ফেসবুকের পাতায় অনেকের অনেক রকম ছবি দেখি। এক সময় বাংলা সিনেমার পোস্টমর্টেম লিখতাম। এখন সেটা করা হয় না। ফেসবুকের ছবি নিয়া ক'টা কথা বাধ্য হয়ে লিখছি। বিষয়টা আমার কাছে সুরুচির মনে হয়নি বলে বলা।
সাধারণত কামকলা, কামাগুন এবং নারীর ঝলসানো রূপের বন্দনা করা কবি-সাহিত্যিকরে অভাব নাই। তার ওপর এ সব নিয়ে অনেক পুস্তক রচিত হয়েছে।
আমার পড়া এ রকম পুস্তিকার মধ্যে সবচেয়ে নোংরা গল্প হলো-সৈয়দ শাসুল হকের বাজার সুন্দুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে যোদ্ধাদের হাতে পাওয়া এক কিশোরীকে নিয়ে সেই গল্প। নোংরা মানোবৃত্তির এ গল্পটা শিল্পগুণ বর্জিত।
তবে একই লেখকের বাবর আলি খারাপ না। যদিও বাবর আলা নাকি সৈয়দ হক নিজেই, এমন অভিযোগ আমার নয়, প্রমাণ সহ হাজির করেছিলেন তসলিমা নাসরীন। তার একটা বইয়ে।
কামকলা ও কামাগুন নিয়ে আল মাহমুদও কম যান না। তার জলবেশ্যা এবং পানকৌড়ির রক্ত মুগ্ধ করার মত। তবে পাতার শিহরণ আমাকে টানতে পারেনি। সেখানে গৃহকর্মীর শরেরে বর্ণণাটা এক্কেবারেই নোংরা!
এ সব কথা কেন বলছি, বলছি আগে গল্পে পড়তাম, সিনেমায় দেখতাম, এখন ফেসবুকে দেখি। অনেকের ছবি দেখা যায়। এ সব ছবি কোন অংশে বাংলা সিনেমার অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত নায়িকা বা নায়কদের চেয়ে কম নয়।
মাসখানেক আগে আমার হোমে একটা পিকচার হাজির, তাকে আমি চিনি। তিনি একজন রক্ষনশীল চিকিৎসক। কিন্তু থাইল্যান্ডে গিয়ে হাফ প্যান্ট পরে ছবি তুলে সেটি আবার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। একই ভদ্র-বিবাহিত বালিকার আরেকটি ছবি দেখলাম তার বর-প্রেমিককে চুমু খাচ্ছেন। সেই ছবি পোস্ট করতে।
তা না হয় মানলাম, তিনি কর্পোরেট চিকিৎসক, বড় লোকের কন্যা, তাদের কালচারটা এমন হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু স্কুৃল মাস্টারের কন্যার পিঠ উদোম করা ছবিটাও কি মানতে হবে। হিন্দি সিনেমার নায়িকার মত পোস দেয়া এমন ছবি না হয় মানলামই। কলেজ পড়ুয়া মেয়ের বয় ফ্রেন্ডের সাথে রাত পোশাকের ছবিটিও ভালো লাগবে? কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার গলার হার, কানের দুল, বাহু কিম্বা আরো কিছুৃ দেখানোর প্রবণতা কি মানতে হবে!
তবে এ সব অভ্যস্ততার ব্যাপার বলে অনেকে মানেন। মানতে চান। আবার অনেকে এ সবকে ভয় পান। এটা নিয়ে কথা বললে, পাছে লোকে জামায়াত বা হেফাজত বলে। আমার সেই ভয় টা নাই।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে কিছু বিষয় গোপন রাখার পক্ষে, অন্তত ফেসবুকের মত বাজারে তোলার পক্ষে নই। এটা আমি না চাইলেও উঠবে। তবে যারা ওঠান তাদের চোখে যদি লেকাটা পড়ে এবং তারা সচেতন হন তাহলে খুবই কুশি হবো।
আমার খুশি হবার চেয়ে আপনার নিরাপত্তাটা জরুরী। ফেসবুকে বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু পেজ চোখে পড়ে, যেখানে ফেসবুকে এ সব ছবি আপ করা হয়, বিকৃত বর্ণণায়।
সাধারণত কামকলা, কামাগুন এবং নারীর ঝলসানো রূপের বন্দনা করা কবি-সাহিত্যিকরে অভাব নাই। তার ওপর এ সব নিয়ে অনেক পুস্তক রচিত হয়েছে।
আমার পড়া এ রকম পুস্তিকার মধ্যে সবচেয়ে নোংরা গল্প হলো-সৈয়দ শাসুল হকের বাজার সুন্দুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে যোদ্ধাদের হাতে পাওয়া এক কিশোরীকে নিয়ে সেই গল্প। নোংরা মানোবৃত্তির এ গল্পটা শিল্পগুণ বর্জিত।
তবে একই লেখকের বাবর আলি খারাপ না। যদিও বাবর আলা নাকি সৈয়দ হক নিজেই, এমন অভিযোগ আমার নয়, প্রমাণ সহ হাজির করেছিলেন তসলিমা নাসরীন। তার একটা বইয়ে।
কামকলা ও কামাগুন নিয়ে আল মাহমুদও কম যান না। তার জলবেশ্যা এবং পানকৌড়ির রক্ত মুগ্ধ করার মত। তবে পাতার শিহরণ আমাকে টানতে পারেনি। সেখানে গৃহকর্মীর শরেরে বর্ণণাটা এক্কেবারেই নোংরা!
এ সব কথা কেন বলছি, বলছি আগে গল্পে পড়তাম, সিনেমায় দেখতাম, এখন ফেসবুকে দেখি। অনেকের ছবি দেখা যায়। এ সব ছবি কোন অংশে বাংলা সিনেমার অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত নায়িকা বা নায়কদের চেয়ে কম নয়।
মাসখানেক আগে আমার হোমে একটা পিকচার হাজির, তাকে আমি চিনি। তিনি একজন রক্ষনশীল চিকিৎসক। কিন্তু থাইল্যান্ডে গিয়ে হাফ প্যান্ট পরে ছবি তুলে সেটি আবার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। একই ভদ্র-বিবাহিত বালিকার আরেকটি ছবি দেখলাম তার বর-প্রেমিককে চুমু খাচ্ছেন। সেই ছবি পোস্ট করতে।
তা না হয় মানলাম, তিনি কর্পোরেট চিকিৎসক, বড় লোকের কন্যা, তাদের কালচারটা এমন হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু স্কুৃল মাস্টারের কন্যার পিঠ উদোম করা ছবিটাও কি মানতে হবে। হিন্দি সিনেমার নায়িকার মত পোস দেয়া এমন ছবি না হয় মানলামই। কলেজ পড়ুয়া মেয়ের বয় ফ্রেন্ডের সাথে রাত পোশাকের ছবিটিও ভালো লাগবে? কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার গলার হার, কানের দুল, বাহু কিম্বা আরো কিছুৃ দেখানোর প্রবণতা কি মানতে হবে!
তবে এ সব অভ্যস্ততার ব্যাপার বলে অনেকে মানেন। মানতে চান। আবার অনেকে এ সবকে ভয় পান। এটা নিয়ে কথা বললে, পাছে লোকে জামায়াত বা হেফাজত বলে। আমার সেই ভয় টা নাই।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে কিছু বিষয় গোপন রাখার পক্ষে, অন্তত ফেসবুকের মত বাজারে তোলার পক্ষে নই। এটা আমি না চাইলেও উঠবে। তবে যারা ওঠান তাদের চোখে যদি লেকাটা পড়ে এবং তারা সচেতন হন তাহলে খুবই কুশি হবো।
আমার খুশি হবার চেয়ে আপনার নিরাপত্তাটা জরুরী। ফেসবুকে বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু পেজ চোখে পড়ে, যেখানে ফেসবুকে এ সব ছবি আপ করা হয়, বিকৃত বর্ণণায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন