সফল রাষ্ট্রনায়ক ফিদেলের জীবনাবসান!





বন্ধু চে'র সাথে ফিদেল


পর্যটক থেকে বিপ্লবী চে'র বন্ধু, সফল রাষ্ট্রনায়ক ফিদেলের জীবনাবসান হয়েছে।  মজদুরের  স্বার্থ রক্ষা আর  সমান চোখে মানুষকে দেখার যে বিরল দৃষ্টান্ত ফিদেল কিউবায় প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটি  অনন্য। 
ফিদেলের শাসনামলে কিউবায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশটির প্রতিটি নাগরিকই বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা পায়। বিশ্বের বহু উন্নত  দেশের তুলনায় কিউবায় শিশুমৃত্যুর হারও কম।  
কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনাবসানের খবর দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে,  ৯০ বছর বয়সে জীবনাবসান হওয়া ফিদেল ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রায় অর্ধশতক জুড়ে এক দলীয় কিউবা শাসন করেছিলেন।
তার সমর্থকেরা মনে করেন তিনি জনগণের কাছে কিউবা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।  বিরোধীদের চোখে, তিনি ছিলেন বিরুদ্ধ মতের প্রতি নিষ্ঠুর। গত এপ্রিল মাসে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনের শেষ দিনে বিরল এক ভাষণ দেন ফিদেল কাস্ত্রো। 

পরকালীন জীবন মঙ্গলময় হোক ফিদেল কাস্ত্রো । লাল সেলাম। 

আয়ানাবাজি:: 'আপনারা তো রসিয়ে রসিয়ে লেখেন---!! '

গল্পটি আহামরি কিছু নয়, তবে চরিত্রায়নে নতুনত্ব রয়েছে, আয়ানাবাজির। টাকার জন্য অন্ধকার জগতে নায়ক--- এটা বাংলা সিনেমার বহু পুরনো ধারণা। তবে সেটি ষণ্ডামির মধ্যেই আটকে থাকলেও এখানে ভিন্ন রকমের একটা চরিত্র হাজির করেছেন অমিতাভ।
মি. অমিতাভ সম্ভবত বলতে চেয়েছেন, মুখ ও মুখোশের গল্প --- এ টুকু অন্তত আমার কাছে মনে হয়েছে। মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে আয়না গাউসের খপ্পরে পড়ে। গাউস বদলি জেল খাটার ঠিকাদার। এ টুকুই সিনেমা --- বাংলা সিনেমা। তবে সব প্রথাগত ছক উতরে গেছে আয়নার অভিনয়, নিজে একেকটি চরিত্রের ভেতর ঢুকিয়ে আয়না নতুন একটা জগত তৈরি করেছে।
রাজনীতি একটা অভিনয়-- এ রকম কঠোর আলাপ-সংলাপ যেমন আছে, আবার বাঘের জন্য কচি হরিণের মাংসের ব্যবস্থা হচ্ছে---এমন আদি রসের সংযোগও সিনেমাটি টেনেছে। এসেছে পুরুষ শরীরের ব্যবহারের ভিন্নতা। সাধারণত সিনামায় নারীর শরীর উপস্থাপন করা হলেও এখানে পুরুষ কেন্দ্রিক-শরীর গদ্য আছে-- তবে সেটি সমকাম নয়।
ক্যামেরা অসাধারণ কাজ আছে সিনেমাটিতে, নগর জীবনের প্রতি দরদ আছে, পঙ্কিলতার গল্প আছে। আছে কার্ল মার্কসের থিওরির গল্পও ।
ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমেই গল্পটি শেষ করেছেন, অমিতাভ । সিনেমায় খুব শক্তি নিয়ে আছে সাংবাদিকের একটি চরিত্র।
তবে সাংবাদিকের সংলাপ অপরিপক্ক, সাধারণ সাংবাদিকরা যেভাবে তথ্য উদ্ধার করে থাকেন, সেটা থেকে অনেকটা দুরে !
একই সাথে পত্রিকার কর্তাদের চাকুরী হারানোর ভয়, সাহস করে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনীহা সিনমোটিতে বেশ ভালো করেই তুলে ধরেছেন, অমিতাভ।
বাংলাদেশের প্রথাগত ছকের বাইরে না গিয়ে সিনেমায় একজন যাত্রার নায়িকার সন্তানকে নিয়ে এগিয়ে যায় আয়নাবাজি--- মূল চরিত্র আয়না-- শরাফত করিম আয়না।
তার মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর মিস্টার আয়নার টাকার প্রয়োজন, নগরে তাকে কে দেবে এত টাকা। বদলি জেলের অফার পায় আয়না... শুরু হয় নতুন অধ্যায়, আয়নার সাথে প্রথম কন্টাক্ট ছিল ৩ মাস জেল খাটতে হবে, টাকা যা লাগে পাওয়া যাবে।

কিন্তু তিন মাসের জায়গায় ৩ বছর পর বেরিয়ে আয়না তার মা-হীন জীবনে ঢুকে! সেখান থেকেই তার বদলি জেলের জীবন--- নারী নির্যাতন মামলায় তাকে জেলে দেখা যায়, দেখা যায় বড়লোকের আদুরে গেম পাগল পুত্রের মানুষ খুনের মামলায় জেল খাটতে।
তবে শেষবার একজন রাজনীতিকের জন্য জেলখাটতে গিয়ে ফেঁসে গেলেও জেলের রক্ষীকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে আয়না বেরিয়ে আসে!
আয়নার জীবনে প্রেম আসে, আয়না হৃদির সম্পর্কও গড়াতে চায়! কিন্তু শেষবার জেলে যায়, আয়না। তবে সেটি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তার যাওয়ার কথা হৃদির সাথে, সিলেট। এখানে খোলামেলাভাবেই হৃদির জীবনে আয়নাকে একটা সম্পর্কের মাত্রাকে প্রশ্নের মধ্যে রেখেছেন পরিচালক।
কারণ হৃদি তার বাবাকে বলে সিলেট যাচ্ছে, একা। কিন্তু সে যাবে আয়নার সাথে--- আয়নার একা ঘরে হৃদির উপস্থিতি কিম্বা আয়নার নিজের চালানো স্কুলে না গিয়ে --- হৃদির সাথে রুম ডেট এবং এর বডি ল্যাংগুয়েজ অনেকটা 'কাম' ছড়িয়ে যায় সিনেমায়!
শেষ পর্যন্ত আয়না তার প্রেমিকাকে ফিরে পায়, সাংবাদিককে তথ্য দেয়, একজন রাজনীতিক পালিয়ে আর হলিউড স্টুডিও'র আড়ালে বদলি জেলের ঠিকাদার গাউস খুন হয়।
সব মিলিয়ে একটা পরিণত ইংগিত সিনেমাটিতে কি হবে পরে? এমন আক্ষেপ আর রাখেনি!
সিনেমার শুরুটা খুবই সুন্দর-- নগরের একটা ভোরের যত্ন করে আঁকা ছবি এতে তুলে ধরা হয়েছে। গানের ব্যবহারও খুবই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে চিরকুটের গানটি--- 'আয়নায় আয়নায় ভিন্ন কেউ সাজে, তারে তুমি দেখিতে চাওনা! লুকুচুরিতে নিজেরে পাওনা!' কিম্বা প্রেমের গান--' ধীরে ধীরে যাওনা সময়...আরো ধীরে বও!' ভালো লেগেছে।
তবে সিনেমায় বেশ কিছু খিস্তি আছে। আছে রম্য সংলাপও। সাংবাদিকের চরিত্রে পার্থ বড়ুয়া পুরো দস্তুর একজন মাদকাসক্ত । সারাক্ষণ পানির মত মদের বোতল মুখে নিয়ে ঘোরে। কিছুক্ষন পর চুকচুক মদ খান-- অনেকটা মনে হতে ক্রাইম রিপোর্টার মানে মাদকাসক্ত।
সাংবাদিকদের প্রতি লাঞ্ছিত নারী পরিবারের ঘৃণাও এখানে উঠে এসেছে... একটি সংলাপেই। তবে সেটি বেশ তীব্র! 'আপনারা তো রসিয়ে রসিয়ে লেখেন---!! '
হয়ত তাই.. হয়ত নয়... এ রকম সাংবাদিক সাবের নন, সে আর্গুমেন্টও শুনতে চায়না লাঞ্ছিতের পরিবার! এটাই তো ... সত্য!
আয়নাবাজির চূড়ান্ত ম্যাসেজ কি? টাকা হলে- ক্ষমতা থাকলে সব সম্ভব! দৃশ্যত তাই মনে হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রতিটি মানুষই মুখোশ পরে থাকেন। ... মুখোশের আড়ালের একেক জন মানুষ একজন দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী। দুনিয়াটাই একটা অভিনয় মঞ্চ!
সিনেমার মূল চরিত্র চঞ্চল করলেও পার্থ বড়ুয়ার অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার চেয়ে কোন সত্য প্রমাণে লেগে থাকাটা প্রশংসনীয়। 

নরাধমরা ---বিলাতি কুত্তার বাচ্চার মত আদর চায় ---

একেকটা অমানুষ
রাতের আঁধারে শুয়রের বাচ্চার মত ফাল পাড়ে---
পাক খায়- গু খায় ---


নোংরা আবর্জনায়---ডুবে থাকে-- ভালো কোন চিস্তা-- সুন্দর কোন সকাল
 কখনো ভাবতে পারে না-- অমানুষগুলো---

মানুষকে তাদের মানুষ মনে হয় না---
অমানুষগুলো কাদা পাক থেকে পাক দিয়ে উঠে সে দাঁড়াতে চায়---

দাঁড়াতে চায় নগরের তকতকে চকচকে ঘরে!
সায়েবি সুট আর কেতাবি বার্তায় মাততে চায়!


নরাধমরা ---বিলাতি  কুত্তার বাচ্চার মত আদর চায় ---
শুয়রের মত কাম--- পায়  না বলে সে অন্যকেও কষ্ট দেয়!
খুবলে খায় মানব শরীর-- পুড়িয়ে দেয়-- বসত ঘর - জমি জিরাত আর নারী ও শিশু!

নাসির নগর থেকে
গাইবান্ধা

রামু থেকে দিনাজপুর!

হিন্দু থেকে সাঁওতাল
মুসলমান থেকে বৌদ্ধ
প্রান্তিক মানুষ---রোহিঙ্গা--- পুড়িয়ে মেরে ফেলে কিছু নরাধম!

 কেউ নিস্তার পায়না!
না পুরুষ, না নারী, না শিশু

 শাদা শুয়র তামাটে শুয়র
 কালা কুত্তা
 ---মিলে  নরক বানিয়েছে ; দেশ---সীমানা--- অঞ্চল আর  বিশ্ব!