যাচ্ছি খাগড়াছড়ি :: সোনামুখ মেয়েটার গাল উজ্বল!

খাড়া রাস্তা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, সন্ধ্যা নামার আগেই ঘরে। লণ্ঠন জ্বলছে। সোনামুখ মেয়েটার গাল উজ্বল। দিনের ক্লান্তি ভুলে- কাটছে বুনো শাক। রাতের খাবারের আয়োজন। এর ভেতর দিয়ে ছুটবে গাড়ি।

ফেণী নদীর তীর ছুঁয়ে রাম গড় হয়ে গাড়িটা ঢুকে যাবে খাগড়াছড়ি।  অনেক ইতিহাস আর বাংলাদেশের  বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বাঁক ঘিরে আছে এই একটি জেলা। যেখানে জনসংহতির নেতা এমএন লারমার জন্ম। যাকে জুম্মু জণগণের অধিকার আদায়ের মহান নেতা মনে করা হয়। একই জেলায় ইউপিডিএফ নেতা প্রসীত বিকাশ খীশারও জন্ম-বেড়ে ওঠা।
এমএন লারমা এমন একজন লোক যিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় সংসদে বলেছিলেন, আমরা বাঙালি নই। আসলে জাতি বৈচিত্রের অনন্য এক  জেলা খাগড়াছড়ি। এখানকার মানুষের মন প্রকৃতির মতই নরম এবং আনন্দময়। আবার দ্রোহ বিদ্রোহের আগুনে পোড়া।

তবে প্রকৃতি অসাধারণ, অচেনা ফুলের শোভা, রমণীয়  ভঙ্গিমায় নেমে আসা ঝরণা ধারা, আর আলুটিলা গুহার গা ছম ছম করা অভিযান, যে কোনো মুহুর্তে উন্মাদনায় অস্থির করার মত।

আলু টিলা এলাকাকে থেকে পাখির চোখে দেখা যায় খাগড়াছড়ি পুরো শহর।  সেখান থেকে শহরটা দেখতে নাকি সিঙ্গাপুরের মত। সেনখানকার লোকের মত এটা।

তবে আমার কাছে বাঁশের কঞ্চির ওপর কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে গুহাটা ঘুরে আসার মধ্যেই আনন্দ।  সে রকম আনন্দ। প্রথমবার যখন ঢুকেছিলাম, ভেবেছিলাম এই শেষ। আর বের হতে পারবো না। পরে দেখি আমি বাইরে। কী দারুণ, আনন্দময়।  

শহরের শাপলা চত্বরে গাড়িটা থামার কথা। তারই আগে চেঙ্গি নদী। পকেটে টাকার পরিমাণ যদি ভালো  থাকে আমরা নেমে পড়বো পর্যটন মোটেলে। অবশ্য সিটট থাকাও লাগবে। সেখানে গেলে রাতের ক্লান্তিকর ভ্রমণের কষ্টটা  মুছে যাবে। চেঙ্গি নদীর মৃদু স্বরে বয়ে যাওয়া জলের ধ্বনি আর  ঘানফুলের সুবাস মোহিত সকালটা এভাবেই কাটতে পারে।


যাচ্ছি খাগড়াছড়ি... কে কে যােবে?

বিস্তারিত পরে। 

কোন মন্তব্য নেই: