কিস্তি -২ :জানলাম নোয়াখাইল্যা আর বরিশাইল্যারা চরম খারাপ

উচ্চ মাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষায় মেধা তালিকায় আমার নাম ছিল, তাই 
মেসজুড়ে সবাই একটু ভিন্ন চোখে দেখতো।সদ্য মফস্বল থেকে আসা একটা ছেলে আমি, সেখানেও মানুষের খাতির পেয়ে বেড়ে উঠেছি। তাই এটা আমার কাছে বাড়তি আকর্ষন ছিল না। 
যেটা আমাকে আকর্ষন করেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছেলেরা এখানে আছে। আমি নোয়াখালী থেকে। কেউ বরিশাল। কেউ চট্টগ্রাম। কারো বাড়ি টাঙ্গাইল।এখানে এসে জানলাম নোয়াখাইল্যা আর বরিশাইল্যারা চরম খারাপ। আমার বন্ধুর তালিকায় দু এলাকার লোকই ছিল। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আমার ঢাকায় আসা।ভর্থি হলাম একটা কোচিংয়ে। বন্ধুরা সবাই মিলে পড়াশোনা চলছে। তবে আমার পড়ার চেয়ে ঢাকা দেখাতে মন বেশি।

মাদারীপুরের বন্ধু আলী আজম, টাঙ্গাইলের হাবিব, চট্টগ্রামের পোয়া আলিমুল হক আর আমার ঘনিষ্ঠতম সামাদ। যাকে সবাই শহিদ নামে চিনে।আমরা সবাই এক সাথে আড্ডা দিতাম। মেসের ছাদে আড্ডা জমত। সে আড্ডায় অনেকে হাজির হতেন, যারা বয়সে ছোট বা বড়। 
এভাবেই শুরু। তবে আমি মেসের বাইরে বেশি সময় থাকতাম। বেশির ভাগ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। এটা নিয়ে পরের কিস্তি 


১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

কোন মন্তব্য নেই: