বাঙালি গ্রামীণ নিম্ন মধ্যবিত্তের চে বড় যাযাবর আর কে হতে পারে!

রাংলাই ম্রোর সাথে আলাপ হচ্ছিল- ২০০৯ সালে এমন বর্ষায় । ঝাকডা চুল থাকে ম্রো ছেলেদের । মেয়েরা পরে লম্বা থামি। অথবা খাটো । কাঁধ ছড়িয়ে যাওয়া চুল ছুটে চলে পাহাড়ি এলো বুনোলতার মত।
রাংলাই বলছিলেন, এখন সে সব অতীত হচ্ছে। বাস্তব থেকে যাচ্ছে যাযাবর জীবন । ম্রো বা মুরং রা যাযাবর ।
কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার  সকাল থেকে বাসা বদল করতে করতে ভাবছি আমরা কি ? আমরা কী স্থায়ী নিবাস গডি! না। আমরাও যাযাবর । এ জন্য বোধ হয় ভুপেনের সেই গান আমার খুব খুব প্রিয়---' আমি এক যাযাবর ' ।
যাযাবর মোরতাজা এখন খুঁটি গেডেছে কলাবাগান । এই নগরে মীর হাজিরবাগ থেকে আজিমপুর ললিত মোহন দাস লেন হয়ে বঙ্গবন্ধু হলের দিনগুলো ছিল একক।
যুগল জীবনের সূচনা হয়েছিল মিরপুর ১২ নম্বরের ডি ব্লকে। সেখান থেকে তেজকুনী পাড়া হয়ে নাখালপাডা ছাপডা মসজিদ। নাখালপাডা রেল গেট হয়ে ধানমণ্ডিতে এক মাসের জীবন ।
তারপর মোহম্মদপুর ৩ নম্বর রোড থেকে ১ নম্বর রোড। আবার ফিরলাম শহরের মুল ভূখণ্ডে-- ফ্রি স্কুল স্ট্রিট । এবার দু বাচ্চার স্কুলের পাশে যাযাবরের নতুন আস্তানা।
আসলে বাঙালি গ্রামীণ নিম্ন মধ্যবিত্তের চে বড় যাযাবর আর কে হতে পারে!

কোন মন্তব্য নেই: