এভারেস্টর চূড়ায় ওঠা না ওঠা কি আমাদের জাতীয় সমস্যা!

এভারেস্টর চূড়ায় ওঠা না ওঠা কি আমাদের জাতীয় সমস্যা! আমি জানি না। জানতে চাইও না। তবে নৈতিক বিচারে যারা এটা নিয়ে তর্ক করছেন, তারা মানকি দৈন্যতা প৪্রকাশ করছেন।

মুসা আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ারমেট। ওর লগে আমার দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল না। হাই হ্যালো দু'চাইবার হইছে। ওরা নিজেরা ঘুরতো, আইইআর থেকে। আমরা সে সময় অভ্যন্তরীন পর্যটন বৃদ্ধির জন্য কাজ করতাম। ট্যুরিস্ট সোসাইটির ব্যানারে।

ওরা পাহাড়ে চড়তো, আমরা শিক্ষার্থীদের বলতাম- তোমরা ঘোরো। শিক্ষকদের বলতাম, স্যার পুলাপাইনরে লইয়া এসকারশনে যান। সব এন্তজাম আমরা মাগনা কইরা দিমু। দিতামও।

সে যাই হোক- মুসা মিয়ার এভারেস্ট জয় নিয়ে তর্কের চেয়ে আমাদের মানসিক দৈন্যতা নিয়ে তর্ক হতে পারে। আমরা একটা বিকারগ্রস্থ।  আমরা সব মাইনা লই, যদি সেইটা আমাদের জন্য বা আমাদের দলের জন্য  সুবিধার হয়।

অন্যরে ঠাটায়া গালি দিই। আরম লাগে। কিন্তু ভুলেই যাই থুতু আসমানের দিকে মারলে নিজের গায়ে পড়ে।

মিডিয়ার একটু সমালোচনা করতেই হয়- এ দেশে মুসা এভারেস্টে গেলে তিনদিন লিড অয়, ইনাম আল হক  উত্তর মেরু এক কলাম নিউজ ছাপা হয়।  নিশাত প্রথম এভারেস্টে উঠেও থার্ড পেজে নিউজ, হয় ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেও প্রথম পাতার খবরে আসে। 

কতাটা ক্যান কইলাম- কইলাম পাহাড়ে চড়া নিয়া যে একটা সংগঠন করেছেন ইনাম আল হক। এটাই আমাদের অভিযাত্রীদের বাতিঘর। পরে মুসা ২০০৮ সালে সেখান থেকে বের হয়ে নর্থ আলপাইন ক্লাব করেছে। সেটার সভাপতি  লেখক আনিসুল হক।

খালি যে মাইলেজ পাওন বা  ইনাম আল হকরে 'মফিজ' বানানোর আয়োজন এটা, সেটি নিশ্চয় আমরা বুঝি।

তাই বলে মুসার এভারেস্ট জয় নিয়া  কুতর্কের অর্থ খুঁজে পাই না।

কোন মন্তব্য নেই: