নক্ষত্র বাড়ি: হতাশা যে সব কারণে!



গাজীপুরের নক্ষত্র বাড়ির নাম অনেকে শুনে থাকবেন। ক্যাবলা অভিনেতা তৌকির তার বোনের টাকা মেরে দেবার পর খবরের কাগজ এর প্রচারণা বাড়িয়েছে। তাছাড়া ফেসবুকে মোহনীয় ছব্বিও আপনাদের চোখে পড়ে থাকবে। তবে ছবির সাথে বাস্তবের মিল নেই।

১০ ও ১১ সেপেটম্বর সেখানে যাওয়া ও থাকার সুযোগ হয়েছিল। সেখানকার একটা সুইমিং পুলে আমার একটা ছব্বি পোস্টাইছিলাম। তা দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছেন এটি কেমন, সুবিধা কি? তারা যেতে চান। আমার মতামত কি।

এক কথায় আপনাকে সেখানে পারিবারিক আবহ-আনন্দ উপভোগ করার জন্য যাওয়ার  জন্য  উৎসাহ দিতে পারছি না----

কারণ

১. এর রুম গুলো খুবই ছোট, শ্যাওলা জমা ওয়ার্ডরোব। বিশ্ববিদ্যালয় হলের মত খাট। এ পাশ ও পাশ হতে গেলে আপনি নীচে পড়তে পারেন।
২. কিচেন ঘরে তেলাপোকার ছড়াছড়ি--- এবং গন্ধ। সেখানকার খাবারই আপনাকে খেতে হবে।
৩. প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেবার জন্য সেখানে গেলেও এর বাণিজ্যিক ভাবনা এতটাই প্রকট---যে দিকে তাকাবেন সেদিকেই কেবল ঘর, দালান কোঠা।
৪. সুইমিং পুলটি চৌবাচ্চা সমতুল্য। শিশুদের সুইমিং পুলটি নোংরা। শেষ কবে পরিষ্কার করা হয়েছে ওরা ভুলে গেছে!
৫. বোটিং এর কথা বলা আছে। তবে বোটে পানি জমে হেজে মেজে আছে। এতে পা রাখতে গেলে আপনি নিশ্চিত ডুবে মরবেন।
৬. পুকুরের কোল ঘেঁষে যে সব রিসোর্ট রুম করা হয়েছে; তার আশপাশে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নেই।
৭. সেবার তুলনায় সেখানকার ভাড়া অত্যন্ত বেশি। বিল্ডিংয়ের রুম ভাড়া ৬ হাজার টাকার উপ্রে। কটেজের ভাড়া ১০ হাজার টাকার উপ্রে। সে তুলনায় সেবা খুবই কম এবং নিম্ন। গরম পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ওয়াশরুমে পা দেবার জন্য কল পর্যন্ত নেই!
৮. ফিশিং এর সুবিধা নেই।
৯.  নিম্ন মানের টেবিল টেনিস  বল ও ব্যাট।
১০. কনফারেন্স রুমের সাউন্ড সিস্টেম অত্যন্ত নিম্ন মানের এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ অবস্থা খুবই নাজুক। 

কোন মন্তব্য নেই: