বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে কোন পর্যায়েই আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ রোববার সচিবালয়ের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিয়ে একই সভায় আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের ধরা হবে বলে জানিয়েছেন জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, “যে তথ্যগুলো আসে সব তথ্যই এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত এটা ভেরিফাই করা না হচ্ছে। ভেরিফাই হওয়ার পরে বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী এগুলো হয় সংরক্ষণ করা হবে অথবা আমরা এটা পরবর্তীতে অন্য কোনো পদ্ধতিতে ডিলিট করে দিব”।
গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংরক্ষণ না করে ভেরিফাই করা সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “গ্রাহকদের সম্পূর্ণ তথ্য পরিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং ওইটা প্রটেকশন দেয়া হয়। এবং আমাদের সার্ভার থেকে এটা বাইরে যাবার কোনো সম্ভাবনা নাই।”
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অভিযোগ ওঠে অপারেটরদের সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করছে ৷ এ তথ্য পাচার হতে পারে বলে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন ৷
গত বৃহস্পতিবার নাগরিকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে উকিল নোটিসও পাঠানো হয় ৷
এ বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, যে পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে সেখানে অপারেটরদের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করার প্রযুক্তিগত কোন সক্ষমতা নেই।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন জানান, যে যন্ত্রের সাহায্যে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে সেখানে শুধু অনলাইনে যাচাই করা হচ্ছে, ওই যন্ত্রে আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করার প্রযুক্তি নেই। ব্যাংক ও অন্যান্য সেবা খাতেও এইভাবে ছাপ যাচাই করা হচ্ছে।
সিআইডি পুলিশ সুপার রেজাউল হায়দার বলেন, আঙ্গুলের ছাপটি একটি বাইনারি ডিজিটাল কোড, যা কোন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব নয়, এগুলো কেবল সিনেমাতেই সম্ভব।”
তারানা হালিম বলেন, “এই প্রজেক্ট (বায়োমেট্রিক নিবন্ধন) ভেস্তে গেলে অপারেটররা সবচেয়ে খুশী হবে। তাদের সিম বিক্রি কমে গেছে। '
তিনি বলেন, 'একটি মহল এই অপপ্রচার চালাচ্ছে, যে এটা ( বায়োমেট্রিক নিবন্ধন) বন্ধ হয়ে যায়, কারণ এ প্রক্রিয়া সফল হলে যারা অবৈধ ভিওআইপি করে কোটি কোটি টাকা কামাই করছে, চাঁদাবাজী করছে এবং সন্ত্রাসী কাজ করছে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে ৷”
টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, এই অপপ্রচারে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে ৷ গোড়ায় হাত দেয়া হবে। তাদের খুঁজে বের করা হবে। এদের ধরতে চাই।”
বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. এমদাদ উল বারী বলেন, যেই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে সেখানে কোনভাবেই তা সংরক্ষণ করার উপায় নেই।
অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব মহাসচিব নুরুল কবির বলেন, সিম নিবন্ধনে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে অপারেটরদের হাত নেই। বরং এ বিষয়ে অপারেটররা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে যাতে খুব দ্রুত এই কাজ শেষ হয় ৷
ভুয়া পরিচয়ে সিম কিনে তা নানা অপরাধ কর্মে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের কার্যক্রম চালু হয় ৷ নতুন সিম কিনতেও অাঙুলের ছাপ লাগছে ৷
বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. এমদাদ উল বারী জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই কোটি ৫৩ লাখ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বা পুন:নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিয়ে একই সভায় আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের ধরা হবে বলে জানিয়েছেন জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, “যে তথ্যগুলো আসে সব তথ্যই এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত এটা ভেরিফাই করা না হচ্ছে। ভেরিফাই হওয়ার পরে বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী এগুলো হয় সংরক্ষণ করা হবে অথবা আমরা এটা পরবর্তীতে অন্য কোনো পদ্ধতিতে ডিলিট করে দিব”।
গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংরক্ষণ না করে ভেরিফাই করা সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “গ্রাহকদের সম্পূর্ণ তথ্য পরিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং ওইটা প্রটেকশন দেয়া হয়। এবং আমাদের সার্ভার থেকে এটা বাইরে যাবার কোনো সম্ভাবনা নাই।”
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অভিযোগ ওঠে অপারেটরদের সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করছে ৷ এ তথ্য পাচার হতে পারে বলে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন ৷
গত বৃহস্পতিবার নাগরিকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে উকিল নোটিসও পাঠানো হয় ৷
এ বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, যে পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে সেখানে অপারেটরদের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করার প্রযুক্তিগত কোন সক্ষমতা নেই।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন জানান, যে যন্ত্রের সাহায্যে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে সেখানে শুধু অনলাইনে যাচাই করা হচ্ছে, ওই যন্ত্রে আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করার প্রযুক্তি নেই। ব্যাংক ও অন্যান্য সেবা খাতেও এইভাবে ছাপ যাচাই করা হচ্ছে।
সিআইডি পুলিশ সুপার রেজাউল হায়দার বলেন, আঙ্গুলের ছাপটি একটি বাইনারি ডিজিটাল কোড, যা কোন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব নয়, এগুলো কেবল সিনেমাতেই সম্ভব।”
তারানা হালিম বলেন, “এই প্রজেক্ট (বায়োমেট্রিক নিবন্ধন) ভেস্তে গেলে অপারেটররা সবচেয়ে খুশী হবে। তাদের সিম বিক্রি কমে গেছে। '
তিনি বলেন, 'একটি মহল এই অপপ্রচার চালাচ্ছে, যে এটা ( বায়োমেট্রিক নিবন্ধন) বন্ধ হয়ে যায়, কারণ এ প্রক্রিয়া সফল হলে যারা অবৈধ ভিওআইপি করে কোটি কোটি টাকা কামাই করছে, চাঁদাবাজী করছে এবং সন্ত্রাসী কাজ করছে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে ৷”
টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, এই অপপ্রচারে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে ৷ গোড়ায় হাত দেয়া হবে। তাদের খুঁজে বের করা হবে। এদের ধরতে চাই।”
বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. এমদাদ উল বারী বলেন, যেই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে সেখানে কোনভাবেই তা সংরক্ষণ করার উপায় নেই।
অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব মহাসচিব নুরুল কবির বলেন, সিম নিবন্ধনে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে অপারেটরদের হাত নেই। বরং এ বিষয়ে অপারেটররা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে যাতে খুব দ্রুত এই কাজ শেষ হয় ৷
ভুয়া পরিচয়ে সিম কিনে তা নানা অপরাধ কর্মে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের কার্যক্রম চালু হয় ৷ নতুন সিম কিনতেও অাঙুলের ছাপ লাগছে ৷
বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. এমদাদ উল বারী জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই কোটি ৫৩ লাখ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বা পুন:নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন