পরকীয়া সংলাপ-৩::এত রূঢ় সময়; প্রেম- আসে না মনে


......................................................................................................
পরকীয়া সংলাপের নামকরণ প্রসঙ্গে----
ইনডিয়া -এ দেশটার সাথে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক ও নির্ভরতার পরিমাণটা বেশি। তবে এটা কেউ স্বীকার করেন না। যেমন কেউ পরকীয়া প্রেমের স্বীকার করেন না। তাই গোপন সম্পর্ক আর আঁতাত নিযে আলাপি এ সংলাপের নাম পরকীয়া সংলাপ করা হয়েছে।
দায়মুক্তি: এ সংলাপ একান্ত কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে কাকতালমাত্র!
......................................................................................................

- সব কিছু ঠিক আছে। আবার কিছুই ঠিক নেই। স্পর্শিয়া বলে।
- মানে বুঝলাম না। তুমি সরকারের মত বিক্ষিপ্ত কথা বলছো  কেনো।অনিকেতের উত্তর।

-একটা চূড়ান্ত অনুসিদ্ধান্ত  তো দিবে। বিক্ষিপ্ত কথার সূত্র ধরে তার রসায়ন বের করা মুশকিল। যোগ করে অনিকেত।

- আচ্ছা সব কিছুই তো নিয়ন্ত্রণে; কেবল মানুষের লাশের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে কিছু মানুষের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে।
-ফটো শ্যুট, ডকুমেন্টারি তৈরি, লবি করা, প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন, লোক সাপ্লাই- কাজগুলো বাড়ছে নাকি।

- মানে কি? কি বলছো
-হুমম।ঠিক বলছি।
 -বাপু ঠিক বলার দরকার নেই। দেয়ালেরও কান আছে।
-এক কান দুই কান করে তারপর -
 তারপর ? না ভাবতে পারছি না।

- অনিকেত তোমার মনে আছে; আমরা এক সময় অবাক হয়ে দেখতাম-খবরে।
- কি দেখতাম; আফগানে যুদ্ধ, বোমা পড়ছে; এর মধ্যে মেহেদী রাঙানো দুধে আলতা পরীর ছবি।
- ঠিক বলেছো; আমরা বিস্মিত হতাম।

-ব্যাখ্যাও থাকতো আমাদের; জীবন থেমে থাকে না।

-হুমম। ঠিক বলেছো।

-তুবে এমন শঙ্কার জীবন কি  মানুষকে সুস্থীর রাখতে পারে?
-খুব কঠিন প্রশ্ন।

- আচ্ছা তুমি কি জানো আমরা অনেক এগিয়েছি।  আমাদের ভার্সিটিতে আগে মনোবিজ্ঞান ডিাপর্টমেন্ট ছিল। এখন ক্লিনিকাল সাইকোলজিও  খুলেছে।
- জানি।
- এখন কিন্তু সাইকলজিক্যাল ট্রমা একটা প্রচলিত শব্দ এবং এর চিকিৎসাও হচ্ছে; জানো?
- জানি।

- আচ্ছা ; যারা মুক্তিযুদ্ধে গেছেন; তারা কী ভেবেছিলেন দেশটা এ রকম সাইকোলজিক্যাল ট্রমার চিকিৎসক সংখ্যা বাড়াবে।

দুজন চুপসে থাকে।

 -অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আর  গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই ছিল। লড়াই ছিল অধিকার বুঝে নেবার। অনিকেতের উত্তর।

-বাদ দাও; ও সব ।আলোচনা কঠিন করে ফেলেছো। স্পর্শিয়ার অভিযোগ।
-ঠিক বলেছো; এত রূঢ় সময়; প্রেম- আসে না মনে। -উত্তর অনিকেতের। তাহলে কেনো এত কথা বলো। চুপসে থাকো।

আচ্ছা একটা কৌতুক শুনবে-

হুমম- শোনাতে পারো-

শিক্ষিকা তার ছাত্রদের জিজ্ঞেস করছে তাদের কার অভিভাবক কোন পেশায় আছেন।
ম্যাম-এই নন্টে, তোমার অভিভাবক কে?
- জ্বি ম্যাম ; আমার বাবা।
-তিনি কি করেন- সিভিল সার্ভেন্ট ম্যাম।
-এই ফন্টে : তোমার অভিভাবক।
-ম্যাম আমার মা।
তিনি কি করেন: তিনি সেক্স ওয়ারকার।
কি বললে; বেয়াদব ছেলে। আমি হেড স্যারের কাছে কস্পলেইন করবো-
ক্লাশ শেষে ফন্টের ডাক পড়লো হেড স্যারের রুমে।

ফিরে এলে ম্যাম জিজ্ঞেস করলেন- তা হেড স্যার কি বললো ফন্টে।
ম্যাম স্যার বললেন, কোনো পেশাকেই খাটো করে দেখতে নেই। তা বাবা তোমার বাসার ফোন নম্বর বলো। আমি নম্বর বলেছি। স্যার তা লিখে রেখেছেন। স্যার আমাকে একটা বিস্কুটও খেতে দিয়েছেন।


হো হো হো; হা হা হা । দু'জনেই হাসিতে গড়া গড়ি।

হাসি থামিয়ে স্পর্শিয়া- আসলে সমাজের বেশির ভাগ মানুষই এমন! তারা উপরে ভালো মানুষের ভান করে ভেতরে লালসা-লোভ আর চাতুর্য!


কোন মন্তব্য নেই: