শ্রাবণ প্রকাশনীর রবিন আহসানরা ভাবছিল, এটা বিম্পি সরকার। আন্দোলন করে দৌড়ের উপ্রে রাখা সম্ভব হপে। সরকার যে বদল হয়, নতুনি আঙ্গিকে চালু হইছে, সেটাও তারা মনেও রাখে না।
গত ৮ বছরে নগরে কোন প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজন নাই, অপকর্মকের দলিলের প্রকাশনা নাই, পথ নাটক নাই, সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক উৎসব এখন তেলের উপ্রে ভাসে--- সেখানে দুই একটা চিক্কুর মাইরা তারা ভাবতাছিলো--- অধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতাতো ভালোই চলতাছে। তাদের গায়ের উপ্রে তো পড়ে নাই। এখন যখন পড়লো--- তখনো হুক্কাহুয়া-- বাক স্বাধীনতা নাই। মানুষ বাঁচতাছে না, গুম হইয়া আছে বছরের পর বছর---উনারা আইছে বিলাস পণ্য - বাক স্বাধীনতা ফেরি করতে।
একটা কথা শুনতে খ্রাপ লাগলেও বলি---খালি সরকার বদল হয় নাই; সরকারের মগজ ব্যবায়িক হয় নাই। পুস্তক বেপারীরা, নিজেরাও বদল হইছে। বই দোকান থেকে কাপড়ের দোকান খোলে, কাপড়ের দোকানের বিস্তারে বইয়ের মূল আকর্ষণ প্রচ্ছদ শব্দও ব্যবহার করে। এ এগুলান বইয়ের বিকাশে ছোটখাটো আগ্রাসন। আজিজ মার্কেট বইয়ের দোকান থেকে কাপড়ের দোকানে রূপানস্তর হইছে, কই বাক স্বাধীনতার রক্ষকরা কি করলেন!
তা যাই হোক , যে কোন বিচারেই শ্রাবণের স্টল নিষিদ্ধ করা ঠিক হয়নি। এটা কোন মতেই সমর্থণযোগ্য না।
একাডেমি যদিও বলছে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সভায় সংস্কৃতিমন্ত্রী নিজেও ছিলেন। মন্ত্রী নিজে একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আশা করি শ্রাবণ প্রকাশনীকে তাদের স্টল ফেরৎ দেওনের ক্ষেত্রে সরকার উদার হবে।
তবে ও বুঝতে হবে সরকারে কখন কে থাকে, কীভাবে কার সাথে কথা বলতে হয়। সবাইরে ফাঁপর দেওন যায় না। এটা স্বাধীনতা, অধীনতা যে নামেই হোক, বাপু।
খবরের লিঙ্কটা দিলাম---http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1263020.bdnews
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন