এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী

নায়েক রাজ্জাক কে ফেরত না পাবার নবম দিন । এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী।
গত সপ্তাহের বুধবার রাজ্জাককে অপহরণ করে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ- বিজিপি।
হতাশার কথা হলো পতাকা বৈঠক হবে শুনছি। এখনো হয়নি ।
রক্তাক্ত রাজ্জাককে গাছের সাথে বেছে রাখার মৃদু প্রতিবাদ সংসদে হয়েছে। এটা একটা ভালো খবর ।
সবাই নিশ্চিতভাবে একমত হবেন --- মিয়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয়। পুরো বাংলাদেশ ।
রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র । দল আপনার যা-ই হোক ; মত আপনার ভিন্ন হোক --- সীমান্ত কিন্তু একটা ।
তাই সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে আমাদের উদ্যোগ দরকার ।

'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলাও'

কথাও কাজে মিল থাকলে বিজিবি প্রধানের বয়ান শুনেও শান্তি লাগতো। ৬ দিন ধইরা নায়েক রাজ্জাক মিয়ানমারের বন্দী। মেরে তার নাক ফাটিয়ে দেবার পরেও বিজিবি প্রধানের ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ দেয়া বক্তব্যের প্রতিফলন দেখলাম না। গ্রাম অঞ্চলে একটা কথা আছে 'ঘরেই সব পারে; বাইরে পারো না। wink emoticon'--- 'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলা্ও।' এটা হলো বাইরে কোনো মুরদ ফলাতে ব্যর্থ পুরুষের জন্য ব্যবহৃত বা অতি ব্যবহৃত কথা। বিজিবি কর্তাদের জন্য এ কথটা ব্যবহার করবেন না---- প্লিজ।

''সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতি ছাড়াও বিজিবি’র গত বছরের কর্মকাণ্ডের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তা তাত্ক্ষণিক যোগাযোগে সমাধান করা যায়। গত জুন ও ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। আগে মিয়ানমার কোনো ইয়াবা ব্যবসায়িকে ধরতো না। আলোচনার পর তারা একবার দুই লাখ, আরেকবার চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর চোরাকারবারীদের অনেকেই জামিনে বেরিয়ে যায় বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।''

১৬ জানুয়ারী ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবর।

খবরের লিঙ্ক http://www.ittefaq.com.bd/national/2015/01/16/11781.html

পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ

আমার মত পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ।  পিৎজা হাট মেয়াদোত্তীর্ণ মাল ব্যবহার করে। ব্যবহার করে ক্যামিকেল। যেইটা বিএসটিআই অনুমোদনও করে না। আহা তুমি এমন ক্যারে পিৎজা হাট। এমুন ক্যারে কেএফসি। তুমরা চিকেন বইলা কয়দনি আগে ইঁন্দুর দিছো।  


 বিএসএস এর খব্বর

KFC, Pizza Hut fined
Mobile court finds date-expired items, adulterated oil, unauthorised chemicals

A mobile court of the Dhaka Metropolitan Police (DMP) yesterday realised Taka one lakh each from three branches of popular eateries KFC, Pizza Hut, Boomers in fines at Baily Road, reports BSS.The mobile court headed by executive magistrate Md Moshiur Rahman fined KFC on charges of selling date expired goods and using adulterated oil in different food items while Pizza Hutt was fined for using two chemicals, bolognaise sauce seasoning and extreme seasoning, which have no BSTI approval and license, an official release said.It also fined Boomers on charges of keeping rotten meat and adulterated food items in refrigerator, it also said.
The eateries gave the fine soon after the court order.DMP has vowed to continue the drive during the holy month of Ramadan.Transcom Foods Limited operates the international food chain restaurant Pizza Hut in Bangladesh under a franchisee license, and introduced the brand in the country 2003. The company, later in 2006, also became the franchisee of Kentucky Fried Chicken (KFC).Pizza Hut is an American restaurant chain and international franchise that offers different styles of pizza and are famous for their high quality and delicious food items. It was founded on June 15, 1958 by brothers Dan and Frank Carney in their hometown of Wichita, Kansas. KFC (Kentucky Fried Chicken) is a fast food restaurant chain headquartered in Louisville, Kentucky, United States, which specializes in fried chicken. The brand has a large presence in Asia with over 640 KFC franchisee restaurants in Malaysia, Singapore, Cambodia, India and Bangladesh. 

 ছাপছে দ্য ইনডিপনেডেন্ট ; মূল নিউজের লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/4663

রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে

রাষ্ট্র যে গরিব মানুষের ট্যাকা খরচা কইরা অস্ত্র কিনে সেটা ক্যান কিনে । রাজ্জাকদের নাক দিয়া রক্ত পড়ে । রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে ।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি :(

বাবা দিবসে নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের জন্য করুণা

আজ বাবা দিবসে বাংলাদেশের  বর্ডার গার্ড নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের আমরা করুণা করি। ৫ দিনেও অপহৃত নায়েক রাজ্জাককে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। 

মায়নামারে সন্ত্রাসী বর্ডার গার্ড পুলিশ--- বিজিপি  তাকে অপহরণের পর মারধর করেছে। সে ছবি তারা প্রকাশও করেছে।  তাকে ফেরৎ পেতে  আমাদের পতাকা বৈঠকের ডাকে সাড়া  দেয়নি মায়নমার।  দুইটা রোজা চলে গেছে--- রাজ্জাক কি রোজা রাখতে পেরেছেন। তার সেহরী, ইফতারের ব্যবস্থা হয়েছে। নাকি তিনি ৫ দিন ধরেই রোজা রাখছেন--- তাকে পানি খাবার দিচ্ছে কিনা সন্দেহ। যেভাবে তাকে হেনস্তা করছে মায়ানমার--- স্বভাবতই প্রশ্নটা মনে আসছে।

আমাদের সীমান্ত প্রহরীদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য ছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মহান ভূমিকা রেখেছে সেটি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস– ইপিআর'র ভূমিকা হয়তো আমরা মনে রাখিনি সেভাবে; যার জন্য তাদের দুর্দশা আমাদের ছূঁয়ে যায় না সব সময়।  বন্ধু-রূপী শত্রু  ইনডিয়া আমাদের ভূমি দখল নিতে চাইলে বরইবাড়িতে যে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল--- তাতে অত্যন্ত সফল আমাদের বিডিআর। 

 ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর --- পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ আমাদের সীমান্তরক্ষীদের বিজিবিতে রূপান্তর ঘটার পর কেবল তারা মার খাচ্ছে। এ মায়নমারই গত বছর আমাদের একাধিক বিজিব সদস্যকে খুন করেছিল। আমরা কিছুই করতে পারিনি। 

 আমাদের এ অক্ষমতা মানসিক নাকি রাজনৈতিক। জানতে খুব ইচ্ছে করে।

আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ

মায়ানমারের খোয়াডে রাজ্জাক নয় পুরো বাংলাদেশ । নায়েক রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র ।
মায়ানমার রাজ্জাককে হাত কডা লাগিয়ে পরিত্যক্ত সন্ত্রাসী আস্তানার মত একটা ঘরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে।
আমরা ক্রিকেট আফিমে অবশ । আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ ।
রাজনীতি সমরনীতি পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী কিছু অবশিষ্ট আছে ! নাকি সবই খোয়াড়ে ।
এত এত মানুষ অকাতরে তাদের জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেলো আমাদের । আমরা অথর্বরা তাদের জীবনের প্রতিদান এ ভাবে দিচ্ছি !
লজ্জিত। আমাদের ক্ষমা করো।

তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব!

তোমরা ইনডিয়াকে হারিয়ে তালি বাজাও। ধবল ধোলাইয়ের ভাবনায় উত্তেজিত ।
আর নায়েক রাজ্জাক পাঁচটা দিন মায়ানমারের খোয়াডে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কইছে ভুল বোঝাবুঝি। কিন্তু এর অবসান এখনো হয়নি।
বর্ডার গার্ডের অনুনয়ে মন গলছে না মায়ানমারের । পাত্তাই পাচ্ছে না বিজিবি এমন খবরও এখন প্রকাশিত । পতাকা বৈঠকের জন্য সাড়া নাই। কী অমানবিক। তারপরও আমরা নিশ্চুপ -নিদ্রাতুর ।
এ ক্যামন বাংলাদেশ আমার ।
মায়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয় ১৬ কোটি মধ্যম আয়ের দ্যাশ হবার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশী।
তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব ।

অনুমোদন নেই; তারপরেও Transmission Network লিজ দিচ্ছে গ্রামীণফোন

লাইসেন্সিং গাইড লাইন লঙ্গন করে গ্রামীণফোন Transmission Network লিজ দিচ্ছে। ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের  লাইসেন্স নবায়নের আগেই তাদের অনুকূলে ইস্যু করা  লিজ পারমিট এর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় BTRC।

২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন  নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।

হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন,  আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।

Transmission Network বলতে বিটিআরসি  ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম  ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।


বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন  Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'

' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি।  তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।

ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।  

মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল  পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র  সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।

'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর  বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।

সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।  এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও  বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।

গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের  বিনিয়োগে গড়ে ওঠা  অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক  সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে।  যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।

২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর  মোবাইলফোন অপারেটরদের  ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে।  সর্বশেষ ২০১৪ সালে  বিটিআরসি  টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service  নিতে হবে।

এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক  সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে  অপারেটরটি  হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন  সৈয়দ তালাত কামাল  ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''

মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।

মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062

বিজিবি মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

বর্ডার গার্ড সদস্য বিপ্লব গুলি খাইছে। নায়েক আবদুর রাজ্জাকরে ধইরা লইয়া গেছে। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের যেখানে হয়রানি করছে সেখানে সীমান্তে বসত করা  আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার কী হাল। নাকি সেটাও ভুল বোঝাবুলি ভিত্রেই আছে। এর আগে মায়নমার আমাদের বিডিআর জওয়ান মাইরা ফালাইছিলো। সেই সময়ও আমরা বুল বুঝাবুঝির ভিত্রে আটকে ছিলাম। হুমমম।  বিজিবি এতটা দূর্বল ক্যামনে অইলো বুঝলাম না। তারা মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '

কিস্তি :: ৮৮:: ভার্জিন ড্রিংকস,পুরনো ঢাকা এবং তেহারি সমাচার


ঘোড়ার গাড়িতে করে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম। এখনো যাই। তবে কুবই কম। আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ২০ টাকা। তাতে কী। এই একটা ভ্রমণ আমার কাছে উপভোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার প্রথম রোজগার ছির বাংলা বাজার কেন্দ্রিক।

নোট বই , গাইড বই লিখতাম। ভালোই ইনকাম ছিল। ঘটনাটা এ রকম- আমি ঘুমিয়ে আছি। পাঞ্জেরীর প্রকাশণীর নেসার ভাই আনিস ভাইয়ের সাথে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত সব ক্লাশের বইয়ের নোট তৈরির আলাপ করছিলেন। তার কথার উচ্চ স্বরে আমি মশারী ফাঁক করে দেখলাম।

আনিস ভাই পরের দিন আমাকে কিছু কাজ দিলেন। একটা বাংলা বইয়ের পুরো নোট ঘন্টা দেড়েকে বানিয়ে দিলাম। আমার লেখা তার ও নেসার ভাইয়ের পছন্দ হলো। তারপর আমি লিখতে শুরু করলাম। তবে প্রকাশনার কাজে জড়িয়ে যে সব বিষয় বেশি সঙ্কটে পড়তাম তা হলো প্যামেন্ট। এখনো স্কলার্স পাবলিকেশন্সের কাছে আমার হাজার পঞ্চাশেক টাকা বাকি পড়ে আছে।
সেই ২০০১ সাল। আর এখন ২০১৪। টাকা দেবো, দিচ্ছি করে ঘুরিয়েছেন, পরে আর যাইনি।

তবে লেখালেখির বিষয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সৎ আবদুৃল্লাহ অ্যান্ড সন্স। আমি তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্নাতক শ্রেণীর বই এডিট করে দিয়েছিলাম। এক হাতে কপি নিয়েছে, আরেক হাতে টাকা দিয়েছে।

টাকা নিযে গড়ি মসির  কারণে পরে আর লেখা হয়নি। সে সময় যাত্রাবাড়ি ও পরে বকশিবাজার থেকে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম ঘেড়ার গাড়ি করে। বাস চলতো- মুড়ির টিন। এক টাকায় যাওয়া যেতো গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। এতটা কঠিন যানজপট ছিল সেই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, সে সময়টা বাসে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা, কখনো আরো বেশি সময় লাগতো। এখন কেমন অবস্থা জানি না। কালন আমি এখন যাই শুক্রবারে!

পরে অবশ্য বকশিবাজার থেকে আরমানি টোলা হয়ে শটকাটে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতাম। এভাবে অনেক দিন গেছি। সেখানে যাবার সুযোগে পুরনো ঢাকার সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক।

শাঁখারি বাজারে গেলাম ২০০০ সালরে দিকের এক বিকালে। আমাদের এলাকার এক বন্ধু পিংকুর সাথে। ওর বোন থাকতো সেখানে। ভাগ্নি নাচ শিখছে, মামাদের নাচ দেখাবে, তাই যাওয়া। একটা সরু গলি ধরে আমরা ভিতরে ঢুকছি, আর মনে হচ্ছে আমি গুহার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, তাই সরাসরি ঢুকতে পারিনি, একটু পাথালি হয়ে ঢুকতে হলো। সেখানে আলো ছাড়া একটা মিনিটও কাটে না কারো।

অনেক্ষন ছিলম, মিষ্টি খেলাম। ভাগনির নাচ দেখলাম এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার কিঞ্চিত দেখে ফিরে এলাম। এভাবে পুরনো ঢাকা-

সে সময় আমি ওযারীর আল আমিন কোচিংয়ে ক্লাস নিতাম। গিযে দেখি সব মেয়ে। ওই কোচিংয়ে কোনো ছেলেকে পড়ানো হতো না। আমার ক্লাস নেয়ার কথা বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। সেটি ইন্টার থেকে ডিগ্রির মেয়েদের। কিন্তু অনেক টিচার আসতেন না। তাই আমাকে  বদলি খাটতে হতো! নাইট টেনেও পড়িয়েছি।

কোচিং চালাতে 'সায়াদাত' ভাই। তিন বললেন- আমি যাওয়ার কারণে তার শিক্ষার্থী বেড়েছে। আমার বিশ্বাস হলো না। পরে আমি যখন ছেড়ে আসি, উনি খুব মন খারাপ করেছিলেন। সায়াদাত ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন বা তিনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। যাকে ভদ্র সমাজে ডিভোর্স বলে। উনার একটা সন্তান ছিল। মাঝে মাঝে তিনি ক্লাসের ফাঁকে তার কাছে ছুটে যেতেন।

কোচিংয়ের সুবাদে আমার দুজন নারীর সাথে ভালো সম্পর্ক তেরি হয়েছিল। তাদের একজন নীলা। আরেকজন ঝুনু। নীলা হালকা পাতলা। আর ঝুনু অনেক মোটা। তবে দুজনই ফর্শা- সুন্দরী। তারা আমার ক্লাশের ছাত্রী না হয়েও আমার লেকটচার শোনার জন্য আসতেন! (নিজেদের কেমন মফিজ মনে লইতাছে!)

নীলা মেয়েটা ইভটিজিংয়ের শিকার হতো, সেটি জানার পর একটা 'ব্যবস্থা' করেছিলাম। দক্ষিণ মুহসেন্দীতে ওদের বাসা। বার কয়েক দাওয়া করেছিল, কিন্তু ভভঘুরে কুদ্দুসের সময় কই! যাওয়া হয়নি।
ঋষিকেশ দাস লেনে ছিল ঝুনুদের বাসা। ওর মা বাবা বেশ কয়েকবার বলেছিল পুররো ঢাকার অতিথি আপ্যায়ন কেমন? তা দেখার সুযোগ নিতে। আমি পারিনি।

আল আমিন কোচিংয়ের চাকুরীটা ছাড়ার আগেই আমার প্রথম আলোর প্রদায়ক সংবাদদাতার কাজটা জুটেছিল। আমি সব সময় কাজের মধ্যে থাকি। নট কাম! কাজ না থাকলে ভালো লাগে না। প্রথম আলোর হয়ে কাজ করার সূচনার ফাঁকে রাজীব ভাই বললেন, আপাতত পেজ বেরুচ্ছে না। তাহলে আমার কী করণীয়!

প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো- প্রিয় মুখ নামে একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিন বের হবে। রাজীব ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে যোগ দিলাম। অনেক দিন সেখানে কাজ করেছি।

আমার কিছু অদ্ভূত ঘটনা আছে। তার দুটো প্রিয় মুখে থাকার সময়- আমি ভাবলাম দিনের ১০ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পানি খাবো না। দেখি কাজটা করা যায় কিনা। তাই হলো। সে সময় ইয়ুথ গ্রপ একটা পানীয় বাজারে আনে- নাম দেয় ভার্জিন। সম্ভবত আমি সেই ব্যাক্তি যে সবচেয়ে বেশি ভার্জিন ড্রিংকস খেয়েছি।

মাস চারেক ভার্জিন ড্রিংকস খাওয়ার পর কমিয়ে আনতে বাধ্য হলাম। দিনে মাত্র দুই লিটার! কারণ আমার পানীয়ের খরচ দিতো প্রিয়মুখ কর্তৃপক্ষ। আর খাবার আসতো এলিফ্যান্ট রোড়ের টেস্টি খাবার ঘর থেকে। সেখানে তারা আমার নামটা বদলে দিয়েছিল। নতুন করে রেখেছিল- ' খাইন্না ভাই'।

আরেকটা ঘটনা- আমি সে সময় আজিমপুরের নিউ পল্টনে একটা মেসে উঠলাম। সেই মেসে আমার রুমমেট হিসাবে নিলাম কায়সার ভাইকে। দেয়ালে পোস্টার লিকে তাকে পাওয়া! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সের একটা সাবজেক্ট থেকে পাস করে চাকুরীর খুঁজছেন। দুজন মিলে থাকি, ভালোই কাটছে। কিন্তু কায়সার ভাই বাইরে থাকেন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেন না। আমারো একই হাল।তাই বুয়া মুক্ত মেস!

যেহেতু বাইরেই খেতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একমাস টানা চলবে তেহারি এবং বিরিয়ানী । নীলক্ষেতের তেহারির সুনাম আছে। চেষ্টা করলাম এবং সফল হলাম। ঠিক একমাসের শেষ দিন বাড়ি গেলাম। বিকাল ৫ টার দিকে খেতে বসলাম- এক মাস পরে ভাত! তাও আবার মায়ের হাতে! সে কী সুস্বাদু। চার প্লেট ভাত খাওয়ার পর মনে হলো- পেটে আর জায়গা হবে না। তৃপ্তিতে ডুবে আছি।

মোডি কাকুর অভিমানী মুণ্ড ও বঙ্গীয় রাজনীতি :(

 frown emoticon
মোডির প্রশ্নে কে চুপসে গ্যাছে; কে চমকে গ্যাছে ; কে থমকে গ্যাছে ; তার সাক্ষাতে কে গলে গ্যাছে; কে ভিজে গ্যাছে ---কার জল খসেছে ; কার খসেনি।
ইহা এখন মিডিয়ায় আলোচ্য বিষয় । উপাদান রাজনীতি। প্রত্যাশা ক্ষমতার সুরক্ষা কিম্বা ক্ষমতাপ্রাপ্তি।
কিন্তু সাগরে ভাসা মানুষ, মায়ানমারে বিনা অনুমতিতে ইন্ডিয়ার হামলা--- সামনে বিচ্ছন্নতাবাদী দমনে যে কোনো দেশের অভ্যন্তরে হামলার হুমকি----
তিস্তার জল , ছোট ফেনী নদীর পানি কিম্বা বিএসএফ ষণ্ডাদের প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী খুন ---এ সবের চে এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ ।
কারণ আমজনতার ভয়েস কেবল শোর তোলে। হিট গণনা হয়। কত মানুষ নেমেছে দ্যাখো!
চুড়ান্ত বিচারে ইনডিয়া -আম্রিকা ক্ষমতার দাবায় গুটি ঘোরায়। আর তাই ---
মোডি কাকুর অভিমানী ফুলস্লিভ মুণ্ড চোষণ--তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত ---রাজনীতিক মিডিয়া--- সবাই । frown emoticon

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র





বহু বারান্দায় আটকে থাকা স্বপ্নগুলো
আমার কাছে দুঃস্বপ্ন!

যা ভাবি তাই করি
না পারলে আফসোস করি না; একটা ছাড়া!

ভাবতাম কিছু পয়সা জমলে সাগরে ডুবে থাকবো
পাহাড়ের ভাঁজে শুয়ে কাটাবো একটা একটা করে দশটা রাত
নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকবো--
তাড়া থাকবে না কোনো

ছেলেদের কাঁধে হাত রেখে নাফাখুমে ছুটন্ত বিকালরে সূর্যটাকে বলাবো কাল এসো
আমি আছি--
আমরা থাকবো আর ক'টা দিন


তারপর ইচ্ছে হলে ফিরবো
নইলে বগালেকে মাছ ধরতে বসে যাবো-- ফিরবো কখন জানি না

ভেসে যাওয়ার জোছনার আলোয় ডুবে থাকবো পিতা পুত্র
একই প্রকৃতির প্রেমে ডুবে যাবো আমরা তিন জন!

ছেলের স্কুল সময় ফুরিয়ে যাক
ফুরিয়ে যাক তার শৈশবে কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের বিকাল
তারপর
না তারপরেও হবে কি-না সন্দেহ!

কিছু টাকা জমে পকেটে--
সে টাকা পুড়ে যায়
তারপর আমি আবার ভাবি
যাবো ---

সময় আমাকে বলে
কাজ করো! কাজ!!
কাজে ডুবে থাকি
ইচ্ছাগুলো পুড়ে যায়

আকাশ দেখবো বলে বলে দাঁড়িয়ে থাকি
বারান্দায়
নিঃশ্বাস নিতে পারি না।

ইনহেলারটা টেনে নিই
নগরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবি
একটা দিন আসবে
রোদে পুড়বো- বৃষ্টিতে ভিজবো--
পাহাড়ে জঙ্গলে কাটাবো জীবন!

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে

যৌন সন্ত্রাসীরা এত বে পরোয়া ক্যামনে । মাইক্রোবাসে গ্যাং রেপের পর খালার বাসায় বেড়াতে এসে রামপুরায় গৃহবধু গ্যাং রেপ frown emoticon
কে ব্যবস্থা নেবে? সেই পুলিশ ! যার কাছে তার সহকর্মীও নিরাপদ নয়। পুলিশ কর্মকর্তাও নারী কনস্টেবলকে রেপ করার খবর এখন প্রকাশিত।
তাহলে --- frown emoticon

বৃষ্টি : পুরনো প্রেমিকার মত আসো গোপনে

বহু সুখ বৃষ্টি ঝরে পড়ার পর তুমিও ঝরে পডো
পুরনো প্রেমিকার মত আসো গোপনে ---
আড়ালে থাকো রাজনীতির মত!
শীতল পরশ 
ঠান্ডা হাওয়া
কাজ পালানোর দুপুর বেলা
বৃষ্টি আসুক তোমার ঘরে
বৃষ্টি ভিজাক সকাল রাতে
বৃষ্টি আসুক অসময়ে !

রোমাঞ্চকর অফিস যাত্রা


বেশ রোমাঞ্চকর অফিস যাত্রা হলো আজ। সেই রক্কম। মানুষের অনেক কথা কানে এলাে; পুলিশ ভাইদের স্বভাব সুলভ হুমকি ধমকি আর রিকশাঅলার না ভাই গুলশান--! 'মরতে যামু' এ সব শুনতে শুনতে পাক্কা ৬০ টাকা সেভ করে অফিসে চলে এলাম। সময় নিলাম মাত্র মিনিট ষাটেক।
জয় পুলিশ। জয় রাষ্ট্র। শপিং আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। পুলিশের সন্তুষ্ট রাখা আমাদের সাধনা। শুভ হোক পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের নব যাত্রা। আর কেউ না গেলেও এই মার্কেটে শপিং করতে আমি যামু ইনশাআল্লাহ। যারা আজকে চেতছেন; সরকার প্রধানকে বকছেন তারাও আইসেন। দারুণ মাক্কেট ।

সুখবর--


রাষ্ট্র স্বীকৃত তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া), রাখাইনসহ অন্যসব ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা  (এসএমই) খাতের আওতায় ঋণ দেবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। ৯ জুন ওই সার্কুলারে  আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ  সুবিধা পৌঁছে  দেবার নির্দেশ দেয়া হয়। 

কাকুর বক্তৃতার ভিত্রের এত মাল লইয়া বঙ্গবাসী কি করিবে!



মোডি কাকুর বক্তৃতা লইয়া অনেক ভাই-বেরাদারের বিশ্লেষণ পড়ছি। আবেগি ফেসবুক স্টাটাসও পড়ছি।  সংবাদ বিশ্লেষণও পড়লাম।  এ সব পাঠান্তে আমার কেবলই মনে হচ্ছে আবুল মনসুর আহমদের 'জনসেবা ইউনিভার্সিটি'র কতা। কাকুর বক্তৃতার ভিত্রে অনেক মাল। এ সব মাল-- বঙ্গবাসীর কী কামে লাগলো --- এই মাল লইয়া আমরা কি করিব---সেইটা বোঝার মত ক্ষমতা  অধম আদমের নাই।

তয় আবুল মনসুর আহমদের গল্পের মত আরেকটু দ্যান। ...দিলে এই হবে। ওই হবে টাইপ। আশাবানরা স্বপ্নে বাঁচুন। আশাহীনরা বুক চাপড়ান। কিন্তু  তেল মাইরেন না। এ তেলানো এখন আমাদের জাতীয় চরিত্রে রূপান্তরিত হতে চলেছে!

ভাই বেরাদররা --- মনসুর আহমদ  ক্যাডা কেউ আবার এই প্রশ্ন কইরেন না। কারণ মনসৃর আহমদরা ছিল বইলা-- এখনো দু একটা বিষয় বুঝার জন্য কিছু উপাত্ত প্রতীক পাওয়া যায়!

জয়তু মোডি কাকু ।

মোডি কাকুর 'দিদার'ই আমাদের দুদিনের সফরের বড় অর্জন!

মোডি কাকু বিদায়; আবার আসবেন। প্রতীক্ষায় থাকবো; জানেনই তো প্রতীক্ষা বড়ই কষ্টের। কাকু কতা দ্যান আবার আসবেন। আপনি টুইট ও ফেসবুকায়াই কইছিলেন 'ভালোবাসা' লইয়া আইছেন।  আমরা সেই 'ভালোবাসা'য় ভিজে নেয়ে একাকার। আপনার 'ভালোবাসা'-ই দেড় দিনের সফরে আমাদের অর্জন। বিসর্জন বলে কিছু নাই। ' যাহা দিলাম উজাড় করিয়া দিলাম'। হিন্দি সিরিয়াল, হিন্দি সিনামার ব্যবসা এবং হলে হলে হিন্দি সিনামার দেখানোর পর ঢা্কা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আপনার হিন্দি বক্তৃতাও চ্রম অইছে।  ভালো থাকেন--- আপনি আইসেন। আপনি আসবেন বইলা আমরা কত রাজনীতি করছি। তবুও ভালো লাগছে আপনি সবাইরে দ্যাখা দিছেন। আপনার দিদারে বঙ্গজাতি ও তাদের নেতারা যদি পরের জনম পান সে জনমওে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবেন। ক্ষমতার চরকা যে কোন দিকে ঘোরে; কারা ঘোরায়; সেটাও প্রত্যক্ষ করবার বড় সুযোগ আমরা পাবো।

 ভালো থাকেন। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা। আপনি ও আপনার সরকার আমাদের চুইষ্যা খাইয়া লান। মাইরা লান। সুখের(!) মরণ লইয়া আমরা গান গাইবো--- ‌রথীন্দ্রনাথের সেই গান
' না পারিলাম বাঁচতে আমি
না পারিলাম মরতে
না পারিলাম পীরিতের ঐ
সোনার পাখি ধরতে'।

প্রার্থনায় মোডি কাকু ---

সকাল ৮ টা ৪০ এ মোডি কাকু ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা দিয়ে দিন বাংলাদেশে তার শেষদিনের কাজ শুরু করেছেন । 

যে সব সম্বাদিক সেখানে গেছেন তাদের কেউ-ই প্রার্থনা-নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন নি;এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এমন কি সাঈদ খোকন ছাড়া অন্য রাজনৈতিক নেতারাও। 

পালন বা বর্জন ব্যাক্তিগত। কিন্তু পালন না করে উল্টো পালনকারীদের উপহাস করাটা এক বিকৃত আনন্দের বিষয়। সেই তারাই মোডি কাকুর প্রার্থণা সভায় গিয়া হাজির। তাও এত সক্কালে!

মোডি কাকু; আপনার ধর্ম পালন যদি এ দেশের অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া  সব জান্তা সম্বাদিক এবং রাজনীতিকদের কাছে যেনো --এ বার্তা পৌঁছায় ---ধর্ম পালনের ভার কেবল পুরোহিত, কাঠমোল্লা,যাজক আর ভান্তের নয়। সবার। 

তাহলে এ বঙ্গদেশে ধর্ম পালনকারীরা 'অসভ্য ইভ টিজার' আর 'ব্যবসায়ীদের খপ্পর' থেকে বেঁচে যেতেন । 

তারা যদি জানতেন --- ধর্ম মানে মৌলবাদ নয়-সেকেলে নয় । ধর্ম পালনকারী মানে উগ্র নয়। ধর্ম পালনকারী মানে জঙ্গী নয়। তাহলে এ বঙ্গের অনেক উপকর হতো।

আপনাকে শ্রদ্ধা ।

'ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি ভালোবাসি'


ভালোবাসা এখন স্বার্থ শব্দের নাম
তোমার উপের যে শব্দটা আমি স্থির করে রেখেছিলাম
 তুলে নিলাম তা

 তিস্তার জলের মত আটকে রাখতে চাই না

 যা বলি সোজা সাপ্টা

 তুমি তো বহুবার বলেছো--- ভালোবাসা হলেই চলবে-- আর কিছু না। কোনো খাবারেরও দরকার হবে না।

 সময় বদলে বিববাহিত জীবনে শুধু  ভালোবাসা হলে চলে না; আরো কিছু চাই

দ্যাখো তোমার কথা ভুল!
মোডি কাকু কিন্তু ভালোবাসা নিয়েই এসেছেন; আমরা সেই ভালোবাসায় আপ্লুত; মুগ্ধ।
 ভালোবাসনা পেলে আমরা চাইবো না আর কিছু

 নার্গিস--- কোথাকার কোন ;'অপয়া' মেয়ে গ্যাছে ইনডিয়ায়
 'সুবোধ বালকেরা' তাকে ধর্ষণ করেছে, খুনও করেছে

 ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে চিতকার করেছে 'পানি' 'পানি' বলে
'জল' বলতে পারত; তা না ফুটানি! 'পানি' চায়!

 সব মনে রাখতে নেই
মনে রাখতে নেই গরু চোরাকারবারী বলে গুলি করে মেরে ফেলা মানুষের কথা
ওরা 'ছোট' লোক বেপারী। ওদের কথা মনে রেখে স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়!

 আমরা ভালোবাসা চাই; প্রেম চাই। অনেক প্রেম এবং ভালোবাসা জমা হলে আমারা আসমানে উড়বো
সেখানে খাবারের দরকার নেই।  স্বপ্নরে ঘোরে কেবল গরিবরা খাবারের স্বপ্ন দ্যাখে

বড় লোকরা রোমাঞ্চে থাকে
২০২১  কিম্বা ২০৪১
আমরা তখণ মধ্যম-উত্তম আয়ের দ্যাশ।

আসো-- স্বপ্নের জন্য কাতার বন্দী হও। যে দলই তুমি করো
 যে আদর্শই তোমার থাক

 ইনডিয়ার সামিয়ানা ক্রস করলে তুমি বিপন্ন হবে- জঙ্গি হবে
 ক্ষমতা তোমার জন্য নিষিদ্ধ হবে; ঠিক যেনো পরকীয়া প্রেম হবে।

গাও ---ভালেবাসা মোরে অশেষ করেছে
 কিম্বা ভালোবাসা আমাকে ভিখারী করেছে তােমাকে করেছে রানী।

 গান শুনলে মন ভালো থাকে। শোনো গান---
'ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি  ভালোবাসি'