কি বলেন মিয়া ভাইয়েরা!


ছোট বেলা থেকেই আমার অগ্নি ভীতি। ঢাক্কায় আওনের পর চিকিৎসা করন লাগছে। এখন কিছুটা ভালো। আজ সক্কাল বেলা- স্ত্রী জানাইলো কাওরান বাজারে আগুন লাগছে। বুক ধক কইরা উঠছে; জিগাইলাম কই। জানাইলো- এনটিভি-আরটিভি বিল্ডিং।
এ ভবনটা ঢাকার খোলামেলা মেলা ভবনগুলোর মইধ্যে একটা; বাইরে থেইকা তাই মনে লয়। মজবুত বিল্ডিংও বটে। কিন্তু এইখানে আগুল লাগে ক্যান; বুঝতাছি না। ফখর মইন সরকারের সময় একবার আগুন লেগেছিল; প্রাণহানিও ঘটেছে।
আজ (31 October 2014) আবারও! ঘটনাটা কেমুন ঘোলাটে।
সরকারের মালিকানার এ ভবনটার দিকে সবার নজর; 'শাহবাগে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি'- বাক্য দিয়ে 'স্পিসলেস হেড লাইন' করা ফত্রিকা আমার দেশের অফিস এখানে; কাগজের অপচয় থেকে সরকার তাদের মুক্তি দেয়ার পর যেইডা এখন কেবল ডিজিটাল ভার্সনে প্রকাশ পায়!
এর বাইরে বিম্পি নেতা ফালু'র টিভি নিউজ ও বিনোদন কারখানা এনটিভি এখানে; তেনার সুলভে বিক্রি করা আরটিভি অফিসও।
একটা জুতসই তদন্ত কমিটি কইরা ঘটনা খোলাসা করন দরকার; কি বলেন মিয়া ভাইয়েরা! নইলে শর্ট সার্কিট; জ্বলন্ত সিগ্রেটের লেঞ্জা থেকে আগুনের তত্ত্ব সন্দেহ তৈরি কইরাই যাইবো!

সে আসেনি; সে আসবে না!



যাকে বলেছিলাম; 
তুমি এলে আমি একটা বিকাল কাটিয়ে দেবো তিন্দুর জলে
যাকে বলেছিলাম 
তুমি এলে গাঁয়ের ধান ক্ষেতের ঘোলা জলের ওপর জোছনা দেখে কাটিয়ে দেবো একটা রাত
যাকে বলেছিলাম 
কাদামাখামখির বৃষ্টি মুখর সকালে আমরা দুজন ভিজবো; একান্তে

টিনের চালের ওপর গাছের পাতা পড়ার শব্দও কখনো হবে না
হওয়ার কথাও নয়; এমন রাত্তির আমরা পার করবো নীলাচলের চূড়ায়; টিনের ঘরে

হিম বাতাস বয়ে যাওয়া বিকাল;
সন্ধ্যাটা ঘনিয়ে আসলে শেয়াল এসে বাঙলোর দরজায় কড়া নাড়বে
শ্রীমঙ্গলে এমন গহীন শীতল -মুখর রাত কাটাবো আমরা

সে আসেনি; সে আসবে না। আমি ছিলাম; আছি- একা নিরালায়। 

এমনই অস্থির সময়; সেখানে এমন আনন্দ সময় আসতে পারে না। 

তবুও অপেক্ষা! অপেক্ষা! অপেক্ষা!! 

যাও বাবা মোডি কাকুর দেশে যাও

ইনডিয়ায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হইছে। পুলাপাইন খালি এহানে ওহানে ঘোরে। ওইখানে গেলে কী অয়। বঙ্গ দেশের সবাইরে তারা তালিম দিতাছে। এডমিন; আর্মি; সীমান্তরক্ষী; রাজনীতিক- সবখানে। 

উঠতি তরুণদের তালিম দেওনেরও সুব্যবস্থা আছে। মোডি কাকুর লগে যোগাযোগ করো। ফিরা আইসা কইবা- শান্তি নিকেতনের মত শান্তি কোথাও নাইরে পাগল। তয় মুম্বাইতে শাইনিং লাইফ। পুনের জীবনটাই অইন্য রকম- বঙ্গ দেশ একটা গার্বেজ। 


তুমরা অফ যাও; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইবার চান্স নেওনের দরকার নাই একবার পইরা আসো ইনডিয়া থেকে। সাথে পাইবা চেতনা সার্টিফিকেট। দুনিয়া ফকফকা। তোমাগো লাইগা স্পেশাল কোটার ব্যবস্থা অইবো। ভাইবোনা- আম্লীগ যদি ক্ষমতা চাইরাও দেয় তোমগো অসুবিধা অইবো না। 

বরং বাড়তি সুবিধা পাইবা। জমাত-জাতীয় পার্টি আইলে পুরাই শীলা কী জওয়ানি! 


যাও বাবা মোডি কাকুর দেশে যাও। এই দেশে তুমার জন্য একবারের বেশি চান্স নাই। সেইখানে আছে। কিঞ্চিত বৃত্তি দিবানে ।

দেহনা বিনাশুল্কে এখন ভারতীয় মাল যাইতাছে বঙ্গদেশের বুড়িয়ে যাওয়া নদীতে। তুমরা পইড়া আইলে কৃতজ্ঞতা স্বরুপ তারা যাই চাইবে তাই আরেকটু সহজ কইরা দেওন যাইবো। যারা চিল্লাইবো তাগোর জন্য বরাদ্দ শীতলক্ষ্যার জল। যদি তদ্দিন তা ব থাকে! 

গুডলাক ;বেস্ট অব লাক বঙ্গ তরুণরা।

পিয়াসের জন্য ড. ইউনূসের শোক এবং একটি ভুল তথ্য ভিত্তিক সমালোচনা!

বাধ্য না হলে মানুষকে আমি খারাপ বলিনা; কারণ আমি নিজেও যে যথেষ্ট ভালো মানুষ-সেটি প্রমাণ করার চেষ্টা করিনি। কিন্তু কিছু মানুষ আমার কাছে খুব নমস্য।
যাদের শ্রদ্ধা করি; দুঃখ পাই যখন তারা কেবলই নিজেদের 'জাতে' তোলার জন্য খ্যাতিমান ব্যাক্তিদের সমালোচনা করেন এবং কদর্যভােবেই করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে করেন। সে কথাটি মনে রেখেই আমি লেখাটির অবতারণা করলাম।
আমি এটাও বলছিনা- সমালোচনার সত্য কারণ ও তথ্য থাকলে আপনি করবেন না। কিন্তু সেটার নিশ্চয় একটা মাত্রা রয়েছে।
দেশটা এমন যেখানে আমার নিজের দিকে তাকানোর ফুরসৎ নাই; অন্যের সমালোচনা করে নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে হয়। অথচ যার সমালোচনা করছি তার ধারে কাছে পৌছানোর জন্য কয়বার জন্মাতে হবে তার হিসাব করি না। এটা আমার ব্যাক্তিগত মত!
সবচেয়ে নোংরা মনোবৃত্তির যে বিস্তৃতি ফেসবুক; ব্লগের কল্যাণে প্রকাশ পাচ্ছে সেটি হলো- নিজের মত করে সব কিছুর প্রত্যাশা। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রও হিসাবে যেটা জেনেছি ব্যাক্তি স্বাধীনতা তা; যা আপনি অন্যের ক্ষতি ছাড়া উপভোগ করেন। অন্যের চরিত্রে কলঙ্ক লেপন করে সেটি এক ধরণের নোংরা মনোবৃত্তির বিকাশ ছাড়া কিছু নয়।
আমি খুব সাদামাটাভাবেই বলি- আমি ড. ইউনূসের একজন দালাল। তাকে ফলো করি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ঘোষনার দিন থেকে। তার সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক ধারণা আমার ছিল; কিন্তু কাজ করতে গিয়ে সে সব ভুল ভেঙ্গেছে। আমি তাকে অনেক বিষয়ে প্রশ্ন করে সে সব জেনেছি এবং তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়ে কথাটা বল্লাম।
ঢালাও একটা লোককে হেও করে যে রকম বিকৃত আনন্দ কেউ উপভোগ করেন তাদের বিপক্ষে আমার অবস্থান; যদিও এ সমাজে আমি খড় কুটোরও নিচে; আমার অবস্থান ড. ইউনূসের মত একজন মহৎ প্রাণের কিচ্ছু যায় আসে না। তারপরেও নিজের এ গোপন কথাটা বলে রাখলাম।
তবুও লেখটা লিখছি; কারণ পিয়াস করিমের মৃত্যুতে ড. ইউনূস শোক প্রকাশ করায় অনেকে তাকে নিয়ে স্যাটায়ারধর্মী লেখা লিখেছেন; আমার একজন বড় ভাই তুল্য সম্বাদিকও সেই কাতারে আছেন। সাধারণত ব্লগ-ফেসবুকের আবেগি কারখানায় অনেক কথা অনেকে বলেন; সেটি তথ্য সূত্র হীন। সেই কাতারে একজন অগ্রজ সম্বাদিকের গা ভাসানোকে আমি খুবই দুঃখজনক বিবেচনা করছি।
আরো দুঃখজনক- ড. ইউনূস দেশে আসেন বলে রস করার জন্য। কারণ যে ভারত আমাদের কাছে নমস্য সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালামও শনিবার ঢাকায় বলেছেন, বিশ্ব ইউনূস; নজরুল; রবীন্দ্রনাথ ও জগদীসকে দিয়ে বাংলাদেশকে চিনে।
গা ভাসানো লোকেরা নিশ্চয় তাকেও শাহবাগের চেতনাপন্থি বলবেন না- কারণ তিনি দেশেরে স্থপতির নামটাই বলেননি; সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হলে তা নেমে যাবে। জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা করেননি; মনে লয় জমাত ইসলাম তারে ঘুষ দিছে! বিম্পি লবি করছে।
মুল কথায় আসি- আমি শুধু সত্য তথ্য হিসাবে গোটা তিনেক মেইল তুলে ধরলাম। ড. ইউনূস অনেকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তার দু'টি মেইল তুলে ধরলাম। আশা করি বড় ভাইয়েরা তাদের বুল বুঝতে পারবেন। আর ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য আমাকে 'চেতনা ' বিনাশী হিসাবে শনাক্ত করে আক্রমণ করবেন না; যে উনাদের মতাবলম্বী শাহবাগী দেশপ্রেমিকরা করে থাকেন।

মেইল-১::

Lamiya Morshed <.....com>
12/9/12
to bcc: me
Dear Editor,
Please find attached a message of condolence from Professor Muhammad Yunus on the passing
of Professor Khan Sarwar Murshid. Please print the message in your esteemed daily or online publication.
Regards.
Sincerely,
Lamiya Morshed
Executive Director
Yunus Centre
www.yunuscentre.org

মেইল:২

Robayt Khondoker
Jan 12
to bcc: me
Dear Editor:
Greetings!
Please be informed that Nobel Peace LaureateProfessor Muhammad Yunus has expressed deep shock at the passing away of Muhammad Habibur Rahman, a former chief justice and also chief adviser to the 1996 caretaker government. He also prayed for the eternal peace of the departed soul and conveyed deep sympathy to the bereaved family. Please find below a press release on the same.
We would highly appreciate if you print the messagein your highly circulated newspaper/e-paper/ web-portal/news blog.
Thank you in advance.
Md. Robayt Khondoker
Program Associate
Yunus Centre

মেইল:: ৩

Dear Editor,
Please find below message from Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus on the passing of Professor Piash Karim earlier today:
"I am shocked to hear the news about Piash Karim's death. This fearless, principled intellectual who won the heart of all Bangladeshis by his dedication to speaking truth to power. His analytical mind and commitment to truth inspired the whole nation. His departure is a great loss. May Allah grant him eternal peace."
We hope you will publish the message in your esteemed publication/newspaper/online platform.
Thank you.
Sincerely,
Lamiya Morshed
Yunus Centre
আসেন এবার সমালোচকরা মেইলের শব্দ সংখ্যা; শব্দের ব্যবহার; বাক্য বিন্যাস নিয়ে আলাপ করে আরেক মতামত দিতে পারেন!

উচ্ছন্নে যাওয়া আমরা; একজন আব্দুল কালাম

যে ক'জন মানুষের বক্তব্য আমাকে মুগ্ধ করেছে তাদের মধ্যে ড. ইউনূস; ফরহাদ মজহার; সলিমুল্লাহ খান; সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী এবং অমর্ত্য সেনকে বাদ দিলে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম নিশ্চিতভাবে ড. ইউনূসের পাশপাশি থাকবেন।
তার বক্তব্য, চিন্তার বিস্তৃতি, দর্শন এবং এগিয়ে থাকার চেতনা আমাকে কেবল মুগ্ধ করেননি; ভাবিয়ে তুলেছে - আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য কেমন একটা সমাজ রেখে যাচ্ছি।
শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানেআবদুল কালাম তার বক্তব্যটার শুরুতেই বলছেন, মানুষের বিকাশ তার পরিবার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তার বক্তব্যের পরতে পরতে সৃজনশীলতার কথা। উদ্ভাবনের কথা এবং ব্যবস্থাপনার কথা। লক্ষ্য স্থির করার কথা।
বিস্ময় এবং কষ্ট দুটোই আমাকে আচ্ছন্ন করেছে। আরো বেশি আচ্ছন্ন করেছে ব্যর্থতা। কারণ আমরা আসলে পেছনে পড়ে আছি এবং নিয়তই পেছনে যাবার প্রতিযোগিতা করছি।
আবদুল কালাম বলছেন, বিশ্বের মানুষের সবচেয়ে বড় সঙ্কট হবে গুণগন মা্নসম্পন্ন শিক্ষা ও মূল্যাবোধ। এ জন্য বিশ্বজুড়েই একটা ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে।
আমাদের মত গরিব দেশ; বিশেষ করে ভারত দ্বারা শোষিত দেশ কীভাবে কোমর খাড়া করে দাঁড়াবে; সেটা নিয়ে তার স্পেশাল কোনো কথা তার বক্তব্যে না থাকলেও নিজেদের নিজের জন্য পরিকল্পনা করার কথা বলেছেন।
ধরে নিন পাটের কথা। বিশ্বব্যাংক বলেছে আমদজী বন্ধ করো। আমরা বন্ধ করে দিলাম। আরো অনেক চট কল বন্ধ করে দিযেছি। সেখানেই আব্দুল কালাম আমাদের সম্ভবানার কথা বললেন।
তার কথটা খুব মনে ধরেছে; কেউ বললো আপনি এটা বন্ধ করেন; অমনি আপনি তা বন্ধ করে দিবেন। আপনারা পরিকল্পনা কি? প্রশ্নটা তিনিই করলেন। আসলে বঙ্গ দেশের কারো কোনো পরিকল্পনা নেই।
গানেই তো `যেমনে নাচাও তেমনি নাচাও পুতুলের কি দোষ।' আমরা আসলে পুতুলের মতই।
মূল্যবোধ ও গুণতমত মানসম্পন্ন যে শিক্ষার কথা বলেছেন, আবদুল কালাম; সেটি কী আমাদের আছে। আমাদের সন্তানদের সামনে আমরা নিয়ে হাজির হচ্ছি। সে কি হবে? নাকি তার কী হবে ইচ্ছা। আমরা কোনটিকে প্রধান্য দিচ্ছি।
কিন্তু এ ইচ্ছাটা কীভাবে জন্মায়। সে জন্য ক্ষেত্রে কেমন। দ্রাবিড় কিম্বা চণ্ডাল; আশরাফ কিম্বা আতরফ- যে গ্রোত্র ভুক্তই আমরা হই না কেনো; বৈশ্বিক সঙ্কট থেকে মুক্ত আমরা নই।
বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য; মুসলামন কিম্বা হিন্দু; কিম্বা বৌদ্ধ কিম্বা খ্রিস্টানের একটা ধারা; আমরা যে ধর্ম বিশ্ববাসীরা বয়ে চলেছি- সে দিকে নজর দেবার সময় কী আমাদের আছে। চূড়ান্ত বিচারে নেই। আমরা ভারতীয় কিম্বা পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা সব সময় প্রভাবিত- নিশ্চতভাবেই এ প্রভাব থাকতে পারে; কিন্তু সেটি বাছ বিচারের জন্য যে দরকারি জিনিসটি দরকার; সেটি আমাদের নেই। তা হলো বিবেক দ্বারা তাড়িত হওয়া।
আমরা বিবেক নয়; ভোগ দ্বারা তাড়িত। যেখানে নীতি নৈতিকতার বালাই নেই; আমরা ধর্ম পালন করতে পারি না কিম্বা বাঙালি সংস্কৃতির লালন করতে পারি না- সে জন্য আমাদের লজ্জিত হবার বদলে অহঙ্কার হয়। আর কথা তো সত্যি অহঙ্কার পতুনের মূল। কেবল কেতাবে পড়েছি; বাস্তবে আমল করছি না।
মন খারাপ হচ্ছিলো কালামের বক্তব্যে- একটা উচ্ছন্নে যাওয়া; নানা রকমের বিভক্তির ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠছে নতুন প্রজন্ম। যাদের দিয়ে আবদুল কালামের থিওরি মেনে বঙ্গদেশের উন্নয়ন হয় না।
তবুও আশায় বুক বাঁধি। আবদুল কালামের বক্তব্যের কিছুটা যদি উপলব্ধি করতে পারি ; তাহলে আমরা টিকে যাবো। নইলে বিশ কোটি কিম্বা তার কিছু কম বেমি লোকের বাজার ছাড়া আমরা কিছুই হতে পারবো না। এখানেই আফসোস।
আসনেনা মাও জে দং; লেলিন, সেক্যুলারিজম; জমায়াত ইসলাম; বাঙালি জাতীয়তাবাদ কিম্বা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তকমা খুলে চোখটা কচলে দেখুন না; কোথায় দাঁড়িযে আছি। কোথায় যাবার কথা ছিল। পথ কোথায়? ভাবনু।
আবদুল কালামের কথায় বলি আপনার ভিমনটা কি তা ঠিক করুণ। আপনার পকিল্পনা আপনি করুন। আপনি যে ক্ষেত্রে থাকুন না কেনো; হতে পারেন আপনি চাকুরীজীবী; হতে পারেন ব্যবসায়ঢী; কৃষক কিম্বা পলিটিশিয়ান। আপনাকেই আপনার গন্তব্য ঠিক করতে হবে। কেউ তা ঠিক করবে না।

মনের আয়নায়


তোমার সাথে আমার দেখা হওয়াটা জরুরী  ছিল না
তবুও হয়েছে; এটা খুব যে ইচ্ছে করে তাও নয়! তবুও হয়েছে।

চিরচেনা এই কাঁশফুলের বাগান;
যেখানে কাশের ডগায় হাত কেটে যাবার ভয়; আবার নরম ছোঁয়া ফুলের!
যেনো আমার ছেলের গাল; এখনো যে সব কিছুতেই 'ত' উচ্চারণ করতে পছন্দ করে

আমি বিস্ময় ভরে মনের আয়নায় দেখি-
সেই সময়; বছর কুড়ি কিম্বা তারো আগে-
ইটের ভাঙাচোরা রাস্তায় যখন ভট ভট শব্দ তুলে ছুটতো  অটোরিক্সা
আর পেছনে ছুটটো গাঁয়ের ছেলে মেয়েরা

এ ছোটাছুটির কোনো মানে নেই; তবুও ছোটায় আনন্দ

ছুটোছুটির যে আনন্দ আমরা পেয়েছি ছোট বেলায়- সে আনন্দ এখন নেই

সব দিকে নষ্ট হবার ভয়! তাই মা হাত চেপে ধরে  নিয়ে যান তার সন্তানকে
হাত চেপে নিয়ে আসেন বাসায়।  পাড়াগাঁর ছেলে ছোকরাদের সাথে মিশলে গোল্লায় যাবে! সে কী ভয়।

নিজেরাই নিজের খাঁচা বন্ধি করছি।

খাবার দবার বলতে কেএফসি'র চিকেন; বিএফসির ফ্রাইড রাইস
সময় পেলে চলো ফ্যান্টাসি; নন্দন

শিক্ষক চোখ রাঙিয়ে বসে থাকেন; মাস শেষে বেতন আসবে ঠিকই; কিন্তু  শিক্ষার্থী হতে হবে ক্লাশে নাম্বার ওয়ান

সবারই একই চেষ্টা -
কিন্তু নাম্বার ওয়ান তো একজনই হয়!

জীবনে কেউ কি নাম্বার ওয়ান হতে চান: চান না।
বলেন জীবন এমনই! হতে পারে।

ভট ভট শব্দ তুলে ছুটে চলা অটোরিক্সার পর সবুজ রঙ্গের সিএনজি এসেছে সবখানে; পাকা হয়ে গেছে রাস্তা।

তবুও বাসের কালো ধোঁয়া; ইমারত নির্মাণের জন্য বালুর ছড়া ছড়ি আর উন্নয়ন কাজে মগ্ন নগরে কেবলই রোগ বালাই

শ্বাসকষ্ট; গিটে ব্যাথা; চোখ কচকচ করে; আরো কত্ত কী

তাতে কি? আমরা সভ্য হয়ে উঠছি দিনে দিনে-

সেই সাথে মরে যাচ্ছে আমাদের মনুষ্যত্ব-সেদিকে খেয়ালের দরকার কি

মোটা অংকের বেতন; এসি গাড়ি আর  মাস্তিই এখন জীবনের লক্ষ্য।

গাঁয়ের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বুড়ো পথিক-
থালা হাতে গরিব মানুষটির দিকে এগিয়ে যাওয়া
হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া মানুষটির হাত ধরে থাকার মধ্যে এখন আর আনন্দ খুঁজি না আমরা।
 তবুও আছি
এই বেশ আছি; ভালো আছি। ভালোবাসি।