অত্যন্ত বিপন্নবোধ করছি- নাসিরনগরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নিপীড়ন, উৎপীড়ন এবং চলমান হামলা হয়েছে। এখনো হামলার শঙ্কা আছে। মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবার!
গণমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে এ কাণ্ডকারখানা ঘটলেও এখন মসজিদে পাওয়া যাচ্ছে -মূর্তি! সংবাদ লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/67071 আর সনাতন ধর্মপল্লীতে নারী-সম্ভ্রম নিয়ে শঙ্কা খবরের লিঙ্ক http://www.bbc.com/bengali/news-37887606?post_id=10206717003385193_10210997640238439#_=_
ধর্ম-রাজনীতির এ নোংরা খেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে নাসির নগরের ঘটনাপ্রবাহ। এর আগে রামুকাণ্ডের পর একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে সেখানে গিয়ে একই রকমের ধর্ম-রাজনীতি দেখেছি। সুতরাং নাসিরনগরের ঘটনা সম্পর্কে যতটা জানছি, এটিও ধর্ম-রাজনীতির বাইরের কোন ঘটনা বলে দৃশ্যত আমার কাছে অন্য কিছু মনে হচ্ছে না।
ধারা ৫৭, মাঝরাতে দরজায় কেউ ঠক ঠক করা রক্ষী, চাপাতিঅলা অথবা এক সম্বাদকর্মী স্বামীর লেখালেখির কারণে রাস্তায় বড় ভাইয়ের ষণ্ডারা তার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার ঘটনা (http://banglamail71.com/open-talk/news=448)-- এ সব জানার পরেও চুপ করে নাসির নগরে এ হামলার ঘটনা চোখ বুঝে সইবার চেষ্টা করছিলাম!
শেষ পর্যন্ত পারলাম না।
একটা স্বাধীন দেশে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মোসলমান দেশে, হিন্দু-বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা আক্রান্ত হবেন--- এটা আবার আমাদের মেনেও নিতে হবে, সেটার কোন কারণ খুঁজে পেলাম না।
শাহরিয়ার সাহেবের শরীরে হয়ত অবসাদ ভর করেছে, হালাকা শীতের আমেজের কারণে সুশীলরা কম্বল খুঁজছেন, কিন্তু নাসিরনগরে আতঙ্ক-হামলা জেগে আছে।
ঘটনা ঘটার পরও আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় কর্তার যে বক্তব্য শুনছি, সে রকম বক্তব্য আমরা রামুর ঘটনার পরেও শুনেছি।
রাজনীতির নিকাশটা কেবল লাভ লোকসানে! সেখানে মানুষের জীবন, তাদের নিরাপত্তা, সম্পত্তি এবং সম্ভ্রমের সুরক্ষাটা হয়ত মুখ্য নয়, কিন্তু মানুষ হিসাবে কিছু লো্ককে স্বীকার করে নেয়ার পর এটা সুরক্ষা করতে না পারাটা চরম ব্যর্থতা। সে ব্যর্থতার জন্য শাস্তি পাওয়ার উচিৎ, কার শাস্তি পাওয়া উচিৎ সেটা রাষ্ট্রই নির্ধারণ করুক।
কিন্তু নাগরিক হিসাবে, প্রবাসে বা দেশে আমরা খুবই ছোট হয়ে যাই যখন এ রকম নোংরা ধর্ম-রাজনীতি তাণ্ডব চলে। আর আমাদের রাজনীতিকরা এ থেকে কী ফায়দা তোলেন, সেটাও ষ্পষ্ট নয়, তাদের ফায়দা, কাদা ছোঁড়াছুড়ির শেষ পরিণাম কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে দেশের জন্য; ধর্মের জন্য; আমার সামাজিক-সম্প্র্রীতির জন্য-- সেটি তারা মোটেও ভাবেন কিনা সন্দেহ! হয়ত ভাবেনও।
তবে এটা তাদের কাছে একটা খেলা হতে পারে ! ধর্ম-রাজনীতি খেলা+ধর্ম-ধর্ম খেলা= জঙ্গি রাষ্ট্র!! এ সরল সমীকরণের দিকে এগুচ্ছে রাষ্ট্র-চরিত্র!!
গণমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে এ কাণ্ডকারখানা ঘটলেও এখন মসজিদে পাওয়া যাচ্ছে -মূর্তি! সংবাদ লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/67071 আর সনাতন ধর্মপল্লীতে নারী-সম্ভ্রম নিয়ে শঙ্কা খবরের লিঙ্ক http://www.bbc.com/bengali/news-37887606?post_id=10206717003385193_10210997640238439#_=_
ধর্ম-রাজনীতির এ নোংরা খেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে নাসির নগরের ঘটনাপ্রবাহ। এর আগে রামুকাণ্ডের পর একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে সেখানে গিয়ে একই রকমের ধর্ম-রাজনীতি দেখেছি। সুতরাং নাসিরনগরের ঘটনা সম্পর্কে যতটা জানছি, এটিও ধর্ম-রাজনীতির বাইরের কোন ঘটনা বলে দৃশ্যত আমার কাছে অন্য কিছু মনে হচ্ছে না।
ধারা ৫৭, মাঝরাতে দরজায় কেউ ঠক ঠক করা রক্ষী, চাপাতিঅলা অথবা এক সম্বাদকর্মী স্বামীর লেখালেখির কারণে রাস্তায় বড় ভাইয়ের ষণ্ডারা তার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার ঘটনা (http://banglamail71.com/open-talk/news=448)-- এ সব জানার পরেও চুপ করে নাসির নগরে এ হামলার ঘটনা চোখ বুঝে সইবার চেষ্টা করছিলাম!
শেষ পর্যন্ত পারলাম না।
একটা স্বাধীন দেশে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মোসলমান দেশে, হিন্দু-বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা আক্রান্ত হবেন--- এটা আবার আমাদের মেনেও নিতে হবে, সেটার কোন কারণ খুঁজে পেলাম না।
শাহরিয়ার সাহেবের শরীরে হয়ত অবসাদ ভর করেছে, হালাকা শীতের আমেজের কারণে সুশীলরা কম্বল খুঁজছেন, কিন্তু নাসিরনগরে আতঙ্ক-হামলা জেগে আছে।
ঘটনা ঘটার পরও আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় কর্তার যে বক্তব্য শুনছি, সে রকম বক্তব্য আমরা রামুর ঘটনার পরেও শুনেছি।
রাজনীতির নিকাশটা কেবল লাভ লোকসানে! সেখানে মানুষের জীবন, তাদের নিরাপত্তা, সম্পত্তি এবং সম্ভ্রমের সুরক্ষাটা হয়ত মুখ্য নয়, কিন্তু মানুষ হিসাবে কিছু লো্ককে স্বীকার করে নেয়ার পর এটা সুরক্ষা করতে না পারাটা চরম ব্যর্থতা। সে ব্যর্থতার জন্য শাস্তি পাওয়ার উচিৎ, কার শাস্তি পাওয়া উচিৎ সেটা রাষ্ট্রই নির্ধারণ করুক।
কিন্তু নাগরিক হিসাবে, প্রবাসে বা দেশে আমরা খুবই ছোট হয়ে যাই যখন এ রকম নোংরা ধর্ম-রাজনীতি তাণ্ডব চলে। আর আমাদের রাজনীতিকরা এ থেকে কী ফায়দা তোলেন, সেটাও ষ্পষ্ট নয়, তাদের ফায়দা, কাদা ছোঁড়াছুড়ির শেষ পরিণাম কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে দেশের জন্য; ধর্মের জন্য; আমার সামাজিক-সম্প্র্রীতির জন্য-- সেটি তারা মোটেও ভাবেন কিনা সন্দেহ! হয়ত ভাবেনও।
তবে এটা তাদের কাছে একটা খেলা হতে পারে ! ধর্ম-রাজনীতি খেলা+ধর্ম-ধর্ম খেলা= জঙ্গি রাষ্ট্র!! এ সরল সমীকরণের দিকে এগুচ্ছে রাষ্ট্র-চরিত্র!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন