গণ জাগরণ মঞ্চ নিয়ে যা হয়েছে, এখন হচ্ছে এবং সামনে হবে বলে আশঙ্কা- তা নিয়ে আমার কোনো রকমের মাথা ব্যাথা নাই। কারণ আমার মত কেরানীর গণজাগরণ বা হেফাজত দর্শণ উপলব্ধি করার মত সক্ষমতা পুরোপুরি নাই।
শুরু থেকেই গণজাগরণমঞ্চকে স্বাভাবিক ও সাধারণ ঘটনা হিসাবে দেখে আসছি। দুটো কারণে এটা হয়েছে- এক. আমি রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র। আর এ বিজ্ঞানের লোক প্লেটো, এরিস্টল, ম্যাকেয়াভিলি এবং আমার ডিপার্টমেন্টের গুরু জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক স্যারের লেকা আকারে পাওয়া ঘটনাগুলো মন দিয়ে পড়ে যতটুকু বুঝেছি- রাজনীতি মানে হলো মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং এর মধ্য দিয়ে নিজের বা দলের স্বার্থসিদ্ধি লাভ করা। সুতরাং জেনে শুনে আমি কারো রাজনৈতিক খেলার পুতুল হতে চাইনি, আর আমার মত কেরানী সেই সময়ও ছিল না, এখনো নাই।
'জবাই কর' 'জবাই কর' টাইপের উচ্চারণ,কাউকে বিচার ছাড়া এক ঘরে রাখার সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অস্ত্র হিসাবে গণ জাগরণ মঞ্চের ভূমিকার সাথে আমার দ্বিমত ছিল। এখনো আছে।
তবে আমি জানি এ ধরণের মোহ। এক সময় ভেঙ্গে যায়। যার যার ধান্ধা ফুরিয়ে গেলে এটা হয়, আমরা সব সময় এ রকম। আমরা আসলে টানা রেসে থাকতে পারি না। ওয়ানডে বা টি টুয়েন্টি টাইপের খেলা আমাদের তাই টানে বেশি। টেস্ট মেসের খবর রাখি কিন্তু উপভোগ করি না।
এ রকম একটা অনুসিদ্ধান্তে পৌছাতে আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাটানো ৮ টি বছর সহায়তা করেছে। মানুষের ভেতরের ও বাইরের দুটো রূপ এবং রাজনীতির খেলা দেখতে দেখতে এটা সহজবোধ্য এখন!
শাহবাগে না গেলে রাজাকার- টাইপের ধারণা যারা লালন এবং এটাতে বিশ্বাস করতেন, বা এখনো করেন তাদের সাথে একমত ছিলাম না। হুজুগে আমরা অনেক কিছু করি, বিবেচনা-ইনসাফ তখন কাজ করে না। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে ইনসাফ জীয় হয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই হবে। এ নিয়ে আমার দ্বিমত নাই। তার জন্য আমাদের চাপও সৃষ্টি করতে হবে, এটা নিয়েওে সন্দেহ নাই।
তবে গণজাগরণমঞ্চের আয়োজন ছিল নির্বাচন ঘিরে। যুদ্ধাপরাধের ইস্যু তুলে অনেক রকমের রাজনীতি এ দেশে হয়, রাজনৈতিক আচার আচরণ এবং এ সব চূড়ান্ত ভাবে 'পাবলিক খায়' এমন উপযোগি করার বিষয়ে সরকার মানে ১৪ দল যথেষ্ট সফল হয়েছে- এতে সন্দেহ নাই। অন্তত ডেভিড বার্গম্যানের মত ইয়াহুদি সম্বাদিকও যখন যুদ্ধাপরাধীদের ফেভার করেন বলে অভিযোগ ওঠে তখন এ নিয়ে আলাপ একান্তই অনাহুত।
আর এ রকম স্পর্শকারত ইস্যুতে বিম্পি বরাবরই একটা 'মফিজ'। এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। কারণ এটা নিয়ে মোটেও খেলতে পারেনি, বরং একটা অস্বস্তি ছির তাদের মধ্যে। জামায়ত টাকা পয়সা দিয়ে 'ম্যানেজ' সিস্টেম ফলো করেছে। মাঝখানে আমপাবলিকের অবস্থা বেহাল।
আমরা এ রকম বক্তব্য সংসদ থেকে বিটিভি মারফত শুনেছি 'মন পড়ে আছে শাহবাগে।' ফেসবুকের আপডেট ছিল গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে। পক্ষে বিপক্ষে বেহুদা প্রচারণা ছিল। এখনো আছে। ফেসবুক-ব্লগ হলো আবেগি কারখানা, এখানে সব প্রডিউস করা যায়।
মঞ্চ নিয়া গত বইমেলায় অনেকগুলো বইও বেরিয়েছে। ৫ জানুয়ারি ঐতিহাসিক ও গিনেস বুকে নাম লেখানোর মত অভূতপূর্ব ইলেকশ হালাল হিসাবেও স্বীকৃতি পেযেছে। কিন্তু ইলেকশনের পর গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে সরকারের উৎসাহে ভাটা পড়ে। ধাক্কাটা লাগে ফেব্রুয়ারিতে বর্ষপূর্তি ঘিরে। কারণ বর্ষপূর্তির আয়োজনে এবং গণজাগরণমঞ্চের সঠিক ইতিহাসায়ন হয়নি বলে সারাসরি অভিযোগ তোলেন-অনেকে। আমি মনে করি তাদের সেই ন্যায্যতা রয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীতের আল্লামা শফির আন্দোলন- হেফাজত নিয়ে তলে তলে অনেক পানি গড়িয়েছে। ক্র্যাকডাউন হয়েছে। সে উছিলা ধরে টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হয় হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারকে হেনস্তা করা হয়েছে।
আমার মনে হয় একটা রাজনৈতিক সরকার- রাজনীতিকভাবে এ সব সফলভাবে মোকাবিলা করেছে! সেখানে প্রতিপক্ষ রাজনীতিকরা পুরাই 'মফিজ'। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নাই।
সেই সব দিনের কথা ভাবছি- যখন শাহবাগে পুলিশ পাহারা দেয়, রাস্তা আটকে যানজটে আমাদের ভোগায়, আর গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা করলে তেড়ে আসে যে কেউ। খেযে ফেলবে অবস্থা যাকে বলে।
কিন্তু মোহ তো ভাঙ্গে। হিস্ট্রি রচনা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে। অ্যাক্টিভিস্ট কাম সম্বাদিক একজন ফেসবুকে ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করে লিখেলেন। জানালেন- যারা আসলে আন্দোলন শুরু করেছেন, তারা নাই। হতে পারে।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গণ জাগরণ মঞ্চের সাথে লেয়াজো করতেন তারাও ক্ষিপ্ত। তাহলে চূড়ান্ত বিচারে সরকারের সমর্থন উঠে গেছে। তাই এখন গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা আদর্শচ্যুত হিসাবে বিবেচিত। সেই বিচেনায় এনে তাদের ঠেঙ্গানো হয়েছে। রক্ত মুছা হচ্ছে দেখলাম। পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে।
আমার কষ্ট হলো- গরিব মানুষের ছেলে পুলে আমরা, দেশটাকে গড়ার জন্য সবাই একসাথে কাজ করবো। কিন্তু সেটি না করে বুড়ো রাজনৈতিক নেতারা পরিকল্পনা করে ফাঁদ পাতেন আমরা সেই ফাঁদে পা দিয়ে সমাজে বিভক্তি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হই। কেন হই আমি জানি না। আমরা কি ভাবি- আমাদের খাদ্যের যোগানটা কে দেয়? আম্লীগ, বিম্পি না জামায়াত। তাই বলে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো না, তা কিন্তু নয়। করবো , অবশ্যই করবো, কিন্তু কারো পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নয়।
শুরু থেকেই গণজাগরণমঞ্চকে স্বাভাবিক ও সাধারণ ঘটনা হিসাবে দেখে আসছি। দুটো কারণে এটা হয়েছে- এক. আমি রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র। আর এ বিজ্ঞানের লোক প্লেটো, এরিস্টল, ম্যাকেয়াভিলি এবং আমার ডিপার্টমেন্টের গুরু জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক স্যারের লেকা আকারে পাওয়া ঘটনাগুলো মন দিয়ে পড়ে যতটুকু বুঝেছি- রাজনীতি মানে হলো মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং এর মধ্য দিয়ে নিজের বা দলের স্বার্থসিদ্ধি লাভ করা। সুতরাং জেনে শুনে আমি কারো রাজনৈতিক খেলার পুতুল হতে চাইনি, আর আমার মত কেরানী সেই সময়ও ছিল না, এখনো নাই।
'জবাই কর' 'জবাই কর' টাইপের উচ্চারণ,কাউকে বিচার ছাড়া এক ঘরে রাখার সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অস্ত্র হিসাবে গণ জাগরণ মঞ্চের ভূমিকার সাথে আমার দ্বিমত ছিল। এখনো আছে।
তবে আমি জানি এ ধরণের মোহ। এক সময় ভেঙ্গে যায়। যার যার ধান্ধা ফুরিয়ে গেলে এটা হয়, আমরা সব সময় এ রকম। আমরা আসলে টানা রেসে থাকতে পারি না। ওয়ানডে বা টি টুয়েন্টি টাইপের খেলা আমাদের তাই টানে বেশি। টেস্ট মেসের খবর রাখি কিন্তু উপভোগ করি না।
এ রকম একটা অনুসিদ্ধান্তে পৌছাতে আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাটানো ৮ টি বছর সহায়তা করেছে। মানুষের ভেতরের ও বাইরের দুটো রূপ এবং রাজনীতির খেলা দেখতে দেখতে এটা সহজবোধ্য এখন!
শাহবাগে না গেলে রাজাকার- টাইপের ধারণা যারা লালন এবং এটাতে বিশ্বাস করতেন, বা এখনো করেন তাদের সাথে একমত ছিলাম না। হুজুগে আমরা অনেক কিছু করি, বিবেচনা-ইনসাফ তখন কাজ করে না। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে ইনসাফ জীয় হয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই হবে। এ নিয়ে আমার দ্বিমত নাই। তার জন্য আমাদের চাপও সৃষ্টি করতে হবে, এটা নিয়েওে সন্দেহ নাই।
তবে গণজাগরণমঞ্চের আয়োজন ছিল নির্বাচন ঘিরে। যুদ্ধাপরাধের ইস্যু তুলে অনেক রকমের রাজনীতি এ দেশে হয়, রাজনৈতিক আচার আচরণ এবং এ সব চূড়ান্ত ভাবে 'পাবলিক খায়' এমন উপযোগি করার বিষয়ে সরকার মানে ১৪ দল যথেষ্ট সফল হয়েছে- এতে সন্দেহ নাই। অন্তত ডেভিড বার্গম্যানের মত ইয়াহুদি সম্বাদিকও যখন যুদ্ধাপরাধীদের ফেভার করেন বলে অভিযোগ ওঠে তখন এ নিয়ে আলাপ একান্তই অনাহুত।
আর এ রকম স্পর্শকারত ইস্যুতে বিম্পি বরাবরই একটা 'মফিজ'। এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। কারণ এটা নিয়ে মোটেও খেলতে পারেনি, বরং একটা অস্বস্তি ছির তাদের মধ্যে। জামায়ত টাকা পয়সা দিয়ে 'ম্যানেজ' সিস্টেম ফলো করেছে। মাঝখানে আমপাবলিকের অবস্থা বেহাল।
আমরা এ রকম বক্তব্য সংসদ থেকে বিটিভি মারফত শুনেছি 'মন পড়ে আছে শাহবাগে।' ফেসবুকের আপডেট ছিল গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে। পক্ষে বিপক্ষে বেহুদা প্রচারণা ছিল। এখনো আছে। ফেসবুক-ব্লগ হলো আবেগি কারখানা, এখানে সব প্রডিউস করা যায়।
মঞ্চ নিয়া গত বইমেলায় অনেকগুলো বইও বেরিয়েছে। ৫ জানুয়ারি ঐতিহাসিক ও গিনেস বুকে নাম লেখানোর মত অভূতপূর্ব ইলেকশ হালাল হিসাবেও স্বীকৃতি পেযেছে। কিন্তু ইলেকশনের পর গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে সরকারের উৎসাহে ভাটা পড়ে। ধাক্কাটা লাগে ফেব্রুয়ারিতে বর্ষপূর্তি ঘিরে। কারণ বর্ষপূর্তির আয়োজনে এবং গণজাগরণমঞ্চের সঠিক ইতিহাসায়ন হয়নি বলে সারাসরি অভিযোগ তোলেন-অনেকে। আমি মনে করি তাদের সেই ন্যায্যতা রয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীতের আল্লামা শফির আন্দোলন- হেফাজত নিয়ে তলে তলে অনেক পানি গড়িয়েছে। ক্র্যাকডাউন হয়েছে। সে উছিলা ধরে টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হয় হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারকে হেনস্তা করা হয়েছে।
আমার মনে হয় একটা রাজনৈতিক সরকার- রাজনীতিকভাবে এ সব সফলভাবে মোকাবিলা করেছে! সেখানে প্রতিপক্ষ রাজনীতিকরা পুরাই 'মফিজ'। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নাই।
সেই সব দিনের কথা ভাবছি- যখন শাহবাগে পুলিশ পাহারা দেয়, রাস্তা আটকে যানজটে আমাদের ভোগায়, আর গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা করলে তেড়ে আসে যে কেউ। খেযে ফেলবে অবস্থা যাকে বলে।
কিন্তু মোহ তো ভাঙ্গে। হিস্ট্রি রচনা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে। অ্যাক্টিভিস্ট কাম সম্বাদিক একজন ফেসবুকে ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করে লিখেলেন। জানালেন- যারা আসলে আন্দোলন শুরু করেছেন, তারা নাই। হতে পারে।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গণ জাগরণ মঞ্চের সাথে লেয়াজো করতেন তারাও ক্ষিপ্ত। তাহলে চূড়ান্ত বিচারে সরকারের সমর্থন উঠে গেছে। তাই এখন গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা আদর্শচ্যুত হিসাবে বিবেচিত। সেই বিচেনায় এনে তাদের ঠেঙ্গানো হয়েছে। রক্ত মুছা হচ্ছে দেখলাম। পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে।
আমার কষ্ট হলো- গরিব মানুষের ছেলে পুলে আমরা, দেশটাকে গড়ার জন্য সবাই একসাথে কাজ করবো। কিন্তু সেটি না করে বুড়ো রাজনৈতিক নেতারা পরিকল্পনা করে ফাঁদ পাতেন আমরা সেই ফাঁদে পা দিয়ে সমাজে বিভক্তি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হই। কেন হই আমি জানি না। আমরা কি ভাবি- আমাদের খাদ্যের যোগানটা কে দেয়? আম্লীগ, বিম্পি না জামায়াত। তাই বলে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো না, তা কিন্তু নয়। করবো , অবশ্যই করবো, কিন্তু কারো পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন