মাই চয়েস নিয়ে হৈ চৈ এর পর এখন হিজাব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। শুনছি। শুনতে ভালো লাগে। হিজাব বলে আর খোলামেলা পোশাক বলেন --- দু বিষয়েই আলোচনায় রস আছে। আদি রস। সে রস ওপেনে বা গােপনে 'সবাই' উপভোগ করছেন। দীপিকার ফুলে ওঠা বুকের দিকে তাকিয়ে অনেকে বলেছেন,' ইয়েস, মাই চয়েস।' এটাই ঠিক। ফেসবুকের টাইম লাইন ঘুরতে ঘুরতে বাথরুমে-কল্পনায়ও অনেকের কাছে পৌছে গেছিল 'মাই চয়েস'।
দীপিকার ঘোরলাগা কণ্ঠে তার শরীর, মন--- মাই চয়েস। কিম্বা সেক্স আফটার ম্যারেজ, সেক্স বিফোর ম্যারেজ-- মাই চয়েস শুনতে ভালো লাগে। হই হই করে পড়ি মরি করে ছুটি। কারণ মনের ভেতর সুপ্ত বাসনার সাথে এগুলো মিলে যায়। বিশ্ব জুড়ে পণ্য বাজারে এখন পর্যন্ত কামরসই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত!
আগে রাস্তার পাশে ক্যানভাসাররা আদি রসের বয়ানে কাস্টমার ভাগাতেন। এখন দীপিকারা। বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে ১০১ টি নীল পদ্ম জোগাড় করার সুনীলিয় চেষ্টা এখন মাই চয়েসের উত্তর আধুনিক খােলসের তলে লুটোপুটি খাচ্ছে। দারুণ। তো আপনি আপনার মাই চয়েস লইয়া থাকেন না। মানা করছে ক্যাডা। কিন্তু হিজাব আর বোরকা আপনারে এত চুলকায় ক্যান। হিজাবের ভিত্রে কি এটা নিয়ে আপনার এত কৌতুহল ক্যান রে ভাই।
কিন্তু 'মাই চয়েস 'মানে দীপিকার উত্তপ্ত নিশ্বাস ভাঙ্গ আর বুকের ওঠা নামা নয়। সেই সাথে আরো অনেক কিছু। আসলে আমিই সিদ্ধান্ত নিবো আমি কি করতে চাই, কীভাবে চলতে চাই। এটাই 'মাই চয়েসে'র মেইন ম্যাসেজ বলে আমি আন্দাজ করি।
বোরকা পরা মেয়েদের নিয়ে আবার এলার্জি নেই। আবার এটা নিয়ে অতি উৎসাহ নেই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি আপনি যদি আপনার কিছু দেখাতে চান, দেখান, যার রুচি হয় তিনি দেখবেন। যার রুচি হয় না তিনি দেখবেন না। জগতের সব লোককে আপনি রুচিবান মনেও বা করবেন কেন। যদি তাই হতো তাহলে রাজধাণীর পথে ঘাটে থাকা পাগলির পেটে বাচ্চা আসে ক্যামনে।
এই ধরণের এই তথ্য দিয়ে আপনাদের আদি রসের জগতে নিয়ে গেলাম। আপনারা ভাবতে থাকেন। আমাদের রসময় দা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল। দাদার নামে লিখেন, যাদের রুচিতে বাঁধেনা তারা্ এটা বছরের পর বছর পড়ে যাচ্ছেন। যাদের বাধে তারা পড়েন না। আবার অনেকে 'ধারণা' নেবার জন্য পড়েন। সে যাই হোক যে কোনো ফরমেটেই এটা চলছে।
হিজাব পরা মেয়েদের তাচ্ছিল্য করে অনেকে হিজাবি বলেন। বোরকা পরা মেয়েদের অনেকে আবার বোরকা ওয়ালী, বোরকার নিচে শয়তানি কিম্বা কেউ আরেকটু আগ বাড়িয়ে বলে থাকেন যৌনকর্মীর পোশাক। হিজাব কিম্বা বোরকা পরাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি নিজের পছন্দে তা পরে থাকেন বলে জানি। তাহলে তার পছণ্দকে তাচ্ছিল্য করার মত 'প্রগতি' কোত্থেকে আসলো, জানবার মুনচায়।
ইদাংনি কিছু ডিজিটাল মও্লানার আবির্ভাব হয়েছে। কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়েও এরা হিজাব বা বোরকা পরা নারীদের আক্রমণ করে থাকে। এবং সেটি দেখে আমরা দাঁত কেলিয়ে হাসি। এদের আবার অনেকের প্রেমিকা বা গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর ঝুলন্ত বুকের দিকে তাকালে নিশ্চিতভাবে হুমায়ূন আজাদ স্যারের ' মিসেস হামিদুল্লাহ' গল্পের কথা মনে হবে। বমি করে নিশ্চিতভাবে হুমায়ূন আজাদ স্যারের নায়কের মত বেসিন ভরিয়ে ফেলবেন।
এরা তারাই যারা আবার 'মাই চয়েস' শেয়ার করে নিজেকে মহা 'প্রগতিশীল' হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। ভাবি--- আমার পছন্দ বা মতের বাইরে গেলেই খারাপ। জঙ্গি। এ সব ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।
অনেকেই বলে থাকেন হিজাবিরা শরীর দেখানোর কসরত করে থাকেন। তাকে নিন্দা জানান। হিজাব কি তাকে বলেছে, তুমি আমাকে জড়াও আর বক্ষ উন্মুক্ত করে ছুটে চলো। কিম্বা ধর্ম কি আপনাকে বলেছে--- বোরকা পরে নাচো। এটাও তার নিজম্ব চয়েস। যার যেটা পছন্দ সেটা তাকে করতে দিন। এক সময় সে তার আসল ভুলটা বুঝতে পারবেন।
যে সব বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছেন--- তাদের কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সন্তানদের চোখের বাইরে যেতে দিতে চান না। কারণ নিজের কৃতকর্ম নিয়ে তার বা তাদের অস্বস্তি। সেখানে সন্তান একই পথ যাক তারা চান না।
যে কথা বলতে এ সব টানছি সেটি হলো হিজাব, হিজাবি কিম্বা বোরকা , বোরকাওয়ালী। এ শব্দ গুলো 'মাই চয়েসে'র নারীদের তাচ্ছিল্য করে। তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। একজন মানুষ কি খাবে, কি পরবে, কি করবে তার রুচি কেমন হবে সেটি ঠিক করে দেবার দায়িত্ব আমার বা আপনার নয়। সবার সব কিছু আপনার ভালো লাগতে হবে, ভালো লাগা উচিৎও নয়।
তবে আপনি এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি চাহিদাগুলো সমাজে ঢুকিয়ে দিতে পারেন। ধীরে ধীরে ।
যেমন ধরেন, আমরা এক সময় রাসায়নিক সার , বিষ এ সব ব্যবহার না করে চাষাবাদ করতাম। এখন সেটি বদলে আমরা এর ব্যবহার করছি। এর শুরু হয় আরো দশক তিনেক আগে। এখন আমরা হসপিটালগুলোতে ক্যান্সার বিভাগ খুলেছি। ক্যান্সার-কিডনির জন্য আলাদা ইন্সটিটিউট খুলেছি। তারপরেও রােগ সারানো যাচ্ছে না।
তো সহজ কথা হলো ওই প্রবাদের মত--- যেমন কর্ম তেমন ফল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!ল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!
দীপিকার ঘোরলাগা কণ্ঠে তার শরীর, মন--- মাই চয়েস। কিম্বা সেক্স আফটার ম্যারেজ, সেক্স বিফোর ম্যারেজ-- মাই চয়েস শুনতে ভালো লাগে। হই হই করে পড়ি মরি করে ছুটি। কারণ মনের ভেতর সুপ্ত বাসনার সাথে এগুলো মিলে যায়। বিশ্ব জুড়ে পণ্য বাজারে এখন পর্যন্ত কামরসই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত!
আগে রাস্তার পাশে ক্যানভাসাররা আদি রসের বয়ানে কাস্টমার ভাগাতেন। এখন দীপিকারা। বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে ১০১ টি নীল পদ্ম জোগাড় করার সুনীলিয় চেষ্টা এখন মাই চয়েসের উত্তর আধুনিক খােলসের তলে লুটোপুটি খাচ্ছে। দারুণ। তো আপনি আপনার মাই চয়েস লইয়া থাকেন না। মানা করছে ক্যাডা। কিন্তু হিজাব আর বোরকা আপনারে এত চুলকায় ক্যান। হিজাবের ভিত্রে কি এটা নিয়ে আপনার এত কৌতুহল ক্যান রে ভাই।
কিন্তু 'মাই চয়েস 'মানে দীপিকার উত্তপ্ত নিশ্বাস ভাঙ্গ আর বুকের ওঠা নামা নয়। সেই সাথে আরো অনেক কিছু। আসলে আমিই সিদ্ধান্ত নিবো আমি কি করতে চাই, কীভাবে চলতে চাই। এটাই 'মাই চয়েসে'র মেইন ম্যাসেজ বলে আমি আন্দাজ করি।
বোরকা পরা মেয়েদের নিয়ে আবার এলার্জি নেই। আবার এটা নিয়ে অতি উৎসাহ নেই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি আপনি যদি আপনার কিছু দেখাতে চান, দেখান, যার রুচি হয় তিনি দেখবেন। যার রুচি হয় না তিনি দেখবেন না। জগতের সব লোককে আপনি রুচিবান মনেও বা করবেন কেন। যদি তাই হতো তাহলে রাজধাণীর পথে ঘাটে থাকা পাগলির পেটে বাচ্চা আসে ক্যামনে।
এই ধরণের এই তথ্য দিয়ে আপনাদের আদি রসের জগতে নিয়ে গেলাম। আপনারা ভাবতে থাকেন। আমাদের রসময় দা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল। দাদার নামে লিখেন, যাদের রুচিতে বাঁধেনা তারা্ এটা বছরের পর বছর পড়ে যাচ্ছেন। যাদের বাধে তারা পড়েন না। আবার অনেকে 'ধারণা' নেবার জন্য পড়েন। সে যাই হোক যে কোনো ফরমেটেই এটা চলছে।
হিজাব পরা মেয়েদের তাচ্ছিল্য করে অনেকে হিজাবি বলেন। বোরকা পরা মেয়েদের অনেকে আবার বোরকা ওয়ালী, বোরকার নিচে শয়তানি কিম্বা কেউ আরেকটু আগ বাড়িয়ে বলে থাকেন যৌনকর্মীর পোশাক। হিজাব কিম্বা বোরকা পরাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি নিজের পছন্দে তা পরে থাকেন বলে জানি। তাহলে তার পছণ্দকে তাচ্ছিল্য করার মত 'প্রগতি' কোত্থেকে আসলো, জানবার মুনচায়।
ইদাংনি কিছু ডিজিটাল মও্লানার আবির্ভাব হয়েছে। কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়েও এরা হিজাব বা বোরকা পরা নারীদের আক্রমণ করে থাকে। এবং সেটি দেখে আমরা দাঁত কেলিয়ে হাসি। এদের আবার অনেকের প্রেমিকা বা গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর ঝুলন্ত বুকের দিকে তাকালে নিশ্চিতভাবে হুমায়ূন আজাদ স্যারের ' মিসেস হামিদুল্লাহ' গল্পের কথা মনে হবে। বমি করে নিশ্চিতভাবে হুমায়ূন আজাদ স্যারের নায়কের মত বেসিন ভরিয়ে ফেলবেন।
এরা তারাই যারা আবার 'মাই চয়েস' শেয়ার করে নিজেকে মহা 'প্রগতিশীল' হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। ভাবি--- আমার পছন্দ বা মতের বাইরে গেলেই খারাপ। জঙ্গি। এ সব ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।
অনেকেই বলে থাকেন হিজাবিরা শরীর দেখানোর কসরত করে থাকেন। তাকে নিন্দা জানান। হিজাব কি তাকে বলেছে, তুমি আমাকে জড়াও আর বক্ষ উন্মুক্ত করে ছুটে চলো। কিম্বা ধর্ম কি আপনাকে বলেছে--- বোরকা পরে নাচো। এটাও তার নিজম্ব চয়েস। যার যেটা পছন্দ সেটা তাকে করতে দিন। এক সময় সে তার আসল ভুলটা বুঝতে পারবেন।
যে সব বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছেন--- তাদের কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সন্তানদের চোখের বাইরে যেতে দিতে চান না। কারণ নিজের কৃতকর্ম নিয়ে তার বা তাদের অস্বস্তি। সেখানে সন্তান একই পথ যাক তারা চান না।
যে কথা বলতে এ সব টানছি সেটি হলো হিজাব, হিজাবি কিম্বা বোরকা , বোরকাওয়ালী। এ শব্দ গুলো 'মাই চয়েসে'র নারীদের তাচ্ছিল্য করে। তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। একজন মানুষ কি খাবে, কি পরবে, কি করবে তার রুচি কেমন হবে সেটি ঠিক করে দেবার দায়িত্ব আমার বা আপনার নয়। সবার সব কিছু আপনার ভালো লাগতে হবে, ভালো লাগা উচিৎও নয়।
তবে আপনি এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি চাহিদাগুলো সমাজে ঢুকিয়ে দিতে পারেন। ধীরে ধীরে ।
যেমন ধরেন, আমরা এক সময় রাসায়নিক সার , বিষ এ সব ব্যবহার না করে চাষাবাদ করতাম। এখন সেটি বদলে আমরা এর ব্যবহার করছি। এর শুরু হয় আরো দশক তিনেক আগে। এখন আমরা হসপিটালগুলোতে ক্যান্সার বিভাগ খুলেছি। ক্যান্সার-কিডনির জন্য আলাদা ইন্সটিটিউট খুলেছি। তারপরেও রােগ সারানো যাচ্ছে না।
তো সহজ কথা হলো ওই প্রবাদের মত--- যেমন কর্ম তেমন ফল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!ল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!