বিম্পি; জিয়ার আদর্শ এবং


দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার শুরুটা যার হাত ধরে; যাকে ঘিরে আম্লীগ ও তাদের বৈঠা ধরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া নাম সর্বস্ব খুচরা দলগুলোর বিরামহীন কুৎসা আর অন্তহীন বিকৃত অভিযোগ; সেই মানুষটি দেশের থেমে যাওয়া সময়ে গতি সঞ্চার করেছেন; একটি দলের নেতা থেকে দেশের নেতা হিসাবে রূপান্ততির হয়েছেন- তিনি জিয়াউর রহমান।
সেই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা। তার রাজনীতির দুরদর্শিতা; প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা নিয়ে দুরমুখেরা নানা রকমের কথা বলবেন- কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে- তিনি অনন্য। আজ তার প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এ কথাও সত্যি বিম্পি জিয়ার আদর্শ এবং তার ভাবনার দলের চেয়ে অনেক দূরে চলে গেছে। সাধারণত বুর্জুয়া রাজনৈতিক দলে চাটুকার থাকে, আছে। এবং এ সব চাটুকররা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের চাপার জোর; ক্ষমতার কাছে নিরীহ কর্মীরা হারিয়ে যেতে থাকে।
বিম্পিও তার ব্যাতিক্রম কোনো উদাহরণ নয়। তবে একথা সত্যি বিম্পির কোটি সমর্থক এখনো দেশের স্বার্থে বিম্পির সাথে আছে। বিম্পি তাদের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশ ও মানুষের পদতলে নিজেদের উৎসর্গ করার বদলে চাকচিক্যময় ক্ষমতার দিকে নজরবন্দী করেছে; জনগণকে উপক্ষো করছে দলটি কথিত নেতারা। আসলে এরা দলের আসল নেতা নয়; পদ ভাগিয়ে অন্যের চামচামি করা লোক। এদের থেকে যে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বিম্পির; সেটি নানা কারণে অসম্ভব না হলও দলটির প্রতি মানুষের আস্থা কমেনি।
তবে একথা চরমভাবে সত্যি দলটির অনেক নেতাই সরকারি দলাল; সুবিধাভোগি; বিশেষ বিশেষ রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার অনুগতদের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। অনেকে নিজের বিত্ত বৈভব রক্ষায় আবার কেউ কেউ আম্লীগের মামলার কাতুকুতুতে ক্লান্ত।
একথাও সত্যি- চূড়ান্ত বিচারে এরা ঝরে না পড়লেও নৈতিকভাবে মাথা তুলে কথা বলতে পারবে না। তাদের জন্য করুণা; ত্যাগি নেতাকর্মীদের জন্য শুভ কামনা। দেশকে এগিয়ে নেবার অভিযাত্রার নেতৃত্ব দিতে হেঁসেল থেকে বেগম জিয়া বেরিয়ে এসে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে যে নতুন মাত্র যুক্ত করেছেন ; তাকে ঘিরেই জেগে থাক আশা।

কোন মন্তব্য নেই: