আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক : আমার পদক লাগবে কি না, চেক লাগবে কি না,

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য পদক তৈরি করুক,
শুধু আমার জন্য তুলে রাখুক একেকটা সোনালি পদক ।
বাইরে থেকে দেখে সোনা মনে হলেই হবে! ভেতরে সোনার খাদ? সে তো অতি পুরনো 
পদক না পেতে পেতে; আমি মানুষের কথা শুনে এখন ক্লান্ত ।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে  সোনার পদকের সাথে একটা চেক দিক ।  মুলা নিয়ে আমি
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
রাজনীতিকে মুক্তি দিয়েছে কবি -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার পদক লাগবে কি না, চেক লাগবে কি না,
পদকের সাথে  আরও একটা
তেলে ভাজা পদবী লাগবে কি না ।
এঁটো কবিতা,রুমাল-প্রেম আমি নিজেই ডাস্টবিনে ছুড়তে পারি!

আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার জন্য পদকের  দরোজা
খুলে দিক । সে দরজা বিম্পি বানিয়েছে কি আম্লীগ।
তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না! কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : 'চেয়ে পুরস্কার নেবার পর তোমার কেমন লাগছে ?'


দায় মুক্তি ::  এটি একটি প্যারেডি কবিতা। কবি নির্মলেন্দু গুণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক তার লেখা কবিতা 'তোমার চোখ এতো লাল কেন?' অনুসরণ করে লেখা। শুধু মাত্র রসের জন্য তৈরি! কেউ মনো কষ্ট পেলে দুঃখিত। 

কোন মন্তব্য নেই: