আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। সতর্কতাই সবচেয়ে বেশি দরকার। পর্যটকদের যে কোনো জায়গায় যাবার আগে কিছু জরুরী বিষয়ে জেনে নেয়া দরকার-
১. লোকাল নিরাপত্তা, ২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা, ৩. খাবার দাবার, ৪.থাকার ব্যবস্থা, ৫.যানবাহন,৬. পর্যটকের জন্য স্বাস্থ্য সুিবিধা ৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি এবং ৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।
এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমন করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।
হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধাররণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
একই সাথে ভিন্ন সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে থাকে।
আতঙ্ক দিয়ে লেখাটা শুরু করেছি এ জন্য যে, গত সোমবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন। পর্যটন স্পটে মৃত্যু যে কোনো বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য। তবুও এটি ঘটে থাকে।
এর প্রধাণ করাণ আমাদের অসতর্কতা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের সঠিক সুবিধা নিশ্চিতে ব্যর্থতা। তবে সব কিছুর বিচারে আমাদের অসতর্কতাই দায়ি। কারণ জীবন আমার, আমাকে ভাবতে হবে আমি কেনো এ রকম ঝুঁকি নিবোম যা আমার জীবনকে বিপন্ন করতে পারে।
২০০০ সাল থেকে পর্যটন কর্মী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছি। সে অভিজ্ঞতা থেকে উপেরর কয়েকটি বিষয়ের প্রতি নজর দিতে বল্লাম। কে কী বলে দিবে, তা নিয়ে আমাদের বসে থাকলে চলবে না।
মূল কথা হলো এখানে পর্যটন নিয়ে সে রকম কোনো উদ্যোগ এখনো গড়ে ওঠেনি, যা আপনার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
সেন্টমার্টিনে যে স্পটটিতে অনেকগুলো তরুণ প্রাণ দিযেছে, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা অনেকেই জানেন না। এর কারণ আমাদের অসচেতনতা। সেখানকার হোটেলগুলো থেকেও পর্যটকদের কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয় না।
সেন্টমার্টিনে আগে আসলে সে রকম কোনো সৈকত ছিলনা, যেখানে ভেজা যেতো। ২০০১ সালে আমরা প্রথম সেন্টমার্টিনের প্রাসাদ প্যরাডাইসের বিচটি খুঁজে পাই, যেখানে কোনো প্রবাল নেই। আমাদের আগে দুজন প্রবীন পর্যটক এর বিচের সন্কিধান পেলেও সে ভাবে এর প্রচার ছিল না।
কিন্তু এ বিচের পাহাড়ের মত ঢালু অংশে যে কারো নামা উচিৎ নয় সেটি আমরা ২০০২ সাল থেকে প্রচার করে আসছি।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি থেকে আমরা বড় আকারে কাজ করেছি ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালে। এ সময় আমরা সবাইকে বোঝাতে চেয়েছি আবেগের ঝড়ো হাওয়ায় সমুদ্রে ডুবে মরে যাবার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই। সতর্ক হলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
২০০৫ সালে আমাদের চোখের সামনেই কক্সবাজারে একজন বিদেশি নাগরিক ভেসে যান। ওই বছরই সেন্টমার্টিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের দুজন শিক্ষার্থী মারা যান। এরপর এ নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি আমরা। তবে এতদিন পরে ফের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ব্যাথিত করছে।
তবে কক্সবাজারে এখন ইয়াসির লাইফ গার্ড আছে, চাইলে হেলিকপ্টারও পাওয়া যায়। কিন্তু দেশের অন্য কোনো বিচে এ সুবিধা নেই। বিচটিতে নেটিং করার বিষয়ে ২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি, কিন্তু পর্যটন করপোরেশনের কাউকে এটি বোঝাতে আমরা সক্ষম হইনি। নেটিং করা গেলে অন্তত দ্রুততম সময়ে ডুবে যাওয়া মানুষটিকে উদ্ধার, একবারে কিচ্ছু না হলেও মৃত মানুষের লাশটি স্বল্প সময়ে পাওয়া যাবে।
দেশের ঝুঁকি পূর্ণ পর্যটন এলাকা ও সেখানে করণীয় নিয়ে এ লেখার দ্বিতীয় পর্বটি কাল লিখবো। খেয়াল রাখতে পারেন এই লিঙ্কেও। https://www.facebook.com/touristplus.bangladesh
১. লোকাল নিরাপত্তা, ২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা, ৩. খাবার দাবার, ৪.থাকার ব্যবস্থা, ৫.যানবাহন,৬. পর্যটকের জন্য স্বাস্থ্য সুিবিধা ৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি এবং ৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।
এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমন করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।
হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধাররণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
একই সাথে ভিন্ন সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে থাকে।
আতঙ্ক দিয়ে লেখাটা শুরু করেছি এ জন্য যে, গত সোমবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন। পর্যটন স্পটে মৃত্যু যে কোনো বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য। তবুও এটি ঘটে থাকে।
এর প্রধাণ করাণ আমাদের অসতর্কতা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের সঠিক সুবিধা নিশ্চিতে ব্যর্থতা। তবে সব কিছুর বিচারে আমাদের অসতর্কতাই দায়ি। কারণ জীবন আমার, আমাকে ভাবতে হবে আমি কেনো এ রকম ঝুঁকি নিবোম যা আমার জীবনকে বিপন্ন করতে পারে।
২০০০ সাল থেকে পর্যটন কর্মী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছি। সে অভিজ্ঞতা থেকে উপেরর কয়েকটি বিষয়ের প্রতি নজর দিতে বল্লাম। কে কী বলে দিবে, তা নিয়ে আমাদের বসে থাকলে চলবে না।
মূল কথা হলো এখানে পর্যটন নিয়ে সে রকম কোনো উদ্যোগ এখনো গড়ে ওঠেনি, যা আপনার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
সেন্টমার্টিনে যে স্পটটিতে অনেকগুলো তরুণ প্রাণ দিযেছে, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা অনেকেই জানেন না। এর কারণ আমাদের অসচেতনতা। সেখানকার হোটেলগুলো থেকেও পর্যটকদের কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয় না।
সেন্টমার্টিনে আগে আসলে সে রকম কোনো সৈকত ছিলনা, যেখানে ভেজা যেতো। ২০০১ সালে আমরা প্রথম সেন্টমার্টিনের প্রাসাদ প্যরাডাইসের বিচটি খুঁজে পাই, যেখানে কোনো প্রবাল নেই। আমাদের আগে দুজন প্রবীন পর্যটক এর বিচের সন্কিধান পেলেও সে ভাবে এর প্রচার ছিল না।
কিন্তু এ বিচের পাহাড়ের মত ঢালু অংশে যে কারো নামা উচিৎ নয় সেটি আমরা ২০০২ সাল থেকে প্রচার করে আসছি।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি থেকে আমরা বড় আকারে কাজ করেছি ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালে। এ সময় আমরা সবাইকে বোঝাতে চেয়েছি আবেগের ঝড়ো হাওয়ায় সমুদ্রে ডুবে মরে যাবার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই। সতর্ক হলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
২০০৫ সালে আমাদের চোখের সামনেই কক্সবাজারে একজন বিদেশি নাগরিক ভেসে যান। ওই বছরই সেন্টমার্টিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের দুজন শিক্ষার্থী মারা যান। এরপর এ নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি আমরা। তবে এতদিন পরে ফের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ব্যাথিত করছে।
তবে কক্সবাজারে এখন ইয়াসির লাইফ গার্ড আছে, চাইলে হেলিকপ্টারও পাওয়া যায়। কিন্তু দেশের অন্য কোনো বিচে এ সুবিধা নেই। বিচটিতে নেটিং করার বিষয়ে ২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি, কিন্তু পর্যটন করপোরেশনের কাউকে এটি বোঝাতে আমরা সক্ষম হইনি। নেটিং করা গেলে অন্তত দ্রুততম সময়ে ডুবে যাওয়া মানুষটিকে উদ্ধার, একবারে কিচ্ছু না হলেও মৃত মানুষের লাশটি স্বল্প সময়ে পাওয়া যাবে।
দেশের ঝুঁকি পূর্ণ পর্যটন এলাকা ও সেখানে করণীয় নিয়ে এ লেখার দ্বিতীয় পর্বটি কাল লিখবো। খেয়াল রাখতে পারেন এই লিঙ্কেও। https://www.facebook.com/touristplus.bangladesh
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন