নির্মম-দুর্ভাগা এ দেশের সিনামা শিল্প

যখন প্রণোদনায় টিকে থাকা গার্মেন্ট ব্যবসা খ্রাপ করে; তখন সক্কার বাহাদুরের মন খ্রাপ হয়। সুশীলরা বলে সমাজে বেশ্যা; হতাশাগ্রস্থ মানুষ আর চুরি;ছিনতাই বাড়বে।

কিন্তু প্রণোদনার টাকার ভাগ গার্মেন্ট কর্মীরা পায় না। পায় মালিকরা। যারা  ফরেন বায়ারের সাথে ডিল করার নামে থাই কন্যাদের সাথে মউজে মজতে  ব্যাংকক-পাতায়া আর ফুকেটের স্টার; থ্রিস্টার-ফাইভ স্টার হোটেলের কক্ষ গরম করে তোলেন।

বিচের  আধো উষ্ণবালিতে পা ঠেকান।  জানালা খুলে দিয়ে থাই কন্যার উড়ন্ত চুলের ভিত্রে খুঁজেন ব্যবসা পাকা করার সন্ধি।  আহারে দুইন্নাই।

সেই দেশের একই সক্কার যারা প্রণোদনাহীণ  সিনামা শিল্প কে হত্যা করার চেষ্টা করছে। একবারো ভাবছে না  সিনামা শিল্প ধ্বসে পড়েছে; এখন কব্বর হয়ে গেলে গুটি কতক লোক ছাড়া বাকি সবার কি হাল হবে? তাদের জীবন-জীবিকা-সংসার কীভাবে চলবে।

কীভাবে নির্মিত হবে আগামীর বিনুদন শিল্প।নিজের সংস্কৃতি-পরিবারের টানাপড়েনের চিত্রায়ান কি করে সম্ভব।  কি করে গড়ে উঠবে সংস্কৃতির ভিত।

কেবল সাময়িক লাভ আর উত্তেজনার আফিস বিক্রি কি দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান। হতে পারে না। তবুও হতে যাচ্ছে।  শুক্কুরবার মুক্তি পাচ্ছে বঙ্গ দেশে হিন্দি সিনামা।

বড়ই নির্মম-দুর্ভাগা এ দেশের সিনামা শিল্প! আহা সিনামা।

কোন মন্তব্য নেই: