মান্না ভাই, নয়াক মান্না। তাকে প্রথম সরাসরি দেখছি, একটা আনন্দ-উত্তেজনা কাজ করছে। আগেই বলেছি আমরা বন্ধুরা মিলে বাংলা সিনেমা দেখতাম, তাই মান্নার প্রতি একটা অনুরাগ ছিল।
দুপুরের দিকে তার কাকরাইলে অফিসে উঠে এলাম। প্রথম রুমে ঢুকেই মান্না ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেনস করতেই একজন চোখ বড় বড় করে তাকালেন আমার দিকে। বললেন, কি বিষয়! উনি ধরে নিয়েছেন আমি নায়ক হওয়ার ধান্ধায় এসেছি। বললাম, সাংবাদিক। উনি বললেন, বসেন। ভাইজান ব্যস্ত আছেন। কিছুক্ষন পর আবার তাড়া দিলাম। উনি উঠে গিয়ে বললেন, মান্না ভাইয়ের ডাক পড়লো। ভেতরে যেতেই বললেন, তোমারে বসায়া রাখছে। আমি খুবই সরি। শুরুতেই আপন করে নেয়ার একটা ক্ষমতা তার আছে। আমি মুগ্ধ হলাম। মান্না ভাই বিশাল দেহি মানুষ। বসে আছেন বিশাল একটা চেয়ারে। সামনে বসে থাকা দুজন কে বিদায় করে দিযে বলল, 'ছোডু ভাই তুমি কই পড়।' জানালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কথায় কথায় অনেক কথা হলো। জানালেন কি সংগ্রাম করে তাকে জনপ্রিয় মান্না হতে হয়েছেন। বললেন, পরিচালকরা আমাকে নিতে চাইত না। এখন নেয়ার জন্য পেছনে পেছনে ঘোরে। জীবনে সবখানেই র তুমি প্রতিষ্ঠা পেতে বেগ পাইবা। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পাইলে তর তর করে খালি উপরে উঠবা। কিন্তু আমাদের মত নায়কদের একটা সমস্যা আছে। সেটা হলো দর্শক না চাইলে আমি কিন্তু জিরো।
ঢাকা কলেজে পড়তেন মান্না। সে সময়কার স্মৃতি চারণ নিয়েই আলাপ করতে গেছিলাম। বললেন,মরণচাঁদে মাগনা মিষ্টি খাইতাম। এখনো মনে হয় টাকা পয়সা পাইবো। তবে বিষয়টা খুব এনজয় করতাম। সিনেমা জগত সম্পর্কে অনেক কথা বললেন। তবে সিনেমা শিল্পটা যে একটা নিম্ন মানের দিকে ধাবিত হচ্ছে সেটি তিনি সেই ২০০১ সালেই বলেছিলেন। বললেন, এখানে সবাই টাকা কামাই করতে আসে। কেউ ভালো সিনেমা বানাইতে চায় না, ছোডু ভাই। আবার আর্ট ফিল্ম বানায় যারা ওরা সিনেমা বানায় পুরস্কারের সিনেমা। আমপাবলিকের সিনেমা কেউ বানাইতে চায় না। নিজের সিনেমা নিয়েও বললেন। বললেন, ভালো সিনেমা বানাইতে চাই, পাবলিকের সাপোর্টও আছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে মিডিয়া সেভাবে সাপোর্ট দেয় না।
নিজের এলাকার বন্ধুদের নিয়ে গল্প শোনালেন। অনেকের নামও বলেছিলেন, এখন তাদের নাম মনে পড়ছে না। বললেন, গ্রামে গেলে বন্ধুরা তাকে আপনি করে বলে। এতেই তার আপত্তি। তাই ওদের ওপর রাগ করেন। তবুও গ্রামে যান। এলাকাতে একটা হসপিটাল করার ইচ্ছের কথা জানিযেছিলেন। শেষ পর্যন্ত এটি করা হয়নি। তবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন প্রচুর। এটাইবা কয়জনের ভাগ্যে জোটে।হঠাৎ করেই মান্না ভাই মারা গেছেন বছর কয়েক আগে।
তার সাথে গল্প করে বের হওয়ার সময় বললেন, সময় পাইলে চইলা আইসো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে কেউ তো সিনেমা সাংবাদিক হয় না। তুমি কেন হইলা সেই গল্প শুনমু নে। সময় নিয়া ফোন দিয়া আইসো। আমি বের হলাম তার রুম থেকে। চা ও মিষ্টি খাইয়ে ছেড়ে দেয়ার আগে বার বার তার সাথে দুপুরে খেতে বলছিলেন। বিনয়ী মান্নাকে সিনেমার পর্দার মান্নার সাথে মেলানো ঢের কঠিন। বিদায়। মান্না ভাই, যেখানেই আছেন, ভালো থাকুন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
দুপুরের দিকে তার কাকরাইলে অফিসে উঠে এলাম। প্রথম রুমে ঢুকেই মান্না ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেনস করতেই একজন চোখ বড় বড় করে তাকালেন আমার দিকে। বললেন, কি বিষয়! উনি ধরে নিয়েছেন আমি নায়ক হওয়ার ধান্ধায় এসেছি। বললাম, সাংবাদিক। উনি বললেন, বসেন। ভাইজান ব্যস্ত আছেন। কিছুক্ষন পর আবার তাড়া দিলাম। উনি উঠে গিয়ে বললেন, মান্না ভাইয়ের ডাক পড়লো। ভেতরে যেতেই বললেন, তোমারে বসায়া রাখছে। আমি খুবই সরি। শুরুতেই আপন করে নেয়ার একটা ক্ষমতা তার আছে। আমি মুগ্ধ হলাম। মান্না ভাই বিশাল দেহি মানুষ। বসে আছেন বিশাল একটা চেয়ারে। সামনে বসে থাকা দুজন কে বিদায় করে দিযে বলল, 'ছোডু ভাই তুমি কই পড়।' জানালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কথায় কথায় অনেক কথা হলো। জানালেন কি সংগ্রাম করে তাকে জনপ্রিয় মান্না হতে হয়েছেন। বললেন, পরিচালকরা আমাকে নিতে চাইত না। এখন নেয়ার জন্য পেছনে পেছনে ঘোরে। জীবনে সবখানেই র তুমি প্রতিষ্ঠা পেতে বেগ পাইবা। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পাইলে তর তর করে খালি উপরে উঠবা। কিন্তু আমাদের মত নায়কদের একটা সমস্যা আছে। সেটা হলো দর্শক না চাইলে আমি কিন্তু জিরো।
ঢাকা কলেজে পড়তেন মান্না। সে সময়কার স্মৃতি চারণ নিয়েই আলাপ করতে গেছিলাম। বললেন,মরণচাঁদে মাগনা মিষ্টি খাইতাম। এখনো মনে হয় টাকা পয়সা পাইবো। তবে বিষয়টা খুব এনজয় করতাম। সিনেমা জগত সম্পর্কে অনেক কথা বললেন। তবে সিনেমা শিল্পটা যে একটা নিম্ন মানের দিকে ধাবিত হচ্ছে সেটি তিনি সেই ২০০১ সালেই বলেছিলেন। বললেন, এখানে সবাই টাকা কামাই করতে আসে। কেউ ভালো সিনেমা বানাইতে চায় না, ছোডু ভাই। আবার আর্ট ফিল্ম বানায় যারা ওরা সিনেমা বানায় পুরস্কারের সিনেমা। আমপাবলিকের সিনেমা কেউ বানাইতে চায় না। নিজের সিনেমা নিয়েও বললেন। বললেন, ভালো সিনেমা বানাইতে চাই, পাবলিকের সাপোর্টও আছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে মিডিয়া সেভাবে সাপোর্ট দেয় না।
নিজের এলাকার বন্ধুদের নিয়ে গল্প শোনালেন। অনেকের নামও বলেছিলেন, এখন তাদের নাম মনে পড়ছে না। বললেন, গ্রামে গেলে বন্ধুরা তাকে আপনি করে বলে। এতেই তার আপত্তি। তাই ওদের ওপর রাগ করেন। তবুও গ্রামে যান। এলাকাতে একটা হসপিটাল করার ইচ্ছের কথা জানিযেছিলেন। শেষ পর্যন্ত এটি করা হয়নি। তবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন প্রচুর। এটাইবা কয়জনের ভাগ্যে জোটে।হঠাৎ করেই মান্না ভাই মারা গেছেন বছর কয়েক আগে।
তার সাথে গল্প করে বের হওয়ার সময় বললেন, সময় পাইলে চইলা আইসো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে কেউ তো সিনেমা সাংবাদিক হয় না। তুমি কেন হইলা সেই গল্প শুনমু নে। সময় নিয়া ফোন দিয়া আইসো। আমি বের হলাম তার রুম থেকে। চা ও মিষ্টি খাইয়ে ছেড়ে দেয়ার আগে বার বার তার সাথে দুপুরে খেতে বলছিলেন। বিনয়ী মান্নাকে সিনেমার পর্দার মান্নার সাথে মেলানো ঢের কঠিন। বিদায়। মান্না ভাই, যেখানেই আছেন, ভালো থাকুন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন