শ্রম আদালতে অভিযুক্ত বাংলালিংক;শোকজ।

বাংলালিংক সিইও, সিটিও এবং সিসিওকে শো করেছে শ্রম আদালত । ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান তাবাসসুম ইসলাম ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে এ শোকজ করেছেন , যাতে 'ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ কেন বন্ধ করা হবে না এবং ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, কর্মীদের ছাঁটাই, বদলী , হয়রানি , বেতন বন্ধ রাখা অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে শ্রম আদালত ।

মামলার বাদী বাংলালিংক এম্পলয়িজ ইউনিয়ন (প্রস্তাবিত) সভাপতি উজ্জল পাল এবং সেক্রেটারি বখতিয়ার হোসেন ।


শোকজ প্রাপ্তর বাকি তিনজন - সিনিয়র ডাইরেক্টর-এইচ আর, রেগুলেটির এবং লিগ্যাল ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে শ্রম আদালত এ নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ সাময়িক স্থগিত করারও অস্থায়ী আদেশ দিয়েছে। 


২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংক তার কর্মীদের ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ সুবিধা নেয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করেছিল । এর বেশি সময়ও তারা বাড়াবেন না জানিয়ে দেন অপারেটরটির সিইও এরিক অস ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার, স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের সময় শেষ হবে বলে এরিক নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ঘোষিত সময়ের মধ্যেই কর্মীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর সময় আর বাড়ছে না।’
সে অনুযায়ী সময় বাডেনি ।


এরিক রাজধানীতে গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কোনো সমস্যা দেখছি না। কোম্পানি ডিজিটাল হতে যাচ্ছে। পুরানো মোবাইল কোম্পানির ধারণা আর নেই। এখন পরিবর্তনের সময়। গ্রাহক সেবার জন্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যারা কোম্পানির নতুন পথ চলায় অবদান রাখতে পারবে তাদের জন্য সুযোগ তো থাকছেই।’

কতসংখ্যক কর্মী চাকরি হারাবেন সেই বিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটরটির চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার (সিসিও) শিহাব আহমদ জানান, সংখ্যা এখনই ঠিক করা হয়নি। ডিজিটাল রূপান্তরের পরিকল্পনায় কোম্পানির প্রয়োজনই এই সংখ্যা চূড়ান্ত করে দেবে।

আর ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ নামে কর্মীদের এই স্বেচ্ছা অবসরের অফার যদি নির্ধারিত সময়ে কেউ না নেয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে চাকরি হারালে এই স্কিমের সুবিধা আর মিলবে না বলেও জানান শিহাব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন।

অপারেটরটির কর্মীরা ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’র সময় জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন ।বাংলালিংক এম্লয়িজ ইউনিয়নের (প্রস্তাবিত) সভাপতি উজ্জল পাল আলাপকালে জানালেন, আমরা চেয়েছিলাম ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’এর মেয়াদও বাড়ানো হোক। তাঃক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত খুবই মুশকিল।

টেলিকম খাতে চাকুরীর বাজার সঙ্কুচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, শীর্ষ অপারেটর ছাঁটাই করার উপর আছে। তারা এখন কেউ চলে গেলে বা বাদ দিলে সেখানে নতুন লোক নিচ্ছে না।
উজ্জলের মতে, টেলিকম কোম্পানিগুলোর আয় বাড়ছে। কিন্তু তারা কর্মী হয়রানি করছে। এটা হতে পারে না।

তিনি জানান, আইন অনুসারে কােম্পানীর চাকুরী বিধিমালা শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার কথা। কিন্তু, অধ্যাবদি বাংলালিংকের চাকুরী বিধিমালা শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত নয়। বরং যখন খুশি তখন পলিসি তৈরী করা হয়।
তবে এ বিষয়ে বাংলালিংক সিইও এরিক অস বলছেন, তারা শ্রম আইন মেনেই চলছেন ।

আঙুলের ছাপ নিয়ে তর্ক; ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়াটা কঠিন!

আঙুলের ছাপ নিয়ে তর্ক উঠেছে; এটাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়াটা কঠিন।  কারণ আমাদের মত অপরাধ-মজ্জাগত সমাজে এর অপব্যাবহার নিশ্চিতভাবেই হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ এখানে স্ত্রী-স্বামীর সম্পর্ক পর্যন্ত ইউটিউবে উঠে আসে, প্রেমিকার সাথে গোপন সংলাপ সাউন্ডক্লাউডে আপ হয়, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দু'জন শীর্ষ রাজনৈতিকের টেলিফান আলাপ সম্প্রচার-ব্রেকিং প্রতিযোগিতা চলে।

সেখানে অপরাধী পরিবর্তন করার প্রাচীন প্রথাকে আধুনিক যুগে আঙুলের ছাপ বেঁচে করে দেয়া খুবই সম্ভব একটা কাজ। যেমন আগে কালা মিয়া খুন করেছে সাদা মিয়াকে খুনী বানিয়ে কালা মিয়াকে পার করে দেয়া যেত। এখন আঙ্গুলে ছাপ কিনে যে কাউকে এ দায় থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়ে উঠতে পারে!

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে প্রযুক্তিবিদ স্বপন ভাই (জাকারিয়া স্বপন) বলছিলেন, কেবল আর্থিক জালিয়াতির কথা।  কিন্তু এখানে অপরাধ---অপরাধী পরিবর্তন করে দেয়াও সম্ভব।

এ সম্ভবটা এখন দেশের চৌহদ্দিতে আছে, সীমিত আকারে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  প্যারিসে হামলা, কিম্বা আম্রিকায় হামলার ঘটনায়  পাপিস্তানিদের দেখা মেলে। সময় হয়ত এমন হবে যে রাজনৈতিক  সঙ্কট আমাদের জীবনে এর চে বেশি বিপন্ন করার মত মিথ্যা ঘটনার অবতারণা হতে পারে।

বলা হতে পারে--- আইএস প্রধানের আঙুলের ছাপ বাঙালি কোনে লোকের । যাকে ধরার জন্য এখানে আম্রিকান সৈন্যের উপস্থিতি জরুরী।  আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিকাশ, অপশাসন এবং বিস্তৃতির সাথে প্রযুক্তির অন্য রকম একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই, প্রযুক্তির জাল থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো--- আমাদের কোনো না কোনোভাবেই   একটা ডিজিটাল দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে। আমরা জেনে বা নে জেনে এতে আবদ্ধ হচ্ছি।

ফেসবুকে আপনি কতটা সাহসী কিম্বা আপনি কতটা সেক্সি টাইপের যে সব অ্যাপ আমরা ইউজ করি, তারা যে আমার ফেসবুকের তথ্য সংযোগ করে এনালাইসিস করে; সেখানও আমার ব্যক্তিগত তথ্য  তারা নিয়ে নিতে পারে, নিয়ে নেয়ও বটে। নইলে একের পর এক মিয়াঁও বিয়াঁও টাইপের এপের রিকোয়েস্ট আমাদের কাছে আসতো না।

 মাইন্ড রিড করে ফেসবুক, গুগল কিন্তু আপনার চোখের সামনে বিজ্ঞাপন বেচতেছে।

 আমরা অত্যন্ত হালকাভাবেই বিষয়টাকে নিচ্ছি।

 জাতীয় নিরাপত্তা, সমাজের স্থিতি নিশ্চিত, অপরাধী সনাক্ত করার জন্য সরকারের যে কোনো উদ্যোগকে আমি ব্যক্তিগভাবে অভিনন্দন জানাই।

 কিন্তু মোবাইলফোনের সংযোগ গ্রহিগতা সনাক্ত করার জন্য আঙুলের ছাপ নেয়া খুব জরুরী বলে মনে করি না। কারণ যে বা যারা এ অপরাধ করবে-- তাদের কাছে  সিমলেক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই অপরাধ করা সম।ব। এবং সেটি হচ্ছে।

 খেয়াল করলে দেখবেন-- ভাইবার কিন্তু বলেই দিচ্ছে আপনি তার কল ট্র্যাক করতে পারবেন না। আসলে আপনি পারবেন না।  তাহলে যেখানে প্রথাগত ভয়েস কলের বাজার যখন পড়ে যাচ্ছে, ডিজিটাল ট্রান্সফরশেনের দিকে যাচ্ছে মোবাইলফোনের সংযোগ; সেখানে  এ ধরণের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ না করে, সংযোগ গ্রহিতা তার পরিচয়পত্র দিয়ে নিজেকে নিশ্চিত করে নিতে পারতেন। আঙুলের ছাপের মত একটি স্পর্শকাতর সম্পদ তৃতীয়পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনার দরকার পড়তো না।

সরকার আসলে  অনেক কিছু না ভে্বেই কাজটা করেছেন। এর জন্য কোনো রকমের গ্রাউন্ডওয়ার্ক করা হয়নি বলেই মনে হচ্ছে, হলে এর রিস্ক ফ্যাক্টর গুলো নিয়ে সরকার ভাবতো।
একই সাথে রাষ্ট্রের উচিৎ আমার মত গোনার বাইরের নাগরিকদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমার শরীর, আমার অন্য কারো সম্পদ হতে পারে না।

 রাষ্ট্র চাইলেই  এ ধরণের কর্মে আমাদের বাধ্যও করতে পারে না! যদিও বাধ্য করলে আমাদের অধিকার প্রটেক্ট করার মত ক্ষমতা নেই। তবুও নীতির কথাটা সুযোগে বলে নিলাম।

সরকার আঙুলে ছাপ নিচ্ছে মোবাইলফোন অপারেটরের মাধ্যমে, সে ছাপ সরকার বলছে, অপারেটররা সংরক্ষন করতে পারছে না। কিন্তু বিষয়টা সত্য নয়।  অপারেটররা এটা স্টোর করছে। বাংলালিংক কিন্তু বিবিসিকে এটা নিশ্চিত করেই বলেছে।

এটা খুব সহজে অনুমিত যে, এখন অফিসগুলো, বিশেষত কর্পোরেট অফিসে  প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আঙুলে ছাপ নেয়া হয়। সে ছাপ একটা সার্ভারে স্টোর হয়, যেখান থেকে একজন কর্মীর অফিসে আসা না আসা বা কর্মঘণ্টা নির্ণয় করা হয়। এটা থেকেই প্রমাণিত যে, ছাপ স্টোর করা যায়!

আঙুলের  ছাপ স্টোর করা যায় না বলে বিটিআরসি যে দাবি বিবিসির কাছে করছে--- এর স্বপক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণাদি নেই!

আমাদের দেশের সবগুলো মোবাইলফোন অপারেটর বিদেশি নিয়ন্ত্রিত। আরো পরিষ্কার করে বললেন--- ইনডিয়া প্রভাবিত। এমনিতেই  আমাদের জঙ্গি-ফঙ্গি বানানোর কা্জ অব্যাহত রেখেছে। কেউ ফটকা ফোটালেও তারা আমাদের দেশের জঙ্গীর দুঃস্বপ্ন দেখে। সেখানে এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় থার্ড পার্টি, মহল্লার দোকান  আর গলিগুপচির সামনে টেবিল পেতে বসে মিশিন বসিয়ে ছাপ সংগ্রহ শুধু ঝুঁকিপূর্ণই নয়, এটি  ব্যক্তি নিরাপত্তার বাইরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকেও হুমকিতে ফেলতে পারে।

অনেকে এ জন্য পাকিস্তানের উদাহরণ  দিচ্ছেন। আমরা আর পাকিস্তান এক না। মনে মেজাজে, সংস্কৃতিতে। আমরা জাতি হিসাবে পাকিস্তান থেকে বহু বহু গুণে উন্নত।

 সুতরাং সময় থাকতে আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া খুবই জরুরী।   

লাইফ সাপোর্টে নৃ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া


একুশে পদক প্রাপ্ত নৃ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক-- শ্রদ্ধাভাজন আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া অসুস্থ। লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই তিনি  আইসিইউতে ছিলেন। গতকাল সোমবার তাকে লাইফসার্পেটে নেয়া হয়েছে।  রাজধানীর শমরিতা হাসপাতাল থেকে তার একটি ছবিও অনলাইনে দেখলাম।  গত বছর একুশে পদক পেয়েছিলেন তিনি।

অসাধারণ একজন মানুষ। তার গবেষণা মূলক গ্রন্থ ---'বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচিতি' প্রকাশিত হওয়ার পর কালেরকণ্ঠের পারভেজ ভাই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বাংলা একাডেমির কোনার দিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার একটা স্টলের সামনে কথা হচ্ছিল, বেশ আন্তরিকতা নিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলেন। পারভেজ ভাই বললেন-- ' স্যার ও মেলার রিপোর্টে বিশেষ বইগুলো হাইলাইট করে রিভিউ'র মত করে লেখে। আপনি ওকে  বলতে পারেন।'

যাকারিয়া স্যার আমাকে তার গ্রন্থের একটা কপি দিলেন। অফিসে ফিরতে ফিরতে কয়েকপাতা ওল্টালাম। হলে এসে পুরো বইটা শেষ করে পরদিন লিখেছিলাম। আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তার সাথে দেখা ভরলেন-- ভালো লেগেছে। এরপর  আরো কয়েকবার কথা হয়েছিল--- বিভিন্ন ইসুতে। স্যারের  বয়স হয়েছে, মেনে নিয়েই বলছি - ভালো মানুষরা আরো কিছু দিন আমাদের মধ্যে থাকলে আমরা আলোকিত হতে পারি।

 স্যার ফিরে আসুন। আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায়।

বাংলাদেশের 'আদিবাসী' বিতর্ক নিয়ে যাকারিয়া স্যারের অনুসিদ্ধান্ত- 

আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া 'বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচিতি' গ্রন্থের সপ্তম অধ্যায়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্ব প্রত্যন্ত অঞ্চলের জেলাগুলোতে বিশেষ করে বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, শ্রীহট্ট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলায় অসংখ্য উপজাতির বসতি দেখা যায়। নৃতত্ত্বের বিচারে এরা সাধারণ বাঙালি হিন্দু ও মুসলিম অধিবাসীথেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সত্তার অধিকারী এবং তাদের দৈনন্দিন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনও ভিন্ন ধরনের। এসব কারণে তাদেরকে উপজাতি বলা হয়ে থাকে।’
এতে তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদেরকে আদিবাসী বলে অভিহিত করতে চান এবং আদিবাসী বলতে কী বোঝায়, তা ভালো করে না জেনে অন্যরা তাদেরকে সমর্থনও করে থাকেন।
যাকারিয়া স্যার বলছেন, ‘অপেক্ষাকৃত হাল আমলে (চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব লোক তো পনেরো-ষোল শতকের আগে এ দেশে আসেননি) এ দেশে আগত এসব মোঙ্গলীয় রক্তধারার মানুষেরা তো আন্তর্জাতিক সংজ্ঞানুসারে কোনো মতেই আদিবাসী হতে পারেন না। আদিবাসী মানুষের যে আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা আছে তা অনুসরণ করলে তো কোনো মতেই এদেরকে আদিবাসী বলা যায় না।’

মান্না ছাড়া বাংলা সিনেমার দর্শকের ৮ বছর!





নয়াক মান্না নেই, আজ আট বছর। মনে হলো, এই তো সে দিন। দেখতে দেখতে সময় চলে যাচ্ছে। তার মারা যাওয়ার দিন শহরে যানজট লেগে গেছিল। যারা বলেন, বাংলা সিনামার দর্শক নেই। জনপ্রিয় নায়ক নেই; মান্না তার ব্যতিক্রম। মান্নাকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন শহরজুড়ে হাজার হাজার মানুষের শোক মিছিল দেখেছিল ---এই নগরের মানুষ। 

২০০০ সালের দিকে মান্না ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয়। সে সময় প্রিয়মুখ নামের পাক্ষিকে কাজ করি। তার একটা সাক্ষাৎকারের জন্য কাকরাইলের অফিসে গেছিলাম। এখনো মনে পড়ে সেই দুপুর---দু রুমের অফিসের সামনের রুমে বসে আছি। মান্না ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই একজন চোখ বড় বড় করে তাকালেন, আমার দিকে। বললেন, কি বিষয়! 

তার ধারণা আমি নায়ক হওয়ার ধান্ধায় এসেছি। তাই ভুল ভাঙ্গিয়ে দিতে জানালাম, সাংবাদিক। উনি বললেন, বসেন। ভাইজান ব্যস্ত আছেন। কিছুক্ষণ পর আবার তাড়া দিলাম। উনি উঠে গিয়ে বললেন। মান্না ভাইয়ের ডাক পড়লো। ভেতরে যেতেই বললেন, তোমারে বসায়া রাখছে। আমি খুবই সরি। শুরুতেই আপন করে নেয়ার একটা ক্ষমতা তার আছে। আমি মুগ্ধ হলাম। 

বিশাল দেহি মান্না ভাই। বসে আছেন বিশাল একটা চেয়ারে। সামনে বসে থাকা দুজন কে বিদায় করে দিযে বলল, 'ছোডু ভাই তুমি কই পড়।' জানালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কথায় কথায় অনেক কথা হলো। জানালেন কি সংগ্রাম করে তাকে জনপ্রিয় মান্না হতে হয়েছেন। বললেন, পরিচালকরা আমাকে নিতে চাইত না। এখন নেয়ার জন্য পেছনে পেছনে ঘোরে। জীবনে সবখানেই তুমি প্রতিষ্ঠা পেতে বেগ পাইবা। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পাইলে তর তর করে খালি উপরে উঠবা। কিন্তু আমাদের মত নায়কদের একটা সমস্যা আছে। সেটা হলো দর্শক না চাইলে আমি কিন্তু জিরো। 

ঢাকা কলেজে পড়তেন মান্না। সে সময়কার স্মৃতি চারণ করলেন। সিনেমা শিল্পটা যে নিম্ন মানের দিকে ধাবিত হচ্ছে, সেটি তিনি সেই ২০০০ সালেই বলেছিলেন। বললেন, এখানে সবাই টাকা কামাই করতে আসে। কেউ ভালো সিনেমা বানাইতে চায় না, ছোডু ভাই। আবার আর্ট ফিল্ম বানায় যারা ওরা সিনেমা বানায় পুরস্কারের সিনেমা। আমপাবলিকের সিনেমা কেউ বানাইতে চায় না। নিজের সিনেমা নিয়েও বললেন। বললেন, ভালো সিনেমা বানাইতে চাই, পাবলিকের সাপোর্টও আছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে মিডিয়া সে ভাবে সাপোর্ট দেয় না। 

নিজের এলাকার বন্ধুদের নিয়ে গল্প শোনালেন। অনেকের নামও বলেছিলেন, এখন তাদের নাম মনে পড়ছে না। বললেন, গ্রামে গেলে বন্ধুরা তাকে আপনি করে বলে। এতেই তার আপত্তি। তাই ওদের ওপর রাগ করেন। তবুও গ্রামে যান। এলাকাতে একটা হসপিটাল করার ইচ্ছের কথা জানিযেছিলেন। শেষ পর্যন্ত এটি করা হয়নি। তবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন প্রচুর। এটাই বা কয়জনের ভাগ্যে জোটে। হঠাৎ করেই মান্না ভাই মারা গেছেন আট বছর আগে, ২০০৮ সালের এই দিনে! 

তার সাথে গল্প করে বের হওয়ার সময় বললেন, সময় পাইলে চইলা আইসো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে কেউ তো সিনেমা সাংবাদিক হয় না। তুমি কেন হইলা সেই গল্প শুনমু নে। সময় নিয়া ফোন দিয়া আইসো। আমি বের হলাম তার রুম থেকে। চা ও মিষ্টি খাইয়ে ছেড়ে দেয়ার আগে বার বার তার সাথে দুপুরে খেতে বলছিলেন। বিনয়ী মান্নাকে সিনেমার পর্দার মান্নার সাথে মেলানো ঢের কঠিন। বিদায়। মান্না ভাই, যেখানেই আছেন, ভালো থাকুন।

পাহাড়ে সেনা তর্ক !!



সাজেক ভ্যালি--- পর্যটন সুবিধা নিশ্চিত করেছে সেনা সদস্যরা। 


পাহাড় কিম্বা সমতলের মানুষ --- আমরা সবাই বাংলাদেশী। এটাই আমাদের আত্ম পরিচয়।  ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিগতভাবে আমাদের মধ্যে ভিন্নতা আছে, বৈচিত্র আছে ; এটাই আমাদের দেশের সৌন্দর্য।  এ বিশ্বাস কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবারই আছে যে, আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিজয় অর্জন করেছি--- সমতার সমাজ-রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।  সে লক্ষ্যেই সব শ্রেণীপেশার মানুষ যুথবদ্ধ ।

তবুও সময় অসময়ে জাতিগত বিষয়কে সামনে রেখে সন্দেহ! এটা নিয়ে বিস্তর আলাপের জায়গা থাকতে পারে। কিন্তু দেশের এক দশমাংশ আয়াতনের পাহাড়ি জনপদে সেনা উপস্থিতি নিয়ে পাহাড়ি নেতাদের মধ্যে উষ্মা আছে। কথিত পাহাডি প্রেমিকরাও উদ্বিগ্ন । এ উষ্মা বা উদ্বেগের কারণ কেউ খোলাসা করেন না। সেখানে অপােরেশন উত্তরণ চলছে বলে যে প্রসঙ্গ সন্তু লারমারা উদ্ধৃত করে থাকেন, সেটি কী কার্যকর? আমার দেখা মতে কার্যকর নয়। তবুও পাহাড়ে সেনা উপস্থিতি নিয়ে বাঁকা প্রশ্ন দুঃখজনক।

বলে রাখি,  ব্যক্তিভাবে আমি সব ধরণের নিপীড়নের বিপক্ষে। সেটি যে কোনো বাহিনীরই। কিন্তু দেশের সামরিক নীতি,  নিরাপত্তা আয়োজনকে প্রশ্ন করতে পারি না। কিছু বিষয় তো এমন যেটা সরলীকরণ করা যায় না। 

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব  প্রতিরক্ষা বাহিনীর।  সে জন্য কোথায় ঘাঁটি গাঁড়তে হবে, সেটি নির্ধারণ করার দায়িত্বটা  রাজনৈতিকের চেয়ে সামরক নীতির অংশ বলেই মানি। সে হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকবে কিনা--- সে সিদ্ধান্তটা আসলে সামরিক কৌশল ঠিক করা লোকদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। 

কিন্তু যারা প্রতিনিয়মত পাহাড়ে সেনা নিয়ে উসখুশ করেন, তারা আসলে কী বোঝাতে চান--- সেটি পরিষ্কার নয়। 

দুর্গম পাহাড়ি জনপদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে  সরকার যে কোনো ধরণের বাহিনীর  সহায়তা নিতে পারে এবং সেটিই যৌক্তিক। কিন্তু  পাহাড়ে সেনা উপস্থতি  কেন থাকবে না!  এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা কি?

সেনা সদস্যরা পাহাড়ে কী করেন--- তাদের না থাকার কারণ কি হতে পারে? এ সব প্রশ্ন  সেখানকার সাধারণ পাহাড়িদের নেই বললেই চলে।  তবে এটা নিয়ে বেশি সোচ্চার বেদিশেী ফান্ড প্রাপ্তরা। বিশেষত বেসরকারি সংস্থা ও নামকাওয়াস্তে গবেষক--- যাদের বেশির ভাগই একটা ইস্যু ধরে রেখে আলোচনায় থাকতে চান।

এক কল্পনা চাকমা অপহরণ অভিযোগ বাদে  উল্লেখ করার মত গুরুতর অভিযোগও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নেই!  বরং সম্প্রীতি রক্ষা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন আর  অপরাধ দমনে তারা সেখানে  বহু বছর ধরেই কাজ করছেন;  এটা সবারই জানান।  অপহরিত বহুমানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী সফল হয়েছে।

পাহাড়ি নেতাদের কারো কারো অভিযোগ--- সেনা বাহিনী পাহাড়ে বাঙালিদের  সহায়তা করে! এ অভিযোগ যারা করেন, তাদের নিয়ে বাঙালিদের মনবেতর জীবন যাপন পরিদর্শন করলে-- এ অভিযোগ টিকবেনা ; আমি নিশ্চত করেই এটা বলছি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।

পাহাড়ি জনপদ আর সমতলের মধ্যে তফাৎটা কারো অজানা নয়। মায়নমারের সাথে আমাদের কয়েক দফা সীমান্ত সঙ্ঘাত হয়ে গেছে। দিন দিন সে ঝুঁকি বাড়ছে। সেভেন সিস্টারের সাথে আমারে সীমান্ত আছে। খাগড়াছড়িতে অর্ধশতাধিক কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত।এ রকম প্রেক্ষাপটে পাহাড়ে সেনা উপস্থিতি না থাকা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রচণ্ড হুমকি।
তারপরেও চুক্তি মেনে ১৯৯৭ সালের পর থেকে নিয়মতই অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এটি রাষ্ট্র বেশ ঝুঁকি নিয়েই করছে; এতেও পাহাড়ি মানুষ নিয়ে ব্যবসা করা লোকরা অসন্তুষ্ট! এ অসন্তুষ্টি হয়তো তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা হচ্ছে; সেটি দেশর নিরাপত্তাকে হুমকি রেখে---
পাহাড়ি ও বাঙালি দু'টো জাতি সত্ত্বা আলাদা হলেও জাতীয়তা অভিন্ন। রাজনৈতিকভাবেই দু'টো জাতি সত্ত্বার সঙ্কট নিয়ে আলোচনা  অব্যাহত রেখে, আস্থার সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে সমস্যার  সমাধান করতে হবে।  বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সেনা বিরোধীতা আর বাঙালি-পাহাড়ি বিরোধ জিইয়ে রেখে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়!

খবরের কাগজে ১১ ফেব্রুয়ারি  জানলাম---পার্বত্য চুক্তির অংশ হিসাবে  ইতোমধ্যে ২৩২টি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থেকে  ১১৯টি ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১০ ফেব্রুয়ারি সংসদকে জানিয়েছেন, শান্তি চুক্তির আলোকে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীর সব অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ছয়টি গ্যারিসন--- দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, রুমা ও আলীকদমে প্রত্যাবর্তনের বিধান রয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, গ্যারিসনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নও চলমান।  রুমা গ্যারিসনের ৯৯৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গ্যারিসনসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন করে সময়োচিতভাবে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট গ্যারিসনসমূহে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে।

লাইফ সাপোর্টে কবি রফিক আজাদ





''ভুল করে অন্ধ গলি-ঘুঁজি পার হয়ে, যদি এই
আঁধার প্রকোষ্ঠে আসো
দেখবে উবুড় হয়ে বাংলার এই মানচিত্রে
মুখ থুবড়ে প'ড়ে আছে চলি্লশ বছর. . .
আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁট ঠেকে আছে
পদ্মার ওপর
এবং আমার দু'চোখের অবিরল ধারা বয়ে গিয়ে
কানায়-কানায় ভ'রে দিচ্ছে সব ক'টি শুষ্ক নদী,
এবং দেখতে পাবে
শ্যামল শস্যের মাঠ
আমার বুকের নিচে আগলে রেখেছি. . .''

আমাকে খুঁজো না বৃথা ।।  রফিক আজাদ।



অগুনতি মানুষ প্রেম-ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে যেই নগরে, সেই নগরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এখন লাইফ সাপোর্টে আত্মসম্মান জাগানিয়া কবি রফিক আজাদ। ।

মানুষের কষ্ট-বঞ্চনা নিয়ে মাথা উঁচু করে কথা বলা দ্রোহের কবি-  রফিক আজাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আমরা!  ফিরে আসুন প্রিয় কবি।

১৪ জানুয়ারী  রাত সাড়ে ১০টার দিকে রফিক আজাদের ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ হয়। পরে তাকে প্রথমে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাত আড়াইটার দিকে নেওয়া হয় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার আইসিইউতে রাখা হয় তাকে।

১৫ জানুয়ারী বিকাল ৩টার দিকে রফিক আজাদকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।হয় তাকে।

১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার গুণী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম রফিক আজাদের। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করে কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতায়।

রফিক আজাদ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’র নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর কাজ করেছেন বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন, উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে।


''....অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদী-নালা
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা,
তা না হলে মানচিত্র খাবো।''

ভাত দে হারামজাদা।। রফিক আজাদ।

গান শোনেন। আর লম্বা করে শ্বাস নেন। ভালো লাগবে।

: একুশের বইমেলা শুরু অইয়া গেলো--- লেখাগুলো (রায়গুলো) কেউ চাপলো না। পাণ্ডুলিপি পইড়া আছে। গোডাউনে রাইখবার জন্য আবেদন মনজুর করবেন, পিলিচ।
: না আগেই কইছি,অবৈধ মাল গোডাউনে রাখা যায় না।
: আরে দাদা, ভাত ভোজের পরও আপনের রাগ রইয়া গেছে, এইটা কি কতা।
: হুমম। ভাত ভোজ-ভাজ দিয়ে সব হয় না!

: রাখেন রাখেন;এই চিড়ি লন। চিড়ি দিলাম আফনেরে।
: হ, চিড়ি পাইছি। কথা কওনও বিপদ। কম কতা কইতে কইছে। কিন্তু মন যে মানে না!
: মানে না তো কি অইছে! গান শোনেন। আর লম্বা করে শ্বাস নেন। ভালো লাগবে।
: উপদেশ দিচ্ছেন!
: না উপদেশ না; বাসায় ঝামেলা, ঘরদোর পরিষ্কার করার দরকার। তাই মালপত্র আপনার গোডাউনে পাঠাইতে চাই! এই আর কি!


দয়ামুক্তি: এ সংলাপ একান্ত কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে---কাকতাল মাত্র! 

একটি ভাত ভোজের কল্পিত সংলাপ

: চা লন ; ভাতের বন্দোবস্ত আছে ।
: না, মানে আমি রাতে ভাত খাই না ।

: তা না খান ; বাইরে গিয়া কইবেন ভাত খাইতে আইছিলাম।
: আইচ্ছা ।

: সংবিধান লইয়া আপনি একটা আওয়াজ দিছেন । কামডা কী ঠিক অইলো !
: যা শইত্য কইছি; ভুল কিছু তো কই নাই ।

: না , সব ঠিক আছে। কিন্তু সংবিধান তো কালো বিড়ালের কাছে ইজারা আছে । ইজারা থাকা কিছু লইয়া ইজারাদারর অনুমতি ছাড়া কথা কওন কী ঠিক !
: হুমমম । সবই তো ইজারা । তাই বইলা আমারে 'কম কথা' কইবার নির্দেশ দিলো ! এইডা কি ঠিক অইলো ।
: না , মানে । কথা বলা তো আপনার কাজ না । বাণী দেওয়াও আপনার কাজ না ।

: আমার তাইলে কাজ কি ?
: কাজ হৈলো কালো বিড়ালজাতীয় লোকজন যা বলবে; শুনবেন ।।

: ও আচ্ছা । ঠিক আছে ।
কিন্তু একটা কথা ; আমাদের বিভাগটা তো স্বাধীন ।
: আহা স্বাধীন বলে কিছু নাই । সবই অধীন । ভাত নেন।

: না, রুটি খাবো ।

: আয়োজন আছে । ওই বাবুজীকে রুটি দে ।

।।দায়মুক্তি ।।~~~এটি কল্পিত সংলাপ । কারো সাথে মিললে কাকতাল মাত্র~~~ ।।

আন্ডার কন্সট্রাকশন :: নারীর চোখে নারীর কামনা!

রুবাইয়াত এর আগেও একটি সিনামা বানিয়েছেন--- 'মেহেরজান'। তর্কের কারণে সেটি বাতিল করেছিল-সরকার। কারণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনামায়  বাঙালির নারী পাকিস্তানি প্রেমিক। তবে ওই সিনামায় সমকামিতার গল্পটা নতুন করে দর্শকের চোখের সামনে বুলিয়ে নিয়েছিল রুবাইয়াত।

আন্ডার কন্সট্রাকশন সিনামাটিকে এক্সপেরিমন্টোল ধাঁছের সিনামা মনে হয়েছে।  এখানে নারীর ভিন্ন রুপ এবং কামনা -বাসনা উঠে এসেছে নারীর চোখে। এটাই একমাত্র সাফল্য বলা যেতে পারে। তবে কিছু বিষয় এখানে একটু ভিন্ন!

বুড়ো মহিলার রেডি হওয়া মানে ব্রা'য়ের ফিতা ঠিক করা নয়! সিনামাটিতে রয়ার মা'কে আমরা দেখি জামাই আসছে- তাই রেডি হতে গিয়ে  ব্রা'র ফিতা ঠিক করছেন!  কেউ হয়্ত বলবেন, তাহলে কি যৌবনবতীর ব্রা'র ফিতা ঠিক করাটা দরকার ছিল? তাও মনে করি না। প্রাসঙ্গিতক নাহলে যে কারো ব্রা'র ফিতা ঠিক করার দৃশ্যায়ন অশোভনীয় ।

সিনামাটিতে পেন্টির অবস্থান তুলে ধরতেও দেখি! এটিও রুবাইয়াত যে ধরণের সিনামা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হতে চান--- তার সাথে যায় না! ---যদিও সিনামায় যৌনতা একটি কম অনুষঙ্গ। সেটি বিবেচনা করলে ইমতিয়াজের সাথে একাকীত্ব শেয়ার করার চিত্রায়ন দুর্দান্ত হয়েছে!

যেখানে ইমতিয়াজ আর রয়ার আলাপের ফাঁকে হাত মুঠােয় পুরে নেয়ার দৃশ্যায়ন--- অনন্য।  এমনকি ঠোঁটের ওপর হাত বুলিয়ে যাওয়াটাও! রয়ার কামাবেগ; এগিয়ে আসা--- ইমতয়িাজের চাহনি --- চিত্রায়ন অপূর্ব!  

সিনামাটির স্পিরিট যদি হয় কিছু এলেবেলে ভাবনা --- তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু  চলচ্চিত্রের  একটা  বার্তা থাকার কথা--- সে বার্তা বিভ্রান্তির! এখানে কি বলতে চাওয়া হয়েছে সেটিও  ক্লিয়ার না!

নায়িকারা বেশ্যা?
বাচ্চা ফয়দা আর পালন করা নারীর একমাত্র কাজ না?
স্বাবলম্বী নারীর গল্প বলতে চেয়েছেন পরিচালক!
নাকি একটা জীবনে উপরে ওঠার জন্য একটা ব্রেকই সফলতার চূড়ান্ত --- সেটি বোঝাতে চেয়েছেন!

খোলাসে হয়নি! অনেকে বলতে পারেন-- মহাপণ্ডিত দেখি--- সিনামাটি পুরস্কার জিতে এসেছে। আপনি এসেছেন, এটা নিয়ে আলাপ করতে! হতে পারে। তবে পণ্ডিতি নয়; দর্শক হিসাবে এটা আমার নিজস্ব বিশ্লেষণ মাত্র!

নায়িকাদের মানুষ কি মনে করে? --- বেশ্যা-- বার্তাটা সিনামায় মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা থাকলেও সিনামাটি রয়া'র একাকীত্ব আর  ইমতিয়াজ চরিত্র রূপায়নকারী একাকার হওয়া রাতটা এ বার্তাকে  উড়িয়ে দিতে পারে না। সে রাতে সাজগোজটাও! রক্ত করবীর নন্দিনী সেখানে লাল টকটকে শাড়িতে একাকীত্বের বয়ানে হাজির হয়--- ভিন্ন  আবহে।

রবীন্দ্রনাথের রক্ত করবী নাটকটির ফরমেট ভাঙাগড়া নিয়ে সিনামার কাহিনী--- যেখানে রক্তমাংসের সমকালীন এক নন্দিনীকে আবিষ্কার করতে চাইছেন পরিচালক---- সে নন্দিনী নতুন ফরমেটে দাঁড়াবে-- যে নাটকটি  ইউরোপে বছর খানেক প্রদর্শণীতে অংশ নিবে।  রক্ত করবীর নন্দিনী চরিত্র কে করবে? রয়া নাকি মেহজাবিন! এ নিয়ে মনসত্ত্বাতিক দ্বন্ধটাও তুলে আনা হয়েছে!

১২ বছর ধরে নন্দিনী চরিত্র করা তরুণী রয়া ৩৩ বছর বয়সে এসে--- এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না। তার এ ব্রেকটা অনেক বড় পাওয়া! তবে এখানে রয়াকে একটা গালিও দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে রয়া সেলফিস! তার বরই বলছে এ কথা!  সেলফিস বটে!

কারণ আমরা রয়া চরিত্রকে সিনামায় দেখি নাটকের ব্রেকের জন্য  ইমতিয়াজের জন্য অপেক্ষা, সঙ্গ দেওয়া এবং  সন্তান নেবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার মত ঘটনাগুলো। এ টুকুও হয়ত ঠিক আছে---

সিনামাটি বলছে--- নারীর কাজ কেবল বাচ্চা ফয়দা করা আর লালন করা নয়। দ্বি-মত মোটেও করছি না। নারী বহু কাজ করতে পারে। করছেন। এতে আমাদের উৎসাহও দিই।

নারীর প্রতি নারীর আচরণ এখানে একটা ভিন্নতা এবং দ্বি-মুখিতা চোখে লাগে। অসুস্থ মা-কে রয়া বলছে ---- 'আমি তোমার মেয়ে না! তুমি আমার কাছে চলো। ভাইয়ার কাছে যাওয়ার আগের ক'টা দিন তুমি আমার কাছে থাকবা।'  এমন আবেগম ময় কথামালায় যে মেয়ে তার মাকে ভাসিয়ে নিতে চায় --- সে একই মেয়েকে আমরা দেখি মায়ের চিকিৎসার  সময় পাশে থাকার জন্য বিদেশ পাড়ি জমাতে অনাগ্রহ! কারণ রক্ত করবী ইউরোপের মঞ্চে যাবে--- এর পরিচালনার ভার তার হাতে।

পরিচালনাই সবচেয়ে  বড় প্রয়োরিটি। একমাত্র কর্তব্য ইমতিয়াজের প্রজেক্ট সাকসেস করা!  এটাই  কী  সিনামার  মূল  কথা ; হতে পারে-- জীবনের অনন্য সুযোগ ! সে সুযোগ হাত ছাড়া হলে একটা জীবন বৃথা!  নাকি কামাবেগ!

এমন স্বার্থপরতার ভেতরও  বিপরীত চিত্র একই নারী মধ্যে ---কাজের মেয়ে ময়নাকে দেখে বস্তি থেকে ফেরৎ আসার সময় তার চোখে! সে পানি কী তাকে ছেড়ে আসার কষ্ট! না , নিজের  ভেতরের চাপা অতৃপ্তি !

মজার  বেপার হলো  রয়াকে এমন একটা জায়গা থেকে থিয়েটারকর্মী হিসাবে দেখি; যেটি  সমাজে বিরল --- সাধারণত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপাটে স্থপতির বউ --- থিয়েটার করেন কি-না সেটাও একটা প্রশ্ন!

সিনামায়  রয়া'র মাকে দেখা যায় কোনো এক নায়িকাকে নিয়ে ভেগে গেলেও তার স্বামীপ্রেম কমেনি। তার ভাবনা- ফিরে আসবে স্বামী!

মায়ের কাছে মেয়ের যুক্তি  বাবা নায়িকা নিয়ে ভেগে গেছে মানে--- মনে করার কারণ নেই --- নায়িকারা বেশ্যা!

রয়া-কে আমরা তাই ভেগে না গিয়ে বরের ফ্লাটেই পর পুরুষ সঙ্গ উপভোগে দেখি ; হয়ত ! যাকে উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসাবে দেখছে রয়া!

অন্যদিকে ময়না। রয়া'র গৃহকর্মী।  লিফটম্যানের সাথে বিয়ে পূর্ব যৌনানন্দে সন্তান সম্ভবা ! পরে বিয়ে করে সংসারী হওয়া ময়নার সামনে কেবল সামনের দিনগুলোয়  তার সন্তানের উজ্জ্বল দিন।
তার স্বাবলম্বী হওয়ার ভাবনাটাও এখানে উল্লেখ করার মত--- রয়া যখন ময়ানাকে ফেরৎ আসতে বলল-- তার সোজা উত্তর সারা জীবন কী মাইনষের বাড়িতে কাম কইরা খামু! নিজের একটা সংসার তার চাই!

-- কিন্তু রয়া-- যে সমাজের প্রথাগত ছক ভাঙ্গতে চায়--- তাকে আমরা দেখি ভিন্ন আঙ্গিকে--- কাজের মেয়ে চলে যাওয়ার পর বর কনে মিলে মামা নুডলস চিবোচ্ছে।  বর বলছে--- ময়না চলে গেছে আরেকটা কাজের মেয়ে দেখ! এটাকে অবশ্য পুরুষতন্ত্রের আদেশি বয়ান  বলা যেতে পারে।

একই সাথে দেখা যাচ্ছে রয়া পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারছে না। কিন্তু একটা ব্রেকের আশায় ইমতিয়াজের জন্য তার নিজেকে উজাড় করে দেয়া!  রান্না উৎসব!

ইমতিয়াজ অনাবাসি বাংলাদেশি--- তার বাংলাদেশে এসে হোটেলে থাকাটা তাকে কষ্ট দেয়। একাকী মুহুর্ত তাকে ছুঁয়ে যায়। কিন্তু বরের সাথে ঠাণ্ডা সঙ্ঘাতটা চলতে থাকে--- এমনকি  সকালে বরের তৈরি করে দেয়া  চা টাও  টয়লেটে ফ্লাশ করে দেয়া মেয়েটাকে আমরা দেখি---আলোছায়ার খেলার মাঝে  একাকীত্ব নিয়ে গল্প জুড়ে কাছাকাছি আসতে । ইমতিয়াজ --- তার ঠোঁট স্পর্শ করছে। হাতটা পুরে নিচ্ছে মুঠোয়। রয়া এগিয়ে আসে কাছে। এখানে কি বার্তা!

বরের যৌনশক্তির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না এই নারী! নাকি একটা ব্রেকের জন্য তাকে  উজাড় করে দিতে হচ্ছে!  সে নিয়ে  শঙ্কা থাকতে পারে !

 তাহলে তার মায়ের বক্তব্য কি ঠিক? সমাজ নায়িকাদের মনে করে বেশ্যা!

আমরা রয়াকে সিনামায় দেখি বর নির্ভর।---বরের কেটে রাখা চেকে তার হাত খরচের যোগান। নন্দন তত্ত্বের চর্চাকে যদি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধরে নিই--- তারপরেও মনে হবে  নন্দন যদি জীবনকে অ-আনন্দিত করে--- সেটা বর্জনই শ্রেয়!

তাই রয়াকে তার মায়ের খোঁটাও শুনতে হয়--- পরের টাকায় ফুটানি মারি না। নিজে রোজগার করে চলি।  সত্যি তাই। রয়া'র মা পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্মসংস্থান করেছেন। তাদের হাতের কাজে পণ্য বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটা অংশ দিয়েই চলে তার।  রয়া'র মায়ের মধ্যেই আমরা একটা পূর্ণ নারী চরিত্রকে দেখি।

রয়া-কে যে জায়গায় বসিয়ে পরিচালক সমাজকে ভেবেছেন  --- সেটি বিক্ষিপ্ত ভাবনার। কোনো একটা রেখায় তা মিলে না। মানুষের জীবন বিক্ষিপ্ত হলেও একটা লাইনে এসে দাঁড়ায় কখনো কখনো। তবে ব্যতিক্রম  থাকতে পারে। সে ব্যতিক্রম নিয়েও সিনামা হতে পারে। তবে  সেটা সার্বজনীন সিনামা কি-না ? প্রশ্ন থাকে!

রয়া'র এক্সপেরিমেন্টে রবীন্দ্রনাথের নন্দিনী গার্মেন্টকর্মী হিসাবেই ধরা দেয়--- নতুন এক্সপেরিমেন্টে! নিশ্চিতভাবে এটাকে সমর্থন  করি ।  সব বাধা বিপত্তির ভেতর থেকে যে এক রক্তোজ্জ্বল  ফুলের  আলো--- সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসা ও আনন্দের। সমাজের বিবর্তনেও রবীন্দ্রনাথ সার্বজনীন সেটিও আমরা এখানে আওড়াতে দেখি--- তবে এক্সপেরিমেন্টকে উড়িয়ে দিতে চাই না। এটা ম্যাচিউর লেভেলে গেলে ভালো হতো।

 মঞ্চের এ গল্পের সাথে রানা প্লাজার ধ্বসকে কানেক্ট করা হয়েছে। তবে সেটি কোনো পরিণত বার্তা দিতে পারেনি।

পশ্চিমবঙ্গের নচিকেতা কিম্বা বাংলাদেশি ব্যান্ড শির্পী মাকসুদও রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে এর আগে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। রীবন্দ্র মৌলবাদীরা তাদের ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তবে কিছু এক্সপেরিমেন্ট দরকার আছে-- সেটি হয়ত রক্ত করবীর মূল ম্যাসেজ হতো পারতো--- সেটি না হয়ে  রয়ার ভেতরে  চাপা কষ্ট--- বিত্ত ভাঙতে গিয়ে নিজেই পুরনো বৃত্তে বন্দী এবং  একেবারেই খাপছাড়া এক গল্পের ভেতর লুকিয়ে গেলো সিনামাটি! 

সমালোচনা করার সময় তেল দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিৎ!

এরশাদের কোটি সমালোচক আছে। আমি নিজেও তার কট্টর সমালোচক। তবে একটা বিষয় আমার কাছে মনে হয়--- আমরা তাকে নানা ভাবে বাছ বিচার করি।
কিন্তু তার অসহায়ত্বের জায়গাটা অনুভব করি না। একটা মানুষকে কতটা পুলসিরাতের উপ্রে রাখলে সে বার বার কথা পাল্টায়। বুড়া বয়সে লোকটা জেলে যেতে চায় না। এটাই তার মত পাল্টানোর একমাত্র কারণ বলেই আন্দাজ করি।
কারণ আমাদের স্বৈরাচারী রাজনীতি স্বৈরাচারী এরশাদকে জুজুর ভয়ে রাখছে। বিচার করে ল্যাঠা চুকাতে কেউ চায় না। না বিম্পি না আম্লীগ। সবাই লাল দালানের আতঙ্কে রেখে স্বার্থ হাসিল করে। সুতো ধরে টান দিলেই তো কেল্লা ফতেহ!
অনেক বয়োজ্যষ্ঠ সম্বাদিককে তার সমালোচনা করতে দেখি--- তাদেরকে কাউকে স্বচক্ষে দেখেছি সামনে পড়লে স্যার স্যার বলে গলে পড়েন। বলেন, স্যার আপনার সময় অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন বাংলাদেশে হয়েছে--- তার আর কোনো সরকারের সময় হয়নি। সত্য ঘটনা। কিন্তু সমালোচনা করার সময় তেল দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিৎ! 

ইস্টিশন বদলাও-- রুট বদলাও মেট্রোরেল!

মেট্রোরেলের ইস্টিশন ক্যাম্পাসের ভিত্রে অইলে কী না অইলে কী!  তাই না। এখন যারা এ সব কইতাছেন তারা সুবিধাবাদী বলে ঠাওরাই। এই ক্যাম্পাসের  বহু অনয়িমের বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। তারা মেট্রোরেল ইস্যুতে  মাঠে নামছে বলে শোনা যাচ্ছে। সংগঠনটির মুরুব্বী 'স্যার' যেদিন কইলো রুট বদল হপে না। তার পর দিনই তারা মাঠে নামিছে।

সাধারণ ছাত্র সংগঠনের নামে নামিছে। এ সব সাধারণ ছাত্ররা সব আমলেই জিম্মি। সক্কারি দল ডাকপে আর তারা নামিবে না--- অভিজ্ঞতা তাতে সাঁয় দেয় না।

তা মেট্রোরেল যদি বাপু শক্তিমানদের ইশারায় রুট বদলাতে পারে; তাইলে শক্তিহীন অপুষ্ট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে ক্যান বদলাতে পারবে না! পারবে না কারণ রাজনৈতিক ক্ষমতার নড়নচড়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক তলানিতে ঠেকেছে! সে যাউকগা---  রুটটা বদল হওন জরুরী। কারণ চুনকাম খসে পড়লে যে সব স্থাপত্যের জন্য সক্কার বাহাদুরের ছাত্র -সম্বাদিক লাঠিয়ালরা মরাকান্না জুড়ায়া দিত--- তারা এখন ক্যান যে গিলছে--- ক্যাম্পাসের ভিত্রে ঐতিহাসিক সব স্থাপনার লগে ইস্টিশন! বুঝে আসে না? আসে। কিন্তু সব বুঝ মাবার চায়না মন!

রেল ইস্টিশন ঘিরা এ দেশে কী সব ব্যবসাপাতি জমে এইডা সব্বাই জানে। কিন্তুক ক্ষমতার চ্রম শক্তি । ক্ষমতা এ হক কথা সব সময় কইতে দ্যায় না!

 তারপরেও তো কিছু মানুষ আছে। ভয় উড়িয়ে গলা ছেড়ে জীবনের গান গাইবে। আমরা তাই কণ্ঠ মিলাই--- ইস্টিশন বদলাও-- রুট বদলাও মেট্রোরেল!    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে --- দু'শ বছরের পুরনো স্থাপনা ঢাকা গেট বা মীর জুমলার গেটের কোলে ইস্টিশন হবে! এটা কী মানতে হবে। ইস্টিশন হাইকোর্ট মাজার গেট কিম্বা শাহবাগ অইলে কী খুব সমস্যা!

২০ জানুয়ারী আসল সাধারণ ছাত্ররা নাকি মেট্রোলের রুট বদলানোর দাবিতে আন্দোলনে করবে একই সময়ে একই স্থানে। যেখানে আগে থেকে ম্রেটারেলর রুট বদালোর দাবিতে ইান্দোলনে থাকারা কর্মসূচী ঘোষনা করে রেখেছেন। একই দিন আরেকটা প্রোগ্রামের ঘোষণাকে 'গুজব' বলে ধরে নিচ্ছি। কারণ আসল ছাত্রদের পৃষ্ঠপোষকরা শান্তি চায়। সঙ্ঘাত নয়। তাই দু'পক্ষই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করো--- পরামর্শ থাকলো।


  

সুচিত্রা ছাড়া বাঙালির দু বছর

রূপালী পর্দায় মানুষের সাদা কালো জীবনের রঙ্গিন স্বপ্নগুলোকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলার মহা নায়িকা সুচিত্রা সেন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারী মারা গেছেন। জানি এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবুও কিছু মৃত্যু আমাদের বেশি কষ্ট দেয়। সুচিত্রা ছাড়া বাঙালি পার করছে দু বছর !

সাধারণত নায়িকারা চলচ্চিত্রে আসেন, তারপর ক্যারিয়ার গড়েন এবং বিয়ে করে সংসারী হয়ে ঘরে ফিরে যান। 

বাংলাদেশে জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং সংসার শুরু করে পরে কলকাতায় থিতু হওয়া সুচিত্রা এখানে একেবারেই ভিন্ন। তিনি পড়াশোনা করেছেন, বিয়ে করে সংসার শুরু করে স্বামীর উৎসাহেই সিনেমায় এসেছেন, এবং বাংলা সিনেমার দর্শকদের মতন জয় করেছেন বছরের পর বছর ধরে। 

তার সিনেমার নায়ক উত্তমের জীবনাবসানের পর তিনি একাকী জীবন বেছে নেন। সিনেমা থেকে সরে যান দূরে। একেবারেই একা-রহস্যময় তার সে জীবন তার। সেখানে কারোরই প্রবেশ ছিলনা।

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুচিত্রা ২৬ দিন লড়েছেন, শুনছিলাম প্রার্থনা সঙ্গীত শুনছেন, এর ভেতর তিনি চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। 

মহানায়িকার জন্য শ্রদ্ধা। বাংলা সিনেমা তার রূপালি দিনের সোনালী অতীত ফিরে পাক। জয় হোক বাংলা সিনেমার, শান্তি পাক সুচিত্রার আত্মা।

শরীর পোড়ে



কামকাতুরে শরীর নিয়ে তার যতটা মাথা ব্যথা
 তার চে বেশি তোমার-তোমাদের

শরীর পোড়ে---তড়ফায়--উপুড় হয়
এ ফোঁড় ও ফোঁড় হতে ইচ্ছে করে !

তাতে তোমার কী! তোমাদের ---

খসে পড়া সিক্ত শিশিরসম কামরস!
তোমাকে চায়নি--- তবুও তুমি-তোমরা এসেছো

 বাঁধন খুলে বলেছো--- আমি মুক্ত!
আমরা স্বাধীন !

মুক্তি আমি চেয়েছি--- গোলাপি ঠোঁটের উপর আরেকটি ঠোঁটও  প্রত্যাশিত ছিল

সেটি ভালোবাসার---

 যৌন স্বাধীনতার নামে তোমরা বেশ্যা কারবারি !

চিবিয়ে খাচ্ছো তরুণী শরীর
এখন এখানে ইরানে !

এসে পড়ছো তোমরা
আনবিক বোমার ওপর ভর করে
মুহুর্তে ঢুকে পড়ছো এ পাড়া ও পাড়া বহু পাড়ায়!

--- কম্পমান ঠোঁট ভিজিয়ে যাবে তোমাদের নোংরা থুতু...

 এরও আগে যে ঠোঁট তুমি-তোমরা চেপে ধরেছিলে
মঙ্গলীয় তরুণীর ঠোঁটে--গ্রীবায়!
স্তনের বোটা নোংরা করেছিলে---সেই একই ঠোঁট!

ভালোবাসতে তোমরা আসনি --- ভালোবাসতে পারো না তোমরা---

মায়ার জালে জড়িয়ে তুমি-তোমরা একেকটা সকাল আমার জন্য নিয়ে আসছো--- উদারতায় তোমাকে সঁপে দেবার জন্য!

 তারপর

তারপর তোমার-তোমাদের দেখা মিলবে না---

 বদলে যাবে সমাজ--- সংস্কৃতি-- জীবন

তুমি-তোমরা পালিয়ে যাবে! পালাবে নিশ্চিত!

তোমরা পালাতেই জানো! তোমরা দাঁড়াতে জানো না! ভোগই তোমাদের লক্ষ্য!

দয়া করে শিক্ষকদের কিছু দিতে না পারেন--- কটাক্ষ করবেন না

সবার জীবনের লক্ষ্য নিশ্চিতভাবে  সচিব হওয়া নয়। বিত্তবাসনা থাকলে রাজ্জাক স্যার ৯ শ টাকা মাইনের দিল্লির ভার্সিটির চাকুরীর অফার পায়ে ঠেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াইশ টাকায় পড়াতে আসতেন না।

আচ্ছা এ রকম একজন সচিবের নাম কি মনে করা যাবে? যিনি কেবল দেশের আমলাতন্ত্রের আমূল পরিবর্তন করার স্বপ্নে বিত্তবাসনা ত্যাগ করেছেন। প্রশ্ন থাকল--- উত্তর জানা থাকলে আওয়াজ দিবেন। প্লিজ।

রাজ্জাক স্যারের সংখ্যা কম; কিন্তু একটি স্বাধীন সত্ত্বা যে আমরা পেয়েছি-- তার পেছনে এ মাস্টরদের অবদান কোনোভাবেই উড়িয়ে দেবার মত নয়। যাদের ঘিরে সরকার রা্জনৈতিক ফায়দাও তুলে নিয়েছে-- তাদের মধ্যেও মাস্টর অনেক।

 বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে শত্রুরা আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেবার পর স্বাধীনতা উত্তরকালে অধীন বুদ্ধিজীবি বৃত্তির যে বিকাশ সেটাকে স্বীকার করে নিয়েই বলছি--- এরপরেও কিছু শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবি অবশিষ্ট আছেন, যারা অন্ধকারে আলো দেখাতে পারেন। পেরেছেন বলেই আমরা এখনো অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই সে সব আলোর পথযা্ত্রীদের।

সরদার ফজলুল করিম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যাররা এখনো আমাদের নির্লোভ আলোর পথিকৃত হয়ে আছেন। সিরাজুল ইসলাম স্যার বেঁচে আছেন। সরদার স্যার মারা গেছেন। কিন্তু আমরা হয়ত হাতে গুণি, গুণে বলি আমাদের এঁরা আছেন। আমরা কি এ রকম কোনো সচিবের নাম করতে পারি যারা মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন।

হয়ত পারবো--- সেটার জন্য সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহায়তা নিতে হবে।

আমার অবশ্য এ রকম একজনের নাম মনে পড়ছে--- আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া।  হয়ত আরো কেউ থেকে থাকবেন।  যাকারিয়া নৃ ও প্রত্নতত্ত্ব বিশ্লেষক--গবেষক।

 তবে আমলা কবি পাবেন। কিছু কবি নিশ্চয় ভালো হবে হয়ত।

শিক্ষকরা কী করেন? সমাজ-মানবিকতা ও ননন্দতত্ত্ব আর প্রযুক্তির প্রসারের  ধারণাগুলো তৈরি ও বাস্তবায়ন তো তারাই করেন বলে তারা শিক্ষক। দলান্ধ-দলকানা- লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক সব কালেই ছিল, এখনো আছে-- সামনেও থাকবে।

সমাজের সবস্তরের ইন্সটিটিউটশনাল ভিত ভেঙ্গ দেবার পর সরকার যখন কটাক্ষ করে বলেন---'বিসিএস' দিয়ে সচিব হয়ে যান। সচিব হওয়াটা খুব কঠিন বলে ধরে নিয়েছে সরকার। ভাগ্যিস বলেনি  চাকুরী ছেড়ে মিছিলে চলে আসেন, ক্যাডার হয়ে যান-- ভালো ইকনাম হবে।

শিক্ষকরা সমাজে আলোর পথযাত্রী। এটা মহান পেশা। এমন নানাবিদ কথা বলে এ পেশার মানুষকে অনুগ্রহ দেখানোর লোকের অভাব নেই। এত সম্মান! তারপরেও টাকা চাইবার কথা নয় তাদের?--- টাকা তো কেবল  সচিবদের দরকার। পুলিশের দরকার।  রাজনীতিকের দরকার।

শিক্ষকরা রোজা রাখবে আর শিক্ষার্থী পড়াবে --- জীবনের ব্রত যেহেতু তার জ্ঞান বিতরণে করা তাই জ্ঞানের মত এত  মহান বিষয়ের মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত বাজে কাজ।  তাই এমনটা হয়।

বিম্পি সরকার যখন ২০০১ সালে সরকারে আসে। সে সময় সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা বিষয়ক গোলটেবিলে--- সে সময়কার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী  এর কাছাকাছি কথা বলেছিলেন। ' শিক্ষকদের অনেক সম্মান। সমাজের প্রতি দায়। তাই তাদের মাইনে বড় কথা নয়। '

এমাজ স্যার ছিলেন সে অনুষ্ঠানে--- তিনি বলেছিলেন--- শিক্ষকের চাহিদা নেই; বা থাকতে নেই বা থাকা উচিৎ নয় বলে সমাজ নির্ধারণ করলেও--- শিক্ষকের যে সংসার পরিবার পরিজন আছে সেটি ভুলে গেলে চলবে না। শিক্ষক ভিন গ্রহের মানূষ নয়। তার পরিবার পরিজন এ সমাজেই থাকে। সুতরাং সমাজের যে চাহিদা তৈরি হয়, তার সাথে বিস্তর ফারাক হতাশা তৈরি করতে পারে এবং করেও বটে।

 কথাটা মনে ধরেছে। আমি নিজেও তাই মনে করি।

বাংলাদেশ তো ভিয়েতনাম নয় যে, সরকারের নির্দেশে সবাই দোতলা বাড়ি বানাবে-- তার উপরের ছাদ হবে টালির। সবাই প্রায় একই রকমের মোটর বাইকে চড়বে।  এখানকার রাস্তায় জাগুয়ার চলে, নিশান চলে---সেখানে শিক্ষকরা গাড়ি চড়তে না পারেন একটা  বিআরটিসির সিটিং সার্ভিসে চড়ার মত মাইনে পাবেন না! তা কি করে হয়।

 এখানে স্কয়ার,  এ্যাপোলো , ইউনাইটেড হসপিটালে  চিকিৎসা না করান অন্তত বাংলাদেশ মেডিকেলে চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ তার থাকা উচিৎ। রাষ্ট্র কি এটা উপলব্ধি করবে না।

রাষ্ট্র যদি কেবল কিছু প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষকের আয় মিলিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয় কিম্বা কিছু শিক্ষকের প্রাইভেট ভার্সিটি পড়ানোর  হিসাব নিকাশ করে বলেন-- জিহ্বা লম্বা হয়ে গ্যাছে। তাতে মন ভারাক্রান্ত হয়।

আম্লীগ সরকার সব সময় বলে আসছে তারা শিক্ষা বান্ধব সরকার। তারা এটাও উপলব্ধি করবেন বা করছেনও বটে যে  যারা সচিব হচ্ছে আমলা পুলিশ হচ্ছে-- তারা কিন্তু এই  সচিব হওয়ার জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার পরামর্শপ্রাপ্ত  মানুষদের হাতেই গড়া।  ভিত গড়ার জন্য  যারা কাজ করেন তাদের  মনে কষ্ট দিয়ে তাদের কম মাইনে দিয়ে--- কখনো সুশিক্ষিত জাতি গঠন করা সম্ভব নয় বলে আমার ছোট এবং সীমিত জ্ঞানে মনে হয়।  সরকার বাহাদুর নিশ্চয় আরো ভালো বুঝবেন ।


 দয়া করে শিক্ষকদের কিছু দিতে না পারেন--- কটাক্ষ করবেন না। কারণ আপনি আমি আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে জ্ঞানের আলাপ প্রলাপ করছি সেটির ভিতও ওই শিক্ষকরাই গড়ে দিয়েছেন।       

আক্রান্ত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতি এবং হাফেজ মাসুদ হত্যাকাণ্ড!

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের স্মৃতি চিহ্ন আক্রান্ত হওয়ায় মনটা ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়েছে। নিরাপত্তা 'রক্ষী' ও সরকার দলীয় 'ক্যাডার'দের ওপর রাগটা সেখানে আঁচড়ে পড়েছে দেখে কষ্ট পেলাম।

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব।  তার স্মৃতির ওপর আক্রমণ মানে আমােদের সংস্কৃতি উপর আক্রমণ । এটাকে বরদাশত করা যায় না। এর বিচার হতে হবে।

একই সাথে হাফেজ মাসুদকে খুন করার বিচারও। তবে হত্যার বিচারটা আগে হওয়া উচিৎ। কারণ হত্যাকাণ্ড না ঘটলে আজ দিনভর রাষ্ট্রীয় জনসংযোগ-সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রচারিত 'তাণ্ডব' খবরের সৃষ্টি হতো না।

নিরাপত্তা রক্ষী ও সরকার দলীয় লোকজন মিলে যেভাবে মানুষ খুন করে বিচার বিভাগের ওপর চাপ কমানোর ফর্মূলা অবলম্বন করছেন এটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলবো না, মানুষ হিসাবে তার মূল্যও তুচ্ছ করেছে।

ওস্তাদের বাড়ি হামলার পর  আমাদের দেশের সংস্কৃতির শীর্ষ সংগঠন উদীচী  বিবৃতি দিয়ে 'তীব্র নিন্দা' জানিয়ে 'তাণ্ডব'র সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে। আমি একমত তাদের সাথে। কিন্তু 'তাণ্ডব' সৃষ্টির পেছনে একজন মাসুদের হত্যাকাণ্ড এবং এর  বিচার কিম্বা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি চাইবার মত নৈতিক অবস্থান উদীচীর থাকা দরকার ছিল। যেটি আমরা তাদের বিবৃতিতে দেখিনি।  

উদীচী কি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে হাফেজ মাসুদকে হত্যা করা হালাল বলে মেনে নিল। এ রকম সঙ্কীর্ণতা উদীচীর মত মানবিক সংগঠনের কাছে অপ্রত্যাশিত।  মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখার সংস্কৃতি যদি উদীচীর না থাকে; তাহলে এটি আমাদের সংস্কৃতির ব্যর্থতা। 

গণসঙ্গীত শির্পী কামাল লোহানি ভাই একই সাথে সম্বাদিকও --- তার নামে উদীচীর প্রচারিত বিবৃতিতে কেবল 'তাণ্ডব' ধরা পড়বে; কিন্তু তাণ্ডবের কারণ ধরা পড়বে না ---তাতো হতে পারে না। 

হাফেজ মাসুদ খুনের বিচার হলে রাষ্ট্র লাভবান হবে। দল হিসাবে আম্লীগও । কারণ আম্লীগ কোনো অপরাধ, হত্যা বরদাশত করতে পারে না। স্বজন হারানোর বেদনা আম্লীগের চেয়ে কারো বেশি বোঝার কথা নয়। সরকার যদি হাফেজ মাসুদের খুনের বিচার না করেন তাহলে তা সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিবে; রাষ্ট্রের বিচারের আন্তরিকাকে প্রশ্ন বোধক চিহ্নের সামনে দাঁড় করাবে। 

একই সাথে ওস্তাদ খাঁ'র এ স্মৃতি পুড়িয়ে দেওয়াদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।  সেটিও আম্লীগ সরকারকে করতে হবে। সংস্কৃতির প্রতি তার দায় এবং ঐতিহ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কারণেই এটা করা দরকার।

ক্ষমতার লেমনচুস ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিত্রে রেল ইস্টিশন



মেট্রো রেলের একটা স্টেশন কলাভবনে করা গেলে ভালো হতো। এখানে অনেক ফাঁকা জায়গা। সারা শহরে কোনো জায়গা নাই। কলাভবন চত্বরে আইজাইরা জায়গা ফাঁকা রাখনের দরকার কি। তাছাড়া সবখান থেকে রাজনৈতিক দলে  লোকজন এখানে এসে জমায়েত অয়। তার চে একটা ইস্টিশন অইলে লাভ অইতো। সামনে বিশাল একটা বিল বোর্ড তুলে দিলে বিজ্ঞাপন বাবদ ভালো ইনকামও করা যাইতো। খ্রাপ অইতো না।

আরেকটা ইস্টিশন ভিসির বাড়ির সামনেও অইতে পারে। সেখানে রাজনৈতিক তদ্বিরে যাওয়া লোকদের সুবিধা, রাজনীতির মারপ্যাঁচ খেলার এক থিয়েটার করে যাত্রা বিরতিতে থাকা মেট্রোরেলের  যাত্রীদের বিনোদনের ব্যবস্থাও করা যাইতে পারে। টিকিট ১০ ট্যাকা। ৫ ট্যাকা সরকার সমর্থকদের। বাকি ২ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩ টাকা সিটি কপ্পোরেশনের। তাইলে তো কোনো ফ্রবলেম দেখি নঅ।

এ রকম আপনারা আরো প্রস্তাব কইরতে পারেন --- কার্জন হল একটা ঐতিহাসিক এলাকা। পর্যটকদের জন্য সেখানে আরেকখান স্টপেজ করন দরকার। দেশের ভাব এবং মূর্তি দুইটাই উজ্জ্বল করার জন্য ইহা খুব্বই দরকারি।

এ রকম দরকার, যুক্তি পাল্টা যুক্তি উন্নয়ন নিয়ে বাহাস শেষ করা যাবে না। তবে কথা একটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রিতে  কোনো ইস্টিশন অইতে পারেনা।

মাননীয় আরেফিন স্যার; মাননীয় আনোয়ার স্যার; মাননীয় মনজুর স্যার--- আফনেরা কুতায়। অতীতে মত  শিক্ষার্থীদের  প্রতিবাদ মিছিলে আসেন। নাকি ক্ষমতার  লেমনচুসে আপনাদের মুখ ভারি অইয়া গেছে। খোলাসা করেন পিলিজ। 

ফেলানীকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখার দু'দিন পরের স্মৃতিচারণ


“লাশ হয়ে ঝুলে থাকল কিশোরী ফেলানি। হবু স্বামীর জন্য ভালোবাসার কথা লিখেছিল সে। সুঁই-সুতোয় সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছিল। সাথে একটি ফুল। হাতরুমালে নকশা করে নিজের মনে লুকিয়ে রাখা আবেগটা জানাতে চেয়েছে ফেলানি। সেটি আর হলো না। জানুয়ারির সাত তারিখে ঘন কুয়াশায় কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে গেল স্বপ্ন”।

ফেলানীকে ভারত খুন করে ঝুলিয়ে রাখার দু'দিন পর আমি সেই সীমান্তে গেছিলাম। এখনো মনে আছে ধূ ধূ বালুর নদী পার হয়ে নৌকায় চড়ে মোটর বাইকে করে  সীমান্ত ঘেঁষা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গিয়েছিলাম। সেখানকার বহু মানুষের সাথে কথা হয়েছিল,  স্থানীয় মানুষের কাছে সীমান্তে বিএসএফ'র নিপীড়নের যে বর্ণনা শুনছিলাম তা কতটা ভয়ঙ্কর---ঢাকায় বসে তার কষ্ট বোঝা ভারি মুশকিল।

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর উপজেলা সীমান্ত। মধ্যরাত। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। বিএসএফের গুলি খেয়ে যে কিশোরী মেয়েটা ঝুলে থাকল কাঁটাতারে নাম তার ফেলানী। হবু স্বামীর জন্য ভালোবাসার কথা লিখেছিল সে। সুঁই সুতোয় সেটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছিল। সাথে একটি ফুল। হাত রুমালে নকশা করে নিজের মনের ভেতর লুকিয়ে রাখা আবেগটা জানাতে চেয়েছে সে। সেটি আর হয়ে ওঠেনি। কুড়িগ্রামের ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাতের আঁধারে কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে গেলো তার স্বপ্ন। সেই সাথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে গেলো জীবন। ডান বুকে বিঁধে যাওয়া গুলির সাথে বেরিয়ে আসা রক্তের দাগটা স্পষ্ট ছিল। সাদা কাফনে জড়ানো কচি মুখের দিকে তাকিয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর উপজেলা দক্ষিণ রামখানার মানুষ। এমন বর্বরতা তারা আগে দেখেনি। তাই অনেকেই ছিলেন বিস্ময়ে বিমূঢ়।

দেশে ফেরার দু’দিন পর ৯ জানুয়ারি ২০১১---স্বামীর ঘরে যাওয়ার কথা ছিল ফেলানীর। নানী হাজেরা জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় দুই বোনের ছেলে মেয়েতে বিয়ের পাকা কথা। তার দুই ছেলে ও চার মেয়ের সংসারে ফেলানীর মা তৃতীয়। বড় মেয়ে আনজুমা বেগমের ছেলে আমজাদের কাছে ফেলানীর বিয়ের কথা ছিল। বাড়িতে সে মতে সব প্রস্তুতি চলছিল। ফেলানী এলেই বিয়ে। যে দিন তার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা সে দিন তাকে অন্তিম শয়ানে শুইয়ে দেয়া হলো দাদার পাশেই। রামখানায়, গাছের ছায়ায়। সে সময় ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল ফোলানীদের ভাঙাচোরা ঘর। চারপাশে বাঁশের বেড়া। তারা থাকত না বলে হয়তো সে ভাবে মেরামত করা হয়নি।

ফেলানীর ব্যবহৃত সালোয়ার কামিজ, জুতো, পারফিউম জড়ো করে রাখা ছিল মাটিতে পাতা বিছানার এক কোনায়। এ সব কিছুর মধ্যে প্রিয়তম হবু স্বামীর জন্য নিজ হাতে তৈরি করা একটি হালকা গোলাপী রঙের সুতি রুমাল। রুমালের মাঝখানে ফুল আঁকা হয়েছে নীল রঙের কলমে। সুঁই সুতোয় তার অর্ধেক তুলেছিল ফেলানী। হৃদয় চিহ্ন আঁকা হয়েছে। তার মধ্যে কোনাকুনি করে দেয়া তীর। উপরের অংশে লেখা ইংরেজিতে ‘লাভ’ ভালোবাসা।

অকপটে ভালোবাসার সেই বার্তা চিরতরে অসম্পন্নই থেকে গেলো ফেলানীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে। ভারতের আসামে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। সেখানে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ফেলানীর বাবা বলেছিলেন ভারতীয় দালালের সহায়তায় কিতাবের কুঠি অনন্ততপুর সীমান্তের ৯৪৭ নম্বর মূল পিলারের কাছে ৩ ও ৪ এস পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে তারা দেশে ফিরছিলেন। সে জন্য মই দিয়ে ভোরের দিকে তাদের পার করার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় তিনি পার হতে পারলেও মেয়ের জামা আটকে যায়। ফেলানী ভয়ে চিৎকার করায় টহলরত বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এরপর সে ইন্তেকাল করে।

ফেলানীর মামা মোহাম্মদ হানিফ আলী বলেন, সকাল ৭টার দিকে তাকে বোন জামাই নুরুল ইসলাম জানান, বর্ডারে ভাগনীর লাশ ঝুলছে। বর্ডারের লোকজন তাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সদস্যদের কাছে না গিয়ে লাইনম্যানদের বলতে বললো। লাইনম্যান হলো বিজিবির সহযোগী সাধারণ মানুষ। তাদের সাথে আলাপ করে তিনি তাদের ইউনিয়নের গত নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলীম এবং মেম্বার রশিদকে নিয়ে বিজিবির সাথে আলাপ করেন। সে দিন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় বিএসএফ লাশ ফেরত দিলো না। পরের দিন লাশ হস্তান্তর এবং ৯ জানুয়ারি তারা লাশ পান এবং দাফন করেন।

তিনি বলেন, বোন জামাই মেয়ের গায়ে গুলি লেগেছিল কি না বলতে পারেননি। আমি গিয়ে ঝুলানো লাশ দেখলাম। সেখানকার লোকজন আমাকে বলল, ফেলানীকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বিএসএফ। গুলি হতে শুনেছেন পশ্চিম রামখানা মিস্ত্রিটারির বাসিন্দা মো: জমির হোসেন। তার বাড়ি থেকে সীমান্ত ৫০ গজের মতো হবে।

তিনি বলেন, ভোরেই গুলির শব্দ পাই। চিল্লাচিল্লি শুনলাম। বেরিয়ে কিছু দেখিনি। কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সকালে ৯টার দিকেও দেখলাম লাশ ঝুলে আছে। যেখানে ফেলানীর লাশ ঝুলে ছিল তার ঠিক পাশেই বাড়ি আজিরনের। তিনি বলেন, ফজরের একটু আগে গুলির শব্দ শুনলাম। সকালে দেখি লাশ ঝুলছে। ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে দেখলাম বিএসএফ লাশ নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফেলানীর বড় চাচী লাইলী বেগম বলেন, ফেলানীর মতো কেউ যেন এ ভাবে মারা না যায়। ওরা (বিএসএফ) তাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। ফেলানী নেই। এটা ভাবতেই খুব খারাপ লাগে।

তিনি বলেন, ভারত সরকার এটা কী বিচার করলো! আমরা এর সঠিক বিচার ও দোষীদের শাস্তি চাই। তার অভিযোগ ‘অত্যাচার করে’ হত্যা করা হয়েছে ফেলানীকে। একই রকম মনে করেন এলাকার অনেকে। যেমনটা বলেছেন, কাশীপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সেক্রেটারি আবদুল জলিল। তিনি বলেন, তাকে ‘নির্যাতন’ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ‘নির্যাতন’ নয় গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ফেলানীর লাশের ময়নাতদন্তের তিন সদস্যের অন্যতম ডা: অজয় কুমার রায়।


জীবনের দাম কম একটা আমরা জানি। বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত এটা। কিন্তু গরিব মানুষের জীবন যেনো পাপ। অসুখ--- ক্যান্সার। কেটে ফেললে--- ছেঁটে ফেললেই মুক্তি। ফালানীর লাশ-রক্ত আর কষ্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। একজন মানুষ তার কন্যাকে হারালেন। তারা কষ্ট পেলেন। বহু রথি মহারথী তার কাছে গেলেন-- তিনি তার সন্তান হত্যার বিচার পেলেন না।

https://soundcloud.com/rajeshdatta/felani-a-bengali-song 

Robi-Airtel merger awaits BTRC nod

Robi-Airtel merger awaits BTRC nod





The telecom regulator is yet to covey its opinion on the merger of Robi and Airtel, the country’s first ever merger in the telecom sector, even though the decision for the merger was made three months ago.
On September 30, in the 189th commission meeting, BTRC discussed the merger proposal and decided to put forward its view to the posts and telecommunications division at the quickest possible time. But, the regulator— Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) is yet to forward the file to the  posts and telecommunications divison for the final approval of the merger till yesterday.
BTRC Chairman, Shahjahan Mahmood, has not denied that BTRC has approved the merger but told the Independent, they are taking time to assess the dimension of the merger proposal. “Two local organisations are carrying impact study for the merger . . . We would send the issue to the ministry after reaching a decision,” he added.
Meanwhile, the telecom regulator has decided to hear the opinion of other operators.
Replying to a query regarding the mode of hearing other operators, Mahmood said: “We will seek opinion from the operators separately, as the two operators (Robi-Airtel) are also in the Association of Mobile Telecom Operators of Bangladesh (AMTOB), the platform of the operators.”
However, telecom and company law expert Barrister Ashraful Hadi has opined “there is no scope under the BT Act to seek opinion from the operators”.  
As per the Telecommunication Act 2001, he said, the telecom regulator would only ensure whether the merged company has the eligibility or qualified of getting licence.  
BTRC sources confirmed that both the operators have submitted spectrum scheme, numbering plan, human resource management plan, and resolution of the meeting of the board of directors and other documents to comply with the decision of commission meeting for the merger.
Immediately, after the official announcement, the country’s first merger of telecom sector drew huge attention, said a senior official of BTRC.
The impact assessment study is being conducted by the teachers from IBA of Dhaka University and a private university for the Robi-Airtel merger.
Hadi said different countries globally appoint separate consultant firm to run impact study in case of merger and Bangladesh should have done it too.
Meanwhile, BTRC sources confirmed that these teachers were sent letters but yet to be provided with a Terms of Reference or instruction to go ahead with the assessment. There is no clear guidance how these assessments will be funded and whether they will follow any procurement process.   
Prime Minister’s ICT Adviser recently talked about appointing firms like KPMG for impact study before the Teletalk-BTCL merger.
About the merger, Telecom Act 2001 at its clause 37 said where the licensee is a company, society or partnership, the compulsory obligation of such licensee to take prior approval of the Commission in the following cases: any change in the ownership or share capital of the company, society or partnership, which has the effect of transferring the control over the activities under the license; or merger of the company, society or partnership with any other company or enterprise: Provided that, while giving such prior approval, the Commission shall consider whether or not the person, company or enterprise, who or which will acquire control over the licensed activities due to the proposed merger or change, is eligible for obtaining a license, and whether or not the change will affect the continuity of those activities.
As the BTRC has the legal right to see whether the two companies have licence, and whether the merged company is qualified to continue as a licensee, Barrister Ashraful Hadi, also member of Dr Kamal Associates, said: “The merger would be done following Companies Act, 1994. Court  willresolve all other issues in accordance with the proposed Scheme of Amalgamation.”
Hadi, however, said it’s all right that country’s telecom sector is witnessing its first merger, but it should not be done in a way which is not supported by the law.
Repeating that law does not provide for collecting opinion from other operators, the lawyer said no operator would want to lose market share.

GP deprives railways of Tk 81cr a year: CAG

GP deprives railways of Tk 81cr a year: CAG



Allegations have been raised against Grameenphone (GP), the country’s leading mobile phone operator, of short paying the Bangladesh Railway Tk. 81 crore every year for using the latter's optical fibre network. The issue has been raised in the audit report of the Office of the Comptroller and Auditor General (OCAG) prepared in October last year, which was recently sent to the Bangladesh Railway.


Bangladesh Railways leased out its optical fibre network to GP in 1997. Though permission had been taken from the Prime Minister for a network comprising 1,800 kms, the GP is paying rent for only 1,600 kms and thus depriving the government of revenue worth about Tk 81 crore, said the OCAG audit report.
Following the audit observation, the Bangladesh Railway formed a probe committee over the allegation and the body has already submitted its findings, said railway officials.


When contacted over the matter, GP Head of External Communications Sayed Talat Kamal said, “Grameenphone has leased its fiber network from the Bangladesh Railway on participation of an open international tender. Currently Grameenphone leases a total of 2009 km of fiber optic network, covered under the GP-BR agreement and its subsequent amendments, and pays full dues in accordance with the lease agreement signed between the company and Bangladesh Railway. Allegations of any unpaid dues on the fiber optic lease agreement are baseless.”


According to Railways Information Book, a decision was taken in 1989 to modernise the signalling system by installing optical fibre network along the country's railroads. The Norwegian government gave financial assistance to the project. The network was established to connect the existing 300 stations through optical fibre, but the network remained under-used most of the times. So, in 1997, the lease was given to Grameenphone, to monetise the asset, said Bangladesh Railway officials.


In 2014, BTRC gave NTTN licence to three state owned entities—Bangladesh Railways, Bangladesh Telecommunication Company Limited (BTCL), and Power Grid Company of Bangladesh (PGCB).



According to the policies governing NTTN and infrastructure sharing, to establish optical fibre networks, a NTTN license is a must. According to Section 40 of Bangladesh Telecommunication Law 2011, no organisation will be able to provide any telecommunication service without Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission's permission.


GP is a joint venture between Telenor (55.8%), the largest telecommunications service provider in Norway having mobile phone operations in 12 other countries, and Grameen Telecom Corporation (34.2%), a non-profit organisation of Bangladesh. The other 10 per cent shares belong to retail and institutional investors.

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো
ধানের গোছার উপর শেষ বিকালের সূর্যের নরোম আলোর মত-
মায়াবী হরিণীর চকিত চাহনি 
উল্লাসে ফেটে পড়া বুকের ভেতর---
শত কথা বলব বলে ঠিক করা! 
প্রকাশিত হয় না তার কিছু; 'বুক ফাটে তো মুখ ফােটে না'। 

প্রেমিকা---শত স্মৃতি, জীবনানন্দ---উচ্ছ্বাসে-উৎসব মুখর বেলা
রোদ গড়িয়ে যাওয়া সকালের জানালা
লুটুপুটি খাওয়া ধূলোবালির ওপর তপ্ত দুপুর বেলা
উচ্ছ্বাসে মুখর সন্ধ্যা!

দুরন্ত কিশোরীর ছুটে চলা গতির চে' থ্রিজি
তার চে' বেশি দ্রুত ঘূর্ণনে---
চলে যাচ্ছে - সময়- স্মৃতি। 

ওহ হো! সময়-- তোমাকে আর বেঁধে রাখা গেলো না; 
হাওড়ের জল তর তর করে নেমে যাওয়ার পর--- 
কই মাছের মত তড়ফানো কিছু সময়
তারপর আবার? মনযোগি সময়চক্র-ঋতুচক্র-প্রথম যৌবনবতী নারীর উজ্জ্বল মুখ

পুরনো প্রেমিকারা ফিরে এসো মনের আঙ্গিনায় গোপনে- 
!!!