জামায়াত নিষিদ্ধ করতে হবে এখনই!


হোমিও চিকিৎসা আর নয়।এবার এন্টিবায়োটিক দরকার।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যে কথা আপনি দিনের পর দিন বলে আসছেন-এবার তার বাস্তবায়ন করুণ এবং সেটি অতি দ্রুততার সাথে।
এটা করার জন্য আপনি ম্যানডেট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন- ৫ জানুয়ারীর একটি নির্বাচনি দৃশ্য মঞ্চায়নের পর। সুতরাং এ কাজে আপনার দেরী, আপনার আন্তরিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা চাইনা আপনি এ রকম একটি  বিব্রতকর অবস্থায় আপনি বা আপনার দল পড়ুক।

আমি নির্বাচন মঞ্চায়ন বলছি এ কারণে যে - আম্লীগ যে ভোটের অধিকারের ডাক দিয়ে  ১৯৯৬ সালে বিম্পিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলো, আপনার দলের মিত্র জামায়াতকে সাথে নিয়ে-  সে ভোটাধিকার প্রয়োগের  সুযোগ থেকে আমি নিজেই এবার বঞ্চিত হয়েছি।আপনিও। খবরের কাগজ আর টিভি চ্যানেলগুলো ভোট দেবার পরে আপনার  হাস্যোজ্জ্বল ছবিটা মিস করেছে। 

সে সময়কার, মানে ১৯৯৬ সালের  দৃশ্যটা কল্পনা করছি- আমার বয়স তখন ১৫ ।

খবরের কাগজে ছবি ছাপা হলো একজন সরকারি কর্মচারী অফিস যাচ্ছেন- তারে ধরে ন্যাংটা করা হলো।  মখা আলমগীর  আঙ্কেল জনতার মঞ্চ করলেন- সচিবালয়ের ফাইল পত্র রেখে সরকারি টাকায় বেতন ভোগ করে তারা তখন  আম্লীগের পক্ষে জামায়াতের সাথে দোস্তি করে রাস্তায়। হাউ ফানি!

সে সময়ও জামায়াত আম্লীগের  মিত্র! সায়েদাবাদে একটা গাড়ি সব যাত্রী সহ ভোটাধিকারের জন্য পুড়ে গেলো- সে সময়ও আম্লীগ-জামায়াত মিত্র। 

পুরনো স্মৃতি মানুষকে আবেগ তাড়িত করে- ব্যাথাতুর করে আবার শিক্ষা নেবার জন্যও সহায়তা করে। আম্লীগ কোনটি পছণ্দ করছে- সেটি বলা ভারি মুশকিল।

জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আদালতে মামলা আছে। এখনই তারা কোনো অ্যাকশনে যেতে পারছেন না। 

আমরা প্রায় সবাই জানি- আইন আদালত এ সব ক্ষমতার পদতলে লুটিয়ে পড়ে থাকে সব সময়- সারা বিশ্বজুড়ে। সক্রেটিসকেও আদালতের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। এটা খ্রিস্ট পূর্বাব্দের কথা।  হাল জামানায় ইরাকের  সাদ্দাম হোসেনকেও আদালতের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আরো অনেককে হত্যা করা হচ্ছে।  নেলসন ম্যান্ডেলাকেও কিন্তু আদালতের মাধ্যমে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের আদালত তো স্বাধীন- কিন্তু পাখনাটা অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা। জুয়েল আইচের জাদুর মতন। পুরাই পাঙ্খা।  সে যাই হোক- সরকার চাইবে আর হবেনা, এমন সাধ্য কার!  আদালতে এখন তো মানিক সাহেব, সিনহা বাবুরা আছেন।  এরপরেও সরকারের সমস্যা হলে- এটাকে বলতে হবে দুর্ভাগ্য। 

আসুন-জামায়াত নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে বাধ্য করি- নইলে  এ নিয়ে রাজনীতি চলতেই থাকবে। চলতেই থাকবে এবং আমাদের ভোটাধিকারের কপাল পুড়বে- সংখ্যালঘু নির্যাতন বাড়তেই থাকবে। আর মানুষের অনিরাপদ মৃত্যু এবং গুম হয়ে যাওয়া সীমার বাইরে চলে যাবে। এমন দেশ আমরা চাইনি, এখনো চাইনা। সামনেও চাইবো না।  

কোন মন্তব্য নেই: