হায় হোসেন; হায় হোসেন

বিম্পি - জমাতের সব্বাই যে এখন হায় হোসেন; হায় হোসেন করতেছেন তাদের এর ভিত্তি নিয়ে ভাবতে হবে।  এভাবে বিম্পি-জমাত জোটের ক্ষমতার বাইরে থাকা, ৫ শতাংশ ভোট পাওয়ার পরেও আম্লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকা  এবং তাদের বন্দনা করা লোকের সংখ্যা কম না।

তাই একলা নব প্রজন্মকে  দোষারোপ করে, ব্লগারদের নাস্তিক ঘোষনা করে আর  আম্লীগকে দোষ দিলে চলবে না।

সময় অনেক বদলেছে- কিন্তু বিএনপি আর সহ রাজনৈতিক জোট সঙ্গী জামায়াত  জগদ্দল পাথরের মত ভাবনা নিয়ে বসে আছে ।  সময়ের সাথে যে অগ্রসর হবার দরকার আছে সেটা হয়ত তাদের ভাবনায় আছে--- কিন্তু তার জন্য যে পড়াশোনা এবং  বাস্তবায়নের করণীয় ঠিক করা দরকার- সেটি তারা করেননি।

তাই এক তরফাভাবে কাউরে দোষারোপ বিবেচনা প্রসূত নয়।

নিয়তই আমরা শুনি এবং অনলাইনের কল্যাণে জমাতের নেতাদের সাথে আম্লীগ নেতাদের ছবিও এর প্রমান করে- আম্লীগ জামাত সখ্যতা।

 কিন্তু সময় বুঝে তারা সে কাদা মুছে ফেলে সাফ সুতরো হতে পেরেছে।সেটাও একটা রাজনীতির দুরদর্শিতা। আপনারা কি তা করতে পেরেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন।

ভেবে দেখুন এবং এর জবাব দিন। আত্ম সমালোচনা করুণ- উপকার পাবেন।

সময়ের সাথে মানুষের ভাবনা -আবেগ জাগিয়ে রাজনীতির চূড়ান্ত ফায়দা তুলে নিতে পেরেছে আম্লীগ। বিম্পি তা পারেনি। পারার কথাও নয়। কারণ জগদ্দল পাথরের মত বিম্পির বুকে উপ্রে চেপে থাকা  কিছু স্থবির চিন্তার মানুষ- ।

তাদের অগ্রসর চিন্তা করতে পারেন না। তারা কোনো কিছুকেই আমলে নেন না। সুবিধাবাদী, ধান্ধবাজরা দলের ভিত্রে বাইরে ঘুরছে--- আর তাদের হাত ধরেই সরকার হটানোর দুঃস্বপ্ন দেখেন তারা। এ দুঃস্বপ্ন সফল হবার কথা নয়। সব কিছুই এটা সিস্টেমে চলে-- সেই সিস্টেম ব্রেক করার মত সাহস লাগে। আম্লীগের সে সাহস ছিল বলে ৯৬ সালে বিম্পিকে তারা টেনে নামিয়েছে। সঙ্গী ছিল জমাত।

বিম্পি ভেবেছিল- তারা আম্লীগের জোট সঙ্গীকে জমাতকে নিয়ে--- সরকার হটাবে। এ হটানো শব্দটা অবৈধ। আম্লীগ একটা অবৈধ কাজ করেছিল বলে বিম্পিও তা করবে তা হতে পারে না। তবে খালেদা জিয়ার কথাটা ঠিক- একটা যৌক্তিক পরিণতি দরকার। আর এ রকম ভাবনার মানুষ দলটি হাল ধরে আছে বলে এখনো এ দলটি টিকে আছে।

জিয়াউর রহমান এ রকম দলের জন্য জীবন দিয়ে যাননি। তার ১৯ দফা আরেকবার পড়েন। ভাবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কারিশমা সমেত নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। তারপর কাউরে দোষারোপ কইরেন।

কোন মন্তব্য নেই: