এ মুহুর্তে পর্যটকদের থানছি ভ্রমণ বাতিল করাটাই যুক্তিসঙ্গত

থানছি -বড় মোদক পর্যটন আকর্ষণ। এ মুহুর্তে পর্যটকরা থানছি, তিন্দু, রেমাক্রি, বড় মোদক, বড় পাথর এবং নাফাখুম ভ্রমণ বাতিল করাটাই যুক্তিসঙ্গত।


আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, থানছি সীমান্তে বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষীদের সাথে মায়ানমারের বৌদ্ধ বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী  আরাকান আর্মির  সঙ্ঘাতপূর্ণ  অবস্থান বিরাজ করছে।

আরাকান আর্মি ----বৌদ্ধ বিদ্রোহী এই সংগঠনটি চীনের উত্তর-পূর্ব ও মিয়ানমারের সর্ব উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যের স্বাধীনতার জন্য সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে। এদের মূল অবস্থান কাচিন রাজ্যের আরাকানে।

২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১২ সালে এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করে আরাকানে তাদের ৪০০-৫০০ সদস্য রয়েছে। তাদের স্লোগান হলো আরাকানি মানুষের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ।


চ্যানেল আইয়ের খবরে বলা হচ্ছে--- আজ বুধবার সকালে বান্দরবানের থানচির বড়মদক এলাকায় বিজিবির টহল দলের উপর আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। সেসময় বিজিবির নায়েক জাকির আহত হন।

বিজিবির ১০ সদস্যের এবং সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের আরেকটি দল টহল দেওয়ার সময় পরস্পরকে পেরিয়ে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।

এর আগে মঙ্গলবার বিজিবির একটি দল সন্ত্রাসী গ্রুপের ছয়টি ঘোড়া আটক করে। আরেকটি দল আটক করে আরো চারটি ঘোড়া।

‘এর সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে,’ বলে বিজিবি মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ ধারণা করছেন।

বান্দরবানের সীমান্ত এলাকা এতটাই দুর্গম যে, ৪৩৯ কিলোমিটার এলাকায় কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ বাস করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা নেই। গতবছর পর্যন্ত এরকম অরক্ষিত সীমান্ত ছিলো ৫৩৯ কিলোমিটার। তবে এক বছরে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবি তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।

পাহাড়ের জিইয়ে রাখা সমস্যা ও গণমাধ্যম

 পাহাড়ে সঙ্কট নিয়ে  সবচেয়ে সরব যে সব গণমাধ্যম --তারা দু'ভাগে বিভক্ত। একভাগ  পাহাড়িদের 'আদিবাসী' হিসাবে চেনে। তারা মনে করে, সেখানকার বাঙালিদের 'কুত্তাপেটা' করে বের করে দেয়া উচিৎ।

আরেকভাগ মনে করে, পাহাড়ে বাঙালিরা থাকবে। পারলে কিছু করিস।

এ দু'ভাগের মাঝামাঝি কোনো ভাগ থাকতে পারে।  তবে তারা খুবই সীমিত। সেটা হয়ত আমার অজ্ঞতার কারণে জানা হয়নি।

তবে কিছু ব্যক্তি সম্বাদিক আছেন যারা মনে করেন, পাহাড়ের জিইয়ে রাখা সমস্যার একটা আশু সমাধান জরুরী। তাদের মধ্যে আমি কয়েকজনকে চিনি। এর মধ্যে একজনকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মনে রাখি- তিনি মাসুমুর রহমান খলিলী। তার বক্তব্যটা খুব পরিষ্কার।

তিনি আমাকে বহুবার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম রাষ্ট্রেরই অংশ। তাই এখানে  কাউকে প্রশ্রয় দেয়া বা বিতাড়ন নয়। যে যার অধিকার বুঝে নিয়ে বসবাস করবেন। সন্ত্রাসীরা তাদের জিম্মি করে কোনো খারাপ কাজ করবে না। এটাই চাওয়া ।

তার কথায়, তুমি তাদের বাদ দিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। সবার সম্মলিত অংশগ্রহণই পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।

আরেকজনের সাথে আমার কিছুটা দ্বিমত থাকলেও তার বিশ্লেষণ মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। তিনি ফরহাদ মজহার। তার মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য।  কনফেডারেশন ফরমেট বহুকাল থাকতে পারে না।

মজহার ভাই  বলছেন, রাষ্ট্র কার সাথে চুক্তি করেছে?  এ চুক্তির কারণেই কনফেডারেশনের স্বীকৃতি মিলেছে।

এ সবই  তাদের নিজস্ব মত। তবে আমি মনে করি পাহাড়ে ভূমির একটা সমাধান করা গেলে, বেকারত্ব গোছানো গেলে এবং সন্ত্রাসীদের বিদেশি ফান্ডিং বন্ধ করা গেলে সেখানে একটা শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

এত বড় ভূমিকা দিলাম একটা কারণে। সেটি হলো সমতলের কিছু সম্বাদিক, গবেষক, এনজিও দোকানদার---সুবিধাবঞ্চিত পলিটিক্যাল পার্টির খুচরো লিডাররা  নিজেদের খুবই মানবিক এবং নীতিনির্ধারক হিসাবে তুলে রাষ্ট্রের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়ে থাকেন। আমার ব্যাক্তিগ বুঝ বিবেচনা এবং চাওয়া পাওয়া সব সময় গণমানুষের পালস অনুধাবন করতে পারবে, এটা বোঝা খুবই মুশকিল।  যদি মুশকিল না হতো, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে  সুখী জাতি হতে পারতাম।

বাংলাদেশের সবচেয়ে আমলযোগ্য পত্রিকা এবং যেটি আমি আমার  কষ্টার্জিত অর্থের  বিনিময়ে খরিদ করি--- সে খবরের কাগজ আজকে (১৭ আগস্ট ২০১৫) বলছে, তারা 'আদিবাসী' বলতে নিরীহ কাউকে বোঝাননি।  তারা এও বলছেন, তারা পাহাড়ের মানুষদের আদিবাসী বলছেন, সংবিধান যাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলে থাকে।

খবরের কাগজটির বক্তব্য  অনুযায়ী সংবিধান যা বলছে, তারা তা বলছেন না। তারা  বিপরীতটা বলেছেন। যেটা রাষ্ট্র স্বীকার করে না। এবং তাদের চাহিদা মাফিক শব্দটি  যে অযৌক্তিক তা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন, ২০১১ সালে। সংবাদ সম্মেলন ডেকেই তিনি বলেছিলেন, পাহাড়ি মানেই আদিবাসী নয়।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি আম্লীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সমালোচক এবং তাদের সমর্থকও নই। তবে কিছু জায়গা আছে যেখানে আমি আম্লীগ বিশেষ করে দলটির সভানেত্রী  শেখ হাসিনার প্রতি প্রচণ্ড রকমের অনুরক্ত। বিশেষ করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার প্রচেষ্টা মনে রাখতে হবে--- সে আমরা যে দলকে সমর্থন করি না কেন।

সাধারণত  গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় একটা নীতি থাকে।  সেটির প্রতিফলন হয়ে থাকে সম্পাদকীয় বিভাগে। এখন খবরের কাগজটির  আজকের ক্লারিফিকেশনকে সঠিক ধরলে-- তারা এর প্রকাশ রিপোর্টেও করছে।  রাষ্ট্রের নির্দেশনা এখানে উপেক্ষত।  সেটা তারা করতেই পারেন এবং তা দেখার জন্য রাষ্ট্রের লোকজন আছেন।

আমার ব্যাক্তিগত মত হলো-- আমরা বলে থাকি  তথ্য ভিত্তিক নির্মোহ ঘটনার বয়ানই সংবাদ। অন্তত আমার কাছে তাই। তাহলে  সেখানেকোনো গণমাধ্যমের স্ব-উদ্যোগে কোনো জাতি গোষ্ঠীর পরিচয় নির্ধারণ করা কতটা  সমর্থনযোগ্য এবং দায়িত্বশীলতার প্রমাণ সে বিষয়ে আমার জ্ঞান শূণ্য।

খবরের কাগজটি প্রথম দিনই  রিপোর্টে বড় গণ্ডোগোল পাকিয়েছে। বলেছে গুলিতে মারা যাওয়া 'আদিবাসী'রা  ইউপিডিএফ ও জেএসএস (এম এন লারমা) সদস্য। এ তথ্য তারা ভালো করেই জানেন, পাহাড়ে কখনোই  এ দু'টো ধারা এক সাথে মেশেনা।  মেশেনা মানে এক সাথে কোনো আস্তানা গড়ে না। দাবি অভিন্ন হতে পারে।  কিন্তু এক সাথে ট্রেনিং বা সশস্ত্র কর্মকাণ্ড্ এখনো শুরু করেনি। এটা আমি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে বলছি।

খবরের কাগজটির  রিপোর্টারদের যে দু'জন--- তারা পাহাড়ি। তাদের সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার কথা। কারণ এক দশকেরো বেশি সময় ধরে তারা সেখানে সম্বাদিকতা করছেন। কিন্তু খবরটিতে  নিরাপত্তা রক্ষীর বরাতে  ইউপিডিএফ ও জেএসএস  সদস্য মারা যাবার  তথ্য উল্লেখ করার পর--- বড়াদমের বাসিন্দা বিনয়জ্যোতি চাকমার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই খবরেই বলা হচ্ছে ,  তারা সন্ত্রাসী। ওরা এসে  অস্ত্র দেখিয়ে বলেছিল, তাদের থাকতে দিতে হবে।

.... কিন্তু আজকের কাগজটির ব্যাখ্যা আমার কাছে খুবই শিশুসুলভ মনে হয়েছে। তাই এ লেখাটার অবতারণা করলাম।  এ সুযোগে বলে রাখি পাহাড়ে যারা সম্বাদিকতা করেন তারা খুবই দায়িত্বশীল। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি।

হজ ফ্লাইট শুরু

হজ ফ্লাইট শুরু হলো আজকে। আল্লাহর অতিথিরা বিমানে চড়ছেন। মনোরম দৃশ্যটা দেখে চোখে পানি চলে আসলো। আবার কবে যাবো। মনটা মানছে না। আবার যেতে চাই। বাচ্চাদের নিয়ে উমরায় যাবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সরকার বাহাদুর সৌদি সরকারের সাথে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তাই উমরার দরজা খোলেনি সে দেশের সরকার।  আমাদেরো যাওয়া সম্ভব হয়নি।

পৃথিবীর বহু জায়গায় গেছি। বার বার গেছি।  কিন্তু হজে যাওয়ার মত এত প্রশান্তি জীবনে দ্বিতীয়বার  স্মৃতিতে জমা হয়নি। আল্লাহ যেনো আমাদের হজের জন্য আরো বহুবার কবুল করেন, আমীন।

যারা হজ যাত্রা করছেন সে সেব সৌভাগ্যবানদের জন্য শুভ কামনা। সঠিকভাবে তারা যেন হজ পালন শেষে ফিরে আসতে পারেন। আল্লাহ নিশ্চিতভাবে  হজ যাত্রীদের হজের কাজকে সহজ করে দিয়ে থাকেন।  আশা করি বাংলাদেশের হজ যাত্রীরা আল্লাহর সে নেয়ামত উপলব্ধি করতে পারবেন। 

পাহাড়ে আর একটি গুলিও নয় !

পাহাড়ে গুলি হলে আমার বুক কাঁপে। ক্যান কাঁপে জানি না। কাঁপে। স্থানীয় রাজনীতি এতটাই প্রতিশোধ পরায়ন যে, কে কারে কখন মারবে, কে মরবে সেটি এক অনিশ্চিত।
এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, সেখানে দাতা সংস্থা থেকে সরকার, কথিত গবেষক থেকে সহমর্মি সবাই কোনো না কোনো পক্ষ নিয়ে থাকেন। আর সম্বাদিকরা তো আরো এক কাঠি সরস। কে কার কাঁচা ধরবে সে নিয়ে ব্যস্ত।
বাস্তবতা খুবই নির্মম। আজ শনিবার (১৫ আগস্ট ২০১৫)খবর এলো রাঙ্গামাটিতে একটি আস্তানায় পাহাড়ি ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের। নিহত হয়েছেন ৫ জন। গুলিবিদ্ধ ১।
এটা খুবই উদ্বেগের খবর।
দু'টি কারণে--- ১. শান্তি চুক্তির এতগুলো বছর পরেও সেখানে ফের বিচ্ছন্নতাবাদী আস্তান।
                ---২. খুন হওয়া মানুষগুলো জনসংহতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের।
সংস্কারপন্থী নেতাদের মধ্যে মিস্টার সুধা সিন্ধু খীসাকে চিনি। তিনি খুবই কট্টরপন্থী কিন্তু যৌক্তিক মানুষ।
মুল অংশের একক কাণ্ডারী সন্তু লারমা কৌশলী।
যেহেতু জনসংহতির মূল পতাকার মালিক সন্তু। তাই তার সহচররা খুব সুবিধা পেয়ে থাকে। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে জাতিসঙ্ঘ তাদের বেশ গুরুত্ব দেয়।
সুধা সিন্ধু সংস্কারপন্থী বলে পরিচিতি। সন্তুর অপকর্মের বিপক্ষে তাদের অবস্থা কঠোর।
আর ইউপিডিএফ সেখানকার এলিট পলিটিক্যাল পার্টি। সাধারণত তারা বৃহত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয়। নেতৃত্বও তারা অভিজাতদের মধ্য থেকে নির্বাচন করে থাকে।
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র যতটা না পার্ট তারচে বড় পার্ট দাতা সংস্থা গুলো। দাতা দেশ ও সংস্থার পোষ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আছেন, যাদের বেশ কিছু গবেষণা 'দোকান' আছে, যারা পাহাড়িদের মধ্যে বিরোধকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিদেশে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
এর সবই সরকার জানে। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ এখানকার মুধুকররা নানা রকমের প্রশ্রয় পেয়ে থাকেন ---বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে।
তারা ইচ্ছে মত, বকে যান নিরাপত্তা বাহিনীকে। বাঙালিদের গোষ্ঠী উদ্ধার সেখানে ফ্যাশন। ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর উন্নয়নের নামে তারা গবেষণা করেন--- যার ফল শূণ্য।
কান নিয়েছে- চিলে। কানে হাত না দিয়ে; পাহাড়ে বিরোধ টিকিয়ে রাখতে অনেকেরই অবস্থান খুবই ধোঁয়াশা। এ ধোঁয়ার মধ্যে পাহাড়ে এখন প্রতিপক্ষের হাতে খুন, বাঙালি ও পাহাড়ি সঙ্ঘাত এবং আস্তানা ঘেঁড়ে সেখানে পরিবেশ বিপন্ন করছে অল্প কিছু মানুষ। এদের সাথে পাহাড়ের গণ মানুষের সম্পর্ক নেই বল্লেই চলে ।
নিরাপত্তা রক্ষীরা পাহাড়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। এটা ভৌগলিক কারণে। রাষ্ট্র যন্ত্রও। কারণ রাষ্ট্রকে তার গতিতে চলতে বাধা দেয় কথিত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি নামের কিছু আগাছা। যারা আসল ঘটনাটা না জেনেই কাজ করছেন।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হলো--এত জানের ক্ষতি, সাধারণ পাহাড়িদের হয়রানির ভেতর সেখানে নানা রকমের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম মাথা ছাড়া দিচ্ছে। সেটি কেবল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলছে না; একই সাথে পাহাড়ি নিরীহ মানুষের জীবন-জীবিকা এবং সামনের আলোর দিনগুলোর সামনে অন্ধকারে পর্দা টেনে দিচ্ছে।
আমার মনে হয় পাহাড়ে আর একটি গুলিও নয়। আর একটি দাওনা যেন রক্ত ঝরানোর জন্য না ওঠে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই কাজ করবেন নিজের জন্য, পরিবারে জন্য রাষ্ট্রের জন্য।
বিচ্ছিন্নতবাদীদের ফান্ডিং করা সংস্থা ও দেশকে বুঝতে হবে--- ক'টা টাকা আর ক'জন নিরীহ নারীর শরীরের জল ঢেলে নিজের শরীর শীতল করে রাষ্ট্রের সাথে যারা বৈরিতার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে তারা ঠিক কাজটি করছে না।
আশা করি এটা কারো বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। রাষ্ট্রকে আরো দায়িত্বশীল হবার সময় এসেছে। সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কঠিনভাবেই মনিটর করারও সময় এখন।।

জোছনায় ডুবে থাকা বিল, ধেয়ে চলা রিছং, সাজেক ভ্যালি কিম্বা তিন্দুর একটা রাত

ভরা জোছনায় সাঙ্গু ঘোলা জল 
কিম্বা চেঙ্গির বহমান ঢেউয়ের মত
বয়ে যাচ্ছে রাত্রি-দিন 

অবসর, আনন্দ -উৎসব
কবে আসবে --অপেক্ষা।।

ডিঙ্গা সাজে, চাঁন্দের গাডি, পাহাড়ের চুড়া।

অপেক্ষায় থাকে সিস্টেম--ব্যাম্বো চিকেন
লবস্টার, ফ্লাইং ফিস, চিনি চম্পা কলা।।

তোমাদের আনন্দঘন হাসির সাথে মিশে যায়
ঝর্ণার টানা সুর ।। নীরবতা ভেঙ্গে পাহাডি গান ধরে কেউ ।।

সবুজের সাথে মেঘের আডি 
মন ভালো হয়ে যাওয়া রাত্রি সকাল ।।

জোছনায় ডুবে থাকা বিল, ধেয়ে চলা রিছং, সাজেক ভ্যালি কিম্বা তিন্দুর একটা রাত ।।

অমানিশায় জ্বলে ওঠা সেন্টমারটিন্সের উচ্ছ্বল জলোৎসব
কচিখালির জঙ্গলে ফণা তোলে শঙ্খচুড।।

তবুও জীবন সুন্দর ।। ভালোবাসি
প্রিয় পুত্রদ্বয়।।


নোট--

সাঙ্গু : বান্দরবানের নদী
চেঙ্গি : খাগড়াছড়ির নদী
ডিঙ্গা : নৌকা
চান্দের গাড়ি : জিপ
সিস্টেম : খাগড়াছড়ির রেস্তোরাঁ
ব্যাম্বো চিকেন: বাঁশের ভেতর রান্না করা মুরগি
লব স্টার: সামুদ্রিক বড় চিংড়ি। এক কেজি পর্যন্ত খাওয়ার সুযোগ হৈছে।
ফ্লাইং ফিস: সমুদ্রে পাওয়া বাটা মাছের মত এক ধরণের মাছ।
রিছং: খাগড়াছড়ির ঝর্ণা।
সাজেক: দেশের সর্বোচ্চ পর্বত ভ্যালি
তিন্দু: থানছির একটি গ্রাম। 
কচিখালি: সুন্দরবনের একটি ফরেস্ট স্টেশন
শঙ্খচূড়: দেশের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। সুন্দরবনেই তার বসত। 

মাই চয়েস--- হিজাবি:: দীপিকার মোহনীয় শরীর বয়ান

মাই চয়েস নিয়ে হৈ চৈ এর পর এখন হিজাব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। শুনছি। শুনতে ভালো লাগে। হিজাব বলে আর খোলামেলা পোশাক বলেন --- দু বিষয়েই আলোচনায় রস আছে। আদি রস।  সে রস ওপেনে বা গােপনে 'সবাই' উপভোগ করছেন।   দীপিকার ফুলে ওঠা বুকের  দিকে তাকিয়ে অনেকে বলেছেন,' ইয়েস, মাই চয়েস।' এটাই ঠিক। ফেসবুকের টাইম লাইন ঘুরতে ঘুরতে বাথরুমে-কল্পনায়ও অনেকের কাছে পৌছে গেছিল 'মাই চয়েস'।

দীপিকার ঘোরলাগা কণ্ঠে তার শরীর, মন--- মাই চয়েস। কিম্বা সেক্স আফটার ম্যারেজ, সেক্স বিফোর ম্যারেজ-- মাই চয়েস শুনতে ভালো লাগে। হই হই করে পড়ি মরি করে ছুটি। কারণ মনের ভেতর সুপ্ত বাসনার সাথে এগুলো মিলে যায়। বিশ্ব জুড়ে পণ্য বাজারে এখন পর্যন্ত কামরসই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত!

আগে রাস্তার পাশে ক্যানভাসাররা আদি রসের বয়ানে কাস্টমার ভাগাতেন। এখন দীপিকারা। বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে ১০১ টি নীল পদ্ম জোগাড় করার সুনীলিয় চেষ্টা এখন মাই চয়েসের উত্তর আধুনিক খােলসের তলে লুটোপুটি খাচ্ছে। দারুণ। তো আপনি আপনার মাই চয়েস লইয়া থাকেন না। মানা করছে ক্যাডা। কিন্তু হিজাব আর বোরকা আপনারে এত চুলকায় ক্যান। হিজাবের ভিত্রে কি এটা নিয়ে আপনার এত কৌতুহল ক্যান রে ভাই।

কিন্তু 'মাই চয়েস 'মানে দীপিকার উত্তপ্ত নিশ্বাস ভাঙ্গ আর বুকের ওঠা নামা নয়।  সেই সাথে আরো অনেক কিছু। আসলে আমিই সিদ্ধান্ত নিবো আমি কি করতে চাই, কীভাবে চলতে চাই।  এটাই 'মাই চয়েসে'র মেইন ম্যাসেজ বলে আমি আন্দাজ করি।

বোরকা পরা মেয়েদের নিয়ে আবার এলার্জি নেই। আবার এটা নিয়ে অতি উৎসাহ নেই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি আপনি যদি আপনার কিছু দেখাতে চান, দেখান, যার রুচি হয় তিনি দেখবেন। যার রুচি হয় না তিনি দেখবেন না।  জগতের সব লোককে আপনি রুচিবান মনেও বা করবেন কেন। যদি তাই হতো তাহলে রাজধাণীর  পথে ঘাটে থাকা পাগলির পেটে বাচ্চা আসে ক্যামনে।

এই ধরণের এই তথ্য দিয়ে আপনাদের আদি রসের জগতে নিয়ে গেলাম। আপনারা ভাবতে থাকেন।  আমাদের রসময় দা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল। দাদার নামে লিখেন, যাদের রুচিতে বাঁধেনা তারা্ এটা বছরের পর বছর পড়ে যাচ্ছেন।  যাদের বাধে তারা পড়েন না। আবার অনেকে 'ধারণা' নেবার জন্য  পড়েন। সে যাই হোক যে কোনো ফরমেটেই এটা চলছে।

হিজাব পরা মেয়েদের তাচ্ছিল্য করে অনেকে হিজাবি বলেন। বোরকা পরা মেয়েদের  অনেকে আবার বোরকা ওয়ালী, বোরকার নিচে শয়তানি  কিম্বা কেউ আরেকটু আগ বাড়িয়ে  বলে থাকেন যৌনকর্মীর পোশাক।  হিজাব কিম্বা বোরকা পরাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি নিজের পছন্দে তা  পরে থাকেন বলে জানি।  তাহলে তার পছণ্দকে  তাচ্ছিল্য করার মত 'প্রগতি' কোত্থেকে আসলো, জানবার মুনচায়।

ইদাংনি কিছু ডিজিটাল মও্লানার আবির্ভাব হয়েছে। কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়েও এরা  হিজাব বা বোরকা পরা  নারীদের আক্রমণ করে থাকে।  এবং সেটি দেখে আমরা দাঁত কেলিয়ে হাসি। এদের আবার অনেকের প্রেমিকা বা গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর ঝুলন্ত বুকের দিকে তাকালে  নিশ্চিতভাবে  হুমায়ূন আজাদ স্যারের ' মিসেস হামিদুল্লাহ' গল্পের কথা মনে হবে।  বমি করে নিশ্চিতভাবে হুমায়ূন আজাদ স্যারের নায়কের মত বেসিন ভরিয়ে ফেলবেন।

এরা তারাই যারা আবার 'মাই চয়েস' শেয়ার করে নিজেকে মহা 'প্রগতিশীল' হিসাবে  প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন।  ভাবি--- আমার পছন্দ বা মতের বাইরে গেলেই  খারাপ।  জঙ্গি। এ সব ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।

অনেকেই বলে থাকেন হিজাবিরা শরীর দেখানোর কসরত করে থাকেন।  তাকে নিন্দা জানান। হিজাব কি তাকে বলেছে, তুমি আমাকে জড়াও আর বক্ষ উন্মুক্ত করে ছুটে চলো। কিম্বা ধর্ম কি আপনাকে বলেছে--- বোরকা পরে  নাচো।  এটাও তার নিজম্ব চয়েস।  যার যেটা পছন্দ সেটা তাকে করতে দিন। এক সময় সে তার আসল ভুলটা বুঝতে পারবেন।

যে সব বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছেন--- তাদের কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সন্তানদের চোখের বাইরে যেতে দিতে চান না। কারণ নিজের কৃতকর্ম নিয়ে তার বা তাদের অস্বস্তি। সেখানে সন্তান একই পথ যাক তারা চান না।

 যে কথা বলতে এ সব  টানছি সেটি হলো হিজাব, হিজাবি  কিম্বা বোরকা , বোরকাওয়ালী। এ শব্দ গুলো 'মাই চয়েসে'র নারীদের তাচ্ছিল্য করে। তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। একজন মানুষ কি খাবে, কি পরবে, কি করবে তার রুচি কেমন হবে সেটি ঠিক করে দেবার দায়িত্ব আমার  বা আপনার নয়। সবার সব কিছু আপনার ভালো লাগতে হবে, ভালো লাগা উচিৎও নয়।

তবে আপনি এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি চাহিদাগুলো সমাজে ঢুকিয়ে দিতে পারেন।  ধীরে ধীরে ।

যেমন ধরেন, আমরা এক সময় রাসায়নিক সার , বিষ এ সব ব্যবহার না করে চাষাবাদ করতাম। এখন সেটি বদলে আমরা এর ব্যবহার করছি। এর শুরু হয় আরো দশক  তিনেক আগে। এখন আমরা হসপিটালগুলোতে ক্যান্সার  বিভাগ খুলেছি। ক্যান্সার-কিডনির জন্য আলাদা ইন্সটিটিউট খুলেছি। তারপরেও রােগ সারানো যাচ্ছে না।

তো সহজ কথা হলো ওই প্রবাদের মত--- যেমন কর্ম তেমন ফল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!ল। সেটা হিজাব পরা না পরা সবার জন্যই!

ম্যাকআপের নিচে ঢাকা থাকে কিছু অসুখের গল্প, সুখের তীব্র অত্যাচারের অভিনয়!

'প্রেম'ই সব 'অপ্রেম' বানায়
প্রেমিকের হাত ধরে 'বেশ্যালয়' থেকে
'রাজনীতি'---
রাজনীতি থেকে বেশ্যালয়!!

পুরনো প্রেম, নতুন করে ফিরে আসে
শরীরে গন্ধে--- চোখের চাহনিতে।
লোলুপ শীরের ঘাম ধেয়ে আসে,
দরদরে ঘাম---নোনতা জলে খিস্তি!

বৃষ্টি ভেঝা চোখের উপর আলতো করে ছুুঁয়ে থাকা কাজল

লেফটে যায়, লেফটে থাকে লিপস্টিক--- প্রেমই অপ্রেম বানায়!
অমানুষ বানায়, চরম অমানুষ।

ক্ষমতা, লুটেরা সমাজের বিত্তবাসনা, আর প্রতিদিনকার  অসংখ্য কষ্ট ঢাকতে পেয়ালায় লাল নীল খয়েরি জল গড়ায়---
উপচে পড়ে সমাজতন্ত্র,গণতন্ত্র আর ধর্ম তন্ত্র। সব ককটেল হয়ে ফুটে ওঠে মগজে

মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে সবই তো সেই!

ম্যাকআপের নিচে ঢাকা থাকে কিছু অসুখের গল্প, সুখের তীব্র অত্যাচারের অভিনয়!
আহা জীবন এত নীচে নেমে আসো ক্যানো, ভুলিয়ে দিয়ে যাও প্রেম বলে কিছু নেই।

ফাঁদ আর কষ্ট ধুয়ে নোনা বালির উপর পুড়তে থাকতা শরীরটা তামাটে থেকে কালচে হোক

 জীবনটা নয়।
প্রেম, সে তো অপ্রেমের আরেক নাম।

নেড়ি কুত্তা থেকে একশ হাত দূরে থাকুন

কিছু লোক আছে নেড়ি কুত্তার মত। কোনো কাম কাজ নাই। এখানে ওখানে গন্ধ শোঁকে। আর বিভেদ তৈরি করে।  জোড়া লাগাতে পারে কিছুই। এ সব নেড়ি কুত্তা থেকে একশ হাত দূরে থাকুন। আশপাশেই এমন নেড়ি কুত্তার দ্যাখা পাবেন। এ সব কুত্তা অবশ্য অলওয়েজ পোষ মানে।

আপনি চাইলে একপিস কলা, সিগ্রেটের শেষাংশ এবং এক কাপ চা দিয়ে তার গন্ধ শক্তি থামিয়ে দিতে পারেন। বড় করুণা জাগে মনে তাদের জন্য। আহা বেচারা।

এভাবে জীবনের স্বর্ণ সময় অন্যের গন্ধ না শুঁকে নিজেরটা শুঁকলে জীবনটা স্বার্থক না হোক চলনসই করতে পারতো। 

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দায়িত্ব বিএসএফ'র হাতে তুলে দিলেই হয়!

বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের  দায়িত্ব বিএসএফ এর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দিলেই তো হয়। অনানুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করে তারা খুব প্রশ্নের মুখে পড়ে। যেমন ধরেন আজকেও বিএসএফ লালমনিরহাটের আদিতমারীতে গুলি করে এক বাংলাদেশিকে মেরেছে।

নিহত আবু সায়েম জাম্বুর বয়স ৩৫। আজ  বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার লোহাকুঁচি সীমান্ত সংলগ্ন ১১৯/৭ নম্বর খুঁটির কাছে গুলির ঘটনা বলে আদিতমারী থানার এসআই মো. আতিক জানান। (সূত্র: বিডি নিউজ)।

 ৩৫ বয়সী জাম্বু  বেঁচে থাকলে আরো সন্তান ফয়দার 'আশঙ্কা' ছিল।  এত সন্তান ফয়দা করে মধ্যম আয়ের দ্যাশ হইবার পথে বাধা সৃষ্টি করতো জাম্বু! সে 'আশঙ্কা'  চিরতরে নির্মূল করে দিয়েছে বিএসএফ।

এ রকম বছরে তারা বহু ঘটনায় ঘটায় শুমার করে সেটা শত পার হয়ে যায়। কখনো তারো বেশি। তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরটার নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসূচী বাস্তবায়ন বিএসএফ থেকে আউট সোর্সিং করলে দেশ উপকৃত হবে।

উত্তেজিত আগাচৌ !!!

'অবমাননা'  শব্দটি এড়িয়ে চলি। তবে 'বিভ্রান্তি' তৈরিকে  কবুল করি। সাধারণত ধর্ম নিয়ে কুতর্ক অনেকের কাছে লোভনীয়।  আবার কিছু লোক কুতর্ক করে নিজেকে খবর করতে চান।  আগাচৌ তাদেরই একজন বলে আমার ধারণা ছিল। আজ বিডি নিউজে তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য প্রকাশের পর ধারণা সত্য হলো--- মাদরাসা শিক্ষাকে ব্রিটিশরা যে কানা বানিয়েছে এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সরকার গুলো সেটাকে অন্ধ বানিয়ে ফেলেছে--- তার একটা উজ্জ্বল উদাহরণ আগোচৌ।

ইহুদি জাতির প্রতি হেদায়াত অথবা ধ্বংশ কোনো একটার ফয়সালা চেয়ে হজের সময় হাজি সাহেবরা  আল্লাহর দরবারে সম্মিলিত মোনাজাত করতেন। সৌ্দি সরকার সেটি নিষিদ্ধ করেছে । বাংলাদেশ, ইনডিয়া ও পাকিস্তানে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে।  আগাচৌরা তাদেরই শাগরেদ ছিলেন। 

এতে তারা এক ধরণের হীনমন্যতায় ভুগে থাকবেন হয়ত। অথবা অল্প কিছু পড়ে অনেক কিছু জানার ভান করবেন এটা অস্বাভাবিক নয়।  মওদুদীর শিষ্য বলেন আর হাটহাজারী শিষ্য বলেন, দেওবন্দী বলেই সবই একই ঘরাণার। কেউ রাজনীতি নিয়ে বলে, কারো ফোকাস ধর্মকে পুজি করে ধর্মশিক্ষা নিজেদের জন্য নাজায়েজ করার লোকদের ভয়ে রাখা আবার কারো কাছে ধর্ম পূর্ণ জীবনব্যবস্থা।

সবচেয়ে খারাপ খবর হলো, কেউ ইসলাম ধর্মকে গালি দিলে তাকে আমরা প্রগতিশীল , মুক্তমনা আরো কিছু অতি উত্তম উপাধি প্রদান করি।  আর এর বিরোধেদের আমরা মওদুদীর অনুসারীদের সাথে ভিড়িয়ে দিই। এটা হলো একটা কৌশল। অথচ উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ তাড়ানোর আন্দোলনের মুসলিম নেতাদের প্রায় সবাই মাদরাসায় পড়েছিলেন। 

আগোচৌ  তার বক্তব্যটা খুবই পরিষ্কার  এবং তার যুক্তিতে সেটা সঙ্গত।  কিন্তু আমার মত ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র  মানুষের কাছে মনে হয়েছে আগোচৌ কিছু বিষয়ে আরো সুন্দর ব্যাখ্যা দিতে পারতেন। তার বক্তব্যের ব্যাখ্যটা আরো ভালো হতে পারত।

নিশ্চিতভাবে আমি একমত আরবী একটা ভাষা --- এই ভাষায় অনেক খারাপ কথা লেখা ও বলা হয়। সাধারণত নবী ও রাসূল সা: গণ সেখানেই এসছেন যেখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি খারাপ ছিল। এটা আমরা জানি। 

“এখন যেটাকে আরবি ভাষা বলা হচ্ছে, সেই ভাষাতে কাফেররাও কথা বলত। আজকে আরবি ভাষার যে সমস্ত শব্দ আমরা ব্যবহার করি, সবই কাফেরদের ব্যবহৃত ভাষা।'' (আগাচৌ'র বক্তব্য: সূত্র বিডি নিউজ)

 আল্লাহ তো বলেছেন, সব ভাষাই তার সৃষ্টি।  তারপরেও প্রশ্ন থাকে--- আরবের সব লোক কি কাফের ছিল? আরবে এর আগে যারা এসেছিলেন --- নবী রাসূল সা: হিসাবে তাদের ভাষাও কিন্তু আরবী ছিল। শুধু কাফেরদের ভাষা বলে তিনি কি নবী ইবরাহীম আ: এবং নবী ইসমাইল আ: সহ অন্য সব নবীদেরও একই কাতারে নিতে চাইছেন। বিষয়টা পরিষ্কার হলো না। 

উনি নবীজী আব্বা আবদুল্লাহ সম্পর্কে  বলেছেন। আবদুল্লাহ কোরায়েশ বংশের লোক ছিলেন। কিন্তু তিনি মুর্তি পুজারী ছিলেন না। এটা সম্ভবত আগচৌর'র অজানা নয়। আর  সঠিক পথ যেটা  সেরাতুল মুস্তাকিম বলা হয় সেটি আদম হাওয়ার সৃষ্টির পর থেকেই। আল্লাহ'র বিধান হাজার হাজার বছর আগ থেকেই আছে। 

এখানে 'আল্লাহ'  কা'বা শরীফের প্রধান মূর্তির নাম ছিল এর তথ্যসূত্র উল্লেখ করলে ভাল হতো। যতটা জেনেছি এটা ঠিক নয়।  লাত, মানাত ও উজ্জাত এ তিনটা হলো কাফেরদের কাছে প্রধানতম মূর্তির নাম।

তার বক্তব্য ভিডিওটা দেখেছিলাম--- তিনি বলছিলেন  ''আবু হুরায়রা মানে বিড়ালের বাপ । আবু বকর মানে ছাগলের বাপ। এ রকম আরো ছাগলে বাপ গরুর বাপ আছেন।'' এ সময় তিনি হাসছিলেন।  খুব কৌতুকপূর্ণ ভাবেই তিনি কথাগুলো বলছিলেন। 

 অথচ আবু হুরায়রা কিন্তু ওই সাহাবীর উপাধি। আবু বকরও তাই।  নাম পরিবর্তন না করার যে কথা আগাচৌ বলেছেন তাও ঠিক নয়। আবু হুরায়রার নাম ছিল আব্দে শামস  বা আবদুল ওজ্জা। রাসূল এটি পরিবর্তন করে রেখেছেন আবদুর রহমান। 

“এমনকি হজও ইসলামের হজ নয়, এটাও সেই দুই হাজার-তিন হাজার বছর আগের কাফেরদের দ্বারা প্রবর্তিত হজ, উনি সেখানে এক ঈশ্বর বার্তাটি যুক্ত করেছেন।'' (আগাচৌর প্রতিবাদ: সূত্র বিডি নিউজ)

হজ সম্পর্কে এটি একটি স্পর্শকাতর মন্তব্য। হজ  চালু হয়েছিল নবী ইবরাহীম আ: এর সময়। তিনি কা'বা শরীফের পুণঃ নির্মাণ শেষ করার পর হজের বিধান চালু হয়। এটা কাফের দ্বারা প্রবর্তিত এ  তথ্য তার কোত্থেকে  আবিষ্কার করা সেটাও পরিষ্কার করা গেলে ভালো হতো।

সম্ভবত মুসলমানদের সহনশীলতা পরীক্ষার জন্য  আগাচৌ সুড়ড়ুড়ি দিয়েছেন। এতে উত্তেজিত হওনের কিছু নাই।  নাস্তিক মুরতাদ বলে গালি দেওনর কিছু নাই। আবার তার স্বপক্ষীয়রা এটাকে পাকিস্তানের সাথে মিলিয়ে পার পাওয়ার যে নোংরা ও কদর্যভাবনা মাথায় আনেন তাদের জন্যও খুব মায়া হয়--- পাকিস্তান, মওদুদী,জঙ্গী এ সব বাল ছাল বেইচা আর কয় দিন। তাদের  বহু বুজর্গ রাইতের আন্ধারে  ওই সব লোকদের কাছে গিয়ে নেতিয়ে পড়ে। খবরও নিশ্চয় মাঝে মইধ্যে দেখেন।  যাউক গা।

শাহবাগের পীরসাহেব নিশ্চয় শােলাকিয়ায় যোগাযোগ করছেন-- সেখান থেকে একটা ফতোয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আর আগাচৌ--- তার বয়স হয়েছে। তার সব কথায় কান দিয়ে সময় নষ্ট করার কী দরকার। 

তিন যুগ যাত্রায় আত্মপক্ষ

লিখি কেনো?  সেটি আমি এর আগেও বলেছি।---স্বভাবত সরকারে যারা থাকেন, তাদের সমর্থক-দলান্ধরা ধরে নেন--- আমি তার সরকারের  বিপক্ষে। বাস্তবতা ভিন্ন। সত্যকে আশ্রয় করে আমার বেড়ে ওঠা।

২০০০ সালে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে লিখতাম--- সে সময় আম্লীগ ক্ষমতায়।  আমার রিপোর্টিং এরিয়া ছিল--লালবাগ ও হাজারিবাগ। সেখানকার পেশিবান লোকেরা  পার্ক, মসজিদের জমি এমনকি স্কুল আঙ্গিনা দখল করেছিল। সে গুলো আজো উদ্ধার হয়নি। রিপোর্ট করেছি। যেহেতু সেগুলো ক্যাম্পাসের বাইরের; তাই সেটা নিয়ে রাজনৈতিক রঙ্গের ঘেরটোপে পড়িনি।

পড়েছি ২০০১ এর শেষভাগে ক্যাম্পাস রিপোর্টি করতে এসে। ছাত্রদল  প্রতাপের সাথে ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। আজকে যারা অনেক বড় বড় বয়ান করেন, সে সব বয়ানঅলা সম্বাদিকরা  দৌড়ের উপরে। কারণ ছাত্রলীগের  তল্পিবহন করে নিজেকে এখন অপরাধী করেছেন। সে সব লোক  তখন ছাত্রদল নেতাদের আস্থাভাজন হতে চান।

 সেটি হতে আমি চাইনি। ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে রূঢ়, কঠিন এবং প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক অনুসন্ধানী রিপোর্ট আমি করেছি। পিআইবি'র আর্কাইভে খুঁজলে--- মিলবে সে সব। সে সময় ছাত্রদলের বিপক্ষে আমার টানা রিপোর্টের কারণে আমার সম্পাদক মতি ভাই (মতিউর রহমান চৌধুরীর) কানে দেয়া হলো আমি ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রদলকে হেনস্তা করছি। মতি ভাই জাত সম্বাদিক। ও সব কথায় কান দেননি। সাড়ে তিন বছর টানা লিখে গেছি। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ক্যালেঙ্কারিও ছিল।  তবে সীমিত।

২০০৪ সালে কর্মস্থল বদলে রাজনৈতিক রিপোর্টিয়ের বিত্তের বাইরে এসে দাঁড়ালাম।  টেলিকম, টুরিজম ও পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে লিখি।  এখানে এসে  পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সাথে অনেকটা মিল থাকায় কাগজে লিখে সমালোচিত হইনি। টুরিজম সম্পর্কে আমির কিছুটা জ্ঞান আছে  বলে সমীহ পেতাম। টেলিকমটা আমি শিখছি।

তবে ডিজিটাল মিডিয়ার পত্তনের পর ফেসবুকে প্রথম দিকে ছবি টবি শেয়ার করতাম। এখানে যাচ্ছি; ওখানে আছি টাইপ স্ট্যাটাস দিতাম। কিন্তু একটা সময় মনে হলো খবরের কাগজের বিকল্প এ মিডিয়ায় তো আমার  বিবেচনা বোধের থেকে কিছু লিখতে পারি।
সেই ভাবনা থেকে আমি লিখছি---বহুবার ভেবেছি লিখবো না। কিন্তু  ফেসবুক ও ব্লগের জগতে বহু লোক  ঢালাও মিথ্যা কথা লিখে যাচ্ছে।

নিজেকে অনেক বড় চেতনাধারী হিসাবে প্রচার করে যাচ্ছেন--- যাদের অতীতটা আমি ভালো করে জানি। তাদের চোষণ তোষণ সম্পর্কে সমস সাময়িকরাও ভালো জানেন। তারা যখন 'চোরের মার বড় গলা' টাইপে উচ্চ স্বরে চেঁচামেচি করেন এবং সেখানে আমার মত একজন অর্ন্তমুখী মানুষকে টেনে আনেন তখন--- নিশ্চিতভাবে আমাকে সত্যটা বলতে হয়।

আমার সব লেখা সিরিয়াস না।  আবার সিরিয়াস। মাথায় কিছু হঠাৎ করে আসলে আমি ফেসবুকের পাতায় সেটি লিখে রাখি। এটা পড়তে কাউকে আমি বাধ্য করি না।   ট্যাগ করি না। যার ভালো লাগে পড়েন। যার লাগে না; পড়েন না।

কিন্তু এ সব লেখা থেকে বহুজন আমার উপর রুষ্ট। জানি সেটি---  কেবল এটুকু বলি---  সরকার বদলালেও আমার অবস্থান আগের মতই অভিন্ন থাকবে। যে রকম আগের সরকারের সময় ছিল।  কারো পক্ষে নয়--- সত্য  বলা বা লেখা থেকে  নিজেকে দূরে রাখতে পারবো না।

আমার ব্যাক্তি স্বার্থ-প্রত্যাশা ছিল না। এখনো নেই। সামনেও থাকবে না।  ক্যাম্পাস জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির শীর্ষ কর্তাদের সাথে সম্পর্ক ছিল--- কেউ একজন  বলতে পারবেন না  'বৈধ' কিম্বা 'অবৈধ' সুবিধা আমি বা আমার পরিবার বা আমার কোনো আত্মীয় স্বজনের জন্য চেয়েছি।  এখানেই আমার সন্তুষ্টি।

 ৩৫ বছরের জীবনে এ আমার বড় প্রাপ্তি।

 বহু ছাত্র রাজনীতিকের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। এক কাপ চা, একটা সিগারেট ভাগ করে খেয়েছি। প্রতিপক্ষের হামলার আশঙ্কা ছিল  এগিয়ে এসেছি।  হলে হলে সহ অবস্থান আর নিপীড়নের বিপক্ষে ছিলাম এখনো আছি।

একটা সময় সব এনালগ ছিল বলে অনেকের নজরে পড়েনি। এখন হয়তো পড়ে। সেখান থেকে কেউ কেউ আমাকে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করতে পারেন। করুন না।  তবে আমার অবস্থান পরিষ্কার--- অন্যায়, অনাচার , অবিচারের বিপক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। প্রত্যেক মানবজীবনের কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। আমার উদ্দেশ্য বিপন্ন মানুষের পাশে থাকা। সে জন্য বহু রক্ষ চক্ষু উপেক্ষা করার মত হিম্মত আমার আছে।

কারো তাবেদার নই। তাই ভয় নেই। নিশ্চয় পালনকর্তা আমার  ভাবনা সম্পর্কে অবগত।  ভালো থাকুন। তিন যুগ যাত্রায় আপনারা যারা বন্ধু,শত্রু, সমালোচক--- সবাই ছিলেন বলে আমি এখনো আছি। ভালোবাসি।

বিচারিক কায়দায় ষণ্ডা বিএসএফকে দায় মুক্তি!


ফালানী হত্যার দায় মুক্তি পেয়েছে বিএসএফ'র ঠাণ্ডা মাথার খুনী দু'পায়ে অমানুষ অমীয় ঘোষ। ভারতীয় আদালত তাকে দায় মুক্তি দিয়েছে। তারপরেও আমাদের যাবার আরো জায়গা আছে, কিন্তু ক্যান যাইবো। আমারা প্রতিবেশীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমরা তাদের পিরীতের খ্যাঁতার তলে দল মত নির্বিশেষে লুকাইয়া আরাম পাইতে চাই। সেইখানে ফালানি ক্যাডা। এরকম দু'চাইরটা মানুষ মরে গ্যালে কি!

ফালানীর বাপ অমীয় ঘোষের অব্যাহতির বিপক্ষে নালিশ করার পর এবার এমন ভাবে থাপ্পড় মারলো ইনডিয়া যে এ নালিশের কারণে এখন ফালানীর বাপের বিচার হওনের অবস্থা।  পুরা বিচারিক কায়দায় ইনডিয়া  তার ষণ্ডা বিএসএফকে দায় মুক্তি দিলো। সেই সাথে বছর বছর শ শ মানুষ খুন করাও বৈধ তা জেনে নিলো। এখন গরু বেপারী  আরো অনেক বেপারী কেবল ফেন্সি বেপারী ছাড়া  যে কোনো নামে বঙ্গ সন্তানদের খুন করা আইনগতভাবে জায়জ হয়ে গেলো।

২০১১ সালের জানুয়ারী মাসটা ছিল প্রচণ্ড শীতের। কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রাম জেলার  সীমান্তবর্তী এলাকা ফুলবাড়ি। ৭ জানুয়ারী ফালানী খুন হবার ২/৩ দিন পর ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম । এখনো সেই স্মৃতি চোখে ভাসছে। ভাঙা  চোরা ঘরে ছড়ানো ছিটানো মেয়েটার স্মৃতি।  নতুন জীবন শুরু করার জন্য বাবার সাথে ফিরছিলো দেশে। প্রিয়তম হবু স্বামী জন্য বুনছিলো  রুমাল। সেখানে লিখেছিল ভালোবাসার কথা। স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো। মৃত্যুর সময় মুখে জুটলোনা এক ফোঁটা পানি।  ফালানীর গুলিবদ্ধ হওয়া ক্ষত স্থানের ছবিও তোলা হয়েছিল। লাল শাড়ি পরার প্রস্তুতি নেয়া পরিবার তাকে সাদা কাফনে জড়িয়ে ফুলবাড়িতেই কবর দিয়েছে। সেই কবরে, ফালানীর বাড়ি এবং ঘটনাস্থলের লোকেরা বলেছিল--- ভোররাতে গুলি আওয়াজ, পানি বলে চিক্কুর শুনেছিল তারা। আধ ঘন্টার বেশি সময় ঝুলে থাকার পর বিএসএসএফ'র দুপায়ে অমানুষরা ঝুলিয়ে নিয়ে গেছে  ফালানীর লাশ। তার পর বহু তদ্বির করে তার লাশ পাওয়া গেছে ৩০ ঘণ্টারো বেশি সময় পরে।

 জীবনের দাম কম একটা আমরা জানি। বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত এটা। কিন্তু গরিব মানুষের জীবন যেনো পাপ। অসুখ--- ক্যান্সার। কেটে ফেললে--- ছেঁটে ফেললেই মুক্তি। ফালানীর লাশ-রক্ত আর কষ্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। একজন মানুষ তার কন্যাকে হারালেন। তারা কষ্ট পেলেন। বহু রথি মহারথী তার কাছে গেলেন-- তিনি তার সন্তান হত্যার বিচার পেলেন না।

 অথচ  দ্যাখেন সর্বশেষ বঙ্গীয় একটি দৈনিকের ফান ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটা ফানি বিজ্ঞাপন, একটা খেলা, একটা চুদির ভাই নাটকে ক্যামন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। সারা বিশ্বজুড়েই খবরের কাগজে সমালোচনার ঝড় ওঠালো সানি লিওনের দেশ ইনডিয়া। ইনডিয়ার চাবুকে কাতর এক দেশের নাগরিক আমরা। যারা বলার আগে শুয়ে পড়ি তারপরেও সঠিক আসন না নেয়ায় আমরা নিজেরাও বিব্রত হই। লজ্জিত হই। পুরো সেটিসফেকশন দিতে পারিনি; বলে নুইয়ে পড়ি! রাজনীতি মানুষের জীবন বিপন্ন করার রাজনীতি।

দায়মুক্তির খবরের বিবরণী বিবিসি বাংলা থেকে,' ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জি এস এফ সি রায় দিয়েছিল যে অভিযুক্ত বি এস এফ প্রহরী নির্দোষ। সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় তার পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক। পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু করতে প্রায় একবছর লেগেছিল, আর তা তিনবার নানা কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। রায় পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু পাঁচদিন পরে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। নভেম্বরে আবারও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। কিন্তু ২১ নভেম্বর আদালতেই অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ জ্ঞান হারানোর কারণে চার মাস পিছিয়ে গিয়েছিল প্রক্রিয়া। তাঁর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল আর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তার আগে মি. ঘোষের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়েছিল।যদিও পুনর্বিবেচনার সময়ে নতুন করে কারও সাক্ষ্য নেওয়ার নিয়ম নেই, তবুও ফেলানির বাবার সাক্ষ্য নতুন করে নথিভুক্ত করা হয় তখন। আবার মার্চ মাসে বিচারকেরা সকলেই হাজির হলেও বি এস এফের সরকারী আইনজীবী বা প্রসিকিউটর সেদিন কোচবিহারে পৌঁছতে পারেন নি অসুস্থতার কারণে। তাই আদালত বসলেও কাজ শুরু করা যায় নি। ৩০ শে জুন সর্বশেষ শুনানি শুরু হয়।'

ইনডিয়ান জার্নালিজম সানি লিওনের মত ভার্জিন!

মিথ্যা চুদির বাই নাটককে সত্যতে পরিণত করলো ইনডিয়া। ইওলাে জার্নালিজম কি?  ইনডিয়ান জার্নালিজম সানি লিওনের মত ভার্জিন! তবে এটাকে সানি লিওনের মত পেশাদার জার্নালিজম বললে ভালো।

সেই সাথে আমাদের কিছু লোক আছে না--- লজ্জায় লজ্জাবতী পাতার মত মিইয়ে যায়। ঘটনার সত্যাসত্য জানার আগেই ---আহা চুদির বাইকে আমরা মার দিয়েছি-- নো নো নো--- । ওরা খ্রাপ বলে আমরা খ্রাপ অইবো।

শালা ---- লজ্জাবতীর একটা ওষুধি গুণ আছে--- আমগো লজ্জাবান ও বতীদের সেটাও নাই। এ সব মাল লইয়া  জাতি কি করিবে।  যে সব মাল বুঝিলো না পাপিস্তান ও রেন্ডিয়া কখনো আমাদের ভালো চায় না--- কিন্তু কিছু লোক মনে করে উন্রা আমগো দেবতা।

প্রথম আলো'র  ব্যাঙ্গাত্মক সাময়িকী রস আলো'র একটা ফানি কার্টুনকে লইয়া শোর তুললো ইনডিয়া। তামাম দুনিয়ায় গলা ফাটাইয়া চিল্লাইলো। আর আমরা অথর্বরা কিছুই করতে পারলাম না। যুক্তরাইজ্যের মেইল কাগজ কৈতাছে প্রথম আলো কার্টুনটার জন্য ক্ষমা চাইছে।  তা চাউক গা। প্রথম আলো কার্টুন আঁইকা এর আগেও ক্ষমা চাইছে।

আমগো যে মিডিয়া পাওয়ার হাউস তৈরি অয় নাই, সেইটা আমরা জানি। কিন্তু সেইটার ভিত্তিও যে তৈয়ারের কাজ শুরু অয় নাই সেইটা জানা অইলো। যদি অইতো তাইলে আমরা কাউন্টার কিছু ছিঁড়তে পারতাম। তা যখন পাইরলাম না তখন নিজেরা নিজেরা প্রথম আলো খুব ভুল কৈরছে---এটা করণ উচিৎ অয় নাই এটা লইয়া আলাপ জুড়তে পারি ।

যা পারি না; তা লইয়া বাতচিৎ বাতুলতা মাত্র। আমগো সম্বাদিক, কলামিস্ট, বিশ্লেষক--- সবাই মাথা বেইচা বইসা আছে। হাসিনা খালেদার কাপড় ধুইবার জন্য লাইন দিছে। তাইলে জায়গা মতন যাইবো ক্যামনে। ইনডিয়া পাকিস্তান আমগো যা ইচ্ছা কৈইবো। আর আমরা বলবো--- খেরায় ই তো। এত সিরিয়াস অওনের কি আছে।  আমরা সব সইয়া বাইত্তে আইসা কাঁচা মাইরা নিজেরো নিজেরা মারা মারি করমু। আবেগি কাইন্দা দিমু।

 বালোর আলাপ।  কথায় কথায় কমু ইনডিয়ানরা যোগ্য। পাকিস্তানিরা ভালা। আমরা বাল। সব শালা। চুতিয়া।  নিজেরা বইসা... মারামারি করো--- আর উপ্রে উঠনের স্বপ্ন দ্যাকো।  বাংলাদেশ থেকে আম্রিকা সব গণমাধ্যমে ইনডিয়ার লুক আছে। ডিসিশন ম্যাকিংয়ের জায়গায় আছে। আমরা বাঙালিরা খালি ফুটানি মারমু।


 ডেইলি মেইলের লিঙ্ক http://www.dailymail.co.uk/indiahome/indianews/article-3146440/Bangladesh-not-handling-recent-cricket-success-dignity.html

বিত্ত যেখানেই ঘুরে ঘুরুক

বিত্ত যেখানেই ঘুরে ঘুরুক-- নিম্ন কিম্বা মধ্যম। আমার বিত্ত আটকে আছে একই ঘরে-- চলছে জীবন- শ্রাদ্ধ। কত মানুষ না খেয়ে রয়, কত লোকের ঘুম নেই।  এ সব কিসে? ক্যামনে কষো হিশাব - আমরা এখন মধ্যম আয়ের বিশ্ব।  হে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ভাই- বলো-- তোমোর হশেব কিসে করো।  আবুলের খরচপাতি, ঘুষের টাকা, পদ্মা সেতুর যোগান ,  চিকনাই জমা সরকার দলীয় লোক আর নিরাপত্তা রক্ষীর চেহারা।  জানবার বড় মুনচায়।

ফান ফাটো স্টোরি 'মোস্তাফিজ কার্টার' লইয়া ইনডিয়ার পেরেশানি

ফান ফাটো স্টোরি 'মোস্তাফিজ কার্টার' লইয়া ইনডিয়ার পেরেশানিতে মজা পাইলাম। তার চে বেশি মজা পাইলাম চুদির বাই নাটক সত্য হিসাবে বার বার বলায়।  এঙ্কর কোশ্চেন করছেন ইনডিয়া ভক্তকে পিটিয়েছে। অথচ কথিত নাটুকে ভক্ত কইছে তাকে পিটায়নি। তারপরেও মিথ্য কথা বার বার বলে যাচ্ছে টিভি চ্যানেলটি। আর  প্রথম আলোর ফান পোস্ট নিয়ে টক শো জুড়ে দিয়েছে।
https://www.facebook.com/tarunore/videos/vb.1593317440882664/1625774590970282/?type=2&theater

বাঙালি গ্রামীণ নিম্ন মধ্যবিত্তের চে বড় যাযাবর আর কে হতে পারে!

রাংলাই ম্রোর সাথে আলাপ হচ্ছিল- ২০০৯ সালে এমন বর্ষায় । ঝাকডা চুল থাকে ম্রো ছেলেদের । মেয়েরা পরে লম্বা থামি। অথবা খাটো । কাঁধ ছড়িয়ে যাওয়া চুল ছুটে চলে পাহাড়ি এলো বুনোলতার মত।
রাংলাই বলছিলেন, এখন সে সব অতীত হচ্ছে। বাস্তব থেকে যাচ্ছে যাযাবর জীবন । ম্রো বা মুরং রা যাযাবর ।
কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার  সকাল থেকে বাসা বদল করতে করতে ভাবছি আমরা কি ? আমরা কী স্থায়ী নিবাস গডি! না। আমরাও যাযাবর । এ জন্য বোধ হয় ভুপেনের সেই গান আমার খুব খুব প্রিয়---' আমি এক যাযাবর ' ।
যাযাবর মোরতাজা এখন খুঁটি গেডেছে কলাবাগান । এই নগরে মীর হাজিরবাগ থেকে আজিমপুর ললিত মোহন দাস লেন হয়ে বঙ্গবন্ধু হলের দিনগুলো ছিল একক।
যুগল জীবনের সূচনা হয়েছিল মিরপুর ১২ নম্বরের ডি ব্লকে। সেখান থেকে তেজকুনী পাড়া হয়ে নাখালপাডা ছাপডা মসজিদ। নাখালপাডা রেল গেট হয়ে ধানমণ্ডিতে এক মাসের জীবন ।
তারপর মোহম্মদপুর ৩ নম্বর রোড থেকে ১ নম্বর রোড। আবার ফিরলাম শহরের মুল ভূখণ্ডে-- ফ্রি স্কুল স্ট্রিট । এবার দু বাচ্চার স্কুলের পাশে যাযাবরের নতুন আস্তানা।
আসলে বাঙালি গ্রামীণ নিম্ন মধ্যবিত্তের চে বড় যাযাবর আর কে হতে পারে!

সস্তা আবেগি কারখানা ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী


সস্তা আবেগি কারখানায় দেখছি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য ' বাঙালি জাতীয়তাবাদের এখন আর দেওয়ার কিছু নাই' শিরোনামে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎধর্মী লেখার ভিত্তে নানা বিশেষজ্ঞ মতামত!  এটি ২৩ জুন প্রকাশ করেছিল আলোকিত বাংলাদেশ। আমি সেটি  ২৮ জুন শেয়ার করার পর তা দেখলাম অনেকেই এমন ভাবখানা প্রকাশ করলেন--- যেনো সিরাজুল ইসলাম ক্যাডা! কিছু বোঝে। হোন ব্যাডা আমি যা কই। এইডা কোনো কতা অইলো--- এ টাইপের কথাবার্তা।

আমাদের যে সব মানুষ ব্যাক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার তাদেরই একজন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক আদর্শ সমাজতন্ত্র। কিন্তু সমাজ বিশ্লেষণ এবংপর্যবেক্ষণে তার নির্মোহ স্বীকারোক্তি কারো বিপক্ষে যেতে পারে। তার  সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ কারো কাছে খ্রাপ লাগতেই পারে; কিন্তু তাকে ঘিরে  যাচ্ছে তাই মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরা আছেন বলে এখনো কিছু মানুষ  অবশিষ্ট আছেন বলে মনে হয়--- যারা সময় সময় সত্যটা উচ্চারণ করতে পারেন।  জ্ঞান চর্চার  জায়গাটা রাজনৈতিক আদর্শ চর্চার অদর্শ হতে পারে--- তবে সেটি কোনো বিবেচনায় দলান্ধ হবার প্রেরণা যোগাতে পারে না।

জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের জীবনাচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই তা সহজেই অনুমেয়। সম্ভবত আমাদের আবেগি জাতির  আবেগ এতটাই মচমচে যে তাতে টোকা দেবার অবস্থা নেই বলে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার কিম্বা জামাল নজরুল স্যাররা পলিটিকস, এথনেসিটি নিয়ে সরাসরি কোনো আলাপে আসেননি।

তবে সিরাজুল ইাসলাম চৌধুরী স্যার তার ৮০ বছরের জীবনেও তার অবস্থান থেকে সরেননি --- এটা তার সাহস, প্রজ্ঞা  ও দেশ- সমাজের প্রতি দায়বদ্ধার উদাহরণ।  অন্যরাও দেশ প্রেমিক নন সেটি নয়; আবেগি বাঙালির  বিরাগভাজন হয়ে ড,. ইউনূসের  হেনস্তা হতে চাননি।

 আমরা এতটাই সুবিধাবাদী লোক যে, আমরা চাই জগতের সব কথাগুলো আমার মতই হোক।  এটা কি কখনো সম্ভব। বা এটা কখনো হয়েছে।


 স্যারের সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশ----

প্রশ্ন : কমিউনিস্টরা কেন বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা কিংবা মধ্যবিত্তের অ্যাসপিরেশনের লড়াইটাকেই তখন সবচে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছিল?

সিরাজুল : কমিউনিস্ট পার্টি কিন্তু মধ্যবিত্তেরই পার্টি আসলে। কমিউনিস্ট পার্টির এখানে প্রধান দুর্বলতা হলো, তারা কৃষকের কাছে যেতে পারে নাই। এই জন্য দেশে বিপ্লব হয়নি। শ্রমিক এবং কৃষক এই দুইয়ের মধ্যে কেবল শহরকেন্দ্রিক শ্রমিকের ওপর নির্ভর করেছে। কিন্তু শ্রমিক তো তেমন নাই। কাজেই মধ্যবিত্ত তরুণদের মধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টির মূল তৎপরতা ছিল। পাকিস্তান হওয়ার পরে কমিউনিস্ট পার্টির জন্য দুটো বিষয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। একটা হলো, অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে চলে গেল। দ্বিতীয় হচ্ছে, পাকিস্তান রাষ্ট্রও কমিউনিস্টদের খুব অত্যাচার করতে শুরু করল। সবাইকে ধরে ধরে জেলে দিচ্ছে। যেমন সরদার ফজলুল করিম। উনি তো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন দেখতেই পারেন নাই। কারণ উনি তখন জেলে। তাকে জেলে নেওয়া হয়েছে ১৯৪৯ সালে। ছাড়া পেলেন ১৯৫৬ সালে। ফলে, কমিউনিস্ট পার্টি কিন্তু রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের কারণেই রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছিল। রাষ্ট্র কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ঝাপায় নাই।

প্রশ্ন : বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গে একটু আসি। যখন রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে, তখন ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগানের ভিড়ে কেউ কেউ এরম শ্লোগানও তুলত যে, ‘বাংলা ভাষার রাষ্ট্র চাই’। ফলে, নতুন যে রাষ্ট্রটি তৈরি হবে সেটা যে একান্তভাবে বাঙালিদের হবে, এবং নিরঙ্কুশভাবে বাঙালির দাপট স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হবে, এই পরিণতির বীজ কি সেই বায়ান্নোতেই রোপিত হয়ে গেছিল?

সিরাজুল : হ্যাঁ, সেটাই তো হয়েছিল। দেখতে হবে, জাতীয়তাবাদের ভিত্তিটা কী ছিল? পাকিস্তানি জাতীয়তার ভিত্তি ছিল ধর্ম। বাঙালিরা যে পাকিস্তান চেয়েছে সেটা ধর্মরাষ্ট্র হবে এমন কিন্তু তারা চায়নি। তারা একটা রাষ্ট্র চেয়েছে যেখানে তারা মুক্ত হতে পারবে। তারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চেয়েছে। জমিদার হিন্দু, মহাজন হিন্দু, চাকরি-বাকরিতে হিন্দু, ব্যবসা-বাণিজ্যে হিন্দু- ওদের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পাকিস্তান দরকার। সেই অর্থনৈতিক মুক্তি তো পাকিস্তান দিচ্ছে না। চাকরি-বাকরিতে অবাঙালিরা চলে এসেছে। উচ্চপদে বাঙালি মুসলমানদের কেউ নেই। ফলে একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছিল। সেই আকাক্সক্ষাটাই পরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যাত্রা শুরু ওই ’৪৮ সাল থেকে।

প্রশ্ন : আমি ঠিক যাত্রা শুরুর কথা বলি নাই। ওইটা নিয়ে আসলে তর্কও নাই। আমার প্রশ্নটা ছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন অবাঙালিদের জন্য একটি নিপীড়নযন্ত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

সিরাজুল : নিপীড়ন জিনিসটা আসলে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র এই দিক থেকে দেখতে হবে। এটা একটা ভুল কনসেপ্ট তৈরি হয়েছে যে, বাংলাদেশ একটা জাতিরাষ্ট্র। বাংলাদেশ কোনো জাতিরাষ্ট্র নয়। আজকের পৃথিবীতে জাতিরাষ্ট্র বলে কোনো রাষ্ট্র নেই। এখানে একটা জাতি প্রধান আছে বটে, কিন্তু অন্য জাতিগোষ্ঠীও আছে। রাষ্ট্র এবং জাতি এক না। একটা রাষ্ট্রে একাধিক জাতি থাকতে পারে। রাষ্ট্র হচ্ছে একটা রাজনৈতিক প্রপঞ্চ, আর জাতি হচ্ছে নৃতাত্ত্বিক বর্গ। বাংলাদেশকে আমরা জাতিরাষ্ট্র বলবো না। এখানে বাঙালি ছাড়াও নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ থাকে। আধুনিক বিশ্বে এখন এটাই সত্যি। আমেরিকানরা একসময় বলত এখানে সবাই আমেরিকান। এখন তাদের মানতে হচ্ছে যে, সকলেই অ্যামেরিকান না, নানা জাতি আছে তার মধ্যে। অ্যাংলো-স্যাক্সন ছাড়াও তো ওখানে স্প্যানিশ আছে, পর্তুগিজ আছে, বাঙালি আছে। তাই, জাতিরাষ্ট্র নয়, আমরা চেয়েছি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটা জাতিরাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল না, যদিও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ পুঁজিবাদী রাষ্ট্র তাতে সন্দেহ নেই। আমি বলতে চাচ্ছিলাম, এই রাষ্ট্রের একটা ‘মুসলিম’ চরিত্র আছে, এবং একটা ‘বাঙালি’ চরিত্র আছে। পুঁজিবাদী চরিত্র এই রাষ্ট্রের আছে, এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে পুঁজিবাদ যেভাবে কাজ করে সেটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে তার অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু, একই সঙ্গে, রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটা যে একটা মুসলিম রাষ্ট্র...

সিরাজুল : না, মুসলিম রাষ্ট্র আমরা বলি না তো...

প্রশ্ন : এই অর্থে মুসলিম রাষ্ট্র যে এই রাষ্ট্রের একটা মুসলিম ক্যারেক্টার আছে। রাষ্ট্র যখন হিন্দুকে ট্রিট করে তার মধ্যে এই ব্যাপারটা থাকে...

সিরাজুল : এই ক্যারেক্টারটা দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন ’৭১ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলাম সেটা তো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষ হবে যে রাষ্ট্রটা।

প্রশ্ন : সেরম একটা রাষ্ট্র হয়ত হতে পারত, কিন্তু আমরা এখন যে রাষ্ট্রটা পাচ্ছি...

সিরাজুল : সেটা হয় নাই, কারণ পুঁজিবাদের চরিত্রই হচ্ছে বৈষম্যমূলক, এবং সেখানে যাদের ক্ষমতা আছে তারা অন্যদের কন্ট্রোল করবে। এখানে মুসলমানদের হাতে ক্ষমতা বেশি, তারা সংখ্যায় বেশি বলে। কাজেই তারা হিন্দুদের মাইনরিটি বলে ট্রিট করে, তাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে। আসলে রুলিং ক্লাসটাই কন্ট্রোল করছে সব কিছু। ইকনমিক টার্মস ছাড়া এটাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়ে এর সুবিধা হবে না।

প্রশ্ন : সেটা একটা লম্বা তর্কের বিষয়। মার্ক্সিস্ট যারা তারা মনে করবেন যে মূলত ইকনমিক টার্মসেই এটাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। কিন্তু মার্ক্সিজমের যারা ক্রিটিক করে তারা অন্য কতগুলো বৈশিষ্ট্যের ওপর গুরুত্ব দেবেন...

সিরাজুল : অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো আছে, কিন্তু সেগুলোকে আমরা কেন খামাখা প্রাধান্য দেব?

প্রশ্ন : একটু পেছনে ফিরি। পূর্ববঙ্গে সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনে একটা বাঁকবদল আছে। তরুণ বয়সে আপনাদের পছন্দ ছিল মানিক-জীবনানন্দ-সুধীন-বুদ্ধদেবরা। অথচ ওই সময়েই পূর্ব পাকিস্তানে একটা ভিন্ন সংস্কৃতি জারি ছিল, যেটা কতগুলো সংবাদপত্রের নাম থেকেই বোঝা যাবে- আজাদ, ইনসাফ, মাহে নও, মোহাম্মদী। এই যে একটা ভিন্ন ধারা, যেটি মূলত পাকিস্তান আন্দোলনের লিগ্যাসি ধরেই বাহিত হচ্ছিল, এটা কোনোভাবেই আপনাদের ওপর আছর ফেলতে পারে নাই। একটা নতুন এসথেটিকস নিয়ে আপনারা আবির্ভূত হচ্ছেন। এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

সিরাজুল : পত্রিকাগুলোর নাম থেকেই বোঝা যায় সেটা ছিল মুসলিম ধারা। এই নামগুলো আধুনকি না, সামন্তবাদী গন্ধ আছে এর মধ্যে। এটা পুরাতন এবং আগের জামানার। কিন্তু নতুন শিক্ষিত হচ্ছে যে তরুণ সে নিজেকে আধুনিক মনে করছে। আধুনিক তরুণ-তরুণী তো ওই নামে সন্তুষ্ট হবে না। আমরা যখন পত্রিকা বার করছি তখন নাম দিচ্ছি আগামী, দেয়াল পত্রিকা করছি নাম দিচ্ছি ঝামেলা। রক্ষণশীল ধারাটাও একই সাথে চলছে। ফররুখ আহমেদ, মোফাখখর হোসেনরা ওই ধারায় কবিতা লেখেন। তারা ওই ধারাটা পাকিস্তান আমল থেকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই ধারা তো আর চলবে না। আধুনিকতা আসছে, ইউরোপের প্রভাব পড়ছে, তারা এখন তো ওই ধর্মীয় বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসবে। সেই সাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদ তো আছেই। একদিকে আধুনিকতা, আরেকদিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ; দুটো মিলে যাচ্ছে। মিলে যাওয়ার ফলে একটা উদারনৈতিক চিন্তা চলে আসছে। এখন আর মোহাম্মদী আর মাহে নও তো আমাদের সন্তুষ্ট করবে না।

প্রশ্ন : আগের প্রজন্মের সাথে আপনাদের হিসটোরিক্যাল লিংকটা বুঝতে চাই। আপনারা বাঙালি মুসলমান সমাজের একটা নতুন প্রজন্ম। যে প্রজন্ম আধুনিকতাকে গ্রহণ করছে এবং পুরনো রক্ষণশীলতাকে পরিত্যাগ করছে। কোনো পূর্বসূরী প্রজন্মের সাথে আপনাদের হিসটোরিক্যালি লিংক করা যায়?

সিরাজুল : ধারা দুটোই ছিল। আমাদের সাহিত্য রুচি তো গড়ে উঠছে বাংলা সাহিত্য থেকে। আমরা বঙ্কিম-শরৎ-মধূসূদন পড়ে বড় হচ্ছি, বাঙালির যে ঐতিহ্য সেটা তো আমরা ধারণ করছি। বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে পাকিস্তান আন্দোলন পর্বে একটি নতুন বিষয় যুক্ত হলো : মুসলমানত্ব। পাকিস্তান তো এই মুসলমানত্বেরই প্রতীক। এই ইতিহাসটা খুব কৌতূহলউদ্দীপক। মীর মশাররফ হোসেন যখন সাহিত্যচর্চা করেন তার মধ্যে কিন্তু এই মুসলমানত্ব নাই। সাম্প্রদায়িকতাটা তৈরি করছে হিন্দু মধ্যবিত্ত। মূল অপরাধী হচ্ছে ব্রিটিশ, তারা উস্কানি দিয়েছে। মুসলমান মধ্যবিত্তের চেয়ে অন্তত পঞ্চাশ বছর এগিয়ে থাকা হিন্দু মধ্যবিত্তের এটা পছন্দ হচ্ছে না যে মুসলমান সমাজ বিকশিত হচ্ছে। সংকটটা হচ্ছে এখানে যে, মুসলমানরা ইতিমধ্যে সংখ্যায় বেড়ে গেছে। ১৯৩৫ সালের পর থেকে বাংলা প্রদেশে যে মন্ত্রীসভাগুলো গঠিত হচ্ছে তার সবগুলোতেই নেতৃত্ব দিচ্ছে মুসলমানরা। এটার ফলে হিন্দু মধ্যবিত্তের বিক্ষোভ বাড়ছে। সাম্প্রদায়িকতা এভাবে তৈরি হচ্ছে। পানি এবং জল নিয়ে প্রচ- বিরোধ হচ্ছে। ব্রাহ্মণ্যবাদীত্ব ছিল, ছোঁয়াছুঁয়ির বাছবিচার ছিল। জসীমউদ্্দীনের মতো কবি, তাকে বন্ধুর বাড়িতে গেলে অন্য থালায় খেতে দেওয়া হত।

প্রশ্ন : মৃণাল সেনের কথা বলছেন বোধহয়?

সিরাজুল : হ্যাঁ, তুমি পড়েছ ওইটা? খাবার দিচ্ছে অন্য থালায়, সেই থালা ধুতে হচ্ছে। নজরুলকেও মেসে শৈলজানন্দ একইভাবে ট্রিট করেছেন। সাম্প্রদায়িকতার জন্য তাই মুসলমানের চাইতে হিন্দুর দায় বেশি। সেজন্যই পাকিস্তান হয়েছে। নইলে তো পাকিস্তান হওয়ার কথা ছিল না।
- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/online/opinion/2015/06/23/5057#sthash.SeAQxnfo.IBPTfjWX.dpuf

বৃষ্টিস্নাত পাহাড়ে ভ্রমণের সময় যে সব দিক খেয়াল রাখবেন---

১. বৃষ্টির সময় ঝরণাগুলো থাকে পুর্ণ যৌবনা। এর আশ পাশে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে আটকে থাকা শেওলাগুলো এখন জীবন্ত। অতএব ঝুঁকি নিয়ে ঝরণার উৎসব, ঝরণার উৎপত্তি স্থলের দিকে যাবেন না। 
২. ঝরণার পানি যেখানে পড়ে ঠিক সেখানে দাঁড়ানোটা কখনো ঠিক নয়। আপনি পাশ থেকে তা উপভোগের চেষ্টা করুণ। সাধারণত যেখানে পানি পড়ে সেখানে গর্ত হয়ে যায় এবং পানি প্রেসার এতটাই থাকে যে আপনি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন । 
৩. ঝরণার পানি ঠাণ্ডা । তাই যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে তারা ভিজলেও দ্রুত উঠে আসুন এবং অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা যাদের আছে তারা দ্রুত ভেজা কাপড় ছেড়ে শুকনো কাপড় পরে নিন। 
৪. পাহাড়ে এ সময় জোকের সমস্যা থাকে। পাহাড়ি জোকের কারণে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। সে জন্য বাড়তি সতর্কতা এবং জোক ছাড়ানোর ওষুধ সাথে নিতে পারেন। 
৫. পাহাড়ে জিনস এবং কেডস-ই বর্ষার সময় ভালো পোশাক। 
৬. পাহাড়ে এখন ভূমি ধ্বসের ঘটনা ঘটছে। তাই কিছু বাড়তি সতর্কতা এবং প্রস্তুতি নিয়েই ভ্রমণে যাওয়া উচিৎ। 
৭. ভূমি ধ্বসের কারণে রাস্তায় আটকে পড়লে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যোগাযোড় করুন।

ভ্রমণে যাবার আগে প্রয়োজনীয় শুকনো কাপড়, খাবার, ওষুধ এবং রেইন কোট বা ছাতা সঙ্গে রাখুন। 

সমকামিতা-- ফেসবুক এবং আম্রিকা


আম্রিকা সমকামিদের বিয়ে 'জায়েজ' ঘোষণা করার পর দেশটি 'যৌনাধিকার' স্বীকার করে নিয়েছে এ আনন্দে অনেকে উত্তেজিত। অনেকে বুঝে, না বুঝে কেউ হুজুগে মার্ক জাকারবার্গের ফেবুট্যাবলেট খেয়ে নিজের ছবিটা  সাতরঙের নিচে লুকিয়ে নিজেকে অগ্রগামি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন--- আমাদের দেশেও।

ধারণা করি এদের অনেকের সমকামিতার অভিজ্ঞতা থেকে থাকবে, অথবা তারা সমকামিতায় ইচ্ছুক অথবা তারা সমকামিতাকে প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছুক। সে যা-ই হোক স্বাধীন মানুষের চিন্তা জগতও স্বাধীন। তবে এ স্বাধীনতার সাথে আমার ব্যাক্তিগত দ্বিমত রয়েছে।  আমি সরাসরি এটার বিপক্ষে।

২১ জানুয়ারী ২০১৪ সালে আমি এ সংক্রান্ত একটি ব্লগ লিখেছিলাম। সেটি আপনারা আরেকবার চোখ বুলাতে পারেন। সেখানে আমরা কথা গুলো এ রকম--- 'রূপবান' বের হয়েছে। সমকামিদের কথা বার্তা নিয়ে প্রথম মলাটবদ্ধ বাংলা প্রকাশনা। আমাদের আশপাশে অনেক সমকামি আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন। তাদের অধিকতার নিয়েও কাজবাজ হচ্ছে। হবেও। তাতে আমার বিদ্রোহ করার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অনেকে এটাকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখছেন- দেখবেন, তবে এটাকে যদি আমরা সমস্যা মনে করি তাহলে- সমাধানটা এখনই ভাবনায় আনা দরকার।

পশ্চিমা দুনিয়ার যাপিত জীবন সম্পর্কে আমার প্রত্যক্ষ ও বিশদ ধারণা নাই। কিতাব পত্র পড়ে কিছুটা জেনেছি মাত্র। বিশ্বজুড়ে সমকামিদের অধিকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। আমেরিকা সমকামি বিয়ে জায়েজ করেছে। কিন্তু কুরআনে আছে কাওমে লুতকে আল্লাহ সমকামিতার চরম শাস্তি দিয়েছিলেন।

আমাদের দেশে সমকামিতা রয়েছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সম্প্রদায় যারা বোর্ডিং স্কুলে বা মাদরাসায় পড়েন, তাদের দিকে ইঙ্গিত করা হতো। এখন সে বলয় থেকে এটা বেরিয়ে বড় আকারে সামনে এসেছে।

বিব্রতকর এ বিষয়টি আমরা এখনো সামাজিকভাবে তো বটে, পারবারিক- এমনকি ব্যাক্তিগতভাবেও গ্রহণ করতে পারি না, পারার কথাও নয়। বিশ্বেবর কোথাও মনে করা হয়- এটা রোগ। এটা অপরাধ হিসাবে দেশে এখনো স্বীকৃত।


আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমকামিদের অধিকার বাস্তবায়নে তার সরকারের সোচ্চার থাকার কথা একখানা ঘোষণাপত্রে সই করে জানিয়েছেন। একই জায়গায় ড. ইউনূসও একমত।

তবে সরকার এখানে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে ড. ইউনূসের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে ২০১৩ সালে।

 নয়া আওয়ামী লীগের সরকারের হানিমুন পিরিয়ডে রূপবান প্রকাশ পেলো, এটা নিয়ে আমাদের রাজনীতির কিছু নাই। তবে উপলব্ধি:র অনেক কিছুই আছে। কারণ আমরা প্রথম সিদ্ধান্ত নিবো- সমকামিতাকে আমরা কোন চোখে দেখবো!

এটা কি অপরাধ? যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমরা কীভাবে এর মোকাবেলা করবো। যদি অপরাধ না হয় তাহলে আমরা এটা থেকে যারা রক্ষা পেতে চায় তাদের কীভাবে সুরক্ষা করবো।

এ দুটো প্রশ্ন নিরয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে- সে জন্য বিশেষজ্ঞরা আছেন। আমি আমার ঝুলিতে থাকা অনেক ঘটনা থেকে কয়টা বলি। সাথে ছোট্ট একটা টোটকা সমাধানের কথাও বলবো।

২০০৩ সালে মানবজমিন একটা রিপোর্ট করেছিল, বিদেশি সমকামি পুরুষদের জন্য রাজধানী ঢাকায় কিছু ছেলে ভাড়া খাটেন। তার মানে নারীদের মত এ পুরুষরাও শরীর বেচেন।

একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলে সমকামি নিয়ে তুলকালাম হয়, খবরটি আমি, চেপে যাই, কারণ এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জতের মামলা বলে মনে করেছিলাম!

একই বছর ফরিদগপুরে এক নারী সমকামি জুটি বিয়ে করলে তোলপাড়, তা নিয়ে মানবজমিন ধারাবাহিক রিপোর্ট করেছিল। সে সময় সমকামিদের অধিকার নিয়ে তর্ক হয়েছে, এবং এটাকে অপরাধ বিবেচনা করে মামলাও হয়েছিল।

তারো আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ভোটযুদ্ধের মিত্র একটি রা্জনৈতিক দলের একজন বহিষ্কৃত নেতা সম্পর্কে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে এবং সম্ভবত সংগ্রাম পত্রিকা খবরটি প্রকাশ করেছিল।

বাংলাদেশে সমকামিতাকে অন্যকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়, বিশেষ করে যে সব দল ইসলাম 'প্রতিষ্ঠা'র রাজনীতি করেন, তাদের থেকে কেউ বিচ্যুত হলে তার বিরুদ্ধে হয় সমকামিতা না হয় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অথবা দুটোই উত্থাপন করে তাকে সামাজিকভাবে জিরো করে দেয়ার চেষ্টা হয়।

মুসলিম, বৌ্দ্ধ, খ্রিস্টান এবং হিন্দু অনাথালয়ে সমকামিতা দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে। দেশে নারীদের মধ্যে সমকামিতা তুলনামূলক কম বলে আমার ধারণা । এ ধারণা ভুলও হতে পারে।

এটা থেকে মুক্তির উপায় কি? আমার মনে হয় নৈতিক শিক্ষা। আমরা সন্তানদের ছোট বেলা থেকেই যদি সুরক্ষা করতে পারি এবং নৈতিক ভিত শক্ত করতে পারি, তার ভেতর দিয়ে এ সঙ্কট মোকাবিলা করতে পারবো। একই সাথে নিয়মিত কাউন্সিলিং এবং নারী পুরুষদের মধ্যকার সম্পর্ককে সহজ করে উপস্থাপন করাটাই শ্রেয় এবং এ বিষয়ে শিশুদের বিস্তারিত জানানো। একই সাথে কারো মধ্যে সমকামিতার প্রবণতা থাকলে সেটাকে আগেই অ্যাড্রেস করে তাকে এ সমস্যা থেকে বের হতে সহায়তা করা । তাদের ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে হবে।

একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম!


বড় ক্লান্তি ভর করে চোখের ওপর
মেঘ নেমে গেলে কুয়াশার মত নীলগিরি চূড়ায় পরীরা আসে
হাত বাড়ায়---
শরীর ছুয়ে যায় বিকালের কিশোরী বৃষ্টি-তুষারধারার মত বয়ে যায় মেঘবালিক

চোখ বন্ধ হয়ে আসে সুখে---মনের ভেতর গুমরে মরা মেঘগুলো ঝরে বৃষ্টি হয়ে--- চোখের পাতায়
 বৃষ্টির সাথে আমিও কাঁদি।।

 জল গড়িয়ে সারা বছরের শুষ্ক পাহাড় ভিজতে থাকে
 ভিজতে থাকা যৌবন, ডুবে যায় সিদ্ধান্তহীনতার ভেতর

 মৃত্তিকা খসে পড়ে; তার নীচে চাপা পড়ে কারো জীবন
 সাঙ্গু নদীর জল উপচে পড়ে, পাহাড়ে এ ধার ও ধার থেকে গড়ানো জলে ছোট ছোট ঝরণা

 এত উৎসব কিসের, কিসের এত উচ্ছ্বাস

শৈশবে যা চেয়েছি; পেয়েছি তার সবই!
তারুণ্যে যা সঠিক বলেছি
যৌবনে সেটাকে ভুল মনে হচ্ছে।

 যদি বৃদ্ধ হবার ভাগ্য হয়--- তাহলে তাকে কী বলবো

বড় ক্লান্তি ভর করেছে চোখের পাতায়, শরীরটা টেনে নিয়ে অরণ্যে রাখি,
পাহাড়ের চূড়ায় রাখি---
 অপরাধ আমাকে পুড়িয়ে যায়।
প্রতিটা বিকালে ভাবি--- এ জীবনজুড়ে--- এখানেই আনন্দ উৎসবের কথা ছিল

বহু রঙ্গের ভেতর নিজেকে মেলাতে গিয়ে নিজের রঙই হারিয়ে গেছে
বহুজনের কষ্ট ধরতে গিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথাটাই ভুলে গেছি

তবুও দুই জোড়া  চোখ
একবার তাকালে---চোখের তারায় একবার ভাসলে
পৃথিবীর সব কষ্ট মুহুর্তে উড়ে যায়।
ঝকঝকে রোদে হেসে ওঠে একটা জীবন।
একেই বলে প্রেম--- পুত্র প্রেম।  

লালবাগ কেল্লা লইয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তেলেসমাতি



লালবাগ কেল্লার ভিত্রে রোজা উপলক্ষে যে ভিআইপিদের ইফতারির হাট বসায়নি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সেটাও ভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি সামনের কুরবানির ঈদে তারা সেখানে কুরবানী হাট বসাবেন। যাতে ভিআইপিরা গাড়ি পার্ক করে  আরাম করে গরু কিনে ফিরতে পারেন। আর গরুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কেল্লার ভিত্রের যে জল প্রবাহের  ক্যানেল আছে তার ভালো ব্যবহার  হবে। এ সব অকেজো রেখে কী লাভ।

 দেশে অনেক বেকার  তাদের সেখানে পুনর্বাসনও সোয়াবের কাজ । প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে পর্যটকদের জন্য একটা কেনাগার বা বিক্রয়াগার কিম্বা সুভিনির শপ নামে কয়েকটা দোকান খুলে ব্যবসাও পাততে পারেন। ভোজন রসিক ভিআইপিদের জন্য কেল্লার অভ্যন্তরে কয়েকটা ঐতিহ্যবাহি খাবারের দোকান খুলতে পারেন--- যেমন হাজির বিরিয়ানি, রাজ্জাকের  মাঠা  আর পাঠা মহা পরিচালকের  বউয়ের কোনো রসেপিতে রান্ধা  রসগোল্লা।

এ সবে কেল্লার আয় বাড়বে। মহাপরিচালকের আয় বাড়বে। তার মাথার উপ্রে ছাতি ধরে রাখা লোকেরও খোশ দিল থাকবে। তা ভাইসাব আসেন লালবাগ কেল্লার ভিত্রে খালি ঘরে  প্রত্নতত্ত্ব মহাপরিচালকের বাসস্থান করাও যেতে পারে। এতেও কিন্তু কেল্লার মূল নকশার কোনো পরিবর্তন হবে না।

কেল্লার দেয়াল ভেঙ্গে ভিআইপিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের কাজ শুরু করে মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন বলেছেন, 'এই দেয়াল ভাঙার কারণে লালবাগের কেল্লার মূল নকশার খুব একটা ক্ষতি হবে না।'

সাহিত্যিক মইনুল আহসান সাবের  ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন--- '  যথাযথ উদাহরণ দিতে গিয়ে মহাপরিচালক নিজের হাঁটু থেকে দু পা কেটে ফেলে বলতে পারতেন, দেখুন তো, আমার মূল নকশার কোনো ক্ষতি হয়েছে?'

 আমারো তাই মনে লয়। 

পর্যটকদের যে কোনো জায়গায় যাবার আগে কিছু জরুরী বিষয়ে জেনে নেয়া দরকার-


১. লোকাল নিরাপত্তা, ২. পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা, ৩. খাবার দাবার, ৪.থাকার ব্যবস্থা, ৫.যানবাহন,৬. পর্যটকের জন্য স্বাস্থ্য সুিবিধা ৭. সাইট সিয়িংএর ঝুঁকি এবং ৮. প্রযুক্তি ও সময় সমন্বয়।
এ সব না জেনে হুট করে কোথাও যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা ভ্রমন করি আনন্দের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাওয়া বদলের কথা বলেছেন।
হাওয়া বদল বা ভ্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য, প্রতিদিনকার জীবন এবং বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন-পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করে। একই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে নিজের মনে প্রাণে অসাধাররণ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
একই সাথে ভিন্ন সংস্কৃতি, লোকজ মেলা-পরিবার ও স্পটের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে থাকে।

এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী

নায়েক রাজ্জাক কে ফেরত না পাবার নবম দিন । এবার মাঠ ছেড়ে সীমান্তে নজর দিন বঙ্গবাসী।
গত সপ্তাহের বুধবার রাজ্জাককে অপহরণ করে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ- বিজিপি।
হতাশার কথা হলো পতাকা বৈঠক হবে শুনছি। এখনো হয়নি ।
রক্তাক্ত রাজ্জাককে গাছের সাথে বেছে রাখার মৃদু প্রতিবাদ সংসদে হয়েছে। এটা একটা ভালো খবর ।
সবাই নিশ্চিতভাবে একমত হবেন --- মিয়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয়। পুরো বাংলাদেশ ।
রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র । দল আপনার যা-ই হোক ; মত আপনার ভিন্ন হোক --- সীমান্ত কিন্তু একটা ।
তাই সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে আমাদের উদ্যোগ দরকার ।

'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলাও'

কথাও কাজে মিল থাকলে বিজিবি প্রধানের বয়ান শুনেও শান্তি লাগতো। ৬ দিন ধইরা নায়েক রাজ্জাক মিয়ানমারের বন্দী। মেরে তার নাক ফাটিয়ে দেবার পরেও বিজিবি প্রধানের ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ দেয়া বক্তব্যের প্রতিফলন দেখলাম না। গ্রাম অঞ্চলে একটা কথা আছে 'ঘরেই সব পারে; বাইরে পারো না। wink emoticon'--- 'বাইরে না পারলে ঘরে এসে বউ কিলা্ও।' এটা হলো বাইরে কোনো মুরদ ফলাতে ব্যর্থ পুরুষের জন্য ব্যবহৃত বা অতি ব্যবহৃত কথা। বিজিবি কর্তাদের জন্য এ কথটা ব্যবহার করবেন না---- প্লিজ।

''সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতি ছাড়াও বিজিবি’র গত বছরের কর্মকাণ্ডের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তা তাত্ক্ষণিক যোগাযোগে সমাধান করা যায়। গত জুন ও ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। আগে মিয়ানমার কোনো ইয়াবা ব্যবসায়িকে ধরতো না। আলোচনার পর তারা একবার দুই লাখ, আরেকবার চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর চোরাকারবারীদের অনেকেই জামিনে বেরিয়ে যায় বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।''

১৬ জানুয়ারী ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবর।

খবরের লিঙ্ক http://www.ittefaq.com.bd/national/2015/01/16/11781.html

পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ

আমার মত পিৎজা খোরদের জন্য দুঃ সংবাদ।  পিৎজা হাট মেয়াদোত্তীর্ণ মাল ব্যবহার করে। ব্যবহার করে ক্যামিকেল। যেইটা বিএসটিআই অনুমোদনও করে না। আহা তুমি এমন ক্যারে পিৎজা হাট। এমুন ক্যারে কেএফসি। তুমরা চিকেন বইলা কয়দনি আগে ইঁন্দুর দিছো।  


 বিএসএস এর খব্বর

KFC, Pizza Hut fined
Mobile court finds date-expired items, adulterated oil, unauthorised chemicals

A mobile court of the Dhaka Metropolitan Police (DMP) yesterday realised Taka one lakh each from three branches of popular eateries KFC, Pizza Hut, Boomers in fines at Baily Road, reports BSS.The mobile court headed by executive magistrate Md Moshiur Rahman fined KFC on charges of selling date expired goods and using adulterated oil in different food items while Pizza Hutt was fined for using two chemicals, bolognaise sauce seasoning and extreme seasoning, which have no BSTI approval and license, an official release said.It also fined Boomers on charges of keeping rotten meat and adulterated food items in refrigerator, it also said.
The eateries gave the fine soon after the court order.DMP has vowed to continue the drive during the holy month of Ramadan.Transcom Foods Limited operates the international food chain restaurant Pizza Hut in Bangladesh under a franchisee license, and introduced the brand in the country 2003. The company, later in 2006, also became the franchisee of Kentucky Fried Chicken (KFC).Pizza Hut is an American restaurant chain and international franchise that offers different styles of pizza and are famous for their high quality and delicious food items. It was founded on June 15, 1958 by brothers Dan and Frank Carney in their hometown of Wichita, Kansas. KFC (Kentucky Fried Chicken) is a fast food restaurant chain headquartered in Louisville, Kentucky, United States, which specializes in fried chicken. The brand has a large presence in Asia with over 640 KFC franchisee restaurants in Malaysia, Singapore, Cambodia, India and Bangladesh. 

 ছাপছে দ্য ইনডিপনেডেন্ট ; মূল নিউজের লিঙ্ক http://www.theindependentbd.com/post/4663

রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে

রাষ্ট্র যে গরিব মানুষের ট্যাকা খরচা কইরা অস্ত্র কিনে সেটা ক্যান কিনে । রাজ্জাকদের নাক দিয়া রক্ত পড়ে । রাষ্ট্রের অস্ত্র রোজা পালন করে ।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি :(

বাবা দিবসে নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের জন্য করুণা

আজ বাবা দিবসে বাংলাদেশের  বর্ডার গার্ড নায়েক রাজ্জাকের জন্য সহানুভূতি। নিজেদের আমরা করুণা করি। ৫ দিনেও অপহৃত নায়েক রাজ্জাককে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। 

মায়নামারে সন্ত্রাসী বর্ডার গার্ড পুলিশ--- বিজিপি  তাকে অপহরণের পর মারধর করেছে। সে ছবি তারা প্রকাশও করেছে।  তাকে ফেরৎ পেতে  আমাদের পতাকা বৈঠকের ডাকে সাড়া  দেয়নি মায়নমার।  দুইটা রোজা চলে গেছে--- রাজ্জাক কি রোজা রাখতে পেরেছেন। তার সেহরী, ইফতারের ব্যবস্থা হয়েছে। নাকি তিনি ৫ দিন ধরেই রোজা রাখছেন--- তাকে পানি খাবার দিচ্ছে কিনা সন্দেহ। যেভাবে তাকে হেনস্তা করছে মায়ানমার--- স্বভাবতই প্রশ্নটা মনে আসছে।

আমাদের সীমান্ত প্রহরীদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য ছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মহান ভূমিকা রেখেছে সেটি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস– ইপিআর'র ভূমিকা হয়তো আমরা মনে রাখিনি সেভাবে; যার জন্য তাদের দুর্দশা আমাদের ছূঁয়ে যায় না সব সময়।  বন্ধু-রূপী শত্রু  ইনডিয়া আমাদের ভূমি দখল নিতে চাইলে বরইবাড়িতে যে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল--- তাতে অত্যন্ত সফল আমাদের বিডিআর। 

 ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর --- পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ আমাদের সীমান্তরক্ষীদের বিজিবিতে রূপান্তর ঘটার পর কেবল তারা মার খাচ্ছে। এ মায়নমারই গত বছর আমাদের একাধিক বিজিব সদস্যকে খুন করেছিল। আমরা কিছুই করতে পারিনি। 

 আমাদের এ অক্ষমতা মানসিক নাকি রাজনৈতিক। জানতে খুব ইচ্ছে করে।

আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ

মায়ানমারের খোয়াডে রাজ্জাক নয় পুরো বাংলাদেশ । নায়েক রাজ্জাক এখানে প্রতীক মাত্র ।
মায়ানমার রাজ্জাককে হাত কডা লাগিয়ে পরিত্যক্ত সন্ত্রাসী আস্তানার মত একটা ঘরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে।
আমরা ক্রিকেট আফিমে অবশ । আহা কী নিদারুন আমাদের মুখোশ ।
রাজনীতি সমরনীতি পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী কিছু অবশিষ্ট আছে ! নাকি সবই খোয়াড়ে ।
এত এত মানুষ অকাতরে তাদের জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেলো আমাদের । আমরা অথর্বরা তাদের জীবনের প্রতিদান এ ভাবে দিচ্ছি !
লজ্জিত। আমাদের ক্ষমা করো।

তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব!

তোমরা ইনডিয়াকে হারিয়ে তালি বাজাও। ধবল ধোলাইয়ের ভাবনায় উত্তেজিত ।
আর নায়েক রাজ্জাক পাঁচটা দিন মায়ানমারের খোয়াডে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কইছে ভুল বোঝাবুঝি। কিন্তু এর অবসান এখনো হয়নি।
বর্ডার গার্ডের অনুনয়ে মন গলছে না মায়ানমারের । পাত্তাই পাচ্ছে না বিজিবি এমন খবরও এখন প্রকাশিত । পতাকা বৈঠকের জন্য সাড়া নাই। কী অমানবিক। তারপরও আমরা নিশ্চুপ -নিদ্রাতুর ।
এ ক্যামন বাংলাদেশ আমার ।
মায়ানমারের খোয়াড়ে রাজ্জাক নয় ১৬ কোটি মধ্যম আয়ের দ্যাশ হবার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশী।
তোমাদের এ 'ব্যাম্বো অন' চেতনা লইয়া আমরা কী করিব ।

অনুমোদন নেই; তারপরেও Transmission Network লিজ দিচ্ছে গ্রামীণফোন

লাইসেন্সিং গাইড লাইন লঙ্গন করে গ্রামীণফোন Transmission Network লিজ দিচ্ছে। ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের  লাইসেন্স নবায়নের আগেই তাদের অনুকূলে ইস্যু করা  লিজ পারমিট এর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় BTRC।

২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন  নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।

হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন,  আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।

Transmission Network বলতে বিটিআরসি  ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম  ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।


বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন  Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'

' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি।  তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।

ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।  

মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল  পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র  সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।

'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর  বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।

সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।  এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও  বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।

গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের  বিনিয়োগে গড়ে ওঠা  অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক  সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে।  যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।

২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর  মোবাইলফোন অপারেটরদের  ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে।  সর্বশেষ ২০১৪ সালে  বিটিআরসি  টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service  নিতে হবে।

এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক  সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে  অপারেটরটি  হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন  সৈয়দ তালাত কামাল  ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''

মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।

মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062

বিজিবি মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

বর্ডার গার্ড সদস্য বিপ্লব গুলি খাইছে। নায়েক আবদুর রাজ্জাকরে ধইরা লইয়া গেছে। মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের যেখানে হয়রানি করছে সেখানে সীমান্তে বসত করা  আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার কী হাল। নাকি সেটাও ভুল বোঝাবুলি ভিত্রেই আছে। এর আগে মায়নমার আমাদের বিডিআর জওয়ান মাইরা ফালাইছিলো। সেই সময়ও আমরা বুল বুঝাবুঝির ভিত্রে আটকে ছিলাম। হুমমম।  বিজিবি এতটা দূর্বল ক্যামনে অইলো বুঝলাম না। তারা মায়ানমারের কাউরে ধইরা আনতে পারে না ক্যারে!

অনলাইন বাংলার খবর---'আজ বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দলের ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এতে বিপ্লব নামের বিজিবির জোয়ান গুলিবিদ্ধ ও নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাভুঝি বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। '

কিস্তি :: ৮৮:: ভার্জিন ড্রিংকস,পুরনো ঢাকা এবং তেহারি সমাচার


ঘোড়ার গাড়িতে করে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম। এখনো যাই। তবে কুবই কম। আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ২০ টাকা। তাতে কী। এই একটা ভ্রমণ আমার কাছে উপভোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আমার প্রথম রোজগার ছির বাংলা বাজার কেন্দ্রিক।

নোট বই , গাইড বই লিখতাম। ভালোই ইনকাম ছিল। ঘটনাটা এ রকম- আমি ঘুমিয়ে আছি। পাঞ্জেরীর প্রকাশণীর নেসার ভাই আনিস ভাইয়ের সাথে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত সব ক্লাশের বইয়ের নোট তৈরির আলাপ করছিলেন। তার কথার উচ্চ স্বরে আমি মশারী ফাঁক করে দেখলাম।

আনিস ভাই পরের দিন আমাকে কিছু কাজ দিলেন। একটা বাংলা বইয়ের পুরো নোট ঘন্টা দেড়েকে বানিয়ে দিলাম। আমার লেখা তার ও নেসার ভাইয়ের পছন্দ হলো। তারপর আমি লিখতে শুরু করলাম। তবে প্রকাশনার কাজে জড়িয়ে যে সব বিষয় বেশি সঙ্কটে পড়তাম তা হলো প্যামেন্ট। এখনো স্কলার্স পাবলিকেশন্সের কাছে আমার হাজার পঞ্চাশেক টাকা বাকি পড়ে আছে।
সেই ২০০১ সাল। আর এখন ২০১৪। টাকা দেবো, দিচ্ছি করে ঘুরিয়েছেন, পরে আর যাইনি।

তবে লেখালেখির বিষয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সৎ আবদুৃল্লাহ অ্যান্ড সন্স। আমি তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্নাতক শ্রেণীর বই এডিট করে দিয়েছিলাম। এক হাতে কপি নিয়েছে, আরেক হাতে টাকা দিয়েছে।

টাকা নিযে গড়ি মসির  কারণে পরে আর লেখা হয়নি। সে সময় যাত্রাবাড়ি ও পরে বকশিবাজার থেকে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারে যেতাম ঘেড়ার গাড়ি করে। বাস চলতো- মুড়ির টিন। এক টাকায় যাওয়া যেতো গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। এতটা কঠিন যানজপট ছিল সেই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, সে সময়টা বাসে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা, কখনো আরো বেশি সময় লাগতো। এখন কেমন অবস্থা জানি না। কালন আমি এখন যাই শুক্রবারে!

পরে অবশ্য বকশিবাজার থেকে আরমানি টোলা হয়ে শটকাটে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতাম। এভাবে অনেক দিন গেছি। সেখানে যাবার সুযোগে পুরনো ঢাকার সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক।

শাঁখারি বাজারে গেলাম ২০০০ সালরে দিকের এক বিকালে। আমাদের এলাকার এক বন্ধু পিংকুর সাথে। ওর বোন থাকতো সেখানে। ভাগ্নি নাচ শিখছে, মামাদের নাচ দেখাবে, তাই যাওয়া। একটা সরু গলি ধরে আমরা ভিতরে ঢুকছি, আর মনে হচ্ছে আমি গুহার ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, তাই সরাসরি ঢুকতে পারিনি, একটু পাথালি হয়ে ঢুকতে হলো। সেখানে আলো ছাড়া একটা মিনিটও কাটে না কারো।

অনেক্ষন ছিলম, মিষ্টি খেলাম। ভাগনির নাচ দেখলাম এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার কিঞ্চিত দেখে ফিরে এলাম। এভাবে পুরনো ঢাকা-

সে সময় আমি ওযারীর আল আমিন কোচিংয়ে ক্লাস নিতাম। গিযে দেখি সব মেয়ে। ওই কোচিংয়ে কোনো ছেলেকে পড়ানো হতো না। আমার ক্লাস নেয়ার কথা বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। সেটি ইন্টার থেকে ডিগ্রির মেয়েদের। কিন্তু অনেক টিচার আসতেন না। তাই আমাকে  বদলি খাটতে হতো! নাইট টেনেও পড়িয়েছি।

কোচিং চালাতে 'সায়াদাত' ভাই। তিন বললেন- আমি যাওয়ার কারণে তার শিক্ষার্থী বেড়েছে। আমার বিশ্বাস হলো না। পরে আমি যখন ছেড়ে আসি, উনি খুব মন খারাপ করেছিলেন। সায়াদাত ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন বা তিনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। যাকে ভদ্র সমাজে ডিভোর্স বলে। উনার একটা সন্তান ছিল। মাঝে মাঝে তিনি ক্লাসের ফাঁকে তার কাছে ছুটে যেতেন।

কোচিংয়ের সুবাদে আমার দুজন নারীর সাথে ভালো সম্পর্ক তেরি হয়েছিল। তাদের একজন নীলা। আরেকজন ঝুনু। নীলা হালকা পাতলা। আর ঝুনু অনেক মোটা। তবে দুজনই ফর্শা- সুন্দরী। তারা আমার ক্লাশের ছাত্রী না হয়েও আমার লেকটচার শোনার জন্য আসতেন! (নিজেদের কেমন মফিজ মনে লইতাছে!)

নীলা মেয়েটা ইভটিজিংয়ের শিকার হতো, সেটি জানার পর একটা 'ব্যবস্থা' করেছিলাম। দক্ষিণ মুহসেন্দীতে ওদের বাসা। বার কয়েক দাওয়া করেছিল, কিন্তু ভভঘুরে কুদ্দুসের সময় কই! যাওয়া হয়নি।
ঋষিকেশ দাস লেনে ছিল ঝুনুদের বাসা। ওর মা বাবা বেশ কয়েকবার বলেছিল পুররো ঢাকার অতিথি আপ্যায়ন কেমন? তা দেখার সুযোগ নিতে। আমি পারিনি।

আল আমিন কোচিংয়ের চাকুরীটা ছাড়ার আগেই আমার প্রথম আলোর প্রদায়ক সংবাদদাতার কাজটা জুটেছিল। আমি সব সময় কাজের মধ্যে থাকি। নট কাম! কাজ না থাকলে ভালো লাগে না। প্রথম আলোর হয়ে কাজ করার সূচনার ফাঁকে রাজীব ভাই বললেন, আপাতত পেজ বেরুচ্ছে না। তাহলে আমার কী করণীয়!

প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো- প্রিয় মুখ নামে একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিন বের হবে। রাজীব ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে যোগ দিলাম। অনেক দিন সেখানে কাজ করেছি।

আমার কিছু অদ্ভূত ঘটনা আছে। তার দুটো প্রিয় মুখে থাকার সময়- আমি ভাবলাম দিনের ১০ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পানি খাবো না। দেখি কাজটা করা যায় কিনা। তাই হলো। সে সময় ইয়ুথ গ্রপ একটা পানীয় বাজারে আনে- নাম দেয় ভার্জিন। সম্ভবত আমি সেই ব্যাক্তি যে সবচেয়ে বেশি ভার্জিন ড্রিংকস খেয়েছি।

মাস চারেক ভার্জিন ড্রিংকস খাওয়ার পর কমিয়ে আনতে বাধ্য হলাম। দিনে মাত্র দুই লিটার! কারণ আমার পানীয়ের খরচ দিতো প্রিয়মুখ কর্তৃপক্ষ। আর খাবার আসতো এলিফ্যান্ট রোড়ের টেস্টি খাবার ঘর থেকে। সেখানে তারা আমার নামটা বদলে দিয়েছিল। নতুন করে রেখেছিল- ' খাইন্না ভাই'।

আরেকটা ঘটনা- আমি সে সময় আজিমপুরের নিউ পল্টনে একটা মেসে উঠলাম। সেই মেসে আমার রুমমেট হিসাবে নিলাম কায়সার ভাইকে। দেয়ালে পোস্টার লিকে তাকে পাওয়া! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সের একটা সাবজেক্ট থেকে পাস করে চাকুরীর খুঁজছেন। দুজন মিলে থাকি, ভালোই কাটছে। কিন্তু কায়সার ভাই বাইরে থাকেন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেন না। আমারো একই হাল।তাই বুয়া মুক্ত মেস!

যেহেতু বাইরেই খেতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একমাস টানা চলবে তেহারি এবং বিরিয়ানী । নীলক্ষেতের তেহারির সুনাম আছে। চেষ্টা করলাম এবং সফল হলাম। ঠিক একমাসের শেষ দিন বাড়ি গেলাম। বিকাল ৫ টার দিকে খেতে বসলাম- এক মাস পরে ভাত! তাও আবার মায়ের হাতে! সে কী সুস্বাদু। চার প্লেট ভাত খাওয়ার পর মনে হলো- পেটে আর জায়গা হবে না। তৃপ্তিতে ডুবে আছি।