বিত্ত যেখানেই ঘুরে ঘুরুক-- নিম্ন কিম্বা মধ্যম। আমার বিত্ত আটকে আছে একই ঘরে-- চলছে জীবন- শ্রাদ্ধ। কত মানুষ না খেয়ে রয়, কত লোকের ঘুম নেই। এ সব কিসে? ক্যামনে কষো হিশাব - আমরা এখন মধ্যম আয়ের বিশ্ব। হে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ভাই- বলো-- তোমোর হশেব কিসে করো। আবুলের খরচপাতি, ঘুষের টাকা, পদ্মা সেতুর যোগান , চিকনাই জমা সরকার দলীয় লোক আর নিরাপত্তা রক্ষীর চেহারা। জানবার বড় মুনচায়।
বিত্ত যেখানেই ঘুরে ঘুরুক
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
ফান ফাটো স্টোরি 'মোস্তাফিজ কার্টার' লইয়া ইনডিয়ার পেরেশানি
ফান ফাটো স্টোরি 'মোস্তাফিজ কার্টার' লইয়া ইনডিয়ার পেরেশানিতে মজা পাইলাম। তার চে বেশি মজা পাইলাম চুদির বাই নাটক সত্য হিসাবে বার বার বলায়। এঙ্কর কোশ্চেন করছেন ইনডিয়া ভক্তকে পিটিয়েছে। অথচ কথিত নাটুকে ভক্ত কইছে তাকে পিটায়নি। তারপরেও মিথ্য কথা বার বার বলে যাচ্ছে টিভি চ্যানেলটি। আর প্রথম আলোর ফান পোস্ট নিয়ে টক শো জুড়ে দিয়েছে।
https://www.facebook.com/tarunore/videos/vb.1593317440882664/1625774590970282/?type=2&theater
https://www.facebook.com/tarunore/videos/vb.1593317440882664/1625774590970282/?type=2&theater
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
বাঙালি গ্রামীণ নিম্ন মধ্যবিত্তের চে বড় যাযাবর আর কে হতে পারে!
রাংলাই ম্রোর সাথে আলাপ হচ্ছিল- ২০০৯ সালে এমন বর্ষায় । ঝাকডা চুল থাকে ম্রো ছেলেদের । মেয়েরা পরে লম্বা থামি। অথবা খাটো । কাঁধ ছড়িয়ে যাওয়া চুল ছুটে চলে পাহাড়ি এলো বুনোলতার মত।
রাংলাই বলছিলেন, এখন সে সব অতীত হচ্ছে। বাস্তব থেকে যাচ্ছে যাযাবর জীবন । ম্রো বা মুরং রা যাযাবর ।
কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাসা বদল করতে করতে ভাবছি আমরা কি ? আমরা কী স্থায়ী নিবাস গডি! না। আমরাও যাযাবর । এ জন্য বোধ হয় ভুপেনের সেই গান আমার খুব খুব প্রিয়---' আমি এক যাযাবর ' ।
যাযাবর মোরতাজা এখন খুঁটি গেডেছে কলাবাগান । এই নগরে মীর হাজিরবাগ থেকে আজিমপুর ললিত মোহন দাস লেন হয়ে বঙ্গবন্ধু হলের দিনগুলো ছিল একক।
যুগল জীবনের সূচনা হয়েছিল মিরপুর ১২ নম্বরের ডি ব্লকে। সেখান থেকে তেজকুনী পাড়া হয়ে নাখালপাডা ছাপডা মসজিদ। নাখালপাডা রেল গেট হয়ে ধানমণ্ডিতে এক মাসের জীবন ।
তারপর মোহম্মদপুর ৩ নম্বর রোড থেকে ১ নম্বর রোড। আবার ফিরলাম শহরের মুল ভূখণ্ডে-- ফ্রি স্কুল স্ট্রিট । এবার দু বাচ্চার স্কুলের পাশে যাযাবরের নতুন আস্তানা।
আসলে বাঙালি গ্রামীণ নিম্ন মধ্যবিত্তের চে বড় যাযাবর আর কে হতে পারে!
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
সস্তা আবেগি কারখানা ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সস্তা আবেগি কারখানায় দেখছি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য ' বাঙালি জাতীয়তাবাদের এখন আর দেওয়ার কিছু নাই' শিরোনামে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎধর্মী লেখার ভিত্তে নানা বিশেষজ্ঞ মতামত! এটি ২৩ জুন প্রকাশ করেছিল আলোকিত বাংলাদেশ। আমি সেটি ২৮ জুন শেয়ার করার পর তা দেখলাম অনেকেই এমন ভাবখানা প্রকাশ করলেন--- যেনো সিরাজুল ইসলাম ক্যাডা! কিছু বোঝে। হোন ব্যাডা আমি যা কই। এইডা কোনো কতা অইলো--- এ টাইপের কথাবার্তা।
আমাদের যে সব মানুষ ব্যাক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার তাদেরই একজন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক আদর্শ সমাজতন্ত্র। কিন্তু সমাজ বিশ্লেষণ এবংপর্যবেক্ষণে তার নির্মোহ স্বীকারোক্তি কারো বিপক্ষে যেতে পারে। তার সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ কারো কাছে খ্রাপ লাগতেই পারে; কিন্তু তাকে ঘিরে যাচ্ছে তাই মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরা আছেন বলে এখনো কিছু মানুষ অবশিষ্ট আছেন বলে মনে হয়--- যারা সময় সময় সত্যটা উচ্চারণ করতে পারেন। জ্ঞান চর্চার জায়গাটা রাজনৈতিক আদর্শ চর্চার অদর্শ হতে পারে--- তবে সেটি কোনো বিবেচনায় দলান্ধ হবার প্রেরণা যোগাতে পারে না।
জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের জীবনাচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই তা সহজেই অনুমেয়। সম্ভবত আমাদের আবেগি জাতির আবেগ এতটাই মচমচে যে তাতে টোকা দেবার অবস্থা নেই বলে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার কিম্বা জামাল নজরুল স্যাররা পলিটিকস, এথনেসিটি নিয়ে সরাসরি কোনো আলাপে আসেননি।
তবে সিরাজুল ইাসলাম চৌধুরী স্যার তার ৮০ বছরের জীবনেও তার অবস্থান থেকে সরেননি --- এটা তার সাহস, প্রজ্ঞা ও দেশ- সমাজের প্রতি দায়বদ্ধার উদাহরণ। অন্যরাও দেশ প্রেমিক নন সেটি নয়; আবেগি বাঙালির বিরাগভাজন হয়ে ড,. ইউনূসের হেনস্তা হতে চাননি।
আমরা এতটাই সুবিধাবাদী লোক যে, আমরা চাই জগতের সব কথাগুলো আমার মতই হোক। এটা কি কখনো সম্ভব। বা এটা কখনো হয়েছে।
স্যারের সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশ----
প্রশ্ন : কমিউনিস্টরা কেন বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা কিংবা মধ্যবিত্তের অ্যাসপিরেশনের লড়াইটাকেই তখন সবচে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছিল?
সিরাজুল : কমিউনিস্ট পার্টি কিন্তু মধ্যবিত্তেরই পার্টি আসলে। কমিউনিস্ট পার্টির এখানে প্রধান দুর্বলতা হলো, তারা কৃষকের কাছে যেতে পারে নাই। এই জন্য দেশে বিপ্লব হয়নি। শ্রমিক এবং কৃষক এই দুইয়ের মধ্যে কেবল শহরকেন্দ্রিক শ্রমিকের ওপর নির্ভর করেছে। কিন্তু শ্রমিক তো তেমন নাই। কাজেই মধ্যবিত্ত তরুণদের মধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টির মূল তৎপরতা ছিল। পাকিস্তান হওয়ার পরে কমিউনিস্ট পার্টির জন্য দুটো বিষয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। একটা হলো, অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে চলে গেল। দ্বিতীয় হচ্ছে, পাকিস্তান রাষ্ট্রও কমিউনিস্টদের খুব অত্যাচার করতে শুরু করল। সবাইকে ধরে ধরে জেলে দিচ্ছে। যেমন সরদার ফজলুল করিম। উনি তো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন দেখতেই পারেন নাই। কারণ উনি তখন জেলে। তাকে জেলে নেওয়া হয়েছে ১৯৪৯ সালে। ছাড়া পেলেন ১৯৫৬ সালে। ফলে, কমিউনিস্ট পার্টি কিন্তু রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের কারণেই রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছিল। রাষ্ট্র কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ঝাপায় নাই।
প্রশ্ন : বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গে একটু আসি। যখন রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে, তখন ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগানের ভিড়ে কেউ কেউ এরম শ্লোগানও তুলত যে, ‘বাংলা ভাষার রাষ্ট্র চাই’। ফলে, নতুন যে রাষ্ট্রটি তৈরি হবে সেটা যে একান্তভাবে বাঙালিদের হবে, এবং নিরঙ্কুশভাবে বাঙালির দাপট স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হবে, এই পরিণতির বীজ কি সেই বায়ান্নোতেই রোপিত হয়ে গেছিল?
সিরাজুল : হ্যাঁ, সেটাই তো হয়েছিল। দেখতে হবে, জাতীয়তাবাদের ভিত্তিটা কী ছিল? পাকিস্তানি জাতীয়তার ভিত্তি ছিল ধর্ম। বাঙালিরা যে পাকিস্তান চেয়েছে সেটা ধর্মরাষ্ট্র হবে এমন কিন্তু তারা চায়নি। তারা একটা রাষ্ট্র চেয়েছে যেখানে তারা মুক্ত হতে পারবে। তারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চেয়েছে। জমিদার হিন্দু, মহাজন হিন্দু, চাকরি-বাকরিতে হিন্দু, ব্যবসা-বাণিজ্যে হিন্দু- ওদের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পাকিস্তান দরকার। সেই অর্থনৈতিক মুক্তি তো পাকিস্তান দিচ্ছে না। চাকরি-বাকরিতে অবাঙালিরা চলে এসেছে। উচ্চপদে বাঙালি মুসলমানদের কেউ নেই। ফলে একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছিল। সেই আকাক্সক্ষাটাই পরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যাত্রা শুরু ওই ’৪৮ সাল থেকে।
প্রশ্ন : আমি ঠিক যাত্রা শুরুর কথা বলি নাই। ওইটা নিয়ে আসলে তর্কও নাই। আমার প্রশ্নটা ছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন অবাঙালিদের জন্য একটি নিপীড়নযন্ত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
সিরাজুল : নিপীড়ন জিনিসটা আসলে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র এই দিক থেকে দেখতে হবে। এটা একটা ভুল কনসেপ্ট তৈরি হয়েছে যে, বাংলাদেশ একটা জাতিরাষ্ট্র। বাংলাদেশ কোনো জাতিরাষ্ট্র নয়। আজকের পৃথিবীতে জাতিরাষ্ট্র বলে কোনো রাষ্ট্র নেই। এখানে একটা জাতি প্রধান আছে বটে, কিন্তু অন্য জাতিগোষ্ঠীও আছে। রাষ্ট্র এবং জাতি এক না। একটা রাষ্ট্রে একাধিক জাতি থাকতে পারে। রাষ্ট্র হচ্ছে একটা রাজনৈতিক প্রপঞ্চ, আর জাতি হচ্ছে নৃতাত্ত্বিক বর্গ। বাংলাদেশকে আমরা জাতিরাষ্ট্র বলবো না। এখানে বাঙালি ছাড়াও নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ থাকে। আধুনিক বিশ্বে এখন এটাই সত্যি। আমেরিকানরা একসময় বলত এখানে সবাই আমেরিকান। এখন তাদের মানতে হচ্ছে যে, সকলেই অ্যামেরিকান না, নানা জাতি আছে তার মধ্যে। অ্যাংলো-স্যাক্সন ছাড়াও তো ওখানে স্প্যানিশ আছে, পর্তুগিজ আছে, বাঙালি আছে। তাই, জাতিরাষ্ট্র নয়, আমরা চেয়েছি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটা জাতিরাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল না, যদিও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ পুঁজিবাদী রাষ্ট্র তাতে সন্দেহ নেই। আমি বলতে চাচ্ছিলাম, এই রাষ্ট্রের একটা ‘মুসলিম’ চরিত্র আছে, এবং একটা ‘বাঙালি’ চরিত্র আছে। পুঁজিবাদী চরিত্র এই রাষ্ট্রের আছে, এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে পুঁজিবাদ যেভাবে কাজ করে সেটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে তার অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু, একই সঙ্গে, রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটা যে একটা মুসলিম রাষ্ট্র...
সিরাজুল : না, মুসলিম রাষ্ট্র আমরা বলি না তো...
প্রশ্ন : এই অর্থে মুসলিম রাষ্ট্র যে এই রাষ্ট্রের একটা মুসলিম ক্যারেক্টার আছে। রাষ্ট্র যখন হিন্দুকে ট্রিট করে তার মধ্যে এই ব্যাপারটা থাকে...
সিরাজুল : এই ক্যারেক্টারটা দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন ’৭১ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলাম সেটা তো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষ হবে যে রাষ্ট্রটা।
প্রশ্ন : সেরম একটা রাষ্ট্র হয়ত হতে পারত, কিন্তু আমরা এখন যে রাষ্ট্রটা পাচ্ছি...
সিরাজুল : সেটা হয় নাই, কারণ পুঁজিবাদের চরিত্রই হচ্ছে বৈষম্যমূলক, এবং সেখানে যাদের ক্ষমতা আছে তারা অন্যদের কন্ট্রোল করবে। এখানে মুসলমানদের হাতে ক্ষমতা বেশি, তারা সংখ্যায় বেশি বলে। কাজেই তারা হিন্দুদের মাইনরিটি বলে ট্রিট করে, তাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে। আসলে রুলিং ক্লাসটাই কন্ট্রোল করছে সব কিছু। ইকনমিক টার্মস ছাড়া এটাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়ে এর সুবিধা হবে না।
প্রশ্ন : সেটা একটা লম্বা তর্কের বিষয়। মার্ক্সিস্ট যারা তারা মনে করবেন যে মূলত ইকনমিক টার্মসেই এটাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। কিন্তু মার্ক্সিজমের যারা ক্রিটিক করে তারা অন্য কতগুলো বৈশিষ্ট্যের ওপর গুরুত্ব দেবেন...
সিরাজুল : অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো আছে, কিন্তু সেগুলোকে আমরা কেন খামাখা প্রাধান্য দেব?
প্রশ্ন : একটু পেছনে ফিরি। পূর্ববঙ্গে সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনে একটা বাঁকবদল আছে। তরুণ বয়সে আপনাদের পছন্দ ছিল মানিক-জীবনানন্দ-সুধীন-বুদ্ধদেবরা। অথচ ওই সময়েই পূর্ব পাকিস্তানে একটা ভিন্ন সংস্কৃতি জারি ছিল, যেটা কতগুলো সংবাদপত্রের নাম থেকেই বোঝা যাবে- আজাদ, ইনসাফ, মাহে নও, মোহাম্মদী। এই যে একটা ভিন্ন ধারা, যেটি মূলত পাকিস্তান আন্দোলনের লিগ্যাসি ধরেই বাহিত হচ্ছিল, এটা কোনোভাবেই আপনাদের ওপর আছর ফেলতে পারে নাই। একটা নতুন এসথেটিকস নিয়ে আপনারা আবির্ভূত হচ্ছেন। এটা কীভাবে সম্ভব হলো?
সিরাজুল : পত্রিকাগুলোর নাম থেকেই বোঝা যায় সেটা ছিল মুসলিম ধারা। এই নামগুলো আধুনকি না, সামন্তবাদী গন্ধ আছে এর মধ্যে। এটা পুরাতন এবং আগের জামানার। কিন্তু নতুন শিক্ষিত হচ্ছে যে তরুণ সে নিজেকে আধুনিক মনে করছে। আধুনিক তরুণ-তরুণী তো ওই নামে সন্তুষ্ট হবে না। আমরা যখন পত্রিকা বার করছি তখন নাম দিচ্ছি আগামী, দেয়াল পত্রিকা করছি নাম দিচ্ছি ঝামেলা। রক্ষণশীল ধারাটাও একই সাথে চলছে। ফররুখ আহমেদ, মোফাখখর হোসেনরা ওই ধারায় কবিতা লেখেন। তারা ওই ধারাটা পাকিস্তান আমল থেকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই ধারা তো আর চলবে না। আধুনিকতা আসছে, ইউরোপের প্রভাব পড়ছে, তারা এখন তো ওই ধর্মীয় বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসবে। সেই সাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদ তো আছেই। একদিকে আধুনিকতা, আরেকদিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ; দুটো মিলে যাচ্ছে। মিলে যাওয়ার ফলে একটা উদারনৈতিক চিন্তা চলে আসছে। এখন আর মোহাম্মদী আর মাহে নও তো আমাদের সন্তুষ্ট করবে না।
প্রশ্ন : আগের প্রজন্মের সাথে আপনাদের হিসটোরিক্যাল লিংকটা বুঝতে চাই। আপনারা বাঙালি মুসলমান সমাজের একটা নতুন প্রজন্ম। যে প্রজন্ম আধুনিকতাকে গ্রহণ করছে এবং পুরনো রক্ষণশীলতাকে পরিত্যাগ করছে। কোনো পূর্বসূরী প্রজন্মের সাথে আপনাদের হিসটোরিক্যালি লিংক করা যায়?
সিরাজুল : ধারা দুটোই ছিল। আমাদের সাহিত্য রুচি তো গড়ে উঠছে বাংলা সাহিত্য থেকে। আমরা বঙ্কিম-শরৎ-মধূসূদন পড়ে বড় হচ্ছি, বাঙালির যে ঐতিহ্য সেটা তো আমরা ধারণ করছি। বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে পাকিস্তান আন্দোলন পর্বে একটি নতুন বিষয় যুক্ত হলো : মুসলমানত্ব। পাকিস্তান তো এই মুসলমানত্বেরই প্রতীক। এই ইতিহাসটা খুব কৌতূহলউদ্দীপক। মীর মশাররফ হোসেন যখন সাহিত্যচর্চা করেন তার মধ্যে কিন্তু এই মুসলমানত্ব নাই। সাম্প্রদায়িকতাটা তৈরি করছে হিন্দু মধ্যবিত্ত। মূল অপরাধী হচ্ছে ব্রিটিশ, তারা উস্কানি দিয়েছে। মুসলমান মধ্যবিত্তের চেয়ে অন্তত পঞ্চাশ বছর এগিয়ে থাকা হিন্দু মধ্যবিত্তের এটা পছন্দ হচ্ছে না যে মুসলমান সমাজ বিকশিত হচ্ছে। সংকটটা হচ্ছে এখানে যে, মুসলমানরা ইতিমধ্যে সংখ্যায় বেড়ে গেছে। ১৯৩৫ সালের পর থেকে বাংলা প্রদেশে যে মন্ত্রীসভাগুলো গঠিত হচ্ছে তার সবগুলোতেই নেতৃত্ব দিচ্ছে মুসলমানরা। এটার ফলে হিন্দু মধ্যবিত্তের বিক্ষোভ বাড়ছে। সাম্প্রদায়িকতা এভাবে তৈরি হচ্ছে। পানি এবং জল নিয়ে প্রচ- বিরোধ হচ্ছে। ব্রাহ্মণ্যবাদীত্ব ছিল, ছোঁয়াছুঁয়ির বাছবিচার ছিল। জসীমউদ্্দীনের মতো কবি, তাকে বন্ধুর বাড়িতে গেলে অন্য থালায় খেতে দেওয়া হত।
প্রশ্ন : মৃণাল সেনের কথা বলছেন বোধহয়?
সিরাজুল : হ্যাঁ, তুমি পড়েছ ওইটা? খাবার দিচ্ছে অন্য থালায়, সেই থালা ধুতে হচ্ছে। নজরুলকেও মেসে শৈলজানন্দ একইভাবে ট্রিট করেছেন। সাম্প্রদায়িকতার জন্য তাই মুসলমানের চাইতে হিন্দুর দায় বেশি। সেজন্যই পাকিস্তান হয়েছে। নইলে তো পাকিস্তান হওয়ার কথা ছিল না।
- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/online/opinion/2015/06/23/5057#sthash.SeAQxnfo.IBPTfjWX.dpuf
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
বৃষ্টিস্নাত পাহাড়ে ভ্রমণের সময় যে সব দিক খেয়াল রাখবেন---
১. বৃষ্টির সময় ঝরণাগুলো থাকে পুর্ণ যৌবনা। এর আশ পাশে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে আটকে থাকা শেওলাগুলো এখন জীবন্ত। অতএব ঝুঁকি নিয়ে ঝরণার উৎসব, ঝরণার উৎপত্তি স্থলের দিকে যাবেন না।
২. ঝরণার পানি যেখানে পড়ে ঠিক সেখানে দাঁড়ানোটা কখনো ঠিক নয়। আপনি পাশ থেকে তা উপভোগের চেষ্টা করুণ। সাধারণত যেখানে পানি পড়ে সেখানে গর্ত হয়ে যায় এবং পানি প্রেসার এতটাই থাকে যে আপনি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন ।
৩. ঝরণার পানি ঠাণ্ডা । তাই যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে তারা ভিজলেও দ্রুত উঠে আসুন এবং অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা যাদের আছে তারা দ্রুত ভেজা কাপড় ছেড়ে শুকনো কাপড় পরে নিন।
৪. পাহাড়ে এ সময় জোকের সমস্যা থাকে। পাহাড়ি জোকের কারণে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। সে জন্য বাড়তি সতর্কতা এবং জোক ছাড়ানোর ওষুধ সাথে নিতে পারেন।
৫. পাহাড়ে জিনস এবং কেডস-ই বর্ষার সময় ভালো পোশাক।
৬. পাহাড়ে এখন ভূমি ধ্বসের ঘটনা ঘটছে। তাই কিছু বাড়তি সতর্কতা এবং প্রস্তুতি নিয়েই ভ্রমণে যাওয়া উচিৎ।
৭. ভূমি ধ্বসের কারণে রাস্তায় আটকে পড়লে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যোগাযোড় করুন।
ভ্রমণে যাবার আগে প্রয়োজনীয় শুকনো কাপড়, খাবার, ওষুধ এবং রেইন কোট বা ছাতা সঙ্গে রাখুন।
২. ঝরণার পানি যেখানে পড়ে ঠিক সেখানে দাঁড়ানোটা কখনো ঠিক নয়। আপনি পাশ থেকে তা উপভোগের চেষ্টা করুণ। সাধারণত যেখানে পানি পড়ে সেখানে গর্ত হয়ে যায় এবং পানি প্রেসার এতটাই থাকে যে আপনি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন ।
৩. ঝরণার পানি ঠাণ্ডা । তাই যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে তারা ভিজলেও দ্রুত উঠে আসুন এবং অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা যাদের আছে তারা দ্রুত ভেজা কাপড় ছেড়ে শুকনো কাপড় পরে নিন।
৪. পাহাড়ে এ সময় জোকের সমস্যা থাকে। পাহাড়ি জোকের কারণে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। সে জন্য বাড়তি সতর্কতা এবং জোক ছাড়ানোর ওষুধ সাথে নিতে পারেন।
৫. পাহাড়ে জিনস এবং কেডস-ই বর্ষার সময় ভালো পোশাক।
৬. পাহাড়ে এখন ভূমি ধ্বসের ঘটনা ঘটছে। তাই কিছু বাড়তি সতর্কতা এবং প্রস্তুতি নিয়েই ভ্রমণে যাওয়া উচিৎ।
৭. ভূমি ধ্বসের কারণে রাস্তায় আটকে পড়লে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যোগাযোড় করুন।
ভ্রমণে যাবার আগে প্রয়োজনীয় শুকনো কাপড়, খাবার, ওষুধ এবং রেইন কোট বা ছাতা সঙ্গে রাখুন।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
সমকামিতা-- ফেসবুক এবং আম্রিকা
আম্রিকা সমকামিদের বিয়ে 'জায়েজ' ঘোষণা করার পর দেশটি 'যৌনাধিকার' স্বীকার করে নিয়েছে এ আনন্দে অনেকে উত্তেজিত। অনেকে বুঝে, না বুঝে কেউ হুজুগে মার্ক জাকারবার্গের ফেবুট্যাবলেট খেয়ে নিজের ছবিটা সাতরঙের নিচে লুকিয়ে নিজেকে অগ্রগামি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন--- আমাদের দেশেও।
ধারণা করি এদের অনেকের সমকামিতার অভিজ্ঞতা থেকে থাকবে, অথবা তারা সমকামিতায় ইচ্ছুক অথবা তারা সমকামিতাকে প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছুক। সে যা-ই হোক স্বাধীন মানুষের চিন্তা জগতও স্বাধীন। তবে এ স্বাধীনতার সাথে আমার ব্যাক্তিগত দ্বিমত রয়েছে। আমি সরাসরি এটার বিপক্ষে।
২১ জানুয়ারী ২০১৪ সালে আমি এ সংক্রান্ত একটি ব্লগ লিখেছিলাম। সেটি আপনারা আরেকবার চোখ বুলাতে পারেন। সেখানে আমরা কথা গুলো এ রকম--- 'রূপবান' বের হয়েছে। সমকামিদের কথা বার্তা নিয়ে প্রথম মলাটবদ্ধ বাংলা প্রকাশনা। আমাদের আশপাশে অনেক সমকামি আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন। তাদের অধিকতার নিয়েও কাজবাজ হচ্ছে। হবেও। তাতে আমার বিদ্রোহ করার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অনেকে এটাকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখছেন- দেখবেন, তবে এটাকে যদি আমরা সমস্যা মনে করি তাহলে- সমাধানটা এখনই ভাবনায় আনা দরকার।
পশ্চিমা দুনিয়ার যাপিত জীবন সম্পর্কে আমার প্রত্যক্ষ ও বিশদ ধারণা নাই। কিতাব পত্র পড়ে কিছুটা জেনেছি মাত্র। বিশ্বজুড়ে সমকামিদের অধিকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। আমেরিকা সমকামি বিয়ে জায়েজ করেছে। কিন্তু কুরআনে আছে কাওমে লুতকে আল্লাহ সমকামিতার চরম শাস্তি দিয়েছিলেন।
আমাদের দেশে সমকামিতা রয়েছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সম্প্রদায় যারা বোর্ডিং স্কুলে বা মাদরাসায় পড়েন, তাদের দিকে ইঙ্গিত করা হতো। এখন সে বলয় থেকে এটা বেরিয়ে বড় আকারে সামনে এসেছে।
বিব্রতকর এ বিষয়টি আমরা এখনো সামাজিকভাবে তো বটে, পারবারিক- এমনকি ব্যাক্তিগতভাবেও গ্রহণ করতে পারি না, পারার কথাও নয়। বিশ্বেবর কোথাও মনে করা হয়- এটা রোগ। এটা অপরাধ হিসাবে দেশে এখনো স্বীকৃত।
আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমকামিদের অধিকার বাস্তবায়নে তার সরকারের সোচ্চার থাকার কথা একখানা ঘোষণাপত্রে সই করে জানিয়েছেন। একই জায়গায় ড. ইউনূসও একমত।
তবে সরকার এখানে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে ড. ইউনূসের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে ২০১৩ সালে।
নয়া আওয়ামী লীগের সরকারের হানিমুন পিরিয়ডে রূপবান প্রকাশ পেলো, এটা নিয়ে আমাদের রাজনীতির কিছু নাই। তবে উপলব্ধি:র অনেক কিছুই আছে। কারণ আমরা প্রথম সিদ্ধান্ত নিবো- সমকামিতাকে আমরা কোন চোখে দেখবো!
এটা কি অপরাধ? যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমরা কীভাবে এর মোকাবেলা করবো। যদি অপরাধ না হয় তাহলে আমরা এটা থেকে যারা রক্ষা পেতে চায় তাদের কীভাবে সুরক্ষা করবো।
এ দুটো প্রশ্ন নিরয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে- সে জন্য বিশেষজ্ঞরা আছেন। আমি আমার ঝুলিতে থাকা অনেক ঘটনা থেকে কয়টা বলি। সাথে ছোট্ট একটা টোটকা সমাধানের কথাও বলবো।
২০০৩ সালে মানবজমিন একটা রিপোর্ট করেছিল, বিদেশি সমকামি পুরুষদের জন্য রাজধানী ঢাকায় কিছু ছেলে ভাড়া খাটেন। তার মানে নারীদের মত এ পুরুষরাও শরীর বেচেন।
একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলে সমকামি নিয়ে তুলকালাম হয়, খবরটি আমি, চেপে যাই, কারণ এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জতের মামলা বলে মনে করেছিলাম!
একই বছর ফরিদগপুরে এক নারী সমকামি জুটি বিয়ে করলে তোলপাড়, তা নিয়ে মানবজমিন ধারাবাহিক রিপোর্ট করেছিল। সে সময় সমকামিদের অধিকার নিয়ে তর্ক হয়েছে, এবং এটাকে অপরাধ বিবেচনা করে মামলাও হয়েছিল।
তারো আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ভোটযুদ্ধের মিত্র একটি রা্জনৈতিক দলের একজন বহিষ্কৃত নেতা সম্পর্কে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে এবং সম্ভবত সংগ্রাম পত্রিকা খবরটি প্রকাশ করেছিল।
বাংলাদেশে সমকামিতাকে অন্যকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়, বিশেষ করে যে সব দল ইসলাম 'প্রতিষ্ঠা'র রাজনীতি করেন, তাদের থেকে কেউ বিচ্যুত হলে তার বিরুদ্ধে হয় সমকামিতা না হয় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অথবা দুটোই উত্থাপন করে তাকে সামাজিকভাবে জিরো করে দেয়ার চেষ্টা হয়।
মুসলিম, বৌ্দ্ধ, খ্রিস্টান এবং হিন্দু অনাথালয়ে সমকামিতা দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে। দেশে নারীদের মধ্যে সমকামিতা তুলনামূলক কম বলে আমার ধারণা । এ ধারণা ভুলও হতে পারে।
এটা থেকে মুক্তির উপায় কি? আমার মনে হয় নৈতিক শিক্ষা। আমরা সন্তানদের ছোট বেলা থেকেই যদি সুরক্ষা করতে পারি এবং নৈতিক ভিত শক্ত করতে পারি, তার ভেতর দিয়ে এ সঙ্কট মোকাবিলা করতে পারবো। একই সাথে নিয়মিত কাউন্সিলিং এবং নারী পুরুষদের মধ্যকার সম্পর্ককে সহজ করে উপস্থাপন করাটাই শ্রেয় এবং এ বিষয়ে শিশুদের বিস্তারিত জানানো। একই সাথে কারো মধ্যে সমকামিতার প্রবণতা থাকলে সেটাকে আগেই অ্যাড্রেস করে তাকে এ সমস্যা থেকে বের হতে সহায়তা করা । তাদের ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে হবে।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম!
বড় ক্লান্তি ভর করে চোখের ওপর
মেঘ নেমে গেলে কুয়াশার মত নীলগিরি চূড়ায় পরীরা আসে
হাত বাড়ায়---
শরীর ছুয়ে যায় বিকালের কিশোরী বৃষ্টি-তুষারধারার মত বয়ে যায় মেঘবালিক
চোখ বন্ধ হয়ে আসে সুখে---মনের ভেতর গুমরে মরা মেঘগুলো ঝরে বৃষ্টি হয়ে--- চোখের পাতায়
বৃষ্টির সাথে আমিও কাঁদি।।
জল গড়িয়ে সারা বছরের শুষ্ক পাহাড় ভিজতে থাকে
ভিজতে থাকা যৌবন, ডুবে যায় সিদ্ধান্তহীনতার ভেতর
মৃত্তিকা খসে পড়ে; তার নীচে চাপা পড়ে কারো জীবন
সাঙ্গু নদীর জল উপচে পড়ে, পাহাড়ে এ ধার ও ধার থেকে গড়ানো জলে ছোট ছোট ঝরণা
এত উৎসব কিসের, কিসের এত উচ্ছ্বাস
শৈশবে যা চেয়েছি; পেয়েছি তার সবই!
তারুণ্যে যা সঠিক বলেছি
যৌবনে সেটাকে ভুল মনে হচ্ছে।
যদি বৃদ্ধ হবার ভাগ্য হয়--- তাহলে তাকে কী বলবো
বড় ক্লান্তি ভর করেছে চোখের পাতায়, শরীরটা টেনে নিয়ে অরণ্যে রাখি,
পাহাড়ের চূড়ায় রাখি---
অপরাধ আমাকে পুড়িয়ে যায়।
প্রতিটা বিকালে ভাবি--- এ জীবনজুড়ে--- এখানেই আনন্দ উৎসবের কথা ছিল
বহু রঙ্গের ভেতর নিজেকে মেলাতে গিয়ে নিজের রঙই হারিয়ে গেছে
বহুজনের কষ্ট ধরতে গিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথাটাই ভুলে গেছি
তবুও দুই জোড়া চোখ
একবার তাকালে---চোখের তারায় একবার ভাসলে
পৃথিবীর সব কষ্ট মুহুর্তে উড়ে যায়।
ঝকঝকে রোদে হেসে ওঠে একটা জীবন।
একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
লালবাগ কেল্লা লইয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তেলেসমাতি
লালবাগ কেল্লার ভিত্রে রোজা উপলক্ষে যে ভিআইপিদের ইফতারির হাট বসায়নি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সেটাও ভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি সামনের কুরবানির ঈদে তারা সেখানে কুরবানী হাট বসাবেন। যাতে ভিআইপিরা গাড়ি পার্ক করে আরাম করে গরু কিনে ফিরতে পারেন। আর গরুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কেল্লার ভিত্রের যে জল প্রবাহের ক্যানেল আছে তার ভালো ব্যবহার হবে। এ সব অকেজো রেখে কী লাভ।
দেশে অনেক বেকার তাদের সেখানে পুনর্বাসনও সোয়াবের কাজ । প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে পর্যটকদের জন্য একটা কেনাগার বা বিক্রয়াগার কিম্বা সুভিনির শপ নামে কয়েকটা দোকান খুলে ব্যবসাও পাততে পারেন। ভোজন রসিক ভিআইপিদের জন্য কেল্লার অভ্যন্তরে কয়েকটা ঐতিহ্যবাহি খাবারের দোকান খুলতে পারেন--- যেমন হাজির বিরিয়ানি, রাজ্জাকের মাঠা আর পাঠা মহা পরিচালকের বউয়ের কোনো রসেপিতে রান্ধা রসগোল্লা।
এ সবে কেল্লার আয় বাড়বে। মহাপরিচালকের আয় বাড়বে। তার মাথার উপ্রে ছাতি ধরে রাখা লোকেরও খোশ দিল থাকবে। তা ভাইসাব আসেন লালবাগ কেল্লার ভিত্রে খালি ঘরে প্রত্নতত্ত্ব মহাপরিচালকের বাসস্থান করাও যেতে পারে। এতেও কিন্তু কেল্লার মূল নকশার কোনো পরিবর্তন হবে না।
কেল্লার দেয়াল ভেঙ্গে ভিআইপিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের কাজ শুরু করে মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন বলেছেন, 'এই দেয়াল ভাঙার কারণে লালবাগের কেল্লার মূল নকশার খুব একটা ক্ষতি হবে না।'
সাহিত্যিক মইনুল আহসান সাবের ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন--- ' যথাযথ উদাহরণ দিতে গিয়ে মহাপরিচালক নিজের হাঁটু থেকে দু পা কেটে ফেলে বলতে পারতেন, দেখুন তো, আমার মূল নকশার কোনো ক্ষতি হয়েছে?'
আমারো তাই মনে লয়।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
পর্যটকদের যে কোনো জায়গায় যাবার আগে কিছু জরুরী বিষয়ে জেনে নেয়া দরকার-
১. লোকাল নিরাপত্তা, ২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা, ৩. খাবার দাবার, ৪.থাকার ব্যবস্থা, ৫.যানবাহন,৬. পর্যটকের জন্য স্বাস্থ্য সুিবিধা ৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি এবং ৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।
এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমন করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।
হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধাররণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
একই সাথে ভিন্ন সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে থাকে।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী
নায়েক রাজ্জাক কে ফেরত না পাবার নবম দিন । এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী।
গত সপ্তাহের বুধবার রাজ্জাককে অপহরণ করে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ- বিজিপি।
হতাশার কথা হলো পতাকা বৈঠক হবে শুনছি। এখনো হয়নি ।
রক্তাক্ত রাজ্জাককে গাছের সাথে বেছে রাখার মৃদু প্রতিবাদ সংসদে হয়েছে। এটা একটা ভালো খবর ।
সবাই নিশ্চিতভাবে একমত হবেন --- মিয়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয়। পুরো বাংলাদেশ ।
রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র । দল আপনার যা-ই হোক ; মত আপনার ভিন্ন হোক --- সীমান্ত কিন্তু একটা ।
তাই সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে আমাদের উদ্যোগ দরকার ।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলাও'
কথাও কাজে মিল থাকলে বিজিবি প্রধানের বয়ান শুনেও শান্তি লাগতো। ৬ দিন ধইরা নায়েক রাজ্জাক মিয়ানমারের বন্দী। মেরে তার নাক ফাটিয়ে দেবার পরেও বিজিবি প্রধানের ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ দেয়া বক্তব্যের প্রতিফলন দেখলাম না। গ্রাম অঞ্চলে একটা কথা আছে 'ঘরেই সব পারে; বাইরে পারো না। wink emoticon'--- 'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলা্ও।' এটা হলো বাইরে কোনো মুরদ ফলাতে ব্যর্থ পুরুষের জন্য ব্যবহৃত বা অতি ব্যবহৃত কথা। বিজিবি কর্তাদের জন্য এ কথটা ব্যবহার করবেন না---- প্লিজ।
''সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতি ছাড়াও বিজিবি’র গত বছরের কর্মকাণ্ডের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তা তাত্ক্ষণিক যোগাযোগে সমাধান করা যায়। গত জুন ও ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। আগে মিয়ানমার কোনো ইয়াবা ব্যবসায়িকে ধরতো না। আলোচনার পর তারা একবার দুই লাখ, আরেকবার চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর চোরাকারবারীদের অনেকেই জামিনে বেরিয়ে যায় বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।''
১৬ জানুয়ারী ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবর।
খবরের লিঙ্ক http://www.ittefaq.com.bd/national/2015/01/16/11781.html
''সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতি ছাড়াও বিজিবি’র গত বছরের কর্মকাণ্ডের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তা তাত্ক্ষণিক যোগাযোগে সমাধান করা যায়। গত জুন ও ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। আগে মিয়ানমার কোনো ইয়াবা ব্যবসায়িকে ধরতো না। আলোচনার পর তারা একবার দুই লাখ, আরেকবার চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর চোরাকারবারীদের অনেকেই জামিনে বেরিয়ে যায় বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।''
১৬ জানুয়ারী ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবর।
খবরের লিঙ্ক http://www.ittefaq.com.bd/national/2015/01/16/11781.html
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ
আমার মত পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ। পিৎজা হাট মেয়াদোত্তীর্ণ মাল ব্যবহার করে। ব্যবহার করে ক্যামিকেল। যেইটা বিএসটিআই অনুমোদনও করে না। আহা তুমি এমন ক্যারে পিৎজা হাট। এমুন ক্যারে কেএফসি। তুমরা চিকেন বইলা কয়দনি আগে ইঁন্দুর দিছো।
বিএসএস এর খব্বর
KFC, Pizza Hut fined
Mobile court finds date-expired items, adulterated oil, unauthorised chemicals
A mobile court of the Dhaka Metropolitan Police (DMP) yesterday realised Taka one lakh each from three branches of popular eateries KFC, Pizza Hut, Boomers in fines at Baily Road, reports BSS.The mobile court headed by executive magistrate Md Moshiur Rahman fined KFC on charges of selling date expired goods and using adulterated oil in different food items while Pizza Hutt was fined for using two chemicals, bolognaise sauce seasoning and extreme seasoning, which have no BSTI approval and license, an official release said.It also fined Boomers on charges of keeping rotten meat and adulterated food items in refrigerator, it also said.
The eateries gave the fine soon after the court order.DMP has vowed to continue the drive during the holy month of Ramadan.Transcom Foods Limited operates the international food chain restaurant Pizza Hut in Bangladesh under a franchisee license, and introduced the brand in the country 2003. The company, later in 2006, also became the franchisee of Kentucky Fried Chicken (KFC).Pizza Hut is an American restaurant chain and international franchise that offers different styles of pizza and are famous for their high quality and delicious food items. It was founded on June 15, 1958 by brothers Dan and Frank Carney in their hometown of Wichita, Kansas. KFC (Kentucky Fried Chicken) is a fast food restaurant chain headquartered in Louisville, Kentucky, United States, which specializes in fried chicken. The brand has a large presence in Asia with over 640 KFC franchisee restaurants in Malaysia, Singapore, Cambodia, India and Bangladesh.
ছাপছে দ্য ইনডিপনেডেন্ট ; মূল নিউজের লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/4663
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে
রাষ্ট্র যে গরিব মানুষের ট্যাকা খরচা কইরা অস্ত্র কিনে সেটা ক্যান কিনে । রাজ্জাকদের নাক দিয়া রক্ত পড়ে । রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে ।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি :(
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
বাবা দিবসে নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের জন্য করুণা
আজ বাবা দিবসে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের আমরা করুণা করি। ৫ দিনেও অপহৃত নায়েক রাজ্জাককে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি।
মায়নামারে সন্ত্রাসী বর্ডার গার্ড পুলিশ--- বিজিপি তাকে অপহরণের পর মারধর করেছে। সে ছবি তারা প্রকাশও করেছে। তাকে ফেরৎ পেতে আমাদের পতাকা বৈঠকের ডাকে সাড়া দেয়নি মায়নমার। দুইটা রোজা চলে গেছে--- রাজ্জাক কি রোজা রাখতে পেরেছেন। তার সেহরী, ইফতারের ব্যবস্থা হয়েছে। নাকি তিনি ৫ দিন ধরেই রোজা রাখছেন--- তাকে পানি খাবার দিচ্ছে কিনা সন্দেহ। যেভাবে তাকে হেনস্তা করছে মায়ানমার--- স্বভাবতই প্রশ্নটা মনে আসছে।
আমাদের সীমান্ত প্রহরীদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য ছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মহান ভূমিকা রেখেছে সেটি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস– ইপিআর'র ভূমিকা হয়তো আমরা মনে রাখিনি সেভাবে; যার জন্য তাদের দুর্দশা আমাদের ছূঁয়ে যায় না সব সময়। বন্ধু-রূপী শত্রু ইনডিয়া আমাদের ভূমি দখল নিতে চাইলে বরইবাড়িতে যে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল--- তাতে অত্যন্ত সফল আমাদের বিডিআর।
২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর --- পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ আমাদের সীমান্তরক্ষীদের বিজিবিতে রূপান্তর ঘটার পর কেবল তারা মার খাচ্ছে। এ মায়নমারই গত বছর আমাদের একাধিক বিজিব সদস্যকে খুন করেছিল। আমরা কিছুই করতে পারিনি।
আমাদের এ অক্ষমতা মানসিক নাকি রাজনৈতিক। জানতে খুব ইচ্ছে করে।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ
মায়ানমারের খোয়াডে রাজ্জাক নয় পুরো বাংলাদেশ । নায়েক রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র ।
মায়ানমার রাজ্জাককে হাত কডা লাগিয়ে পরিত্যক্ত সন্ত্রাসী আস্তানার মত একটা ঘরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে।
আমরা ক্রিকেট আফিমে অবশ । আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ ।
রাজনীতি সমরনীতি পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী কিছু অবশিষ্ট আছে ! নাকি সবই খোয়াড়ে ।
এত এত মানুষ অকাতরে তাদের জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেলো আমাদের । আমরা অথর্বরা তাদের জীবনের প্রতিদান এ ভাবে দিচ্ছি !
লজ্জিত। আমাদের ক্ষমা করো।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব!
তোমরা ইনডিয়াকে হারিয়ে তালি বাজাও। ধবল ধোলাইয়ের ভাবনায় উত্তেজিত ।
আর নায়েক রাজ্জাক পাঁচটা দিন মায়ানমারের খোয়াডে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কইছে ভুল বোঝাবুঝি। কিন্তু এর অবসান এখনো হয়নি।
বর্ডার গার্ডের অনুনয়ে মন গলছে না মায়ানমারের । পাত্তাই পাচ্ছে না বিজিবি এমন খবরও এখন প্রকাশিত । পতাকা বৈঠকের জন্য সাড়া নাই। কী অমানবিক। তারপরও আমরা নিশ্চুপ -নিদ্রাতুর ।
এ ক্যামন বাংলাদেশ আমার ।
মায়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয় ১৬ কোটি মধ্যম আয়ের দ্যাশ হবার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশী।
তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব ।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
অনুমোদন নেই; তারপরেও Transmission Network লিজ দিচ্ছে গ্রামীণফোন
লাইসেন্সিং গাইড লাইন লঙ্গন করে গ্রামীণফোন Transmission Network লিজ দিচ্ছে। ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়নের আগেই তাদের অনুকূলে ইস্যু করা লিজ পারমিট এর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় BTRC।
২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।
হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন, আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।
Transmission Network বলতে বিটিআরসি ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।
বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'
' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি। তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।
ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।
মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।
'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।
সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।
গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের বিনিয়োগে গড়ে ওঠা অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে। যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।
২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর মোবাইলফোন অপারেটরদের ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিটিআরসি টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service নিতে হবে।
এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে অপারেটরটি হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''
মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।
মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062
২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।
হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন, আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।
Transmission Network বলতে বিটিআরসি ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।
বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'
' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি। তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।
ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।
মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।
'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।
সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।
গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের বিনিয়োগে গড়ে ওঠা অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে। যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।
২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর মোবাইলফোন অপারেটরদের ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিটিআরসি টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service নিতে হবে।
এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে অপারেটরটি হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''
মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।
মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
বিজিবি মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!
বর্ডার গার্ড সদস্য বিপ্লব গুলি খাইছে। নায়েক আবদুর রাজ্জাকরে ধইরা লইয়া গেছে। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের যেখানে হয়রানি করছে সেখানে সীমান্তে বসত করা আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার কী হাল। নাকি সেটাও ভুল বোঝাবুলি ভিত্রেই আছে। এর আগে মায়নমার আমাদের বিডিআর জওয়ান মাইরা ফালাইছিলো। সেই সময়ও আমরা বুল বুঝাবুঝির ভিত্রে আটকে ছিলাম। হুমমম। বিজিবি এতটা দূর্বল ক্যামনে অইলো বুঝলাম না। তারা মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!
অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '
অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
কিস্তি :: ৮৮:: ভার্জিন ড্রিংকস,পুরনো ঢাকা এবং তেহারি সমাচার
ঘোড়ার গাড়িতে করে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম। এখনো যাই। তবে কুবই কম। আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ২০ টাকা। তাতে কী। এই একটা ভ্রমণ আমার কাছে উপভোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার প্রথম রোজগার ছির বাংলা বাজার কেন্দ্রিক।
নোট বই , গাইড বই লিখতাম। ভালোই ইনকাম ছিল। ঘটনাটা এ রকম- আমি ঘুমিয়ে আছি। পাঞ্জেরীর প্রকাশণীর নেসার ভাই আনিস ভাইয়ের সাথে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত সব ক্লাশের বইয়ের নোট তৈরির আলাপ করছিলেন। তার কথার উচ্চ স্বরে আমি মশারী ফাঁক করে দেখলাম।
আনিস ভাই পরের দিন আমাকে কিছু কাজ দিলেন। একটা বাংলা বইয়ের পুরো নোট ঘন্টা দেড়েকে বানিয়ে দিলাম। আমার লেখা তার ও নেসার ভাইয়ের পছন্দ হলো। তারপর আমি লিখতে শুরু করলাম। তবে প্রকাশনার কাজে জড়িয়ে যে সব বিষয় বেশি সঙ্কটে পড়তাম তা হলো প্যামেন্ট। এখনো স্কলার্স পাবলিকেশন্সের কাছে আমার হাজার পঞ্চাশেক টাকা বাকি পড়ে আছে।
সেই ২০০১ সাল। আর এখন ২০১৪। টাকা দেবো, দিচ্ছি করে ঘুরিয়েছেন, পরে আর যাইনি।
তবে লেখালেখির বিষয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সৎ আবদুৃল্লাহ অ্যান্ড সন্স। আমি তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্নাতক শ্রেণীর বই এডিট করে দিয়েছিলাম। এক হাতে কপি নিয়েছে, আরেক হাতে টাকা দিয়েছে।
টাকা নিযে গড়ি মসির কারণে পরে আর লেখা হয়নি। সে সময় যাত্রাবাড়ি ও পরে বকশিবাজার থেকে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম ঘেড়ার গাড়ি করে। বাস চলতো- মুড়ির টিন। এক টাকায় যাওয়া যেতো গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। এতটা কঠিন যানজপট ছিল সেই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, সে সময়টা বাসে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা, কখনো আরো বেশি সময় লাগতো। এখন কেমন অবস্থা জানি না। কালন আমি এখন যাই শুক্রবারে!
পরে অবশ্য বকশিবাজার থেকে আরমানি টোলা হয়ে শটকাটে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতাম। এভাবে অনেক দিন গেছি। সেখানে যাবার সুযোগে পুরনো ঢাকার সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক।
শাঁখারি বাজারে গেলাম ২০০০ সালরে দিকের এক বিকালে। আমাদের এলাকার এক বন্ধু পিংকুর সাথে। ওর বোন থাকতো সেখানে। ভাগ্নি নাচ শিখছে, মামাদের নাচ দেখাবে, তাই যাওয়া। একটা সরু গলি ধরে আমরা ভিতরে ঢুকছি, আর মনে হচ্ছে আমি গুহার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, তাই সরাসরি ঢুকতে পারিনি, একটু পাথালি হয়ে ঢুকতে হলো। সেখানে আলো ছাড়া একটা মিনিটও কাটে না কারো।
অনেক্ষন ছিলম, মিষ্টি খেলাম। ভাগনির নাচ দেখলাম এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার কিঞ্চিত দেখে ফিরে এলাম। এভাবে পুরনো ঢাকা-
সে সময় আমি ওযারীর আল আমিন কোচিংয়ে ক্লাস নিতাম। গিযে দেখি সব মেয়ে। ওই কোচিংয়ে কোনো ছেলেকে পড়ানো হতো না। আমার ক্লাস নেয়ার কথা বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। সেটি ইন্টার থেকে ডিগ্রির মেয়েদের। কিন্তু অনেক টিচার আসতেন না। তাই আমাকে বদলি খাটতে হতো! নাইট টেনেও পড়িয়েছি।
কোচিং চালাতে 'সায়াদাত' ভাই। তিন বললেন- আমি যাওয়ার কারণে তার শিক্ষার্থী বেড়েছে। আমার বিশ্বাস হলো না। পরে আমি যখন ছেড়ে আসি, উনি খুব মন খারাপ করেছিলেন। সায়াদাত ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন বা তিনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। যাকে ভদ্র সমাজে ডিভোর্স বলে। উনার একটা সন্তান ছিল। মাঝে মাঝে তিনি ক্লাসের ফাঁকে তার কাছে ছুটে যেতেন।
কোচিংয়ের সুবাদে আমার দুজন নারীর সাথে ভালো সম্পর্ক তেরি হয়েছিল। তাদের একজন নীলা। আরেকজন ঝুনু। নীলা হালকা পাতলা। আর ঝুনু অনেক মোটা। তবে দুজনই ফর্শা- সুন্দরী। তারা আমার ক্লাশের ছাত্রী না হয়েও আমার লেকটচার শোনার জন্য আসতেন! (নিজেদের কেমন মফিজ মনে লইতাছে!)
নীলা মেয়েটা ইভটিজিংয়ের শিকার হতো, সেটি জানার পর একটা 'ব্যবস্থা' করেছিলাম। দক্ষিণ মুহসেন্দীতে ওদের বাসা। বার কয়েক দাওয়া করেছিল, কিন্তু ভভঘুরে কুদ্দুসের সময় কই! যাওয়া হয়নি।
ঋষিকেশ দাস লেনে ছিল ঝুনুদের বাসা। ওর মা বাবা বেশ কয়েকবার বলেছিল পুররো ঢাকার অতিথি আপ্যায়ন কেমন? তা দেখার সুযোগ নিতে। আমি পারিনি।
আল আমিন কোচিংয়ের চাকুরীটা ছাড়ার আগেই আমার প্রথম আলোর প্রদায়ক সংবাদদাতার কাজটা জুটেছিল। আমি সব সময় কাজের মধ্যে থাকি। নট কাম! কাজ না থাকলে ভালো লাগে না। প্রথম আলোর হয়ে কাজ করার সূচনার ফাঁকে রাজীব ভাই বললেন, আপাতত পেজ বেরুচ্ছে না। তাহলে আমার কী করণীয়!
প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো- প্রিয় মুখ নামে একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিন বের হবে। রাজীব ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে যোগ দিলাম। অনেক দিন সেখানে কাজ করেছি।
আমার কিছু অদ্ভূত ঘটনা আছে। তার দুটো প্রিয় মুখে থাকার সময়- আমি ভাবলাম দিনের ১০ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পানি খাবো না। দেখি কাজটা করা যায় কিনা। তাই হলো। সে সময় ইয়ুথ গ্রপ একটা পানীয় বাজারে আনে- নাম দেয় ভার্জিন। সম্ভবত আমি সেই ব্যাক্তি যে সবচেয়ে বেশি ভার্জিন ড্রিংকস খেয়েছি।
মাস চারেক ভার্জিন ড্রিংকস খাওয়ার পর কমিয়ে আনতে বাধ্য হলাম। দিনে মাত্র দুই লিটার! কারণ আমার পানীয়ের খরচ দিতো প্রিয়মুখ কর্তৃপক্ষ। আর খাবার আসতো এলিফ্যান্ট রোড়ের টেস্টি খাবার ঘর থেকে। সেখানে তারা আমার নামটা বদলে দিয়েছিল। নতুন করে রেখেছিল- ' খাইন্না ভাই'।
আরেকটা ঘটনা- আমি সে সময় আজিমপুরের নিউ পল্টনে একটা মেসে উঠলাম। সেই মেসে আমার রুমমেট হিসাবে নিলাম কায়সার ভাইকে। দেয়ালে পোস্টার লিকে তাকে পাওয়া! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সের একটা সাবজেক্ট থেকে পাস করে চাকুরীর খুঁজছেন। দুজন মিলে থাকি, ভালোই কাটছে। কিন্তু কায়সার ভাই বাইরে থাকেন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেন না। আমারো একই হাল।তাই বুয়া মুক্ত মেস!
যেহেতু বাইরেই খেতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একমাস টানা চলবে তেহারি এবং বিরিয়ানী । নীলক্ষেতের তেহারির সুনাম আছে। চেষ্টা করলাম এবং সফল হলাম। ঠিক একমাসের শেষ দিন বাড়ি গেলাম। বিকাল ৫ টার দিকে খেতে বসলাম- এক মাস পরে ভাত! তাও আবার মায়ের হাতে! সে কী সুস্বাদু। চার প্লেট ভাত খাওয়ার পর মনে হলো- পেটে আর জায়গা হবে না। তৃপ্তিতে ডুবে আছি।
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
মোডি কাকুর অভিমানী মুণ্ড ও বঙ্গীয় রাজনীতি :(
frown emoticon
মোডির প্রশ্নে কে চুপসে গ্যাছে; কে চমকে গ্যাছে ; কে থমকে গ্যাছে ; তার সাক্ষাতে কে গলে গ্যাছে; কে ভিজে গ্যাছে ---কার জল খসেছে ; কার খসেনি।
ইহা এখন মিডিয়ায় আলোচ্য বিষয় । উপাদান রাজনীতি। প্রত্যাশা ক্ষমতার সুরক্ষা কিম্বা ক্ষমতাপ্রাপ্তি।
কিন্তু সাগরে ভাসা মানুষ, মায়ানমারে বিনা অনুমতিতে ইন্ডিয়ার হামলা--- সামনে বিচ্ছন্নতাবাদী দমনে যে কোনো দেশের অভ্যন্তরে হামলার হুমকি----
তিস্তার জল , ছোট ফেনী নদীর পানি কিম্বা বিএসএফ ষণ্ডাদের প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী খুন ---এ সবের চে এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ ।
কারণ আমজনতার ভয়েস কেবল শোর তোলে। হিট গণনা হয়। কত মানুষ নেমেছে দ্যাখো!
চুড়ান্ত বিচারে ইনডিয়া -আম্রিকা ক্ষমতার দাবায় গুটি ঘোরায়। আর তাই ---
মোডি কাকুর অভিমানী ফুলস্লিভ মুণ্ড চোষণ--তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত ---রাজনীতিক মিডিয়া--- সবাই । frown emoticon
আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)