স্থির হয়ে থাকা চোখের পাতা নামিয়ে দেয় মেয়েটি
সলজ্জ হাসি- কুড়ি বছরের যৌবন--
পুড়িয়ে গেছে বহু পুরুষের হৃদয়---হাসি
কাম-কামনা সব একসাথে
গলে গেছে মোমের শরীর-- নুয়ে পড়েছে উন্নত বুক ---বক্ষ বন্ধনীও টেনে তুলতে পারছে না!
---হাসিটা তবুও বেশ টিকে আছে! সে কি সুখের? নাকি অসুখে!
বিস্ময় বালিকা চোখে----
চোখের পাতা মুড়ে পুড়তে থাকে---
লজ্জাবতী---লজ্জায় নুয়ে পড়া---গুটিয়ে নেয়া স্পর্শের সকালের মতই--- পরপুরুষের করতলে মথিত হয়---
ভিজে যায় নোংরা জলে---
কাম--কামকলা--কামজ্বালার চে' তার কাছে এখন--
নগদ টাকাটাই মুখ্য---
প্রেম? সে তো দুঃস্বপ্ন! ভালোবাসা? লুটুপুটি খায়---টাকার উপর!
বস্ত্রবালিকা হয়ে এসেছে নগরে--- এত চাকচিক্য--- এ রূপ--- এত সুধাকর এখানে---সেখানে ---সবখানে
এত কিছু--- একজীবনে এত--- সব তার চাইত না মন--- টুপ করে দরজায় লাগিয়ে সস্তা কোনো পাউডার মেখেই
স্বামীর বুকে মাথা রেখে জোছনা দেখতে চেয়েছিল মেয়েটি!
হয়নি--
হয়নি --
হবেও না কখনো
তাই এখন ---
সূর্য ডুবে গেলে সে একটি করে দিন গোনে--- সপ্তাহে চার কিম্বা তিনদিন শোয়
কত রঙ্গের পুরুষ তাকে চেখে দেখে---
ঘেন্না? আগে হতো--- এখন হয় না--- দিন শেষে কিছু টাকা জমে
তার-তাদের শরীরের ওপর ভর করে রাজনীতিক, নিরাপত্তারক্ষী---দালাল টিকে আছে!
--- কামুক কুপুরুষ---বহুগামি বহু পুরুষের ক্সুধঅ মিটছে!
বুকের ওপর হাত বোলালে শির শির করতো গা --- এখন?
এখন আর অবশিষ্ট নেই কিছু। কবে মিলবে মুক্তি!
ভাবনা---ঘোর-- সময় দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে।
আয়নায় নিজেকে দেখে মেয়েটি ---
বহু কিছু তার পাওয়ার কথা ছিল পায়নি সে!
পাবেও না! পাবেও না কিছু আর !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন