নজরুলকে নিয়ে বিশ্বজিৎ ও গোলামের কৌশলী বিকার

যে কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLkytC42.dpuf
 কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLkytC42.dpuf
যে কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLkytC42.dpuf
যে কুতর্ক বিশ্বজিৎ খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।
গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজিৎ সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজিৎ বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে উৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
বিশ্বজিৎ ও গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা ও তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!
নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে এ নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।
এবার বিশ্ব যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম এ কথাটা সত্য। কিন্তু এ সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে উৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল এ সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের এ সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। এ রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/05/28/71503.html#sthash.YLky


যে কুতর্ক বিশ্বজি খুবই কৌশলে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং সুশীল পাড়ার গবেষক হিসাবে পরিচিত গোলাম মুরশিদ গত বছর বাংলা একাডেমিতে নজরুলকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, তার সাথে এর এক যোগসূত্র আছে।

গোলামের বিচার হয়নি বলে বিশ্বজি সাহসটা করলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশে নজরুল জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন; সে দেশে এমন নোংরামি সরকার মেনে নিচ্ছে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসা হয়ে থাকছে।
 
আমরা যে কোনো ব্যাক্তি সম্পর্কে জানবো, জানার অফুরন্ত আগ্রহ আমাদের আছে। কিন্তু বিশ কোনো এজেন্ডা এখানে হাজির দেখে আমরা ব্যথিত। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক, বিকৃত রুচির এবং নোংরা মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।

আমাদের বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত আরেকজন কবি সম্পর্কে কমবেশি বিশ্বজি বা গোলামদের জানা। কিন্তু সে সম্পর্কে তারা লিখেননি বলে আমরা কৃতজ্ঞ্। কারণ কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিজীবন নিয়ে ৎসাহ দেখানোটা কোনো কালেই আমার কাছে শোভন মনে হয়নি।
 
বিশ্বজি গোলামরা নজরুলকে ছোট করার যে চেষ্টা করছেন এটা বৃথা। সাহিত্য তার সৃজনশীল, নান্দনিক, সামাজিক প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনা করে গৃহিত বা বর্জিত হয় বলে জেনে আসছি। রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য সে বিচারে টিকে গেছে।
 
নিজেদের নাম ইতিহাসে রাখার অনেক উপায় থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা তাদের সৃনজশীল কর্মের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে সুক্ষ কৌশল মতলবাজ মিডিয়া নিয়েছে, সেজন্য আমরা লজ্জিত, স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ।
 
এককালে মোল্লারা নজরুলকে বর্জন করেছিল। বলেছিল কাফির। এখন কথিত জ্ঞানীরা, যাদের পাপের চৌহদ্দির মাপতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা লাগবে। সে সব লোক নজরুলের মত লোককে নিয়ে কথা বলে!

নারগিসকে নিয়ে আলাপ হতেই পারে। সেটি নিয়ে আপত্তি করার কিছু নাই। কিন্তু সাধারণের বাইরের প্রতিভাতের জন্ম বা মৃত্যু দিবস ঘিরে নিয়ে আলোচনাটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
 
গত বছর বাংলা একাডেমিতে গোলাম নারগিস এবং প্রমীলাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে। এর কিছু অংশ প্রেস রিলিজ করে একাডেমি থেকে ছাড়াও হয়। কিন্তু সম্বাদিকরা নিজ দায়িত্বে ওই অংশটুকু ছাটাই করেন।

এবার বিশ যে কথাটা বলার চেষ্টা করেছেন- নজরুল কথা দিযে কথা না রেখে আবার দরদীয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি।
ধরে নিলাম কথাটা সত্য। কিন্তু সত্যটা তার জন্মদিন ঘিরে ৎসব আয়োজনে কতটা প্রকাশ যোগ্য।
 
আমরা কী কখনো রবীন্দ্র প্রেমিকা আন্নাকে নিয়ে কোনো লেখা দেখেছি। কাজী আনোয়ার হোসেন , যিনি মাসুদ রানার জনক। তার সম্পাদিত ঐতিহাসিক প্রেমপত্র থেকে যেটি জানা সেটি হলো, আন্নার প্রেম কখনোই ভুলতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পিতার বন্ধুর ঘর ত্যাগের পর রবীন্দ্রনাথ কী তার খবর নিয়েছেন? তবে কাজী আনোয়ারের বইয়ের সূত্র মতে, রবীন্রদ্রনাথ বলেছিলেন , তাকে নিয়ে কোনো জাদুঘর হলে সেখানে যেনো আন্নার চিঠিটা থাকে। কিন্তু তার সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কেমন ছিল সব আলোচনা কতটা রুচিকর।
 
আমার মনে হয় রবীন্দ্র নজরুল বা জীবনানন্দ; শহীদুল্লাহ কিম্বা শামসুর রাহমানদের জীবনের সব দিক নিয়ে আলোচনাটা পাবলিকলি হওয়ার বিষয় নয়্ এটা একাডেমিক। এটা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বজনীন হবে ততক্ষণ এটা নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে লেখা বা প্রচার সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমার কাছে কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা আপত্তিকর এবং নোংরামি বলে বিবেচিত। এটা অন্যের কাছে মনে নাও হতে পারে। আমাদের কিছু আশ্রয় থাকা দরকার। যেমন সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল। রাজনীতিতে ভাসানী-বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় রাজ্জাক-ববিতা। রকম আরো। তার মানে এটা নয় যে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা। তবে তাদের ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ের চেয়ে তাদের কর্মটাই বড়। সেটিই আলোচনার মূল জায়গা।

কোন মন্তব্য নেই: