লাইসেন্সিং গাইড লাইন লঙ্গন করে গ্রামীণফোন Transmission Network লিজ দিচ্ছে। ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়নের আগেই তাদের অনুকূলে ইস্যু করা লিজ পারমিট এর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় BTRC।
২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।
হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন, আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।
Transmission Network বলতে বিটিআরসি ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।
বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'
' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি। তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।
ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।
মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।
'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।
সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।
গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের বিনিয়োগে গড়ে ওঠা অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে। যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।
২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর মোবাইলফোন অপারেটরদের ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিটিআরসি টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service নিতে হবে।
এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে অপারেটরটি হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''
মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।
মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062
২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠি অনুসারে, শুধুমাত্র এনটিটিএন অপারেটররা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রদান করবে।
হাতে আসা কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের Transmission Network কাস্টমারের তালিকায় আইএসপি অলওয়েজ অন, আমরা কম, বিডিকম, মেট্রোনেট, এম অ্যান্ড এইচ, র্যাংক আইটি, গেটকো, টেলনেটকমসহ অনেক প্রায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, রংপুর, বগুড়াসহ সারা দেশে সেবা নিচ্ছে।
Transmission Network বলতে বিটিআরসি ই-ওয়ান, অপটিক্যাল ফাইবার, ডাক্ট অ্যান্ড এনি টেলিকম ইন্সটলেশন্সকে বুঝিয়ে থাকে।
বিটিআরসির একজন সিনিয়র অফিসিয়াল ইনডিপেনডেন্টকে বলেন,' গ্রামীণফোন অপটিক্যাল ফাইবার, ই ওয়ান এসটিএম সহ বিভিন্ন Transmission Network ভাড়া দিচ্ছে। তাদের বার বার চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।'
' ১১ জুন 2015 ডাক ও টেলিকম বিভাগে Transmission Network বিষয়ক এক বৈঠকেও আমরা গ্রামীণ ফোনের বিষয়টি তুলেছি। তারা কৌশলে অপটক্যিাল ফাইবার লে আউট করছে। এ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিবৃত্ত নয়। ' যোগ করেন বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা।
ইনডিপেনডেন্টের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোন একটি ই-ওয়ান এর ভাড়া বাবদ ক্লায়েন্টর জন্য প্রতিমাসে বিল করে থাকে ৫ হাজার টাকা থেকে 40 হাজার টাকা পর্যন্ত ।
মোবাইলফোন অপারেটররা Transmission Network লিজ দিতে পারতো ২০০৯ সাল পর্যন্ত ----৭ জুন ২০১৫ বিটিআরসি'র সিনিয়র সহকারি পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং ডিভিশন) নাফিসা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে মোবাইলফোন অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন করা হলেও তাদের অনুকুলে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক লিজ দেবার পারমিট রিনিউ অথবা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।
'এনটিটিএন লাইসেন্স এক্সিসটিং থাকার পর বিটিআরসি'র গাইডলাইন অনুসারে কোনো টেলিকম অপারেটরই অন্য টেলিকম, আইএসপি অথবা পিএসটিএন অপারেটরের কাছে Transmission Network লিজ দিতে পারে না। ' যোগ করেন বিটটিআরসি কর্মকর্তা।
সেলুলার মোবাইলফোন অপারেটর রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ২০১১ এর ক্লস ৬.২ এ ৭ টি সেবার বিষয় মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে দেশে ও দেশের বাইরে ভয়েস কল, এসএমএস, ইএমএস, ভিএমএস, ইন্টারটেন সেবা ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভিএএস) কথা বলা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসও বিটিআরসি থেকে সময় সময় অনুমতি নিতে হবে।
গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অনুসারে ,নরওয়ের টেলিনরের বিনিয়োগে গড়ে ওঠা অপারেটরটি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে দেয়া transmission নেটওয়ার্ক সার্ভিস এর জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটেই হোলসেল বিজনেস নামে আলাদা বিভাগও রেখেছে। যেখানে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিসের প্রাইস লিস্ট ও প্রডাক্ট ক্যাটালগ আপলোড করা। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাইস লিস্টটির বিটিআরসি এপ্রুভাল ডেট ১৫ অক্টোবর ২০০৯। অর্থা এর পরে আর কোনো প্রাইস এপ্রুভাল নেই।
২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স দেবার পর মোবাইলফোন অপারেটরদের ট্রান্সমিশন সার্ভিস রহিত করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিটিআরসি টেলিকম লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, টেলিকম সেবাদাতাদের এনটিটিএন লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকেই transmission service নিতে হবে।
এর পরেও গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সার্ভিস কি ভাবে লিজ দিচ্ছে ? এমন প্রশ্নে অপারেটরটি হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল ই মেইলে the independent কে জানান, ''Being respectful of and fully compliant with the relevant laws of Bangladesh, GP is taking and providing lease of applicable transmission capacities in line with the relevant BTRC guideline.''
মূলধনী ব্যয় কমিয়ে টেলিকম সেবাকে সাশ্রয়ী করবার জন্য বিটিআরসি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করার পর মোবাইলফোন অপাটেরদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্যও ফাইবার লে আউট, লং হল ট্রান্সমিশন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিটিআরসি।
মূল ইংরেজি রিপোর্টের লিংক ::http://www.theindependentbd.com/post/4062