লালবাগ কেল্লার ভিত্রে রোজা উপলক্ষে যে ভিআইপিদের ইফতারির হাট বসায়নি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সেটাও ভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি সামনের কুরবানির ঈদে তারা সেখানে কুরবানী হাট বসাবেন। যাতে ভিআইপিরা গাড়ি পার্ক করে আরাম করে গরু কিনে ফিরতে পারেন। আর গরুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কেল্লার ভিত্রের যে জল প্রবাহের ক্যানেল আছে তার ভালো ব্যবহার হবে। এ সব অকেজো রেখে কী লাভ।
দেশে অনেক বেকার তাদের সেখানে পুনর্বাসনও সোয়াবের কাজ । প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে পর্যটকদের জন্য একটা কেনাগার বা বিক্রয়াগার কিম্বা সুভিনির শপ নামে কয়েকটা দোকান খুলে ব্যবসাও পাততে পারেন। ভোজন রসিক ভিআইপিদের জন্য কেল্লার অভ্যন্তরে কয়েকটা ঐতিহ্যবাহি খাবারের দোকান খুলতে পারেন--- যেমন হাজির বিরিয়ানি, রাজ্জাকের মাঠা আর পাঠা মহা পরিচালকের বউয়ের কোনো রসেপিতে রান্ধা রসগোল্লা।
এ সবে কেল্লার আয় বাড়বে। মহাপরিচালকের আয় বাড়বে। তার মাথার উপ্রে ছাতি ধরে রাখা লোকেরও খোশ দিল থাকবে। তা ভাইসাব আসেন লালবাগ কেল্লার ভিত্রে খালি ঘরে প্রত্নতত্ত্ব মহাপরিচালকের বাসস্থান করাও যেতে পারে। এতেও কিন্তু কেল্লার মূল নকশার কোনো পরিবর্তন হবে না।
কেল্লার দেয়াল ভেঙ্গে ভিআইপিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের কাজ শুরু করে মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন বলেছেন, 'এই দেয়াল ভাঙার কারণে লালবাগের কেল্লার মূল নকশার খুব একটা ক্ষতি হবে না।'
সাহিত্যিক মইনুল আহসান সাবের ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন--- ' যথাযথ উদাহরণ দিতে গিয়ে মহাপরিচালক নিজের হাঁটু থেকে দু পা কেটে ফেলে বলতে পারতেন, দেখুন তো, আমার মূল নকশার কোনো ক্ষতি হয়েছে?'
আমারো তাই মনে লয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন