অফিস থেকে মতি ভাই অ্যাসাইন করলেন, ইডেন কলেজ নিয়া রিপোর্ট করতে। মানবজমিনের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, সে কথাও জানিয়ে রাখলেন। সে হিসাবে বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইডেন, ঢাকা ও জগন্নাথ কলেজ আমার কাজের পরিধির মধ্যে পড়ে।
ইডেন নিয়া রিপোর্ট করতে গিয়া পুরা সমস্যায় পড়লাম, আমার চেনা জানা কেউ নেই। দ্বারস্থ হলাম আমিরুল ইসলাম কান আলিম ভাইয়ের। ছাত্রদলের এ নেতা পরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। উনার এলাকার এক নেত্রী ছিলেন- নাম রুমা। কাতল মাছের মতো চেপ্টা বডি। প্রচণ্ড শক্তিমান নেত্রী। দলবলেও ভারি। তাকে ফোন দেয়ার পর সে হোস্টেলে থাকে এমন কিছু ছাত্রী নিয়ে মধুতে দেখা করতে এলেন।
তাদের কাছে ইডেনের ছাত্রীদের বিভিন্ন সমসন্যা শুনে এবং পরে দুদিন ইডেন গিয়ে, শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে একটা রিপোর্ট করলাম। রিপোর্টটা চলনসই হয়েছে বলে জানালেন মতি ভাই।
মতি বললেন, সেখানে অনেক চমকপ্রদ খবর হয়, সে দিকে নজর দেবার জন্য। পরে অবশ্য ঠিকই জেনেছিলাম সেখানকার অনেক চমকপ্রদ খবর, তবে সে সব লিখতে পারিনি। পারিনি বলে হয়ত বছর দুয়েক আগে সেখাকনার ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে ছাত্রনেতাদের কাছে সাধারণ ছাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য চালান করার খবর প্রকাশ হয়।
তবে সে সময়ও এটা ছিল। ছাত্রদলের কিছু নেতা ছাড়াও সরকারের মন্ত্রীদের কারো কারো জন্য গণিমত যেত ইডেন থেকে। যারা এ সব সাপ্লাই করতেন তাদের প্রভাব ছিল সে রকম। মন্ত্রীরা তাদের কল পাওয়া মাত্রই রিসিভ করেন। না পারলে পরে ব্যাক করেন। সে সব নিজের চক্ষে দেখা। যেখানে ছাত্রদলের বা ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় পুরুষ নেতা মন্ত্রীর দেখা পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয়, সেখানে ছাত্রী নেত্রীদের জন্য সদর দরজা উন্মুক্ত। আহা কি শান্তি। সে সুবাধে ছাত্রী নেত্রীদের অনেকে ব্যাপক তদবির করে মাল কি ভালাই করছেন। এটা সব আমলেই ছিল, এখনো আছে।
তবে ইডেনের নেত্রীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্রুপিং। এখানে চরম গ্রুপিংয়ের সাথে নোংরামিও চলে বেশ। চরিত্র হনন যাকে বললেন, খোলাসা করে বলা হবে। কে কার বাসায় যায়, কে কার বাসায় কাকে পাঠায় এমনকি সাংবাদিকদের জন্য কে কাকে সরবরাহ করা হয় সে খবরও পাচ্ছিলাম।
২০০২ থেকে ২০০৪ সালের দিকে ইডেনে ছাত্রদলের তিনটি প্রধান গ্রুপ ছাড়াও আরো দুটো উপ গ্রুপ ছিল।
তবে এ নেত্রীদের কাজকর্ম খুব একটা পছন্দনীয় নয়। তাতে কি তাদের তো আর বড় ভাইয়ের অভাব নেই। পরের কন্যা বড় ভাইদের সম্প্রদান করে ইডেন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেত্রীরা রাজনীতিতে ভালো অবস্থানেই আছেন।
তবে ছাত্র নেত্রীদের প্রায় সবাইকে স্বার্থপর বলতে হবে, কারণ এরা প্রয়োজন ফুরালে কেটে পড়বে। এবং কেটে পড়েও। দু একজন ব্যাতিক্রম ছাড়া। তবে আমার সাথে সবার সমান খাতির ছিল। যদিও আমি অলমোস্ট সবার বিরুদ্ধে দুচারবার করে রিপোর্ট করেছিলাম। তারা ক্ষিপ্ত হযেছে কেউ। কেউ আমার জন্য কিছু সরবরাহ করতে চেয়েছেন, যাতে পরে আরো রিপোর্ট তার বিরুদ্ধে না হয়, বা না করি। যেহেতু সরবরাহ গ্রহণ করতে আমি অক্ষম তাই তারা পরে বিব্রত হয়েছেন। তবে এখনো আমার সাথে ভালো মোয়ামেলাত আছে নিশিতার সাথে। নিশিতা আপার অনেক বদনাম আছে, কিন্তু মানুষ হিসাবে উনি ভালো বলেই আমি জানি। এখনো তিনি খোঁজ খবর রাখেন। আমিও রাখি। ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেত্রীর দুরদর্শিতা আমাকে মুগ্ধ করে। তাই বোধ হয় ইডেনের অনেক নেত্রী সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেলেও নিশিতা টিকে আছেন।
ইডেন নিয়া রিপোর্ট করতে গিয়া পুরা সমস্যায় পড়লাম, আমার চেনা জানা কেউ নেই। দ্বারস্থ হলাম আমিরুল ইসলাম কান আলিম ভাইয়ের। ছাত্রদলের এ নেতা পরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। উনার এলাকার এক নেত্রী ছিলেন- নাম রুমা। কাতল মাছের মতো চেপ্টা বডি। প্রচণ্ড শক্তিমান নেত্রী। দলবলেও ভারি। তাকে ফোন দেয়ার পর সে হোস্টেলে থাকে এমন কিছু ছাত্রী নিয়ে মধুতে দেখা করতে এলেন।
তাদের কাছে ইডেনের ছাত্রীদের বিভিন্ন সমসন্যা শুনে এবং পরে দুদিন ইডেন গিয়ে, শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে একটা রিপোর্ট করলাম। রিপোর্টটা চলনসই হয়েছে বলে জানালেন মতি ভাই।
মতি বললেন, সেখানে অনেক চমকপ্রদ খবর হয়, সে দিকে নজর দেবার জন্য। পরে অবশ্য ঠিকই জেনেছিলাম সেখানকার অনেক চমকপ্রদ খবর, তবে সে সব লিখতে পারিনি। পারিনি বলে হয়ত বছর দুয়েক আগে সেখাকনার ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে ছাত্রনেতাদের কাছে সাধারণ ছাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য চালান করার খবর প্রকাশ হয়।
তবে সে সময়ও এটা ছিল। ছাত্রদলের কিছু নেতা ছাড়াও সরকারের মন্ত্রীদের কারো কারো জন্য গণিমত যেত ইডেন থেকে। যারা এ সব সাপ্লাই করতেন তাদের প্রভাব ছিল সে রকম। মন্ত্রীরা তাদের কল পাওয়া মাত্রই রিসিভ করেন। না পারলে পরে ব্যাক করেন। সে সব নিজের চক্ষে দেখা। যেখানে ছাত্রদলের বা ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় পুরুষ নেতা মন্ত্রীর দেখা পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয়, সেখানে ছাত্রী নেত্রীদের জন্য সদর দরজা উন্মুক্ত। আহা কি শান্তি। সে সুবাধে ছাত্রী নেত্রীদের অনেকে ব্যাপক তদবির করে মাল কি ভালাই করছেন। এটা সব আমলেই ছিল, এখনো আছে।
তবে ইডেনের নেত্রীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্রুপিং। এখানে চরম গ্রুপিংয়ের সাথে নোংরামিও চলে বেশ। চরিত্র হনন যাকে বললেন, খোলাসা করে বলা হবে। কে কার বাসায় যায়, কে কার বাসায় কাকে পাঠায় এমনকি সাংবাদিকদের জন্য কে কাকে সরবরাহ করা হয় সে খবরও পাচ্ছিলাম।
২০০২ থেকে ২০০৪ সালের দিকে ইডেনে ছাত্রদলের তিনটি প্রধান গ্রুপ ছাড়াও আরো দুটো উপ গ্রুপ ছিল।
তবে এ নেত্রীদের কাজকর্ম খুব একটা পছন্দনীয় নয়। তাতে কি তাদের তো আর বড় ভাইয়ের অভাব নেই। পরের কন্যা বড় ভাইদের সম্প্রদান করে ইডেন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেত্রীরা রাজনীতিতে ভালো অবস্থানেই আছেন।
তবে ছাত্র নেত্রীদের প্রায় সবাইকে স্বার্থপর বলতে হবে, কারণ এরা প্রয়োজন ফুরালে কেটে পড়বে। এবং কেটে পড়েও। দু একজন ব্যাতিক্রম ছাড়া। তবে আমার সাথে সবার সমান খাতির ছিল। যদিও আমি অলমোস্ট সবার বিরুদ্ধে দুচারবার করে রিপোর্ট করেছিলাম। তারা ক্ষিপ্ত হযেছে কেউ। কেউ আমার জন্য কিছু সরবরাহ করতে চেয়েছেন, যাতে পরে আরো রিপোর্ট তার বিরুদ্ধে না হয়, বা না করি। যেহেতু সরবরাহ গ্রহণ করতে আমি অক্ষম তাই তারা পরে বিব্রত হয়েছেন। তবে এখনো আমার সাথে ভালো মোয়ামেলাত আছে নিশিতার সাথে। নিশিতা আপার অনেক বদনাম আছে, কিন্তু মানুষ হিসাবে উনি ভালো বলেই আমি জানি। এখনো তিনি খোঁজ খবর রাখেন। আমিও রাখি। ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেত্রীর দুরদর্শিতা আমাকে মুগ্ধ করে। তাই বোধ হয় ইডেনের অনেক নেত্রী সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেলেও নিশিতা টিকে আছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন