'স্পর্শের অনুভবে তোমাকে চাই'- গুন গুন করে গাইছে অনিকেত। ফোনের সংযোগটা মিলছে না। নেটওয়ার্ক প্রবলেম।
-হ্যালো ; কথা বলছো না কেনো। স্পর্শিয়ার
- নিজের মধ্যে ফিরে আসে অনিকেত। রিডায়াল থেকে ফোন কানেক্ট করেছে। আচ্ছা এ রকম কি রিডায়াল থেকে রাজনীতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিবাচক সংযোগটা লাগতে পারে না।
- হা হা হা হো হো হো
- হাসি থামাও! স্পর্শিয়ার কড়া আদুরে শাসন।
বলো- অনিতেক উত্তর করল।
-তুমি যে গানটা গাইছো এটা কি নিয়ে জানো?
- জানি।
- বলোতো কি নিয়ে?
- কেনো? সিগারেট।
- ঠিক বলেছো- একটা মানুষ সিগারেটের ভেতর তার সুখ খুঁজে নিয়েছে। আর আমাদের দেশে কেউ মানুষ মারার মধ্যে সুখ পায়। বাপু তুমি যদি নিজের জন্য সুখ চাও; তা যে কোনো খানেই সম্ভব।
- সময় খারাপ যাচ্ছে। এ সব আলোচনা রাখো।
-কোনো; আমি আর তুমি তো!
- আরে নাহ! এর মধ্যে আরো কেউ কান পেতে থাকতে পারে।
-কি বলো; বিস্ময় ঝরে পড়ে স্পর্শিয়ার কণ্ঠে।
- হুমম। তাই হচ্ছে।
-তাহলে! কথা শেষ করতে পারে না স্পর্শিয়া।
-তাহলে আমরা কথা বলবো না।
- কি বললে?
- না কথা বলবো; তবে এ সব আলাপ করা যাবে না।
- আমাদের মাথায় তো এ সব জমে থাকে; কারো সাথে কথা বললে হালকা লাগে।
-পরিস্থিতি হালকা হোক ; তারপর।
দু'জনে একটু সময় নেয়।
-আজকে একটা খবর পড়ছো- কাগজে। বলে, স্পর্শিয়া
-হুমম পড়েছি। কেজরিওয়াল। অনিকেতের উত্তর।
- ঠিক ধরেছো। দলটা জিতেই গেলো। ফিরলো দিল্লির মসনদে। ভালো খবর।
- মোদি পরাজয় মেনে নিলো সেটাও একটা ভালো খবর।
- আচ্ছা, আমাদের দেশে এমন সংস্কৃতি কবে শুরু হবে?
- হবে। তবে দিণক্ষণ ঠিক করে বলা মুশকিল।
-ঠিক বলেছো।
- বাইরে কিসের আওয়াজ। দরজায় কড়া নাড়ছে কেউ।
-নাহ কড়া নাড়ছে না। বাসায় কেউ নেই। কেউ আসবেও না।
- তাই!
রহস্যময় হাসিতে এগিয়ে যায় আলাপন।
পরকীয়া সংলাপের নামকরণ প্রসঙ্গে
ইনডিয়া -এ দেশটার সাথে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক ও নির্ভরতার পরিমাণটা বেশি। তবে এটা কেউ স্বীকার করেন না। যেমন কেউ পরকীয়া প্রেমের স্বীকার করেন না। তাই গোপন সম্পর্ক আর আঁতাত নিযে আলাপি এ সংলাপের নাম পরকীয়া সংলাপ করা হয়েছে।
দায়মুক্তি: এ সংলাপ একান্ত কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে কাকতালমাত্র!