হুদাই বিভাগ লইয়া এত মাতনের কিতা আছে!

ক্যামনে কিতা রে বাই!  কুমিল্লা বিভাগ অইলে কি ন অইলে কি। এ সব বিভাগের নামে মানুষের কি কোন সুবিধা  বাড়ে?  মনে তো হয়না।
বক্ষব্যধি, হৃদরোগ, আর হাইপারটেনশন বাড়ানো ছাড়া এ সব ঘোষণার কোন তাৎপর্য নাই!

নোয়াখালীর একটা উপজেলার নাম সুবর্ণ চর। অথচ সুবর্ণচর নামে কোন গ্রামের নাম পর্যন্ত  চরজব্বার থানায় বিদ্যমান নাই। অথচ চরজব্বার থানার নামেই উপজেলায় রূপান্তর না ঘটিয়ে ওটাকে  থানা হিসাবে রাইখা উপজেলার নাম রাখা অইছে  সুবর্ণ চর।  তাতে কি। নামে কিবা আসে যায়, খালি ফরম পূরণের ঘরে একটা লাইন বেশি লেখন লাগে, এই  আর কি!

একটা তবে ময়নামতি নাম বিদ্যমান আছিলো। এখনো আছে।

তবে বিভাগের নাম ময়নামতি করার কোন কারণ নাই। নোয়াখাইল্লা ও কুমিল্লা দু'পক্ষকেই খুশি করণের জন্য ময়নামতি  নামটা  বাইছা লওনের যে কতা হুনাতাছি, এইডা একটা বেক্কইল্লা কতা। পুরাই রাজনীতির মইধ্যে পলিটিক্স।

কুমিল্লা থাকলেই হইতো। আর নোয়াখাইল্লারা বিরোধীতা করতাছে ক্যারে--- কুমিল্লা বোর্ডের আন্ডারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট তো  নোয়াখালী , ফেণি ও লক্ষীপুরের সব স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরই। এটা নিয়ে তো কোন আপত্তি শুনি নাই। হুদাই বিভাগ লইয়া এত মাতনের কিতা আছে।

যেইটা জীবন মানের উন্নতির বদলে অবনতি ঘটায়, পরিবারের খরচা বাড়ায় এ রকম উন্নয়ন ঘোষণায় আমার কাছে বিরক্তি কর। তা ময়ানামিত নামে হোক, আর কুমিল্লা কিম্বা নোয়াখালী।

সরকারের যা মন চায় করুক গে, হুদা এ সব লইয়া বিলাপ বাদ দিয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের দিকে নজর দেন।  এটা ঠেকান।  আগামীর প্রজন্মের মেরু এবং দণ্ড দুইটাই  বেহাল হয়ে গেছে। দয়া করে ওইদিকটায় নজরে রাখেন। তাইলে জাতির কিছু উপকার হবে। ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই: