আল মাহমুদ :: অনলাইন এক্টিভিজম এবং তার জৈবিক চাহিদা!


এনিমেলিটি ও রেশনালিটি মিলেই মানুষ বলে পড়েছিলাম এনথনেসিটি কোর্সে- এতদিন পরে এসে এর উদহারণ দেখছি ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আমাদের এ কোর্সটি পড়াতেন - আফতাব স্যার; অধ্যাপক আফতাব আহমদ।  যিনি নানা কারণে তর্কে- বিতর্কে ছিলেন । পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আর যাকে ঘিরে এ লেখার সূত্রপাত তিনি কবি আল মাহমুদ। তিনিও তর্কে বিতর্কে আছেন।

আফতাব স্যার আর আল মাহমুদ দু'জনেই স্বাধীনতা উত্তরকালে গণকণ্ঠের সে সময়কার আলোচিত মানূষ যাদের সম্পাদনায় কাগজটি বের হতো।

এরা দু'জনেই বামপন্থি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন- পরে তারা ডান  এবং কেউ কেউ তারে মূল পরিচয় ঢেকে তাদের জামায়াতের রুকন হিসাবে আলোচনা করে থাকেন।

 তবে আফতাব স্যার এবং আল মাহমুদ দু'জনই রাজনৈতিক দল হিসাবে জাায়াতের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।

 সেটিরও সম্ভবত যুক্তি আছে-

আল মাহমুদকে  জামায়াতি লেখক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর তিনি সাপ্তাহিক  যায়া যায় দিনের ভালবাসা দিবস সংখ্যায়-- আদম হাওয়া-- কবিতা লিখে ব্যাপক কথিতক ইসলঅমিস্টদের রোষে পড়েছিলেন। তার লেখায় শরীর, রমন-রমণীর প্রথাগত জৈবিক দিকের তুমুল আলোচনা ও শৈল্পিক বর্ণণা  সাহিত্যের  সমঝদারদের মুগ্ধ করেছে। সাধারণ পাঠককেও আলোড়িত করেছে।

 জামায়াতি লেখক হিসাবে তাকে পরিচয় করিয়ে দেবার পরেও--কাবিলের বোন--- উপন্যাসে আল মাহমুদ  বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা করেছেন; যেটাকে তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি দায় শোধের চেষ্টা হিসাবে।

 তবুও তিনি জামায়াতি লেখক-
 কারণ লোকটা দাড়ি রেখেছে, নমাজ পড়ে আর  স্রষ্টা সান্নিধ্য লাভের অভিপ্রায় জানায়। তাই তিনি জমায়াত।  সেটাও  তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম!

 কিন্তু তার সাহিত্য ক্ষমতাকে অস্বীকার হয়তো এখনই করা সম্ভব- তবে দীর্ঘ মেয়াদে সেটি করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
 দেখার বিষয় হলো প্রগতিশীল নামে কিছু লোক এবং জামায়াতিদের মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ নেই। যেমন জামায়াতিরা সমম্বরে চিক্কুর মেরে বলে আহমদ শরিফ নাস্তিক। তার লেখা সমাজের কোনো কাজে আসেনি।  আবার প্রগতিশীল নামের কিছু পতঙ্গ আল মাহমুদকে চিক্কুর মেরে বলে জমায়াত। তাই তার লেখার মূল্য নেই।

তবে এ সব পতঙ্গ সূর্যের রশ্মীর নিচে পুড়ে ক্ষয়ে যাবে---আল মাহমুদরাই টিকে থাকবেন; কালের বিচারে। সাহিত্যের গুণে।

সেটিও বলা আমার উদ্দেশ্য নয়--- আমার ভ্রিতে অফুরান কৌতুহল  আল মাহমুদের বিয়ে দিয়ে--  ফেসবুকে ব্লগে আলোড়ন তোলা সে সব নিম্নমানের দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রচারকদের  পরবর্তী কার্যক্রমের প্রতি---

যেমন আল মাহমুদের নেতিয়ে পড়া দণ্ড খাড়া করার জণ্য তিনি কি বদি ভাইয়ের  সরবরাহ করা ইয়াবা, নাকি হুমো এরশাদের পছন্দের ভায়াগ্রা নাকি হামদরদের  উত্তেজক হালুয়া সেবন করছেন-- সে সব জানানোও তাদের দায়িত্ব।

অথবা তিনি কোন  কোন ব্রান্ডের কনডম ব্যবহার করছেন; তাও জানানো তাদের কর্তব্য। যাতের করে দেশের তাবৎ 'প্রগতিশীল' সেই ব্রান্ড এড়িয়ে চলেন।

ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য আল মাহমুদ  সরকারি রাজা কনডম ব্যবহার করছেন কিনা সে সব তথ্য জানা দরকার। তার মত একটা জামায়াতি লোক কেন সরকারের রাষ্ট্রীয় সাবসিডিতে আনা কনডম ব্যাবহার করবেন-- তা হতে পারে না। এ  বিষয়ে অনলাইন এক্টিভিস্টদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

 যে ফেসবুকের মহান প্রচারকরা আপনারা নিশ্চয় সামনে  আল মাহমুদের বীর্যের শুক্রের উপস্থিতি, আশি বছরের একজন লোকের  দণ্ডের স্থায়ীত্ব সম্পর্কে জানাবেন।

 জাতি জানতে চায়। জাতি নাহলে আমরা আল মাহমুদের সাহিত্যের ভক্তকুল জানতে চাই!

 শুরুতেই যেটা বলেছিলাম- আফতাব স্যার ক্লাসে পড়িয়েছেন এথনেসিটি -- সেখানে রেফারেন্স জার্নালে পড়েছিলাম--- এনেমিলিটি ও রেশনালিটি মিলে মানূষ।  পশূত্ব জয় এখনো করতে পারেনি অনেক মানুষ- বহু মানূষ এবং স্বঘোষিত জাতির বিবেক--- ।  

কোন মন্তব্য নেই: