভা, এট্টু কভারেজ লাগবো। দিছে, সম্বাদিকরা। কিন্তু রোকন মামা খুব মাইন্ড খা্ইছে।  ক্যান খাইছে  জানি না।

মনে লয়, তার বাড়া ভাতে ছাই দিছে কেউ! নইলে বয়স হইছে তো, তাই এট্টু প্রবলেম চলতাছে।

এ বিষয়ে তসলিমা খালা (তসলিমা নাসরিন) ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবো।

নষ্ট রাজনীতির কবলে উকিল ও বিচারক



নষ্ট রাজনীতির কবলে উকিল ও বিচারক

জগতে দুই জায়গায় একই রকম দৃশ্য চোখে পড়ছে- একটা হইলো ' মাগি পাড়া' আরেকটা 'উকিল পাড়া'! দরদাম, হাঁকডাক, কুৎসিক কথা বার্তা, নারীর শরীর উপভোগের চেষ্টা- সবই এখানে হয়। হলফ করে বলছি  হয়।

তবে কিছু ব্যাতিক্রম তো অবশ্যই আছে! তাদের কাতারে ব্যারিস্টার রোকনকে মনে করতাম। চূড়ান্ত বিচারে সেটি তিনি  টেকাতে পারেননি।

একজন নারী বিচার প্রার্থী সেদিন বলছিলেন, এক আইনজীবীর চেম্বারে বসেছিলেন। কথা বলার এক ফাঁকে কারেন্ট চলে গেলে তার ভাষায় 'দুইটাকার উকিল' তার শরীর খামছে ধরেছিল।

এ রকম অভিজ্ঞতা কম মানুষের না।

আর দিনের পর দিন বিচারের প্রার্থনা, বটতলার উকিলদের বিচারক হওয়া, অবৈধ সম্পদ অর্জন, দলীয় আনুগত্য এবং 'আমাদের লোক' হিসাবে পরিচয় দিতে সুরার টেবিলে গর্ববোধ করা লোকরা তো চেনা।

উনারা এখন সম্বাদিকগো সবক দিতাছেন। খুব মজা লইতাছেন।  কিন্তু বিচি আটকা পড়লে সম্বাদিকগো কাছে ছুইটা আসেন। তয় সম্বাদিকরা উনাগো মতন না, বিপদে পড়লে হাতড়াইয়া ওঠান। সমবেদনা জানান। পারলে দুইচারটা রিপোর্ট কইরা উদ্ধার করেন।

আমার ওকালতি করবার কোনো দরকার নাই যে সব সম্বাদিক ভালো। কোনো কালেই এটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে কেউ যদি টাকার বিনিময়ে খবর করেন, তাকে সবাই নিন্দা করেন, নিজের কমিউনিটিতেই তারা ঘৃণিত হন।

 কিন্তু মাগি পাড়া, উকিল পাড়া কিম্বা বিচারালয়ে এমনটা হয় না!

আসলে সবখানে নষ্ট রাজনীতি! এ রাজনীতি আমাদের জীবন সম্মান এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে- প্রতিদিন, প্রতি মুহুর্তে।