হলের রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকে, এখনো আছে। বঙ্গবন্ধু হল এর ব্যাতিক্রম ছিল না। আমাদের সময় এ গ্রুপিং খুব একটা চাঙ্গা না হলেও ভালাই ছিল। সোহেলের গ্রুপটা শক্তিশালী ছিল। এটা দু'টি কারণে প্রথমত ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলিম ভাইয়ের সাথে ছিল। দ্বিতীয়ত সোহেল মানুষ হিসাবে দিলখোলা। আমার বন্ধু বলে বলছি না, আসলে সত্যি ঘটনা।
আকরাম ভাইও মানুষ ভালো। নামজুল ভাইও। তবে নাজমুল ভাই কোন গ্রুপে আছেন সেটা খোলাসা ছিল না অনেকের কাছে। আমরা যারা তার কাছের তারা জানতাম।
আকরাম ভাই হলের প্রেসিডেন্ট। উনি মূলত মনির ভাইয়ের গ্রুপের। মনির ভাই রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর সফিউল বারি বাবু গ্রুপ করতেন।
নোয়াখালীর লোকের গ্রুপ করলেও নোয়াখালীর ছাত্রদের প্রতি তার খুব একটা সহানুভূতি ছিল বলে আমার জানা নেই। আকরাম ভাই নিজেকে একটু প্রগতিশীল ধাঁচের বলে প্রমাণ করতে চাইতেন, তাই অনেকটা ধরি মাছ না ছুই পানি টাইপের ছিলেন ।
সব মিলিয়ে সাধারন ছাত্রদের মধ্যে সোহেলের জনপ্রিয়তা ছিল। বিশ্বাসের জায়গায় আকরাম ভাই, নাজমুল ভাই এবং সোহেল তিন জনই ছাত্রদলের। এটা বলছি কারণ হলো ছাত্রদলের তিনটা ধারা। এক ধারা ছাত্রলীগ পন্থী, আরেক ধারা শিবির প্রশ্রয়ী, আরেক ধারা ছাত্রদলের। এ তিন ধারা মিলে ছাত্রদল। তবে ছাত্রদলের চেয়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে ব্যাপক ভিত্তিক ছাত্র শিবির অবস্থান করে, যদিও ছাত্রলীগ সব সময় শিবির বিরোধী। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সবচেয়ে বেশি প্রশ্রয় পায় ছাত্রলীগের কাছ থেকে। সে কথা থাক।
হলেই ফিরি। আমাদের হলে ছাত্রলীগের সহ অবস্থানের কথা আসলে হল ছাত্রদল এটা মেনে নেয়। সে সুবাধে হল ছাত্রলীগ হল সেক্রেটারি ফজলু ভাই হলে উঠলেন। আরো অনেককে হলে থাকতে আমি সহায়তা করেছি্। এর মধ্যে বন্ধু মোশাররফ, ১১৭ নম্বর রুমে থাকতো আমার রুমমেট তারেক সিকদার, আমাদের আরেক বন্ধু জিল্লু।
এ রকম ছাত্রলীগের অনেকেই হলে থাকতো। তারা যেনো কোনো সমস্যায় না পড়ে সেটি আমি সব সময় খেয়াল রাখতাম, এতে অনেকে মনে করতো আমি ছাত্রলীগ করি। আসলে ঘটনা, তা না। আমি গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছি, আমি জানি গ্রামীন নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারের এ সব ছেলেদের হলের বাইরে থেকে পড়াশোনা করা খুবই কঠিন। তাই তাদের হলে থাকার ব্যাপারে আমি সব সময় সোচ্চার ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রনেতা সবাইকে আমি এ ক্ষেত্রে সব সময় উৎসাহ যোগাতাম।
আমার হলের নেতারা এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু এ আন্তরিক নেতারা মহাজোট সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে মিছিল করতে পারেন না, হলে থাকতে পারেন না। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। কিন্তু ওরা খারাপ করছে বলে ফের বিএনপি ক্ষমতায় এলে এরা তা করুক আমি চাই না। ছাত্রলীগের অনেক নেতাই ভালো চান, কিন্তু পারেন না। কারণ গ্রুপিং। বরিশাল, শরিয়তপুর মাদারীপুর আর ভেতরে আরো কত রকমের গ্রুপিং ছিল তখণ, এখনো আছে। এ কারণে সব সময় চাইলেও অনেকে অনেক কিছু করতে পারেন না। আমি এখনো চাই হলে হলে সহ অবস্থান এবং ছাত্রনেতাদের নিষ্পেষণ থেকে সাধারণ ছাত্রদের মুক্তি। জানি এটা কেবলই স্বপ্ন। তবে স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই, কোনো একদিন এমন হবেই আমি এটা নিশ্চিত করে বিশ্বাস করি।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০
আকরাম ভাইও মানুষ ভালো। নামজুল ভাইও। তবে নাজমুল ভাই কোন গ্রুপে আছেন সেটা খোলাসা ছিল না অনেকের কাছে। আমরা যারা তার কাছের তারা জানতাম।
আকরাম ভাই হলের প্রেসিডেন্ট। উনি মূলত মনির ভাইয়ের গ্রুপের। মনির ভাই রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর সফিউল বারি বাবু গ্রুপ করতেন।
নোয়াখালীর লোকের গ্রুপ করলেও নোয়াখালীর ছাত্রদের প্রতি তার খুব একটা সহানুভূতি ছিল বলে আমার জানা নেই। আকরাম ভাই নিজেকে একটু প্রগতিশীল ধাঁচের বলে প্রমাণ করতে চাইতেন, তাই অনেকটা ধরি মাছ না ছুই পানি টাইপের ছিলেন ।
সব মিলিয়ে সাধারন ছাত্রদের মধ্যে সোহেলের জনপ্রিয়তা ছিল। বিশ্বাসের জায়গায় আকরাম ভাই, নাজমুল ভাই এবং সোহেল তিন জনই ছাত্রদলের। এটা বলছি কারণ হলো ছাত্রদলের তিনটা ধারা। এক ধারা ছাত্রলীগ পন্থী, আরেক ধারা শিবির প্রশ্রয়ী, আরেক ধারা ছাত্রদলের। এ তিন ধারা মিলে ছাত্রদল। তবে ছাত্রদলের চেয়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে ব্যাপক ভিত্তিক ছাত্র শিবির অবস্থান করে, যদিও ছাত্রলীগ সব সময় শিবির বিরোধী। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সবচেয়ে বেশি প্রশ্রয় পায় ছাত্রলীগের কাছ থেকে। সে কথা থাক।
হলেই ফিরি। আমাদের হলে ছাত্রলীগের সহ অবস্থানের কথা আসলে হল ছাত্রদল এটা মেনে নেয়। সে সুবাধে হল ছাত্রলীগ হল সেক্রেটারি ফজলু ভাই হলে উঠলেন। আরো অনেককে হলে থাকতে আমি সহায়তা করেছি্। এর মধ্যে বন্ধু মোশাররফ, ১১৭ নম্বর রুমে থাকতো আমার রুমমেট তারেক সিকদার, আমাদের আরেক বন্ধু জিল্লু।
এ রকম ছাত্রলীগের অনেকেই হলে থাকতো। তারা যেনো কোনো সমস্যায় না পড়ে সেটি আমি সব সময় খেয়াল রাখতাম, এতে অনেকে মনে করতো আমি ছাত্রলীগ করি। আসলে ঘটনা, তা না। আমি গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছি, আমি জানি গ্রামীন নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারের এ সব ছেলেদের হলের বাইরে থেকে পড়াশোনা করা খুবই কঠিন। তাই তাদের হলে থাকার ব্যাপারে আমি সব সময় সোচ্চার ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রনেতা সবাইকে আমি এ ক্ষেত্রে সব সময় উৎসাহ যোগাতাম।
আমার হলের নেতারা এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু এ আন্তরিক নেতারা মহাজোট সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে মিছিল করতে পারেন না, হলে থাকতে পারেন না। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। কিন্তু ওরা খারাপ করছে বলে ফের বিএনপি ক্ষমতায় এলে এরা তা করুক আমি চাই না। ছাত্রলীগের অনেক নেতাই ভালো চান, কিন্তু পারেন না। কারণ গ্রুপিং। বরিশাল, শরিয়তপুর মাদারীপুর আর ভেতরে আরো কত রকমের গ্রুপিং ছিল তখণ, এখনো আছে। এ কারণে সব সময় চাইলেও অনেকে অনেক কিছু করতে পারেন না। আমি এখনো চাই হলে হলে সহ অবস্থান এবং ছাত্রনেতাদের নিষ্পেষণ থেকে সাধারণ ছাত্রদের মুক্তি। জানি এটা কেবলই স্বপ্ন। তবে স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই, কোনো একদিন এমন হবেই আমি এটা নিশ্চিত করে বিশ্বাস করি।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০