'র' কি বঙ্গদেশে নতুন আইলো

এয়ারপোর্টে 'র' দাদাদের কাণ্ড লইয়া লইয়া যেই হারে বাৎচিত অইতাছে তাতে মন লয়, ‌'র' মাত্র বাংলাদেশে ল্যান্ড করলো। আরে ভাই বেরাদাররা 'র'  আমগো  রাজনীতি ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে, আমগো বাঁচা মরার সার্টিফিকেট দেয়। যে দলটা সবচে' বেশি  এন্টি ইনডিয়ান বইলা ফালায় সেই বিম্পির ঘরের ভিতরে 'র'।

যে জমাত  ইনডিয়ারে হারাম বইলা জ্ঞান করে, সেই জমাতের মইধ্যেও 'র' । আর আম্লীগের কতা না মাতি। বাম বাবু গো কতা কইয়া টাইম লস করণের কাম নাই। জাতীয় পার্টির বিষয়ে এই আলাপ একেবারেই হুদা।

 আমগো এক বাম নেতা কইছে তিস্তার পানি না আইলে ভারতের সাতে নাকি বন্ধুত্ব ভাটা অইবো। আরে মিয়া ভাই ভারত ক্যামনে আমগো বন্ধু-?
ভারত অইলো আমগো সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। ইংরাজিতে কয় রেগুলেটর। তাই বইলা এইডা ইলেট্রিক পাখনার রেগুলেটর না। আমগো ক্ষমতা, রাজনীতির রেগুলেটর।

রেগুলেটর কি বন্ধু অয়। আজাইরা কতা কইয়া  লাভ নাই। হুদাই লাফাইলে কাম অইবো না। ভারতের দাসত্ব, আইএসআইয়ের সাথে তাগো হিশাব নিকাশ এ সব নিকানোর কোনো দরকার নাই। এই দেশে আইসএসআই ও র এ কাজ অইতাছে। এইডা ঠেকানোর ক্ষমতা আমগো নাই।

বেশি কতা কইলে নিখোঁজ অইয়া যামু, আমি আফনি। আরো অনেকে যেই রকম নিখোঁজ অইছে। আমি, আফনি কিন্তু রিজওয়ানা বা তার স্বামীর মত সহানুভূতি পামু না। আমগোরে কত রকমের নিক্তিতে মাপবো। পরে কইবো হালার তো নিখোঁজ অওনের কতা আগেই আছিল, এদ্দিন খোঁজে আছিলো ক্যামেন।

বিপদ সঙ্কুল পর্যটন স্পট : ১: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত!


দেশের সবচেয়ে বিপদ সঙ্কুল  সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত, লম্বায় এ সৈকতটি কেবলই বড়ই নয়, আনব্রোকেন হবার কারণে এর ধারে কাছে অন্য কোনো সৈকতের অবস্থান নেই।

তবে এ বিচের কিছু পয়েন্ট রয়েছে খুবই ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে ভাটার সময় কক্সবাজার সৈকত কোনো ভাবেই  পর্যটকের  জন্য নিরাপদ  নয়।

কোনো সরকারই এ বিচের নিরাপত্তায় কিচ্ছু করে নাই। তবে সেনা সমর্থক মইন ফখরের সরকারের সময় সেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্তেজাম করা হয়েছে। এর বাইরে কিচ্ছু না।

আপনাকে এই বিচে ভাটার সময় না নামার জন্য সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে লাল পতাকার নির্দেশনা দেখাবে। যেটি দেশের আর কোথাও নেই।

 কক্সবাজার বিচে দু'কারণে দুর্ঘটনা ঘটে-

১.এ বিচে চোরাবালি ফাঁদ রয়েছে।
২. ভাটার টান প্রচণ্ড, যেটি যে কারো শক্তিকে হার মানায়। যদি আপনি সিন্দাবাদ না হন!

চোরাবালি ফাঁদটা কক্সবাজার বিচের যে সব এলাকায় সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে সুগন্ধা ও কলাতলি পয়েন্টকে ধরা হয়। তবে আমার অভিজ্ঞতা সাগরের যে সব অংশে  খাল থেকে পানি নামে বা পানি খালে প্রবেশ করে এর আশে পাশে এবং বিচের যে অংশে পাহাড় রয়েছে তার সামনের অংশে  চোরাবালি রয়েছে।


কারণ ওপর থেকে নেমে আসা পানির স্রোত অনেকটা সাগরে ঢেউয়ের সাথে বাড়ি খেয়ে থেমে গিয়ে এক ধরণের গোলাকৃতির গর্ত তৈরি করে, যেখানে জোয়ার ভাটার সাথে সাথে বালিতে ভরাট হয়ে যায়। তবে সেই বালি পানি সহ থাকায় এ গর্তে পড়ে যে কেউ প্রাণ হারাতে পারেন।

সঙ্কটের কথা হলো চোরাবালি প্রবণ এলাকাগুলো নিয়ে সরকার কোনো কাজ করেনি । কোন কোন এলাকায় চোরাবালির খাদ রয়েছে সেটি নির্ণয় করার প্রযুক্তি অনেক আগেই সমুদ্র বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন। দেশেও সমুদ্র বিজ্ঞান পড়ানো হয়, কিন্তু তারা  তত্বে বসে আছেন, প্রাকটিক্যালে নাই।

 কক্সবাজারের বিচটা হলো খাড়া বিচ। এটি সমুদ্রে বুক থেকে ফেলিন ঢেউ নিয়ে আসে, সেই  সাথে পর্যটককে ভেতরে যেতে হাত ছানি দেয়। ভেতরে গেলে যেটি হয় ঢেউটি খাড়া ভাবে সমুদ্রের খাদে পড়ে যায়। সেই সাথে সলিল সমাধি ঘটে থাকে পর্যটকের।

তাই পর্যটকের করণীয়-
ভাটার সময় পানিতে নামলে সর্বোচ্চ ২ ফিট। এবং জোয়ারের সময় নামলেও সর্বোচ্চ ৪ ফিট পানিতে নামতে পারেন। সমুদ্র সাঁতারের জায়গা পর্যটকের জন্য নয়। এটি  পেশাদার সাঁতারুর জন্য হতে পারে। তাই সাঁতার থেকে বিরত থাকুন।

সাঁতার না জানা থাকলে লাইফ জ্যাকেট পরে নিন। বাচ্চাদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সমুদ্রে নামতে দেয়া উচিৎ নয়। সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই আপনার ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভাবুন।

রোমাঞ্চকর সমুদ্র ভ্রমণ আপনার জন্য নিরাপদ করতে কক্সবাজারের লাবণী, কলাতলী, সুগন্ধা, হিমছড়ি, ইনানীর বাইরে অন্য কোনো পয়েন্টে সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকুন।

আর সরকারের কাছ আর্জি জানান- অন্তত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেনো  নেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তাহলে আপনার ভ্রমণ আরো নিরাপদ হবে।

চলমান
পরবর্তী লেখার জন্য খেয়াল রাখুন এবং এই লিঙ্কেও ক্লিকাইতে পারেন- https://www.facebook.com/touristplus.bangladesh

পর্যটনস্পটে দুর্ঘটনা : আতঙ্কিত নয়, সচেতন হন

আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। সতর্কতাই সবচেয়ে বেশি দরকার। পর্যটকদের যে কোনো জায়গায় যাবার আগে কিছু জরুরী বিষয়ে জেনে নেয়া দরকার-
১. লোকাল নিরাপত্তা, ২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা, ৩. খাবার দাবার, ৪.থাকার ব্যবস্থা, ৫.যানবাহন,৬. পর্যটকের জন্য  স্বাস্থ্য সুিবিধা  ৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি এবং ৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।

এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমন করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।

 হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধাররণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।

একই সাথে ভিন্ন সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে থাকে।  

আতঙ্ক দিয়ে লেখাটা শুরু করেছি এ জন্য যে, গত সোমবার  সেন্টমার্টিন দ্বীপে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির  কয়েকজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন।  পর্যটন স্পটে মৃত্যু যে কোনো বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য। তবুও এটি ঘটে থাকে।

এর প্রধাণ করাণ আমাদের অসতর্কতা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের  সঠিক  সুবিধা নিশ্চিতে ব্যর্থতা। তবে সব কিছুর বিচারে আমাদের অসতর্কতাই দায়ি। কারণ জীবন আমার, আমাকে ভাবতে হবে আমি কেনো এ রকম ঝুঁকি নিবোম যা আমার জীবনকে বিপন্ন করতে পারে।

২০০০ সাল থেকে পর্যটন কর্মী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছি। সে অভিজ্ঞতা থেকে উপেরর কয়েকটি বিষয়ের প্রতি নজর দিতে বল্লাম। কে কী বলে দিবে, তা নিয়ে আমাদের বসে থাকলে চলবে না।
মূল কথা হলো এখানে পর্যটন নিয়ে সে রকম কোনো  উদ্যোগ এখনো গড়ে ওঠেনি, যা আপনার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।

 সেন্টমার্টিনে যে স্পটটিতে অনেকগুলো তরুণ প্রাণ দিযেছে, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।  এটা অনেকেই জানেন না। এর কারণ আমাদের অসচেতনতা।  সেখানকার হোটেলগুলো থেকেও পর্যটকদের কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয় না।

সেন্টমার্টিনে আগে আসলে সে রকম কোনো সৈকত ছিলনা, যেখানে ভেজা যেতো। ২০০১ সালে আমরা প্রথম সেন্টমার্টিনের প্রাসাদ প্যরাডাইসের বিচটি খুঁজে পাই, যেখানে কোনো প্রবাল নেই। আমাদের আগে দুজন প্রবীন  পর্যটক এর বিচের সন্কিধান পেলেও সে ভাবে এর প্রচার ছিল না।

কিন্তু এ বিচের   পাহাড়ের মত ঢালু অংশে যে কারো নামা উচিৎ নয় সেটি আমরা ২০০২ সাল থেকে প্রচার করে আসছি।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি থেকে আমরা   বড় আকারে কাজ করেছি ২০০৪  সাল থেকে ২০০৬ সালে।  এ সময় আমরা সবাইকে বোঝাতে চেয়েছি আবেগের ঝড়ো হাওয়ায়  সমুদ্রে ডুবে মরে যাবার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই।  সতর্ক হলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

২০০৫ সালে আমাদের চোখের সামনেই কক্সবাজারে একজন বিদেশি নাগরিক ভেসে যান। ওই বছরই সেন্টমার্টিনে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের দুজন শিক্ষার্থী  মারা যান।  এরপর  এ নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি আমরা। তবে এতদিন পরে ফের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ব্যাথিত করছে।  

তবে কক্সবাজারে এখন ইয়াসির লাইফ গার্ড আছে, চাইলে হেলিকপ্টারও পাওয়া যায়। কিন্তু দেশের অন্য কোনো বিচে এ সুবিধা নেই। বিচটিতে নেটিং করার বিষয়ে ২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত  চেষ্টা করেছি, কিন্তু পর্যটন করপোরেশনের কাউকে এটি বোঝাতে আমরা সক্ষম হইনি। নেটিং করা গেলে অন্তত দ্রুততম সময়ে ডুবে যাওয়া মানুষটিকে উদ্ধার, একবারে কিচ্ছু না হলেও মৃত মানুষের লাশটি স্বল্প  সময়ে পাওয়া যাবে।

দেশের ঝুঁকি পূর্ণ পর্যটন এলাকা ও সেখানে করণীয় নিয়ে এ লেখার দ্বিতীয় পর্বটি কাল লিখবো। খেয়াল রাখতে পারেন এই লিঙ্কেও। https://www.facebook.com/touristplus.bangladesh

তেতুল: দ্রুত স্খলন এবং রাজনীতি


তেতুল লইয়া অনেক আলাপ অইছে। এখন আর অইবো না। হুজুরের পদতলে এখন জান্নাত দৌড়া দৌড়ি করতাছে। আর সেই জান্নাত লাভের উদ্দেশে আপারা সবাই কাতারবন্দী!

ছোটবেলায় ব্যাপক ওয়াজ মহফিলে যাইতাম। তার কোনো একটাতে শুনেছিলাম তেতুল খাইলে জেহান (মেধা) কইমা যায়।এইডা খুব কমজানা কোনো মওলানার কাছ থেকে শোনা।

আমার দাদী (বাবার মামী) কইতো পুরুষ মাইনষের তেতুল খাইতে নাই।কিন্তু তাদের জন্য তেতুল গাছ থেকে পেড়ে দিতাম। চান্সে দুচারটা গাছে বইসা মাইরা দিতাম।

শহরে আইসা দেখলাম তেতুল সবাই খায়, আমিও খাই। বিশেষ করে রাঙামাটির তেতুল খুব মজা। মিষ্টিও।

বঙ্গবর্ষ 1420 সালে তেতুল লইয়া ব্যাপক আলোচনা ছিল।  শফি হুজুরের তেতুল তত্ব লইয়া ফেসবুক আর ব্লগে লম্বা বয়ান। ফেমিনিস্ট হিসাবে নিজেদের জাহির করবার নানা রকমের তরিকাও দেখলাম। হুজুরের বক্তৃা শর্টকার্ট কইরা সেটি সবাই বিলাইয়া ব্যাপক মজা লইছে।

আমি এ ধরণের টুইস্টিং এর বিরুদ্ধে বলেছি, এখনো বলি। আমার লেখা যারা পড়েন- তারা দেখে থাকবেন তেতুল  এবং মন্ত্রীর বিড়ি ও ক্যাশ লইয়া আমার অবস্থান ভাসমান স্রোতের বিপরীত ছিল।

তেতুল সম্পর্কে আমার একজন চিকিৎসক বন্ধু জানাইছে, এইটা নাকি ‌'বীর্য তরল কইরা ফালায়। দ্রুত স্খলন ঘটায়।'এর সত্যাসত্য যাচাই করন যায় নাই, কারণ এ সব আলাপ সবার সাথে করা মুশকিল। তবে এটাকে সইত্য মনে লইতাছে-কারণ

আমাদের রাজনীতিতেও 'তেতুল চরিত্র' খুবই বাস্তব অইয়া দেখা দিছে।

শফি হুজুর এখন আর 'আদাবত' বলতে আম্লীগ ও তাদের চ্যালা চামুণ্ডাদের বোঝেন না।' আদাবত' শব্দ আমার প্রথম শোনা। এর অর্থ নাকি শত্রুতা। যৌথবাহিনীর অপারেশন শাপলার পরও।

হুজুরের তেতুল লইয়া অনেক রসের আলাপ হইছে, সংসদে ও বাইরে। খালেদা জিয়ার ছবির লগে হুজুরে ছবি জুইড়া দিয়া ফেসবুকে অনেক রঙ্গ অইছে। এইডা লইয়া কইবার কিছু নাই।

কিন্তু তেতুলে যে তরল করে এবং দ্রুত স্খলন ঘটায় সেটি আমরা হেফাজত ও আম্লীগ দুই তরফে দেখলাম।  তলে তলে দুপক্ষ ঠিক অইয়া গেছে। এটা দেইখা পরাণ জুড়াইয়া গেছে।

আহা কী চমৎকার দোস্তি। ভালোই লাগছে। এখন এটাকে হালাল করবার জন্য অনলাইনে আম্লীগ ও হেফাজতিরা নানা রকমের  যুক্তি তর্ক বিলাইবেন। আমরা শুনবো- আর বিম্পি জমাত এখন হায় হোসেন হায় হোসেন করবে- আহা কারবালা। আহা রাজনীতি!

আম্লীগ  ও কওমী মাদ্রসার দোস্তি পুরানা। কওমী মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের প্রায় নব্বুই ভাগ আওয়ামি ঘরানার লোকদের হাতে। তবুও মাঝখানে ক্যান যে তারা নাস্তি ফাস্তিক লইয়া লাফাইলো এটাই একটা বড় প্রশ্ন! মনে লয়, নিজেদের অস্তিত্ব লইয়া সঙ্কটে পড়ছিলো।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি কোনো শত্রুতার পক্ষপাতি নই। ক্ষমতার রাজনীতিতে আমি কারো বলি হওয়ার পেছনে যুক্তি খুঁজে পাই না। তাই এখানে এ সব আলাপ বাতুলতা মাত্র। আমি হেফাজতের আদাবত নাই-ঘোষনায় খুবই আনন্দিত।

খালি আমার একটা ভাঙ্গা বাঁশি আছে সেইটা বাজাই- দয়া কইরা নিখোঁজ মানুষের তালিকা খাটো করেন, বন্দুকযুদ্ধ বন্ধ করেন, ক্রসফায়ারের নামে বনি আদমের খুন করা থেকে বিরত থাকেন। এরপর আপ্নেরা আপনাগো কল্লা খান- আমার কিচ্ছু যায় আসে না।

তবে হেফাজত ও গণজাগরণমঞ্চ 'ব্যবহৃত' একটি প্লাটফর্ম।  এটাকে 'ইউজ' কইরা প্রধান দুই দল নিজেদের সব 'পাপ' মোচনের চেষ্টা করেছে। ফাঁকেতালে পড়ে মরেছে কিছু বনি আদম। তাতে কি জনগনের 'বদ রক্ত' উনাদের ক্ষমতা ও রাজনীতিকে পাকা পোক্ত করছে।

এ নিয়ে বিস্তর রাজনীতি অইছে, অইবো। কিন্তু গরিব মাইনষের এতিম পুলাপাইন আর  ঘর ছেড়ে বড় মানুষ অইয়া বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটাইবার জন্য যারা ঢাকায় এসেছেন তাদের  ভিন্ন আবরণে রাজনীতিক ব্যবহার আমি সমর্থন করি না।