বাবা দিবসে নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের জন্য করুণা

আজ বাবা দিবসে বাংলাদেশের  বর্ডার গার্ড নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের আমরা করুণা করি। ৫ দিনেও অপহৃত নায়েক রাজ্জাককে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। 

মায়নামারে সন্ত্রাসী বর্ডার গার্ড পুলিশ--- বিজিপি  তাকে অপহরণের পর মারধর করেছে। সে ছবি তারা প্রকাশও করেছে।  তাকে ফেরৎ পেতে  আমাদের পতাকা বৈঠকের ডাকে সাড়া  দেয়নি মায়নমার।  দুইটা রোজা চলে গেছে--- রাজ্জাক কি রোজা রাখতে পেরেছেন। তার সেহরী, ইফতারের ব্যবস্থা হয়েছে। নাকি তিনি ৫ দিন ধরেই রোজা রাখছেন--- তাকে পানি খাবার দিচ্ছে কিনা সন্দেহ। যেভাবে তাকে হেনস্তা করছে মায়ানমার--- স্বভাবতই প্রশ্নটা মনে আসছে।

আমাদের সীমান্ত প্রহরীদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য ছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মহান ভূমিকা রেখেছে সেটি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস– ইপিআর'র ভূমিকা হয়তো আমরা মনে রাখিনি সেভাবে; যার জন্য তাদের দুর্দশা আমাদের ছূঁয়ে যায় না সব সময়।  বন্ধু-রূপী শত্রু  ইনডিয়া আমাদের ভূমি দখল নিতে চাইলে বরইবাড়িতে যে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল--- তাতে অত্যন্ত সফল আমাদের বিডিআর। 

 ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর --- পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ আমাদের সীমান্তরক্ষীদের বিজিবিতে রূপান্তর ঘটার পর কেবল তারা মার খাচ্ছে। এ মায়নমারই গত বছর আমাদের একাধিক বিজিব সদস্যকে খুন করেছিল। আমরা কিছুই করতে পারিনি। 

 আমাদের এ অক্ষমতা মানসিক নাকি রাজনৈতিক। জানতে খুব ইচ্ছে করে।

আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ

মায়ানমারের খোয়াডে রাজ্জাক নয় পুরো বাংলাদেশ । নায়েক রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র ।
মায়ানমার রাজ্জাককে হাত কডা লাগিয়ে পরিত্যক্ত সন্ত্রাসী আস্তানার মত একটা ঘরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে।
আমরা ক্রিকেট আফিমে অবশ । আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ ।
রাজনীতি সমরনীতি পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী কিছু অবশিষ্ট আছে ! নাকি সবই খোয়াড়ে ।
এত এত মানুষ অকাতরে তাদের জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেলো আমাদের । আমরা অথর্বরা তাদের জীবনের প্রতিদান এ ভাবে দিচ্ছি !
লজ্জিত। আমাদের ক্ষমা করো।

তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব!

তোমরা ইনডিয়াকে হারিয়ে তালি বাজাও। ধবল ধোলাইয়ের ভাবনায় উত্তেজিত ।
আর নায়েক রাজ্জাক পাঁচটা দিন মায়ানমারের খোয়াডে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কইছে ভুল বোঝাবুঝি। কিন্তু এর অবসান এখনো হয়নি।
বর্ডার গার্ডের অনুনয়ে মন গলছে না মায়ানমারের । পাত্তাই পাচ্ছে না বিজিবি এমন খবরও এখন প্রকাশিত । পতাকা বৈঠকের জন্য সাড়া নাই। কী অমানবিক। তারপরও আমরা নিশ্চুপ -নিদ্রাতুর ।
এ ক্যামন বাংলাদেশ আমার ।
মায়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয় ১৬ কোটি মধ্যম আয়ের দ্যাশ হবার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশী।
তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব ।

অনুমোদন নেই; তারপরেও Transmission Network লিজ দিচ্ছে গ্রামীণফোন

লাইসেন্সিং গাইড লাইন লঙ্গন করে গ্রামীণফোন Transmission Network লিজ দিচ্ছে। ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের  লাইসেন্স নবায়নের আগেই তাদের অনুকূলে ইস্যু করা  লিজ পারমিট এর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় BTRC।

২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন  নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।

হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন,  আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।

Transmission Network বলতে বিটিআরসি  ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম  ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।


বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন  Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'

' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি।  তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।

ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।  

মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল  পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র  সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।

'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর  বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।

সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।  এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও  বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।

গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের  বিনিয়োগে গড়ে ওঠা  অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক  সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে।  যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।

২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর  মোবাইলফোন অপারেটরদের  ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে।  সর্বশেষ ২০১৪ সালে  বিটিআরসি  টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service  নিতে হবে।

এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক  সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে  অপারেটরটি  হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন  সৈয়দ তালাত কামাল  ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''

মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।

মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062

বিজিবি মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

বর্ডার গার্ড সদস্য বিপ্লব গুলি খাইছে। নায়েক আবদুর রাজ্জাকরে ধইরা লইয়া গেছে। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের যেখানে হয়রানি করছে সেখানে সীমান্তে বসত করা  আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার কী হাল। নাকি সেটাও ভুল বোঝাবুলি ভিত্রেই আছে। এর আগে মায়নমার আমাদের বিডিআর জওয়ান মাইরা ফালাইছিলো। সেই সময়ও আমরা বুল বুঝাবুঝির ভিত্রে আটকে ছিলাম। হুমমম।  বিজিবি এতটা দূর্বল ক্যামনে অইলো বুঝলাম না। তারা মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '

কিস্তি :: ৮৮:: ভার্জিন ড্রিংকস,পুরনো ঢাকা এবং তেহারি সমাচার


ঘোড়ার গাড়িতে করে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম। এখনো যাই। তবে কুবই কম। আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ২০ টাকা। তাতে কী। এই একটা ভ্রমণ আমার কাছে উপভোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার প্রথম রোজগার ছির বাংলা বাজার কেন্দ্রিক।

নোট বই , গাইড বই লিখতাম। ভালোই ইনকাম ছিল। ঘটনাটা এ রকম- আমি ঘুমিয়ে আছি। পাঞ্জেরীর প্রকাশণীর নেসার ভাই আনিস ভাইয়ের সাথে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত সব ক্লাশের বইয়ের নোট তৈরির আলাপ করছিলেন। তার কথার উচ্চ স্বরে আমি মশারী ফাঁক করে দেখলাম।

আনিস ভাই পরের দিন আমাকে কিছু কাজ দিলেন। একটা বাংলা বইয়ের পুরো নোট ঘন্টা দেড়েকে বানিয়ে দিলাম। আমার লেখা তার ও নেসার ভাইয়ের পছন্দ হলো। তারপর আমি লিখতে শুরু করলাম। তবে প্রকাশনার কাজে জড়িয়ে যে সব বিষয় বেশি সঙ্কটে পড়তাম তা হলো প্যামেন্ট। এখনো স্কলার্স পাবলিকেশন্সের কাছে আমার হাজার পঞ্চাশেক টাকা বাকি পড়ে আছে।
সেই ২০০১ সাল। আর এখন ২০১৪। টাকা দেবো, দিচ্ছি করে ঘুরিয়েছেন, পরে আর যাইনি।

তবে লেখালেখির বিষয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সৎ আবদুৃল্লাহ অ্যান্ড সন্স। আমি তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্নাতক শ্রেণীর বই এডিট করে দিয়েছিলাম। এক হাতে কপি নিয়েছে, আরেক হাতে টাকা দিয়েছে।

টাকা নিযে গড়ি মসির  কারণে পরে আর লেখা হয়নি। সে সময় যাত্রাবাড়ি ও পরে বকশিবাজার থেকে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম ঘেড়ার গাড়ি করে। বাস চলতো- মুড়ির টিন। এক টাকায় যাওয়া যেতো গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। এতটা কঠিন যানজপট ছিল সেই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, সে সময়টা বাসে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা, কখনো আরো বেশি সময় লাগতো। এখন কেমন অবস্থা জানি না। কালন আমি এখন যাই শুক্রবারে!

পরে অবশ্য বকশিবাজার থেকে আরমানি টোলা হয়ে শটকাটে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতাম। এভাবে অনেক দিন গেছি। সেখানে যাবার সুযোগে পুরনো ঢাকার সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক।

শাঁখারি বাজারে গেলাম ২০০০ সালরে দিকের এক বিকালে। আমাদের এলাকার এক বন্ধু পিংকুর সাথে। ওর বোন থাকতো সেখানে। ভাগ্নি নাচ শিখছে, মামাদের নাচ দেখাবে, তাই যাওয়া। একটা সরু গলি ধরে আমরা ভিতরে ঢুকছি, আর মনে হচ্ছে আমি গুহার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, তাই সরাসরি ঢুকতে পারিনি, একটু পাথালি হয়ে ঢুকতে হলো। সেখানে আলো ছাড়া একটা মিনিটও কাটে না কারো।

অনেক্ষন ছিলম, মিষ্টি খেলাম। ভাগনির নাচ দেখলাম এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার কিঞ্চিত দেখে ফিরে এলাম। এভাবে পুরনো ঢাকা-

সে সময় আমি ওযারীর আল আমিন কোচিংয়ে ক্লাস নিতাম। গিযে দেখি সব মেয়ে। ওই কোচিংয়ে কোনো ছেলেকে পড়ানো হতো না। আমার ক্লাস নেয়ার কথা বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। সেটি ইন্টার থেকে ডিগ্রির মেয়েদের। কিন্তু অনেক টিচার আসতেন না। তাই আমাকে  বদলি খাটতে হতো! নাইট টেনেও পড়িয়েছি।

কোচিং চালাতে 'সায়াদাত' ভাই। তিন বললেন- আমি যাওয়ার কারণে তার শিক্ষার্থী বেড়েছে। আমার বিশ্বাস হলো না। পরে আমি যখন ছেড়ে আসি, উনি খুব মন খারাপ করেছিলেন। সায়াদাত ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন বা তিনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। যাকে ভদ্র সমাজে ডিভোর্স বলে। উনার একটা সন্তান ছিল। মাঝে মাঝে তিনি ক্লাসের ফাঁকে তার কাছে ছুটে যেতেন।

কোচিংয়ের সুবাদে আমার দুজন নারীর সাথে ভালো সম্পর্ক তেরি হয়েছিল। তাদের একজন নীলা। আরেকজন ঝুনু। নীলা হালকা পাতলা। আর ঝুনু অনেক মোটা। তবে দুজনই ফর্শা- সুন্দরী। তারা আমার ক্লাশের ছাত্রী না হয়েও আমার লেকটচার শোনার জন্য আসতেন! (নিজেদের কেমন মফিজ মনে লইতাছে!)

নীলা মেয়েটা ইভটিজিংয়ের শিকার হতো, সেটি জানার পর একটা 'ব্যবস্থা' করেছিলাম। দক্ষিণ মুহসেন্দীতে ওদের বাসা। বার কয়েক দাওয়া করেছিল, কিন্তু ভভঘুরে কুদ্দুসের সময় কই! যাওয়া হয়নি।
ঋষিকেশ দাস লেনে ছিল ঝুনুদের বাসা। ওর মা বাবা বেশ কয়েকবার বলেছিল পুররো ঢাকার অতিথি আপ্যায়ন কেমন? তা দেখার সুযোগ নিতে। আমি পারিনি।

আল আমিন কোচিংয়ের চাকুরীটা ছাড়ার আগেই আমার প্রথম আলোর প্রদায়ক সংবাদদাতার কাজটা জুটেছিল। আমি সব সময় কাজের মধ্যে থাকি। নট কাম! কাজ না থাকলে ভালো লাগে না। প্রথম আলোর হয়ে কাজ করার সূচনার ফাঁকে রাজীব ভাই বললেন, আপাতত পেজ বেরুচ্ছে না। তাহলে আমার কী করণীয়!

প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো- প্রিয় মুখ নামে একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিন বের হবে। রাজীব ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে যোগ দিলাম। অনেক দিন সেখানে কাজ করেছি।

আমার কিছু অদ্ভূত ঘটনা আছে। তার দুটো প্রিয় মুখে থাকার সময়- আমি ভাবলাম দিনের ১০ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পানি খাবো না। দেখি কাজটা করা যায় কিনা। তাই হলো। সে সময় ইয়ুথ গ্রপ একটা পানীয় বাজারে আনে- নাম দেয় ভার্জিন। সম্ভবত আমি সেই ব্যাক্তি যে সবচেয়ে বেশি ভার্জিন ড্রিংকস খেয়েছি।

মাস চারেক ভার্জিন ড্রিংকস খাওয়ার পর কমিয়ে আনতে বাধ্য হলাম। দিনে মাত্র দুই লিটার! কারণ আমার পানীয়ের খরচ দিতো প্রিয়মুখ কর্তৃপক্ষ। আর খাবার আসতো এলিফ্যান্ট রোড়ের টেস্টি খাবার ঘর থেকে। সেখানে তারা আমার নামটা বদলে দিয়েছিল। নতুন করে রেখেছিল- ' খাইন্না ভাই'।

আরেকটা ঘটনা- আমি সে সময় আজিমপুরের নিউ পল্টনে একটা মেসে উঠলাম। সেই মেসে আমার রুমমেট হিসাবে নিলাম কায়সার ভাইকে। দেয়ালে পোস্টার লিকে তাকে পাওয়া! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সের একটা সাবজেক্ট থেকে পাস করে চাকুরীর খুঁজছেন। দুজন মিলে থাকি, ভালোই কাটছে। কিন্তু কায়সার ভাই বাইরে থাকেন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেন না। আমারো একই হাল।তাই বুয়া মুক্ত মেস!

যেহেতু বাইরেই খেতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একমাস টানা চলবে তেহারি এবং বিরিয়ানী । নীলক্ষেতের তেহারির সুনাম আছে। চেষ্টা করলাম এবং সফল হলাম। ঠিক একমাসের শেষ দিন বাড়ি গেলাম। বিকাল ৫ টার দিকে খেতে বসলাম- এক মাস পরে ভাত! তাও আবার মায়ের হাতে! সে কী সুস্বাদু। চার প্লেট ভাত খাওয়ার পর মনে হলো- পেটে আর জায়গা হবে না। তৃপ্তিতে ডুবে আছি।

মোডি কাকুর অভিমানী মুণ্ড ও বঙ্গীয় রাজনীতি :(

 frown emoticon
মোডির প্রশ্নে কে চুপসে গ্যাছে; কে চমকে গ্যাছে ; কে থমকে গ্যাছে ; তার সাক্ষাতে কে গলে গ্যাছে; কে ভিজে গ্যাছে ---কার জল খসেছে ; কার খসেনি।
ইহা এখন মিডিয়ায় আলোচ্য বিষয় । উপাদান রাজনীতি। প্রত্যাশা ক্ষমতার সুরক্ষা কিম্বা ক্ষমতাপ্রাপ্তি।
কিন্তু সাগরে ভাসা মানুষ, মায়ানমারে বিনা অনুমতিতে ইন্ডিয়ার হামলা--- সামনে বিচ্ছন্নতাবাদী দমনে যে কোনো দেশের অভ্যন্তরে হামলার হুমকি----
তিস্তার জল , ছোট ফেনী নদীর পানি কিম্বা বিএসএফ ষণ্ডাদের প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী খুন ---এ সবের চে এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ ।
কারণ আমজনতার ভয়েস কেবল শোর তোলে। হিট গণনা হয়। কত মানুষ নেমেছে দ্যাখো!
চুড়ান্ত বিচারে ইনডিয়া -আম্রিকা ক্ষমতার দাবায় গুটি ঘোরায়। আর তাই ---
মোডি কাকুর অভিমানী ফুলস্লিভ মুণ্ড চোষণ--তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত ---রাজনীতিক মিডিয়া--- সবাই । frown emoticon

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র





বহু বারান্দায় আটকে থাকা স্বপ্নগুলো
আমার কাছে দুঃস্বপ্ন!

যা ভাবি তাই করি
না পারলে আফসোস করি না; একটা ছাড়া!

ভাবতাম কিছু পয়সা জমলে সাগরে ডুবে থাকবো
পাহাড়ের ভাঁজে শুয়ে কাটাবো একটা একটা করে দশটা রাত
নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকবো--
তাড়া থাকবে না কোনো

ছেলেদের কাঁধে হাত রেখে নাফাখুমে ছুটন্ত বিকালরে সূর্যটাকে বলাবো কাল এসো
আমি আছি--
আমরা থাকবো আর ক'টা দিন


তারপর ইচ্ছে হলে ফিরবো
নইলে বগালেকে মাছ ধরতে বসে যাবো-- ফিরবো কখন জানি না

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র
একই প্রকৃতির প্রেমে ডুবে যাবো আমরা তিন জন!

ছেলের স্কুল সময় ফুরিয়ে যাক
ফুরিয়ে যাক তার শৈশবে কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের বিকাল
তারপর
না তারপরেও হবে কি-না সন্দেহ!

কিছু টাকা জমে পকেটে--
সে টাকা পুড়ে যায়
তারপর আমি আবার ভাবি
যাবো ---

সময় আমাকে বলে
কাজ করো! কাজ!!
কাজে ডুবে থাকি
ইচ্ছাগুলো পুড়ে যায়

আকাশ দেখবো বলে বলে দাঁড়িয়ে থাকি
বারান্দায়
নিঃশ্বাস নিতে পারি না।

ইনহেলারটা টেনে নিই
নগরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবি
একটা দিন আসবে
রোদে পুড়বো- বৃষ্টিতে ভিজবো--
পাহাড়ে জঙ্গলে কাটাবো জীবন!

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে । মাইক্রোবাসে গ্যাং রেপের পর খালার বাসায় বেড়াতে এসে রামপুরায় গৃহবধু গ্যাং রেপ frown emoticon
কে ব্যবস্থা নেবে? সেই পুলিশ ! যার কাছে তার সহকর্মীও নিরাপদ নয়। পুলিশ কর্মকর্তাও নারী কনস্টেবলকে রেপ করার খবর এখন প্রকাশিত।
তাহলে --- frown emoticon