বড় ক্লান্তি ভর করে চোখের ওপর
মেঘ নেমে গেলে কুয়াশার মত নীলগিরি চূড়ায় পরীরা আসে
হাত বাড়ায়---
শরীর ছুয়ে যায় বিকালের কিশোরী বৃষ্টি-তুষারধারার মত বয়ে যায় মেঘবালিক
চোখ বন্ধ হয়ে আসে সুখে---মনের ভেতর গুমরে মরা মেঘগুলো ঝরে বৃষ্টি হয়ে--- চোখের পাতায়
বৃষ্টির সাথে আমিও কাঁদি।।
জল গড়িয়ে সারা বছরের শুষ্ক পাহাড় ভিজতে থাকে
ভিজতে থাকা যৌবন, ডুবে যায় সিদ্ধান্তহীনতার ভেতর
মৃত্তিকা খসে পড়ে; তার নীচে চাপা পড়ে কারো জীবন
সাঙ্গু নদীর জল উপচে পড়ে, পাহাড়ে এ ধার ও ধার থেকে গড়ানো জলে ছোট ছোট ঝরণা
এত উৎসব কিসের, কিসের এত উচ্ছ্বাস
শৈশবে যা চেয়েছি; পেয়েছি তার সবই!
তারুণ্যে যা সঠিক বলেছি
যৌবনে সেটাকে ভুল মনে হচ্ছে।
যদি বৃদ্ধ হবার ভাগ্য হয়--- তাহলে তাকে কী বলবো
বড় ক্লান্তি ভর করেছে চোখের পাতায়, শরীরটা টেনে নিয়ে অরণ্যে রাখি,
পাহাড়ের চূড়ায় রাখি---
অপরাধ আমাকে পুড়িয়ে যায়।
প্রতিটা বিকালে ভাবি--- এ জীবনজুড়ে--- এখানেই আনন্দ উৎসবের কথা ছিল
বহু রঙ্গের ভেতর নিজেকে মেলাতে গিয়ে নিজের রঙই হারিয়ে গেছে
বহুজনের কষ্ট ধরতে গিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথাটাই ভুলে গেছি
তবুও দুই জোড়া চোখ
একবার তাকালে---চোখের তারায় একবার ভাসলে
পৃথিবীর সব কষ্ট মুহুর্তে উড়ে যায়।
ঝকঝকে রোদে হেসে ওঠে একটা জীবন।
একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন