বিজিবি মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

বর্ডার গার্ড সদস্য বিপ্লব গুলি খাইছে। নায়েক আবদুর রাজ্জাকরে ধইরা লইয়া গেছে। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের যেখানে হয়রানি করছে সেখানে সীমান্তে বসত করা  আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার কী হাল। নাকি সেটাও ভুল বোঝাবুলি ভিত্রেই আছে। এর আগে মায়নমার আমাদের বিডিআর জওয়ান মাইরা ফালাইছিলো। সেই সময়ও আমরা বুল বুঝাবুঝির ভিত্রে আটকে ছিলাম। হুমমম।  বিজিবি এতটা দূর্বল ক্যামনে অইলো বুঝলাম না। তারা মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '

কিস্তি :: ৮৮:: ভার্জিন ড্রিংকস,পুরনো ঢাকা এবং তেহারি সমাচার


ঘোড়ার গাড়িতে করে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম। এখনো যাই। তবে কুবই কম। আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ২০ টাকা। তাতে কী। এই একটা ভ্রমণ আমার কাছে উপভোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার প্রথম রোজগার ছির বাংলা বাজার কেন্দ্রিক।

নোট বই , গাইড বই লিখতাম। ভালোই ইনকাম ছিল। ঘটনাটা এ রকম- আমি ঘুমিয়ে আছি। পাঞ্জেরীর প্রকাশণীর নেসার ভাই আনিস ভাইয়ের সাথে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত সব ক্লাশের বইয়ের নোট তৈরির আলাপ করছিলেন। তার কথার উচ্চ স্বরে আমি মশারী ফাঁক করে দেখলাম।

আনিস ভাই পরের দিন আমাকে কিছু কাজ দিলেন। একটা বাংলা বইয়ের পুরো নোট ঘন্টা দেড়েকে বানিয়ে দিলাম। আমার লেখা তার ও নেসার ভাইয়ের পছন্দ হলো। তারপর আমি লিখতে শুরু করলাম। তবে প্রকাশনার কাজে জড়িয়ে যে সব বিষয় বেশি সঙ্কটে পড়তাম তা হলো প্যামেন্ট। এখনো স্কলার্স পাবলিকেশন্সের কাছে আমার হাজার পঞ্চাশেক টাকা বাকি পড়ে আছে।
সেই ২০০১ সাল। আর এখন ২০১৪। টাকা দেবো, দিচ্ছি করে ঘুরিয়েছেন, পরে আর যাইনি।

তবে লেখালেখির বিষয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সৎ আবদুৃল্লাহ অ্যান্ড সন্স। আমি তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্নাতক শ্রেণীর বই এডিট করে দিয়েছিলাম। এক হাতে কপি নিয়েছে, আরেক হাতে টাকা দিয়েছে।

টাকা নিযে গড়ি মসির  কারণে পরে আর লেখা হয়নি। সে সময় যাত্রাবাড়ি ও পরে বকশিবাজার থেকে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম ঘেড়ার গাড়ি করে। বাস চলতো- মুড়ির টিন। এক টাকায় যাওয়া যেতো গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। এতটা কঠিন যানজপট ছিল সেই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, সে সময়টা বাসে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা, কখনো আরো বেশি সময় লাগতো। এখন কেমন অবস্থা জানি না। কালন আমি এখন যাই শুক্রবারে!

পরে অবশ্য বকশিবাজার থেকে আরমানি টোলা হয়ে শটকাটে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতাম। এভাবে অনেক দিন গেছি। সেখানে যাবার সুযোগে পুরনো ঢাকার সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক।

শাঁখারি বাজারে গেলাম ২০০০ সালরে দিকের এক বিকালে। আমাদের এলাকার এক বন্ধু পিংকুর সাথে। ওর বোন থাকতো সেখানে। ভাগ্নি নাচ শিখছে, মামাদের নাচ দেখাবে, তাই যাওয়া। একটা সরু গলি ধরে আমরা ভিতরে ঢুকছি, আর মনে হচ্ছে আমি গুহার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, তাই সরাসরি ঢুকতে পারিনি, একটু পাথালি হয়ে ঢুকতে হলো। সেখানে আলো ছাড়া একটা মিনিটও কাটে না কারো।

অনেক্ষন ছিলম, মিষ্টি খেলাম। ভাগনির নাচ দেখলাম এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার কিঞ্চিত দেখে ফিরে এলাম। এভাবে পুরনো ঢাকা-

সে সময় আমি ওযারীর আল আমিন কোচিংয়ে ক্লাস নিতাম। গিযে দেখি সব মেয়ে। ওই কোচিংয়ে কোনো ছেলেকে পড়ানো হতো না। আমার ক্লাস নেয়ার কথা বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। সেটি ইন্টার থেকে ডিগ্রির মেয়েদের। কিন্তু অনেক টিচার আসতেন না। তাই আমাকে  বদলি খাটতে হতো! নাইট টেনেও পড়িয়েছি।

কোচিং চালাতে 'সায়াদাত' ভাই। তিন বললেন- আমি যাওয়ার কারণে তার শিক্ষার্থী বেড়েছে। আমার বিশ্বাস হলো না। পরে আমি যখন ছেড়ে আসি, উনি খুব মন খারাপ করেছিলেন। সায়াদাত ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন বা তিনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। যাকে ভদ্র সমাজে ডিভোর্স বলে। উনার একটা সন্তান ছিল। মাঝে মাঝে তিনি ক্লাসের ফাঁকে তার কাছে ছুটে যেতেন।

কোচিংয়ের সুবাদে আমার দুজন নারীর সাথে ভালো সম্পর্ক তেরি হয়েছিল। তাদের একজন নীলা। আরেকজন ঝুনু। নীলা হালকা পাতলা। আর ঝুনু অনেক মোটা। তবে দুজনই ফর্শা- সুন্দরী। তারা আমার ক্লাশের ছাত্রী না হয়েও আমার লেকটচার শোনার জন্য আসতেন! (নিজেদের কেমন মফিজ মনে লইতাছে!)

নীলা মেয়েটা ইভটিজিংয়ের শিকার হতো, সেটি জানার পর একটা 'ব্যবস্থা' করেছিলাম। দক্ষিণ মুহসেন্দীতে ওদের বাসা। বার কয়েক দাওয়া করেছিল, কিন্তু ভভঘুরে কুদ্দুসের সময় কই! যাওয়া হয়নি।
ঋষিকেশ দাস লেনে ছিল ঝুনুদের বাসা। ওর মা বাবা বেশ কয়েকবার বলেছিল পুররো ঢাকার অতিথি আপ্যায়ন কেমন? তা দেখার সুযোগ নিতে। আমি পারিনি।

আল আমিন কোচিংয়ের চাকুরীটা ছাড়ার আগেই আমার প্রথম আলোর প্রদায়ক সংবাদদাতার কাজটা জুটেছিল। আমি সব সময় কাজের মধ্যে থাকি। নট কাম! কাজ না থাকলে ভালো লাগে না। প্রথম আলোর হয়ে কাজ করার সূচনার ফাঁকে রাজীব ভাই বললেন, আপাতত পেজ বেরুচ্ছে না। তাহলে আমার কী করণীয়!

প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো- প্রিয় মুখ নামে একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিন বের হবে। রাজীব ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে যোগ দিলাম। অনেক দিন সেখানে কাজ করেছি।

আমার কিছু অদ্ভূত ঘটনা আছে। তার দুটো প্রিয় মুখে থাকার সময়- আমি ভাবলাম দিনের ১০ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পানি খাবো না। দেখি কাজটা করা যায় কিনা। তাই হলো। সে সময় ইয়ুথ গ্রপ একটা পানীয় বাজারে আনে- নাম দেয় ভার্জিন। সম্ভবত আমি সেই ব্যাক্তি যে সবচেয়ে বেশি ভার্জিন ড্রিংকস খেয়েছি।

মাস চারেক ভার্জিন ড্রিংকস খাওয়ার পর কমিয়ে আনতে বাধ্য হলাম। দিনে মাত্র দুই লিটার! কারণ আমার পানীয়ের খরচ দিতো প্রিয়মুখ কর্তৃপক্ষ। আর খাবার আসতো এলিফ্যান্ট রোড়ের টেস্টি খাবার ঘর থেকে। সেখানে তারা আমার নামটা বদলে দিয়েছিল। নতুন করে রেখেছিল- ' খাইন্না ভাই'।

আরেকটা ঘটনা- আমি সে সময় আজিমপুরের নিউ পল্টনে একটা মেসে উঠলাম। সেই মেসে আমার রুমমেট হিসাবে নিলাম কায়সার ভাইকে। দেয়ালে পোস্টার লিকে তাকে পাওয়া! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সের একটা সাবজেক্ট থেকে পাস করে চাকুরীর খুঁজছেন। দুজন মিলে থাকি, ভালোই কাটছে। কিন্তু কায়সার ভাই বাইরে থাকেন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেন না। আমারো একই হাল।তাই বুয়া মুক্ত মেস!

যেহেতু বাইরেই খেতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একমাস টানা চলবে তেহারি এবং বিরিয়ানী । নীলক্ষেতের তেহারির সুনাম আছে। চেষ্টা করলাম এবং সফল হলাম। ঠিক একমাসের শেষ দিন বাড়ি গেলাম। বিকাল ৫ টার দিকে খেতে বসলাম- এক মাস পরে ভাত! তাও আবার মায়ের হাতে! সে কী সুস্বাদু। চার প্লেট ভাত খাওয়ার পর মনে হলো- পেটে আর জায়গা হবে না। তৃপ্তিতে ডুবে আছি।

মোডি কাকুর অভিমানী মুণ্ড ও বঙ্গীয় রাজনীতি :(

 frown emoticon
মোডির প্রশ্নে কে চুপসে গ্যাছে; কে চমকে গ্যাছে ; কে থমকে গ্যাছে ; তার সাক্ষাতে কে গলে গ্যাছে; কে ভিজে গ্যাছে ---কার জল খসেছে ; কার খসেনি।
ইহা এখন মিডিয়ায় আলোচ্য বিষয় । উপাদান রাজনীতি। প্রত্যাশা ক্ষমতার সুরক্ষা কিম্বা ক্ষমতাপ্রাপ্তি।
কিন্তু সাগরে ভাসা মানুষ, মায়ানমারে বিনা অনুমতিতে ইন্ডিয়ার হামলা--- সামনে বিচ্ছন্নতাবাদী দমনে যে কোনো দেশের অভ্যন্তরে হামলার হুমকি----
তিস্তার জল , ছোট ফেনী নদীর পানি কিম্বা বিএসএফ ষণ্ডাদের প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী খুন ---এ সবের চে এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ ।
কারণ আমজনতার ভয়েস কেবল শোর তোলে। হিট গণনা হয়। কত মানুষ নেমেছে দ্যাখো!
চুড়ান্ত বিচারে ইনডিয়া -আম্রিকা ক্ষমতার দাবায় গুটি ঘোরায়। আর তাই ---
মোডি কাকুর অভিমানী ফুলস্লিভ মুণ্ড চোষণ--তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত ---রাজনীতিক মিডিয়া--- সবাই । frown emoticon

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র





বহু বারান্দায় আটকে থাকা স্বপ্নগুলো
আমার কাছে দুঃস্বপ্ন!

যা ভাবি তাই করি
না পারলে আফসোস করি না; একটা ছাড়া!

ভাবতাম কিছু পয়সা জমলে সাগরে ডুবে থাকবো
পাহাড়ের ভাঁজে শুয়ে কাটাবো একটা একটা করে দশটা রাত
নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকবো--
তাড়া থাকবে না কোনো

ছেলেদের কাঁধে হাত রেখে নাফাখুমে ছুটন্ত বিকালরে সূর্যটাকে বলাবো কাল এসো
আমি আছি--
আমরা থাকবো আর ক'টা দিন


তারপর ইচ্ছে হলে ফিরবো
নইলে বগালেকে মাছ ধরতে বসে যাবো-- ফিরবো কখন জানি না

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র
একই প্রকৃতির প্রেমে ডুবে যাবো আমরা তিন জন!

ছেলের স্কুল সময় ফুরিয়ে যাক
ফুরিয়ে যাক তার শৈশবে কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের বিকাল
তারপর
না তারপরেও হবে কি-না সন্দেহ!

কিছু টাকা জমে পকেটে--
সে টাকা পুড়ে যায়
তারপর আমি আবার ভাবি
যাবো ---

সময় আমাকে বলে
কাজ করো! কাজ!!
কাজে ডুবে থাকি
ইচ্ছাগুলো পুড়ে যায়

আকাশ দেখবো বলে বলে দাঁড়িয়ে থাকি
বারান্দায়
নিঃশ্বাস নিতে পারি না।

ইনহেলারটা টেনে নিই
নগরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবি
একটা দিন আসবে
রোদে পুড়বো- বৃষ্টিতে ভিজবো--
পাহাড়ে জঙ্গলে কাটাবো জীবন!

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে । মাইক্রোবাসে গ্যাং রেপের পর খালার বাসায় বেড়াতে এসে রামপুরায় গৃহবধু গ্যাং রেপ frown emoticon
কে ব্যবস্থা নেবে? সেই পুলিশ ! যার কাছে তার সহকর্মীও নিরাপদ নয়। পুলিশ কর্মকর্তাও নারী কনস্টেবলকে রেপ করার খবর এখন প্রকাশিত।
তাহলে --- frown emoticon

বৃষ্টি : পুরনো প্রেমিকার মত আসো গোপনে

বহু সুখ বৃষ্টি ঝরে পড়ার পর তুমিও ঝরে পডো
পুরনো প্রেমিকার মত আসো গোপনে ---
আড়ালে থাকো রাজনীতির মত!
শীতল পরশ 
ঠান্ডা হাওয়া
কাজ পালানোর দুপুর বেলা
বৃষ্টি আসুক তোমার ঘরে
বৃষ্টি ভিজাক সকাল রাতে
বৃষ্টি আসুক অসময়ে !

রোমাঞ্চকর অফিস যাত্রা


বেশ রোমাঞ্চকর অফিস যাত্রা হলো আজ। সেই রক্কম। মানুষের অনেক কথা কানে এলাে; পুলিশ ভাইদের স্বভাব সুলভ হুমকি ধমকি আর রিকশাঅলার না ভাই গুলশান--! 'মরতে যামু' এ সব শুনতে শুনতে পাক্কা ৬০ টাকা সেভ করে অফিসে চলে এলাম। সময় নিলাম মাত্র মিনিট ষাটেক।
জয় পুলিশ। জয় রাষ্ট্র। শপিং আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। পুলিশের সন্তুষ্ট রাখা আমাদের সাধনা। শুভ হোক পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের নব যাত্রা। আর কেউ না গেলেও এই মার্কেটে শপিং করতে আমি যামু ইনশাআল্লাহ। যারা আজকে চেতছেন; সরকার প্রধানকে বকছেন তারাও আইসেন। দারুণ মাক্কেট ।

সুখবর--


রাষ্ট্র স্বীকৃত তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া), রাখাইনসহ অন্যসব ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা  (এসএমই) খাতের আওতায় ঋণ দেবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। ৯ জুন ওই সার্কুলারে  আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ  সুবিধা পৌঁছে  দেবার নির্দেশ দেয়া হয়। 

কাকুর বক্তৃতার ভিত্রের এত মাল লইয়া বঙ্গবাসী কি করিবে!



মোডি কাকুর বক্তৃতা লইয়া অনেক ভাই-বেরাদারের বিশ্লেষণ পড়ছি। আবেগি ফেসবুক স্টাটাসও পড়ছি।  সংবাদ বিশ্লেষণও পড়লাম।  এ সব পাঠান্তে আমার কেবলই মনে হচ্ছে আবুল মনসুর আহমদের 'জনসেবা ইউনিভার্সিটি'র কতা। কাকুর বক্তৃতার ভিত্রে অনেক মাল। এ সব মাল-- বঙ্গবাসীর কী কামে লাগলো --- এই মাল লইয়া আমরা কি করিব---সেইটা বোঝার মত ক্ষমতা  অধম আদমের নাই।

তয় আবুল মনসুর আহমদের গল্পের মত আরেকটু দ্যান। ...দিলে এই হবে। ওই হবে টাইপ। আশাবানরা স্বপ্নে বাঁচুন। আশাহীনরা বুক চাপড়ান। কিন্তু  তেল মাইরেন না। এ তেলানো এখন আমাদের জাতীয় চরিত্রে রূপান্তরিত হতে চলেছে!

ভাই বেরাদররা --- মনসুর আহমদ  ক্যাডা কেউ আবার এই প্রশ্ন কইরেন না। কারণ মনসৃর আহমদরা ছিল বইলা-- এখনো দু একটা বিষয় বুঝার জন্য কিছু উপাত্ত প্রতীক পাওয়া যায়!

জয়তু মোডি কাকু ।

মোডি কাকুর 'দিদার'ই আমাদের দুদিনের সফরের বড় অর্জন!

মোডি কাকু বিদায়; আবার আসবেন। প্রতীক্ষায় থাকবো; জানেনই তো প্রতীক্ষা বড়ই কষ্টের। কাকু কতা দ্যান আবার আসবেন। আপনি টুইট ও ফেসবুকায়াই কইছিলেন 'ভালোবাসা' লইয়া আইছেন।  আমরা সেই 'ভালোবাসা'য় ভিজে নেয়ে একাকার। আপনার 'ভালোবাসা'-ই দেড় দিনের সফরে আমাদের অর্জন। বিসর্জন বলে কিছু নাই। ' যাহা দিলাম উজাড় করিয়া দিলাম'। হিন্দি সিরিয়াল, হিন্দি সিনামার ব্যবসা এবং হলে হলে হিন্দি সিনামার দেখানোর পর ঢা্কা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আপনার হিন্দি বক্তৃতাও চ্রম অইছে।  ভালো থাকেন--- আপনি আইসেন। আপনি আসবেন বইলা আমরা কত রাজনীতি করছি। তবুও ভালো লাগছে আপনি সবাইরে দ্যাখা দিছেন। আপনার দিদারে বঙ্গজাতি ও তাদের নেতারা যদি পরের জনম পান সে জনমওে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবেন। ক্ষমতার চরকা যে কোন দিকে ঘোরে; কারা ঘোরায়; সেটাও প্রত্যক্ষ করবার বড় সুযোগ আমরা পাবো।

 ভালো থাকেন। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা। আপনি ও আপনার সরকার আমাদের চুইষ্যা খাইয়া লান। মাইরা লান। সুখের(!) মরণ লইয়া আমরা গান গাইবো--- ‌রথীন্দ্রনাথের সেই গান
' না পারিলাম বাঁচতে আমি
না পারিলাম মরতে
না পারিলাম পীরিতের ঐ
সোনার পাখি ধরতে'।

প্রার্থনায় মোডি কাকু ---

সকাল ৮ টা ৪০ এ মোডি কাকু ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা দিয়ে দিন বাংলাদেশে তার শেষদিনের কাজ শুরু করেছেন । 

যে সব সম্বাদিক সেখানে গেছেন তাদের কেউ-ই প্রার্থনা-নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন নি;এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এমন কি সাঈদ খোকন ছাড়া অন্য রাজনৈতিক নেতারাও। 

পালন বা বর্জন ব্যাক্তিগত। কিন্তু পালন না করে উল্টো পালনকারীদের উপহাস করাটা এক বিকৃত আনন্দের বিষয়। সেই তারাই মোডি কাকুর প্রার্থণা সভায় গিয়া হাজির। তাও এত সক্কালে!

মোডি কাকু; আপনার ধর্ম পালন যদি এ দেশের অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া  সব জান্তা সম্বাদিক এবং রাজনীতিকদের কাছে যেনো --এ বার্তা পৌঁছায় ---ধর্ম পালনের ভার কেবল পুরোহিত, কাঠমোল্লা,যাজক আর ভান্তের নয়। সবার। 

তাহলে এ বঙ্গদেশে ধর্ম পালনকারীরা 'অসভ্য ইভ টিজার' আর 'ব্যবসায়ীদের খপ্পর' থেকে বেঁচে যেতেন । 

তারা যদি জানতেন --- ধর্ম মানে মৌলবাদ নয়-সেকেলে নয় । ধর্ম পালনকারী মানে উগ্র নয়। ধর্ম পালনকারী মানে জঙ্গী নয়। তাহলে এ বঙ্গের অনেক উপকর হতো।

আপনাকে শ্রদ্ধা ।

'ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি ভালোবাসি'


ভালোবাসা এখন স্বার্থ শব্দের নাম
তোমার উপের যে শব্দটা আমি স্থির করে রেখেছিলাম
 তুলে নিলাম তা

 তিস্তার জলের মত আটকে রাখতে চাই না

 যা বলি সোজা সাপ্টা

 তুমি তো বহুবার বলেছো--- ভালোবাসা হলেই চলবে-- আর কিছু না। কোনো খাবারেরও দরকার হবে না।

 সময় বদলে বিববাহিত জীবনে শুধু  ভালোবাসা হলে চলে না; আরো কিছু চাই

দ্যাখো তোমার কথা ভুল!
মোডি কাকু কিন্তু ভালোবাসা নিয়েই এসেছেন; আমরা সেই ভালোবাসায় আপ্লুত; মুগ্ধ।
 ভালোবাসনা পেলে আমরা চাইবো না আর কিছু

 নার্গিস--- কোথাকার কোন ;'অপয়া' মেয়ে গ্যাছে ইনডিয়ায়
 'সুবোধ বালকেরা' তাকে ধর্ষণ করেছে, খুনও করেছে

 ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে চিতকার করেছে 'পানি' 'পানি' বলে
'জল' বলতে পারত; তা না ফুটানি! 'পানি' চায়!

 সব মনে রাখতে নেই
মনে রাখতে নেই গরু চোরাকারবারী বলে গুলি করে মেরে ফেলা মানুষের কথা
ওরা 'ছোট' লোক বেপারী। ওদের কথা মনে রেখে স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়!

 আমরা ভালোবাসা চাই; প্রেম চাই। অনেক প্রেম এবং ভালোবাসা জমা হলে আমারা আসমানে উড়বো
সেখানে খাবারের দরকার নেই।  স্বপ্নরে ঘোরে কেবল গরিবরা খাবারের স্বপ্ন দ্যাখে

বড় লোকরা রোমাঞ্চে থাকে
২০২১  কিম্বা ২০৪১
আমরা তখণ মধ্যম-উত্তম আয়ের দ্যাশ।

আসো-- স্বপ্নের জন্য কাতার বন্দী হও। যে দলই তুমি করো
 যে আদর্শই তোমার থাক

 ইনডিয়ার সামিয়ানা ক্রস করলে তুমি বিপন্ন হবে- জঙ্গি হবে
 ক্ষমতা তোমার জন্য নিষিদ্ধ হবে; ঠিক যেনো পরকীয়া প্রেম হবে।

গাও ---ভালেবাসা মোরে অশেষ করেছে
 কিম্বা ভালোবাসা আমাকে ভিখারী করেছে তােমাকে করেছে রানী।

 গান শুনলে মন ভালো থাকে। শোনো গান---
'ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি  ভালোবাসি'

নমস্তে মোডি কাকু


মোডি কাকুর আগমন আমাদের জাতীয় জীবনে হিরকখচিত একটি দিন । পুরো মুন্ত্রী সভা হাজির । হাজির করপোরেট সিইওগণ এবং টিভি চ্যানেলে লাইভ।
এটা বাঙালীর একটা সার্বজনীন উৎসব । আজ কাল দু'দিন এ উৎসব আকাঙ্খা ঘিরে মেতে থাকবেন সাবালক মানুষরা। নাবালকরা কার্টুনেই সন্তুষ্ট । নমস্তে মোডি কাকু।
নার্গিস ধর্ষণ পরবর্তী খুন সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলার মত অভদ্র আমরা হবো না । আপনার পদধুলিতেই বঙ্গবাসীর জন্ম স্বার্থক । আপনি এসেছেন 'রাজদুত' এ । আমরা প্রজারা লুটিয়ে পডেছি । আমাদের লুটিয়ে পড়াত অস্বস্তি বোধ করবেন না।
লজ্জা দেবেন না। আমাদের মেরুদণ্ড লুপ্ত হয়েছে বহু যুগ আগে ।
অভিনন্দন মোডি কাকু ।

তোমাকে পেলাম মিস কলে। আহা প্রিয়তমা!


আলো ঝলমলে মঞ্চে অ্যাঙ্কর
জীবনের সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ দিন তার আজ---

শুরু করেন মাইক হাতে

হ্যাঁ জনাব

সত্যি বলছি আপনাদের মিস কলে সাড়া দিয়ে তিনি এসেছেন

এসেছেন আপনাদের  দরজায়
তার রূপোশ্বর্যে অবগাহন করুণ

বাথরুম নোংরা করার পর তা সাফ করতে ব্যবহার করুণ হারপিকে
হাত সাফ করতে ব্যবহার করুণ লাক্স --- ফিলিংস নিন

জি জনাবা তিনি এসেছেন

আপনাকে সাজাতে
আপনার রূপ মাধুর্য জাগাতে এবং আপনার প্রিয়জনে চোখে আগুন ঝরাতে


 জি জনাব ; জি জনাবা

 এখনো মনে করতে পারছেন না
তিনি ? তিনি দীপিকা; আপনাদের  স্বপ্নের রানি---
দীপিকা

 এভাবেই জমতে থাকা মঞ্চে সাবানের স্খলনে লেফটে থাকা তোমার শরীর

 সাগরে ভাসছে কিছু কুকুর--- মানুষ বল্লে ভুল হবে--- এ জনমে ওরা আর মানুষ হলো না

 নৌকা সমৃদ্ধির কথা বলে---নৌকা সুখের কথা বলে --- নৌকা আপদ বিদায়ের কথা বলে

 শালা শুয়র গুলো সেই নৌকাকে নষ্ট করলো
 নৌকা করে পাড়ি জমালো বিদেশ

 খপ্পরে পড়লো মানব পাচার কারীদের

 শালা  অমানুষ

 খবরের কাগজে এতদ্দিন ওদের পঁচা হাজামাজা গন্ধ ভরা খবর পড়তে পড়তে অসহ্য

 এখন একটু আরাম-- আরাম চাই

 নিউজ এডিটর ডেকে বলে---  টিকিট মেলেছে বাছা
 উদ্বৃত্ত থাকলে একপিস দিও আমায়। বলো দেবে তো আমায়!

 সম্বাদিক ছোটে- ফটু সম্বাদিকও

 ক্যারিয়ারে একটা অক্ষর যুক্ত হবে--- সোনালী। নাহলেও দোষ কী।  বয়সকালে নাতি পুতিরে কাছে গল্প করা যাবে

 নিউজ এডিটর ক্লান্ত

 ছবিটা আরেকটু ভালো হতে পারতো; ডিসি না থ্রি সি দেই

 মানুষ পড়বে

 অসাধারণ---
 বলি, মরি মরি

 দীপিকা তােমায়  স্বাগতম।
তোমার ছবি টাকা খরচ করে দেখলেও  তোমাকে পেলাম মিস কলে।
আহা প্রিয়তমা!

তোমরা সাজো--- তোমাদের দেখি--- চোখ জুড়িয়ে যায়

ফেসবুকের বিস্তৃত ক্যানভাসে তোমরা সাজো--- তোমাদের দেখি--- চোখ জুড়িয়ে যায়।

ডিজিটাল জুসে আসক্তি তোমাদের মত আমারো।

কিন্তু সাগরে যারা ভাসে, জঙ্গলে পলিথিনের ঘেরে যারা ঘুমায়, এক মুঠো ভাত খায় কেবল দু বেলা তাদের খবর কি রাখো

 নাকি কেবল গুনতে থাকো রিজার্ভের রেকর্ড। রেমিটেন্স আসছে; রেমিটেন্সের পাহাড় জমছে

 এর পেছনে যে মানুষ গুলো তাদের মুখ কী কখনো ভাসে নাকি তোমরা অ্যাভাটার অ্যাভেঞ্জার  সিনামায় রোমাঞ্চ খোঁজো।

কিম্বা যে মেয়েটার দিনেকের ক্লান্তি শেষে রাস্তার পাশে অপেক্ষায় থাকে

 বাস আসবে

 বাস আসে না; আসে  মাইক্রোবাস-- ষণ্ডারা তাকে তুলে নেয়--- ধর্ষণ করে নরাধম


 কিম্বা উৎসব সেলফি তুলবে
 উৎসব আনন্দ উদযাপনে তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে --- টিএসসি চত্বরে দাঁড়ায় ---অসংখ্য হাত খামছে ধরে  নারীর শরীর---

 তোমরা কি ভাবো তাদের নিয়ে

 নাকি চুন কালি পড়বে বলে লুকিয়ে যাওয় ক্ষনিকের প্রতিবাদ শেষে

 প্রচণ্ড গরমে তপ্ত নগরে তোমরা নারীর ওপর হামলে পড়া; সাগরে ভেসে থাকা মানুষের চেয়ে  খোঁজো

আহা বৃষ্টি; আহা বৃষ্টি ; বৃষ্টি নামো

 যে বৃষ্টি নামে আকাশ ফুঁড়ে--- সে বৃষ্টি যদি এসিড বৃষ্টি হয়

 সে বৃষ্টি যদি  রক্ত হয়ে নেমে আসে তোমার ঘরের বারান্দায়, রিকশার হুড়ে-- বাসের ছাদে
 তখনও কী বৃষ্টি চাইবে

 নাকি 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা'সামনে রেখে  জঙ্গি হান্ট করবে
 চেকিংয়ের নামে পকেটে 'বাবা' ঢুকিয়ে চালান দেবে কোটে
অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে শেষ  সম্বল টুকুও বিক্রিতে বাধ্য করবে!

 আহা বৃষ্টি-- বও। বৃষ্টি। শান্তিরো বারিধারা!  

নৈতিকতা শেখার বিষয়--- এটা ন্যাচারাল না।

নৈতিক শিক্ষার কথা বললে কেউ কেউ কূপমণ্ডুক শব্দটা নিয়ে আসেন। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে আবার হা পেত্যেশ করেন। সরকার কি করলো, পুলিশ কি ছিঁড়লো? লইয়া হাজারো প্রশ্ন করেন।
নাগরিক হিসাবে এটা করতেই পারেন। কিন্তু গোড়ার দিকে একটু তাকান। গোড়া ঠিক করেন, ডালপালাও ঠিক অইয়া যাইবো। শতভাগ না অইলে ইম্প্রুভ করবো। চোখের পড়ার মত ইম্প্রুভ।
যে পুরুষের মুখোশের আড়ালের নৈতিকতা স্ট্রং সে কখনো নারীর শরীর খামছে ধরবে না। নিশ্চিতভাবেই ধরবে না।
নৈতিকতা শেখার বিষয়--- এটা ন্যাচারাল না।
সৎ পথে আয় উপার্জন করে সংসার পরিচালনা করা মানুষের সন্তানরা দু'একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া খ্রাপ হয়েছে; তা আমার ৩৫ বছরের জীবনে খুবই কম দেখেছি। সততা, নৈতিকতা আর আদর্শ থাকলে অনেক কিছুই ঠেকানো সম্ভব।
সব ধর্মই অনাচারের বিপক্ষে। তাই ধর্মচর্চার ভারটা 'হুজুর'- যাকে আপনারা 'কাঠমোল্লা' ডাকেন, যাজক, পুরোহিত, আর ভান্তের হাতে তুলে না দিয়ে আমরা নিজে ও নিজের সন্তানদের ধর্ম চর্চায় উৎসাহিত করে দেখি--- আশা করি ভালো ফল পাওয়া যাবে! সমাজে এ সব অনাচার নিশ্চিতভাবে কমবে।
বিজ্ঞানমনষ্ক-- যারা ধর্মকে অপ্রয়োজন মনে করেন--- তারা এ লেখা পড়ে বিরক্ত হলে দুঃখিত!

সঙ্ঘবদ্ধ ভ্রমণ চক্র:: আহা কী দারুণ

ধরে নিয়েছিলাম আগে আগে পৌঁছে ঘুমাবো। তারপর সকালে বের হবো ঘুরতে। কিন্তু আমাদের কাডির ভাইয়ের রাস্তার অবস্থা বলে সময় নষ্ট না করে বরং মমতাজের গান হুনি--- বুকটা ফাইট্টা যায়!
তার উপ্রে কামাল ভাইয়ের ডিপারমেন্ট খুবই সফলভাবে যানজট দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম--- এ সব দেখতে দেখতে শ্রী মঙ্গল পৌছানোর নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘণ্টা তিনেকের বেশি হয়ে গেলো।
ফাঁকে উজান ভাটির দোতলায় বসে আছি খাবারের জন্য। গরুর গোশত, মাসকলাইয়ের ডাল সাথে একটা সবজি দিয়ে রাতের আহার শেষান্তে আমরা আমরা রমেশ কাগুর শ্যামলী পরিবহনে চেপে বসলাম--- ড্রাইভার খুবই ভদ্রোচিতভাবেই গাড়ি চালিয়েছেন---তার জন্য ধণ্যবাদ দেবার চে আমাদের দেরী হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।
রাত দু'টার কিছু পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসটা থামলো--- মৌলভীবাজার রোড়ে। একটা সিএনজির দেখা মিলল--- ভাড়া ৫ শটাকা। দিবসে এর ভাড়া ১২৫ টাকা। কিন্তু জঙ্গলের ভিত্রে দিয়ে নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণে রিস্ক লইয়া যাইতে হপে বলে ভাড়া বেশি দিতে হবে; এক কথায় কবুল।
ঠান্ডা বাতাস বইছে, চা বাগানের ভেতর দিয়ে সিএনজি ছুটছে; লাউয়াছড়ার সীমানায় মেছো বাঘ, দু চারটা বানর দেখতে দেখতে পৌছে গেলাম হিডের বাঙলোয়। রাত তখন তিনটা ২০ ।
উত্তম দা লোক বসিয়ে রেখেছেন; সিএনজি থামার আগেই টর্চ লাইটের আলো এসে পড়লো--- আমরা নেমে, সোজা গেলাম ঘুমুতে। বাঙলোর আগের মত থেকেছে ঠিকই তবে এখন এসি লেগেছে।
ঠাণ্ডায় জমে যাবার জোগাড়; তাই এসি বন্ধ করে লেপ জড়িয়ে ঘুমুতে গেলাম। সকাল বেলা এসে পৌছানোর কথা--- বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে যাচ্ছে মে মাসের প্রথম দিনের সকাল।
রীতি সাড়ে ১০ টার মধ্যে দুখান ছাতা হাতে পৌছালো বাঙলোয়। বাইরে বারান্দায় বসে সিদ্ধ রুটি, আলু ভাজি আর ডিম পোস দিয়ে সকালের নাশতা করতে করতে পিঙ্ক কলারে পুরনো আমলের একখানা জিপ এসে হাজির।
শিপু জানালো এ ধরণের জিপ কাগু এরশাদরে সময় দেশে আনা হয়েছিল। আমরা সাকুল্যে ৮ জন। তার মধ্যে আমার দুই পুত্র আছে। তারা সাধারণত শান্ত থাকার বিষয়টা মাথায় রাখতে পারে না।
ঝুম বৃষ্টি নেমে এলেও আমাদের পিঙ্ক কালারের জিপ গাড়িটা ছুটে চলে ভানু গাছ থেকে কমলগঞ্জের ন্যাশনাল টি গার্ডেনের দিকে। বছর ৭-৮ আগে আমরা (লিনা এবং আমি) যখন সেখানে যেতাম--- পুরই সুনসান নীরবতা ছিল। রাস্ত ছিল কাদামাখামাখি।
এখন সায়েবি সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিটুমিনের ছোঁয়া পেয়েছে ব্রিটিশ আমলে গজানো চায়ের বাগান। এর মধ্যে আমাদের গাইড হবার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসলো শঙ্কর।
ঠিক আছে চলো---
এগিয়ে যেতে যেতে শঙ্কর একটা পাতা বের করে আনলো--- থাই সুপের সাথে আমারা এ ঘাসের সাক্ষাৎ পাই। সেটা রীতির হাতে দিয়ে আমরা হাঁটছি।
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো। তারপর কড়কড়ে রোদ্দুর। শাপলপাতা বিছিয়ে থাকা মাধবপুর লেকের উপ্রে নীল রঙের শাপলা ফুল। দৃশ্যটা অসাধারণ। সবুজের আল পথে, টিলার উপর চা বাগানের ফাঁকে দাঁড়িয়ে থেকে আমরা লেকের রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ছবি তোলার কাজটাও সেরে নিচ্ছিলাম।
ইশতিয়াক আর শিপুর হাতেই ছবি তোলার দায়িত্ব অর্পন করে আমরা পোস দিয়ে যাচ্ছি।
ঘন্টা দুয়েকের ভ্রমণের ফাঁকে সবাই একবার করে বলে নিলো লেকটা আসলেই সুন্দর।
বড়শি পেতে বসে থাকা কিশোরের গা ঘেঁষে লেক এলাকা ছেড়ে আসার পর ন্যাশনাল টি গার্ডেনের নিজস্ব চা পাতায় বানানো গাঢ় লিকারের চা খেয়ে ফিরছি।
অবশ্য চায়ে মন নেই রিংকির। ঠাণ্ডা কিছুর জন্য অপেক্ষা করছে লিনাও। ইশতিয়াক বরাফাচ্ছাদিত এক বোটল পানি নিয়ে আসলো!
দুপুরের খাবারের পর পিঙ্ক কালারের গাড়িতে বসার জন্য অস্থির নাকিবের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা ছুটলাম লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট। টিকিট কাটার পর হাঁটা--- রেললাইনে এসেই ইশতিয়াক স্ত্রীর ছব্বি খিঁচা শুরু করলো। আমাদের ছবিব খিঁচার দায়িত্বটা শিপুর হাতেই ছিল।
বিকালের পড়ন্ত সূর্য়ের আলোয় লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এক কথায় অসাধারণ। রেল লাইন ধরে হাঁটা আর ছবি তোলার ফাঁকে একটা ট্রেন ছুটে এলা--- হিশ ঞিশ শব্দ তুলে বনের ভেতর ছুটে চলা ট্রেনের দৃশ্যটা বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখাও হলেও এবারই প্রথম আমরা সবাই এক সাতৈ তা দেখলাম।
সন্ধ্যার একটু আগে আমরা চলে এলাম টি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কাছের টি গার্ডেনে।
সেখানে এসে আবিষ্কার হলো জোঁক চুষে নিয়েছে শিপুর রক্ত। এর ফাঁকেও আমরা ছবি তুলে, চা বাগানে খানিক সময় কাটিয়ে ছড়ার ছুটন্ত পানির শন শন আওয়াজ কানে তুলে শ্রীমঙ্গল শহরের আসলাম।
উদ্দেশ্য বৈকালিক নাশতা!
পাশে 'শশুর বাড়ি' নামীয় যে রেস্টুরেন্ট যাত্রা করেছে--- সেটা জানতাম। এর দ্বিতল ভবনের নিচে ফরেনারের সাথে দেখা। তারা নিচে বসলেন আমরা ছেলেপুলে নিয়ে দোতলায় উঠলাম--- লাচ্ছিটা দারুন, অন্থনও ছিল। দই দুটো নাজিব নাকিবের জন্য আনা হলেও একটা নষ্ট করে রেখে দিয়েছে ওরা।
সন্ধ্যার কিছু সময় পর আমরা ফের বাঙলো। একটু রেস্ট; একটু আড্ডা রাতের খাবার--- তারপর আবার ঘুমুতে যাওয়া। রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। ভোরে ঘূম ভাঙার পর সে বৃষ্টি উপভোগের গল্প শুনলাম রিংকির কাছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পরের দিন মাধবকুণ্ড যাবার কথা। সেটা রদ করে আমরা সিলেটই ফিরতে চাইলাম। লক্ষ্য রাতার গুল।
ঘুমের পর সকালে নাশতার আয়োজন। সেই রুটি , ডাল আর ডিম ভাজি। চা সেরে নিয়ে আমরা গুছিয়ে বেরুতে চাইলাম। সিএনজি ভাড়া করা হলো। যথারীতি আমরা শ্রীমঙ্গল শহরে।
হবিগঞ্জ সিলেট এক্সপ্রেস আমাদের বয়ে নিচ্ছে-- বিরতিহীন এ সার্ভিসে আমরা সিলেট শহরে এসে দাঁড়ানোর পর হেরিটেজ হোটেল আমাদের গন্তব্য!
তার আগে পানসি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার--- যদিও তখণ চার টা পার হয়ে গেছে। তাতে কি লাঞ্চ তো লাঞ্চই! চিংড়ির কারি, মুরগির রোস্ট , মাছ, ভাজি ভর্তার সমাহারে খাবার শেষে হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হবার পর আমরা সন্ধ্যার দিকে গেলাম সার্কিট হাউসে।
রীতির সিলেটি বন্ধূদের সাথে আড্ডা হলো ঘণ্টা দুয়েক। এর মধ্যে নাকিবের রেড কালারের আমব্রেলা লাগবে--- যাবার পথে রীতি টুক করে নেমে সেটিও কিনে হাতে তুলে দিলো।
পানসি--- সেই রক্কম ভিড়। সেই ভিড় ঠেলে রাতের খাবারের সাথে সাথে হাছন রাজার যাদুঘরের দ্যাখা মিলল--- বাইরে থেকে। রাতের হোটেল ফিরে লম্বা ঘুম।
সকালে কালো মাইক্রোবাসে আমরা চড়ে বসলাম--- গন্তব্য বিছানাকান্দি। গোয়াইনঘাট--- হাদার পাড় হয়ে নৗকায় চেপে বসলাম। পানি আর নাজিব দুটোরই বন্ধুত্ব পুরনো।
নাজিব বিছানাকান্দির পথে ভিজে নেয়ে একাকার। পাহাড়ের ছায়ায় নদীর জলে পাথরের সাথে জমছে আমাদের ভ্রমণ যাত্রা।
বিছানাকন্দি পৌছে নাজিবকে একবার নামানোর পর তুলে আনাটা ছিল চ্যালেঞ্জ। ঘণ্টাখানেক ভেজার পর আমরা উঠতে চাইলাম। পাহাড়ের ওপর থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা জলের ধারা মিশে যাচ্ছে নদীর জলে। জলের তলে জমে থাকা পাথর তুলে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সৌন্দর্য হানি হচ্ছে --- এ নিয়ে হা পিত্যেশও করলাম।
এখানে সরকার বাহাদুরের নজর পড়লে ভালো আয় ইনকাম করাও সহজ হতো্ বলে মত দিলাম।
কিন্তু এটা তো সত্যি এ রকম একটা ছোটখাটো বিছানাকান্দি নিয়া ভাবনার মত সময় সরকারের নেই। তবে বেসরকারি উদ্যোক্তারা ভাবতে পারে। ট্যাকা থাকলে নিজেই ভাবতাম!
ফিরছি--- ফিরে যেতে হয় বলে।
সন্ধ্যায় হোটেলে এসে হতে- পা ছড়িয়ে একটু বিশ্রাম নেবার পর রাত্রিকালীন দাওয়াতে আমরা।
রীতিদের বাসায় রাতের খাবারের নেমতন্ন। সাতকড়ায় পাকানো গরুর গোশত, ছোট মাছের বড়া, গোশতের কোপ্তা, মুরগির রোস্ট, মাছ ভাজি, বড়ইর আচার--- মতিচুরের লাড্ডু, মিষ্টি --- খাদ্য গ্রহণ শেষ করে উঠে দাঁড়ানো কষ্টকর হলেও উঠতে হলো।
বাস সাড়ে ১১ টা। কিন ব্রিজের উপর দিয়ে আমরা সিএনজি করে চলে এলাম শ্যামলী বাসের কাউন্টারে। ---- ছুটলো বাস উল্কার বেগে। এটাই যেন নিয়ম--- জীবন নিয়ে জুয়া।
আনন্দঘন সময়গুলো দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে--- স্মৃতির পাতায় জমতে থাকে প্রতিটি ভ্রমণ আর বয়স ড়তে থাকে। আমরা বুড়িয়ে যেতে থাকি! কী দারুন আহা কী দারুণ । আহা কী দারুণ জীবন!

নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের কোনো মানে হয় না

ভাই সব
আম্লীগ অত্যন্ত গণতন্ত্র-বান্ধব দল। আপনাদের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্যতারা এতগুলোর বছর ব্যয় করেছে--- নিশ্চয় আপনাদের সেটা মনে রাখতে হবে। 
ভাই সব ---দেশের উন্নয়ন -নেতৃত্ব দেবার জন্য আমরা তাদের বেছে নিয়েছি।
তাই তাদের দলের পেশি শক্তির ব্যবহার; ক্ষমতার অপপ্রয়োগ সহ যে সব কথা-লেখা তাদের বিরুদ্ধে যায়---এমন আলোকপাত গণতন্ত্র, দেশের স্থিতি -উন্নয়ন বিরোধী । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী।

তাই আসেন---নিজের চরকায় তেল দিই।

তারপরেও সরকার যেহেতু এখনো নাগরিকত্ব রেখেছে---তার দাবি নিয়ে বলছি---এ সব ফালতু নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের কোনো মানে হয় না।

যে যেখানে থাকুন নিরাপদে থাকুন। স্রষ্টার দরবারে দুর্বলের এ আকুতি থাকলো।

আম্লীগের রাজনীতির কাছে তুমরা দুগ্ধপোষ্য অপুষ্ট শিশু



কিছু আবুল আছে ঢোলের দুই পিঠে পিটায়। আহা তুমার এত মাথা ব্যথা ক্যান। বিম্পি ৫ জানুয়ারীর নিব্বাচনে যায় নাই--- এটা চ্রম ভুল ছিল।  কানে কানে তুমরাই তো কইছো।  বিশ্বাসও করছো--- ইসি কি বাল ছিঁড়তো--- নির্বাচনে গেলে ক্ষমতায় যেতো বিম্পি।  এ সব তো তোমগো ইন্টারনাল বয়ান।
আম্লীগের রাজনীতির কাছে যে তুমরা দুগ্ধপোষ্য অপুষ্ট শিশু সেইটা বোঝনের ক্ষমতা তোমাগো নাই। একবার ক্ষমতার স্বাদ পাইছিলা--- তাই ভাবছ ক্ষমতা কী মোহনীয়--- ! খালি উপভোগ করবা। ত্যাগ করতে শিখো। ত্যাগ ছাড়া আম্লীগও এত দূর আসতে পারতো না। বহু বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল দলটি। সেইটাও ভাবো---

নগর নির্বাচনে বিম্পিকে তাড়িয়ে নেবার জন্য একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে দোষ দ্যায় কেউ। কেউ ডিহবাহির চরম পরম আলোচিত নেতার সমালোচনা করে। বলে সরকারের বাইরে থেকেও লোকটা সরকারেই আছে।  আরেকজন বিম্পি অফিসে বসে আম্লীগের কাজ কর্ম করে বলে অভিযোগ।

আরে ভাই তোমরা কই আছিলা। তারা এ সব জায়গায় যদি যাইতে পারে--- তুমি পারো নাই ক্যান।

আম্লীগের টোপটা বোঝ নাই ক্যান। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের সিটি নির্বাচনের  ফল তোমাগো পক্ষে না দিলেও তারা পারত। কেন দিয়েছে--- দিয়েছে বড় ফলটা তারা খাবে। সংসদ নির্বাচনটা নিজেদের অধীনে দেয়াটা জায়েজ করবার জন্য। অকাট্য প্রমাণ তখন সবার সামনে-- তাজা।
এ সব বোঝার মত তোমাদের মাথায় মালের অভাব। তাই তোমরা ফাঁদে পা দিছো।

খরবদার জণগণকে জিম্মি কইরা আর রাজনীতির  নোংরা খেলা খেলবা না। তোমরা আগে নিজেরা ঠিক হও; রাজনীাত বোঝো; দলের ভিত্রের দালাল মুক্ত করো--- আদর্শের জন্য রাজনীতি করো--- তারপর আলাপে আইসো।

 যারা আমার এ  আওয়াজে কষ্ট পাইছেন--- তারা আমারে ত্যাগ করেন। মনে রাখা ভালো--- আমি কারো সাতেও নাই পাঁচেও নাই। শান্তি চাই। তোমরা তোমাদের  রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাবে--- কৌ্শল নির্ধারণে ব্যর্থ হয়ে জণগণকে জিম্মি করবা--- তা হবে না।  তা তুমি বাবা আম্লীগ হও; বিম্পি হও, জমাত -জাতীয়পার্টি--- বাম রাম যাই--- হও!

শান্তি চাই।

আমি রকিব হবো না--- মইন--ফখর হবো না

জানি প্রিয়তমা
বন্দুকের নলের সামনে টিকে থাকা মুশকিল
চেষ্টা করতে দোষ কি বলো
মৃত্যু হবেই ; তাই বলে মওদুদের মত বাঁচবো!
সব সময় সরকারি দলে থাকা তো সম্ভব না

এ ভাবে আর কত লেয়াঁজো করে চলবো--- খোকার মত।
কতবার আমি নিজের ঘাটের টাকা খরচ করে গ্রেপ্তার হয়ে
আন্দোলন থেকে দূরে থাকবো বলো!

তার চেয়ে এই ভালো-- সব মেনে নিয়ে
আমি এমাজ--রিজভী--আইভি-- জুনায়েদ সাকী হবো

অমি কখনো অস্বীকার করবো না আমার অপরাধ
কখনোই আমি মুজাহিদ হবো না। নিজামীর মত বলবো না সব মিডিয়ার সৃষ্টি


জানি প্রিয়তমা
আনিসুলের মত আমার ভাই নেই
তার সম্মোহনী ক্ষমতা আমাকে রাতারাতি নির্বাচনি টিকিট এনে দেবে!

মাহির মত আমার পেছনে--- প্রেসিডেন্ট বাবা নেই।
রাজনৈতিক পরিবার নাই।
তাবিথের মত আমার বিত্তবান পিতা নাই---
নাই আমার মেয়র হবার বাসনা


তবে আমি সাঈদ খোকনের মত সততা নিয়ে চলতে চাই
মির্জা আব্বাসের মত স্ত্রীকেও বের করে আনতে চাই চার দেয়ালের বাইরে


হাল ছেডেনো
পোষা কুকুর হতে পারিনি বলে আমি হেরে যাবো ।
হতে পারে না; মানুষ কখনো হারে না

নির্বাচন কমিশনের দুয়ারে যাবো না
আমি রকিব হবো না---  মইন--ফখর হবো না

 মাসুদ হবো না--- রেস্টুরেন্ট খুলবো না কখনোই

মানুষ হতে এসেছি। মানুষ হবার চেষ্টা করে যাচ্ছি---
মানুষের মনের কথা শুনতে এসেছি--- মানুষের কথা শুনে মিলিয়ে যাবো

জানি বন্দুকের নলের অনেক শক্তি--- তারচে বেশি শক্তি প্রকৃতির।
খেয়াল দেখো--- ধবসে গেছে দরবার হল
টিকে আছে মানবতা--- এ মানবতা জাগ্রত করতে কোনো পয়সা খরচ হয়নি।
উঁচু করতে হয়নি বন্দুক!

জয় হোক মানুষের। জয় হোক মানবতার। জয় হোক বোধ-চিন্তা-মানবিকতার!