''ভুল করে অন্ধ গলি-ঘুঁজি পার হয়ে, যদি এই
আঁধার প্রকোষ্ঠে আসো
দেখবে উবুড় হয়ে বাংলার এই মানচিত্রে
মুখ থুবড়ে প'ড়ে আছে চলি্লশ বছর. . .
আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁট ঠেকে আছে
পদ্মার ওপর
এবং আমার দু'চোখের অবিরল ধারা বয়ে গিয়ে
কানায়-কানায় ভ'রে দিচ্ছে সব ক'টি শুষ্ক নদী,
এবং দেখতে পাবে
শ্যামল শস্যের মাঠ
আমার বুকের নিচে আগলে রেখেছি. . .''
আমাকে খুঁজো না বৃথা ।। রফিক আজাদ।
অগুনতি মানুষ প্রেম-ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে যেই নগরে, সেই নগরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এখন লাইফ সাপোর্টে আত্মসম্মান জাগানিয়া কবি রফিক আজাদ। ।
মানুষের কষ্ট-বঞ্চনা নিয়ে মাথা উঁচু করে কথা বলা দ্রোহের কবি- রফিক আজাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আমরা! ফিরে আসুন প্রিয় কবি।
১৪ জানুয়ারী রাত সাড়ে ১০টার দিকে রফিক আজাদের ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ হয়। পরে তাকে প্রথমে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাত আড়াইটার দিকে নেওয়া হয় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার আইসিইউতে রাখা হয় তাকে।
১৫ জানুয়ারী বিকাল ৩টার দিকে রফিক আজাদকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।হয় তাকে।
১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার গুণী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম রফিক আজাদের। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করে কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতায়।
রফিক আজাদ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’র নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর কাজ করেছেন বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন, উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে।
''....অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদী-নালা
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা,
তা না হলে মানচিত্র খাবো।''
ভাত দে হারামজাদা।। রফিক আজাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন