ইস্টিশন বদলাও-- রুট বদলাও মেট্রোরেল!

মেট্রোরেলের ইস্টিশন ক্যাম্পাসের ভিত্রে অইলে কী না অইলে কী!  তাই না। এখন যারা এ সব কইতাছেন তারা সুবিধাবাদী বলে ঠাওরাই। এই ক্যাম্পাসের  বহু অনয়িমের বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। তারা মেট্রোরেল ইস্যুতে  মাঠে নামছে বলে শোনা যাচ্ছে। সংগঠনটির মুরুব্বী 'স্যার' যেদিন কইলো রুট বদল হপে না। তার পর দিনই তারা মাঠে নামিছে।

সাধারণ ছাত্র সংগঠনের নামে নামিছে। এ সব সাধারণ ছাত্ররা সব আমলেই জিম্মি। সক্কারি দল ডাকপে আর তারা নামিবে না--- অভিজ্ঞতা তাতে সাঁয় দেয় না।

তা মেট্রোরেল যদি বাপু শক্তিমানদের ইশারায় রুট বদলাতে পারে; তাইলে শক্তিহীন অপুষ্ট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে ক্যান বদলাতে পারবে না! পারবে না কারণ রাজনৈতিক ক্ষমতার নড়নচড়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক তলানিতে ঠেকেছে! সে যাউকগা---  রুটটা বদল হওন জরুরী। কারণ চুনকাম খসে পড়লে যে সব স্থাপত্যের জন্য সক্কার বাহাদুরের ছাত্র -সম্বাদিক লাঠিয়ালরা মরাকান্না জুড়ায়া দিত--- তারা এখন ক্যান যে গিলছে--- ক্যাম্পাসের ভিত্রে ঐতিহাসিক সব স্থাপনার লগে ইস্টিশন! বুঝে আসে না? আসে। কিন্তু সব বুঝ মাবার চায়না মন!

রেল ইস্টিশন ঘিরা এ দেশে কী সব ব্যবসাপাতি জমে এইডা সব্বাই জানে। কিন্তুক ক্ষমতার চ্রম শক্তি । ক্ষমতা এ হক কথা সব সময় কইতে দ্যায় না!

 তারপরেও তো কিছু মানুষ আছে। ভয় উড়িয়ে গলা ছেড়ে জীবনের গান গাইবে। আমরা তাই কণ্ঠ মিলাই--- ইস্টিশন বদলাও-- রুট বদলাও মেট্রোরেল!    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে --- দু'শ বছরের পুরনো স্থাপনা ঢাকা গেট বা মীর জুমলার গেটের কোলে ইস্টিশন হবে! এটা কী মানতে হবে। ইস্টিশন হাইকোর্ট মাজার গেট কিম্বা শাহবাগ অইলে কী খুব সমস্যা!

২০ জানুয়ারী আসল সাধারণ ছাত্ররা নাকি মেট্রোলের রুট বদলানোর দাবিতে আন্দোলনে করবে একই সময়ে একই স্থানে। যেখানে আগে থেকে ম্রেটারেলর রুট বদালোর দাবিতে ইান্দোলনে থাকারা কর্মসূচী ঘোষনা করে রেখেছেন। একই দিন আরেকটা প্রোগ্রামের ঘোষণাকে 'গুজব' বলে ধরে নিচ্ছি। কারণ আসল ছাত্রদের পৃষ্ঠপোষকরা শান্তি চায়। সঙ্ঘাত নয়। তাই দু'পক্ষই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করো--- পরামর্শ থাকলো।


  

সুচিত্রা ছাড়া বাঙালির দু বছর

রূপালী পর্দায় মানুষের সাদা কালো জীবনের রঙ্গিন স্বপ্নগুলোকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলার মহা নায়িকা সুচিত্রা সেন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারী মারা গেছেন। জানি এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবুও কিছু মৃত্যু আমাদের বেশি কষ্ট দেয়। সুচিত্রা ছাড়া বাঙালি পার করছে দু বছর !

সাধারণত নায়িকারা চলচ্চিত্রে আসেন, তারপর ক্যারিয়ার গড়েন এবং বিয়ে করে সংসারী হয়ে ঘরে ফিরে যান। 

বাংলাদেশে জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং সংসার শুরু করে পরে কলকাতায় থিতু হওয়া সুচিত্রা এখানে একেবারেই ভিন্ন। তিনি পড়াশোনা করেছেন, বিয়ে করে সংসার শুরু করে স্বামীর উৎসাহেই সিনেমায় এসেছেন, এবং বাংলা সিনেমার দর্শকদের মতন জয় করেছেন বছরের পর বছর ধরে। 

তার সিনেমার নায়ক উত্তমের জীবনাবসানের পর তিনি একাকী জীবন বেছে নেন। সিনেমা থেকে সরে যান দূরে। একেবারেই একা-রহস্যময় তার সে জীবন তার। সেখানে কারোরই প্রবেশ ছিলনা।

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুচিত্রা ২৬ দিন লড়েছেন, শুনছিলাম প্রার্থনা সঙ্গীত শুনছেন, এর ভেতর তিনি চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। 

মহানায়িকার জন্য শ্রদ্ধা। বাংলা সিনেমা তার রূপালি দিনের সোনালী অতীত ফিরে পাক। জয় হোক বাংলা সিনেমার, শান্তি পাক সুচিত্রার আত্মা।

শরীর পোড়ে



কামকাতুরে শরীর নিয়ে তার যতটা মাথা ব্যথা
 তার চে বেশি তোমার-তোমাদের

শরীর পোড়ে---তড়ফায়--উপুড় হয়
এ ফোঁড় ও ফোঁড় হতে ইচ্ছে করে !

তাতে তোমার কী! তোমাদের ---

খসে পড়া সিক্ত শিশিরসম কামরস!
তোমাকে চায়নি--- তবুও তুমি-তোমরা এসেছো

 বাঁধন খুলে বলেছো--- আমি মুক্ত!
আমরা স্বাধীন !

মুক্তি আমি চেয়েছি--- গোলাপি ঠোঁটের উপর আরেকটি ঠোঁটও  প্রত্যাশিত ছিল

সেটি ভালোবাসার---

 যৌন স্বাধীনতার নামে তোমরা বেশ্যা কারবারি !

চিবিয়ে খাচ্ছো তরুণী শরীর
এখন এখানে ইরানে !

এসে পড়ছো তোমরা
আনবিক বোমার ওপর ভর করে
মুহুর্তে ঢুকে পড়ছো এ পাড়া ও পাড়া বহু পাড়ায়!

--- কম্পমান ঠোঁট ভিজিয়ে যাবে তোমাদের নোংরা থুতু...

 এরও আগে যে ঠোঁট তুমি-তোমরা চেপে ধরেছিলে
মঙ্গলীয় তরুণীর ঠোঁটে--গ্রীবায়!
স্তনের বোটা নোংরা করেছিলে---সেই একই ঠোঁট!

ভালোবাসতে তোমরা আসনি --- ভালোবাসতে পারো না তোমরা---

মায়ার জালে জড়িয়ে তুমি-তোমরা একেকটা সকাল আমার জন্য নিয়ে আসছো--- উদারতায় তোমাকে সঁপে দেবার জন্য!

 তারপর

তারপর তোমার-তোমাদের দেখা মিলবে না---

 বদলে যাবে সমাজ--- সংস্কৃতি-- জীবন

তুমি-তোমরা পালিয়ে যাবে! পালাবে নিশ্চিত!

তোমরা পালাতেই জানো! তোমরা দাঁড়াতে জানো না! ভোগই তোমাদের লক্ষ্য!