ছাত্রদলের অছাত্র নেতাদের দাপটে আসল ছাত্র নেতারা অসহায়। সবাই কাছে এসে বলে, বলে ভাই তুমি তো লিখছো। বাকিরা চুপ চাপ। আমি ভাবলাম, এ অসময়ে হেল্প করার দরকার। বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে লিখে যাচ্ছি। এর মধ্যে পিন্টু ভাইয়ের অনুসারীরা টেন্ডার নিয়ে বুয়েটে গন্ডগোল পাকিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে আমি ক্রমাগত লিখছিলাম। কিছুক্ষণ পর খবর এলো সনি নামে কেমি কৌশল বিভাগের এক ছাত্রী গুলি খেয়ে মারা গেছে। ছুটলাম বুয়েটের দিকে। খবর সংগ্রহ করলাম। যথারীতি অফিসে পাঠানো হলো সে খবর। বন্ধুরা সবাই মিলে কাজ করছি। ভালো লাগছে।
তবে আমাদের টার্গেট সন্ত্রাস করেন এমন ছাত্র নেতাদের হটানো। যদিও বিয়ষটা জটিল কিন্তু আমি হাল চাড়তে চাইনি। ছাত্রদলের মতানুসারী হয়েও আমি এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লিখে যেতে থাকি। আমার টার্গেট ক্যাম্পাসে একটা ভালো পরিবেশ।
ছাত্রদলের অনেক নেতা আমাকে উৎসাহ দিযেছেন্ এর মধ্যে মনির হোসেন ভাই, মোস্তাফিজুল ইসলাম মামুন ভাই, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ কিংবা সফিউল বারী বাবু ভাইয়ের নাম উল্লেখ করতে পারি। আবার অনেকে নিজের স্বার্থে উৎসাহিত করেছেন। তাদের নাম নিতে চাই না। সেটা গোপন থাকাই ভালো।
লেখনির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারে সব সময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উৎসাহ দিতাম। কারণ আমি বরাবরাই চাইছি এ ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্ররা যেন বড় ধরণের অসুবিধার সম্মুখিন না।
তবে সাধারন ছাত্ররা যে সুযোগ পেলে মাথায় ওঠে নাচতে চায় সেটাও দেখার সুযোগ হলো। সনি হত্যাকতাণ্ডের পিন্টু গ্রুপের ক্যাডারা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালালো। এরপর কিছু দিন সাধারণ ছাত্ররা নিজেদের মত করে চলতে থাকলো। তখণ তারা আর কাউকে মানুষের পর্যায়ে মনে করতো না। বিশেষ করে বিভিন্ন হলে সরজমিন ঘুরে এটা দেখলাম। পারলে নেতাদের গায়ে পড়ে, দুটো চড় থাপ্পর মেরে যায় অবস্থা।
এটা দেখে আমার মনে হলো ছাত্রলীগের সময় যে গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা, মাথনত করে সালাম দিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল সেটিই ভালো ছিল।
সে প্রসঙ্গ থাক। ফিরে আসি বুয়েট প্রসঙ্গে। সনি হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল বুয়েট। প্রধান আসামাকি মুকি।
আগেই বলেছি বিএনপির পক্ষে মিডিয়া থাকে না। এ ঘটনা আওয়ামী লীগের সময় ঘটলে তেমন একটা পাত্তা পেত না। যেহেতু বিএনপি সরকারের সময় ঘটেছে তাই এটা নিয়ে তুমুল আন্দোলন। আমি সাংবাদিক হয়েও এ আন্দোলনে সমর্থন জানালাম। নিরলসভাবে রিপোর্ট করেছি।
এ আন্দোলনের এক পর্যায়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহায়তায় বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা একটা অনশন কর্মসূচী পালন করছিল। সে অনশন কর্মসূচীতে লোক ছিল সাকুল্যে ৫০ জনের মত। আমি একটু বাড়িয়ে প্রায় শ' খানেক লিখেছিলাম।
পরের দিন আমার অফিস থেকে বললো প্রথম আলো লিখেছেন শত শত ছাত্র অনশন করছে। আর তুমি লিখছ প্রায় শ খানেক। একই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল আমার বন্ধু ও সে সময়কার ইন্ডেপেনডেন্ট পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ইমামুল হক শামীম।
আমার চিফ রিপোর্টার ছিলেন ছাত্রইউনিয়নের সাবেক নেতা সারোয়ার ভাই। আমি উনাকে বললাম, আমি যা লিখেছি তাই ঠিক। তবুও তিনি মানতে না রাজ। পরে আমি এর একটা তালিকা তাকে দিয়েছিলাম। ছাত্রফ্রন্টের মামুন ভাই ওই অনশণ কো অর্ডিনেট করছিলেন। তার কাছে অনশনকারীদের লিস্ট ছিল। সেটি আমি অফিসে হাজির করলে সারোয়ার ভাইয়ের বড় গলা আস্তে করে নেমে গেলো।
একই তালিকা শামীমকেও দিয়েছিলাম। কিন্তু তা দেখাতে হয়নি ওর অফিসে।
এই প্রথম আমি মিডিয়ার বাড়িয়ে লেখার, বাড়িয়ে দেখানোর এবং তিলকে যে তাল করে প্রচার করা হয় তার একটা উদাহরণ পেলাম। মানুষ যে সাংবাদিককে সাঙ্ঘাতিক বলে তাও জানলাম এ কারণে। তবে বুয়েটের আন্দোলনের সাথে ছিলাম। সমারা বছর বাসায় বন্দী মেয়েরা অনমণে আছে। তাদের একজনের কাছে জানতে চাইলাম কেমন লাগছে। ওর উত্তর এক্সাইটিং। আমিার খুবই ভালো লাগছে। এ প্রথম বাইরে রাত কাটাচ্ছি। সে রকম অভিজ্ঞতা।
আমার সম্পাদক মতি ভাই ভয়েস অব আমেরিকা রিপোর্টার। তার জন্য ওই ভয়েস রেকর্ড করে এনেছিলাম। মতি ভাই, শুনলেন এবং হাসলেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
তবে আমাদের টার্গেট সন্ত্রাস করেন এমন ছাত্র নেতাদের হটানো। যদিও বিয়ষটা জটিল কিন্তু আমি হাল চাড়তে চাইনি। ছাত্রদলের মতানুসারী হয়েও আমি এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লিখে যেতে থাকি। আমার টার্গেট ক্যাম্পাসে একটা ভালো পরিবেশ।
ছাত্রদলের অনেক নেতা আমাকে উৎসাহ দিযেছেন্ এর মধ্যে মনির হোসেন ভাই, মোস্তাফিজুল ইসলাম মামুন ভাই, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ কিংবা সফিউল বারী বাবু ভাইয়ের নাম উল্লেখ করতে পারি। আবার অনেকে নিজের স্বার্থে উৎসাহিত করেছেন। তাদের নাম নিতে চাই না। সেটা গোপন থাকাই ভালো।
লেখনির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারে সব সময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উৎসাহ দিতাম। কারণ আমি বরাবরাই চাইছি এ ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্ররা যেন বড় ধরণের অসুবিধার সম্মুখিন না।
তবে সাধারন ছাত্ররা যে সুযোগ পেলে মাথায় ওঠে নাচতে চায় সেটাও দেখার সুযোগ হলো। সনি হত্যাকতাণ্ডের পিন্টু গ্রুপের ক্যাডারা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালালো। এরপর কিছু দিন সাধারণ ছাত্ররা নিজেদের মত করে চলতে থাকলো। তখণ তারা আর কাউকে মানুষের পর্যায়ে মনে করতো না। বিশেষ করে বিভিন্ন হলে সরজমিন ঘুরে এটা দেখলাম। পারলে নেতাদের গায়ে পড়ে, দুটো চড় থাপ্পর মেরে যায় অবস্থা।
এটা দেখে আমার মনে হলো ছাত্রলীগের সময় যে গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা, মাথনত করে সালাম দিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল সেটিই ভালো ছিল।
সে প্রসঙ্গ থাক। ফিরে আসি বুয়েট প্রসঙ্গে। সনি হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল বুয়েট। প্রধান আসামাকি মুকি।
আগেই বলেছি বিএনপির পক্ষে মিডিয়া থাকে না। এ ঘটনা আওয়ামী লীগের সময় ঘটলে তেমন একটা পাত্তা পেত না। যেহেতু বিএনপি সরকারের সময় ঘটেছে তাই এটা নিয়ে তুমুল আন্দোলন। আমি সাংবাদিক হয়েও এ আন্দোলনে সমর্থন জানালাম। নিরলসভাবে রিপোর্ট করেছি।
এ আন্দোলনের এক পর্যায়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহায়তায় বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা একটা অনশন কর্মসূচী পালন করছিল। সে অনশন কর্মসূচীতে লোক ছিল সাকুল্যে ৫০ জনের মত। আমি একটু বাড়িয়ে প্রায় শ' খানেক লিখেছিলাম।
পরের দিন আমার অফিস থেকে বললো প্রথম আলো লিখেছেন শত শত ছাত্র অনশন করছে। আর তুমি লিখছ প্রায় শ খানেক। একই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল আমার বন্ধু ও সে সময়কার ইন্ডেপেনডেন্ট পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ইমামুল হক শামীম।
আমার চিফ রিপোর্টার ছিলেন ছাত্রইউনিয়নের সাবেক নেতা সারোয়ার ভাই। আমি উনাকে বললাম, আমি যা লিখেছি তাই ঠিক। তবুও তিনি মানতে না রাজ। পরে আমি এর একটা তালিকা তাকে দিয়েছিলাম। ছাত্রফ্রন্টের মামুন ভাই ওই অনশণ কো অর্ডিনেট করছিলেন। তার কাছে অনশনকারীদের লিস্ট ছিল। সেটি আমি অফিসে হাজির করলে সারোয়ার ভাইয়ের বড় গলা আস্তে করে নেমে গেলো।
একই তালিকা শামীমকেও দিয়েছিলাম। কিন্তু তা দেখাতে হয়নি ওর অফিসে।
এই প্রথম আমি মিডিয়ার বাড়িয়ে লেখার, বাড়িয়ে দেখানোর এবং তিলকে যে তাল করে প্রচার করা হয় তার একটা উদাহরণ পেলাম। মানুষ যে সাংবাদিককে সাঙ্ঘাতিক বলে তাও জানলাম এ কারণে। তবে বুয়েটের আন্দোলনের সাথে ছিলাম। সমারা বছর বাসায় বন্দী মেয়েরা অনমণে আছে। তাদের একজনের কাছে জানতে চাইলাম কেমন লাগছে। ওর উত্তর এক্সাইটিং। আমিার খুবই ভালো লাগছে। এ প্রথম বাইরে রাত কাটাচ্ছি। সে রকম অভিজ্ঞতা।
আমার সম্পাদক মতি ভাই ভয়েস অব আমেরিকা রিপোর্টার। তার জন্য ওই ভয়েস রেকর্ড করে এনেছিলাম। মতি ভাই, শুনলেন এবং হাসলেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫০